Chapter 1
[MCQ]
1. পৃথিবীকেন্দ্রিক মহাবিশ্বের সর্বপ্রথম ধারণা দেন-
A) নিউটন,
B) কোপারনিকাস,
C)গ্যালিলিও,
D) টলেমি।
উত্তর: D)টলেমি।
2. 'পৃথিবী গতিশীল'-এই কথাটি সর্বপ্রথম বলেছিলেন-
A) নিউটন,
B) কোপারনিকাস,
C) আর্যভট্ট,
D) গ্যালিলিও।
উত্তর: C) আর্যভট্ট।
3. পৃথিবীর কক্ষপথের দৈর্ঘ্য প্রায়-
A) 94 কোটি কিমি,
B) 96 কোটি কিমি,
D) 98 কোটি কিমি,
E) 102 কোটি কিমি।
উত্তর: B) 96 কোটি কিমি।
4. পৃথিবী অপেক্ষা সূর্য প্রায়-
A) 3 লক্ষ,
B) 13 লক্ষ,
C) 23 লক্ষ,
E) 25 লক্ষ গুণ বড়ো।
উত্তর: B) 13 লক্ষ গুণ বড়ো।
A)) মেরু অঞ্চলে
B ক্রান্তীয় অঞ্চলে
C) নিরক্ষীয় অঞ্চলে
E) মেরুবৃত্ত অঞ্চলে
উত্তর: C) নিরক্ষীয় অঞ্চলে।
6. দিগন্তরেখা -
A) গোলাকার,
B) উপবৃত্তাকার,
C) অভিগত গোলক
D) চোঙের মতো হয়।
উত্তর: A) গোলাকার হয়।
7. ধ্রুবতারাকে দেখা যায়-
A) উত্তর
B), দক্ষিণ,
C) পূর্ব,
D) পশ্চিম আকাশে।
উত্তর: Ⓐ উত্তর।
8. পৃথিবীর পরিধি নির্ণয় করেন-
A) নিকোলাস,
B) ম্যাগেলান,
C) মার্কেটর,
D) এরাটোস্থেনিস।
উত্তর: D) এরাটোস্টস্থনিস।
A) 30 কিমি,
B) 29 কিমি,
C) 35 কিমি,
D) 40 কিমি।
উত্তর: A) 30 কিমি।
10. 'মার্গ' কথাটির আক্ষরিক অর্থ হল-
A) চাঁদ,
B) গ্রহ,
C) উল্কা,
D) পথ।
উত্তর: D) পথ।
11. পৃথিবী ও সূর্য উভয়কে প্রদক্ষিণ করে-
A) শুক্র,
B) মঙ্গল,
C) প্লুটো,
D) চাঁদ।
উত্তর: D) চাঁদ।
12. 'কুমেরু প্রভা' দেখা যায়-
A) কানাডায়,
B) গ্রিনল্যান্ডে,
C) নিউজিল্যান্ডে,
D) সুইটজারল্যান্ডে।
উত্তর: C) নিউজিল্যান্ডে।
13. অধিবর্ষের ক্ষেত্রে শতাব্দী বছরগুলিকে-
A) 4 ,
B) 40,
C) 400,
D) 4000 দিয়ে ভাগ করতে হয়।
উত্তর: C) 400
14. জলবিষুবের অপর নাম হল-
A) মহাবিষুব,
B) শারদ বিষুব,
C)বসন্তকালীন বিষুব,
D) গ্রীষ্মকালীন বিষুব।
উত্তর: B) শারদ বিষুব।
15. পৃথিবীর দুটি গতিই-
A) ঘড়ির কাঁটার দিকে,
B) উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে,
C) ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে,
D) কোনোটিই প্রযোজ্য নয়।
উত্তর: B) ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে।
16. উত্তর গোলার্ধে যখন বসন্তকাল, দক্ষিণ গোলার্ধে তখন-
A) গ্রীষ্মকাল
B) বসন্তকাল
C) শরৎকাল,
D)শীতকাল।
উত্তর: C) শরৎকাল।
17. 'উদীয়মান সূর্যের দেশ' (Land of Rising Sun) বলা হয়-
A) জাপান,
B) জার্মানি,
C) জেনেভা,
D) জাকার্তাকে।
উত্তর: Ⓐ জাপানকে।
18. অস্ট্রেলিয়ার ক্ষুদ্রতম রাত্রি হয়-
A) 21 মার্চ,
B) 21 জুন,
C) 22 ডিসেম্বর,
D) 25 ডিসেম্বর।
উত্তর: C) 22 ডিসেম্বর।
19. 'বিষুব' কথার অর্থ-
A) দিনরাত্রির দৈর্ঘ্যের হ্রাসবৃদ্ধি,
B) দিনরাত্রির দৈর্ঘ্য সমান,
C) দিন ছোটো ও রাত্রি বড়ো,
D) রাত্রি ছোটো দিন বড়ো।
উত্তর: B) দিনরাত্রির দৈর্ঘ্য সমান।
20. মুক্তিবেগের পরিমাণ সেকেন্ডে-
A) 11.2 কিমি
B) 12.2 কিমি
C)13.2 কিমি
D) 14.2 কিমি।
উত্তর: Ⓐ 11.2 কিমি।
21. 21 মার্চ দিনটিকে বলে-
A) কর্কট সংক্রান্তি,
B) জলবিষুব,
C) মকর সংক্রান্তি,
D) মহাবিষুব।
উত্তর: D) মহাবিষুব।
22. কুমেরু বৃত্তে 24 ঘণ্টাই অন্ধকার থাকে-
A) 21 জুন
B) 22 ডিসেম্বর
C) 23 সেপ্টেম্বর
D) 4 জুলাই।
উত্তর: A) 21 জুন।
23. সূর্য থেকে পৃথিবীর প্রকৃত গড় দূরত্ব হল-
A) 14-70 কোটি কিমি,
B) 14.95 কোটি কিমি,
C)15-10 কোটি কিমি,
D) 15-20 কোটি কিমি।
উত্তর: B) 14-95 কোটি কিমি
24. পৃথিবীর কক্ষপথটি হল-
A) বৃত্তাকার,
B) উপবৃত্তাকার,
C) রৈখিক,
D) চৌকাকার
উত্তর: B) উপবৃত্তাকার।
25. বড়োদিন দক্ষিণ গোলার্ধে-
A) গ্রীষ্ম,
B) শীত,
C) শরৎ,
D) বসন্তকালে পালিত হয়।
উত্তর: Ⓐ গ্রীষ্মকালে পালিত হয়।
26. অপসূর অবস্থান উত্তর গোলার্ধে-
A) গ্রীষ্ম,
B) শীত,
C) শরৎ,
D) বসন্তঋতুতে হয়।
উত্তর: Ⓐ গ্রীষ্ম ঋতুতে হয়।
Short Answer Question
প্রশ্ন-1 মহাকর্ষ বল কাকে বলে?
উত্তর: মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তুই পরস্পরকে আকর্ষণ করে। একে মহাকর্ষ বল বলে। যে বস্তুর ভর বেশি, আর সে যত কাছে থাকে তার আকর্ষণ শক্তিও তত বেশি হয়। ইংল্যান্ডের বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটন 1687 খ্রিস্টাব্দে এই সূত্রটি আবিষ্কার করেন।
প্রশ্ন-2 মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কাকে বলে?
উত্তর: পৃথিবীর উপরিস্থিত সমস্ত বস্তু বা পদার্থসমূহকে যে বলের দ্বারা পৃথিবী তার নিজ কেন্দ্রের দিকে আকর্ষণ করে, তাকে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি বলে। এই বলের প্রভাবে পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে উপরের দিকে নিক্ষিপ্ত যে-কোনো বস্তু নীচের দিকে নেমে আসে। আমরা পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ছিটকে যাই না।
প্রশ্ন-3 অপকেন্দ্র বল (Centrifugal Force) বা অলীক বল (Pseudo Force) কাকে বলে?
উত্তর: যখনই কোনো বস্তু একটি নির্দিষ্ট বৃত্তাকার পথে ঘোরে তখন ওই বস্তুর ওপর কেন্দ্র বহির্মুখী একটি বল ক্রিয়া করে। একে অপকেন্দ্র বল বা অলীক বল বলে। এর প্রভাবে বস্তুটি বৃত্তাকার পথের স্পর্শক বরাবর ছিটকে বেরিয়ে যেতে চায়।
প্রশ্ন-4 মুক্তিবেগ কী?
উত্তর: কোনো বস্তু 11.2 কিমি/সেকেন্ড গতিবেগে ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ধাবমান হলে তা পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তিকে অতিক্রম করে মহাশূন্যে চলে যেতে পারে। এই গতিবেগকে মুক্তিবেগ (Escape Velocity) বলে। এই বস্তু কোনোদিনই আর পৃথিবীতে ফিরে আসে না। উদাহরণ: রকেট এই বেগের সাহায্যেই মহাকাশে পাঠানো সম্ভব হয়।
প্রশ্ন-5 চান্দ্রমাস কাকে বলে?
উত্তর: 27%, দিনে বা 27 দিন ৪ ঘণ্টায় চাঁদ পৃথিবীকে একবার প্রদক্ষিণ করে। এই সময়কে এক চান্দ্রমাস বলা হয়। বর্তমানে 30 দিনে 2 একমাস ধরা হলেও কখনও 31 দিন অথবা 28 দিনেও একমাস হয়।
প্রশ্ন-6 সৌরবছর বলতে কী বোঝো?
উত্তর: পৃথিবী তার নিজ অক্ষের উপর ভর করে উপবৃত্তাকার কক্ষ পথে ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে আবর্তনরত অবস্থায় সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে সময় নেয় 365 দিন 5 ঘণ্টা 48 মিনিট 46 সেকেন্ড। এই সময়কে। সৌরবছর বলা হয়।
প্রশ্ন-7 সূর্যরশ্মি কোনো স্থানে লম্বভাবে পড়লে কী হবে?
উত্তর: সূর্যরশ্মি কোনো স্থানে লম্বভাবে পড়লে সেখানকার উন্নতা বেড়ে যাবে। কারণ এক্ষেত্রে সূর্যের লম্বরশ্মি কম বায়ুস্তর ভেদ করে আসায় তাপের শোষণ কম হয় এবং ভূপৃষ্ঠের স্বল্প স্থানের উপর ছড়িয়ে পড়ে। ফলে জায়গাটি খুব তাড়াতাড়ি অত্যন্ত গরম হয়ে উঠবে।
প্রশ্ন-8 পৃথিবীর কক্ষতল কাকে বলে?
উত্তর: সংজ্ঞা: পৃথিবীর কক্ষপথ বা সূর্য প্রদক্ষিণের পথটি যে কাল্পনিক সমতলে অবস্থান করে, তাকে পৃথিবীর কক্ষতল বলে।
বৈশিষ্ট্য: (i) পৃথিবীর কেন্দ্র ও সূর্যের কেন্দ্র কক্ষতলের সমতলে অবস্থান করে। (ii) পৃথিবীর মেরুরেখা কক্ষতলের সঙ্গে সর্বদাই 66%½° কোণে হেলে থাকে।
প্রশ্ন-9 ছায়াবৃত্ত (Shadow Circle) কী?
উত্তর: পৃথিবীর আলোকিত অংশ (দিন) ও অন্ধকার অংশের (রাত্রি) মধ্যবর্তী স্থানে যে অস্পষ্ট আলো-আঁধারের বৃত্তাকার সীমানা রেখা দেখা যায়, তাকে ছায়াবৃত্ত বলে। পৃথিবীর আবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এই ছায়াবৃত্ত সর্বদাই স্থান পরিবর্তন করে।
প্রশ্ন-10 সংক্রান্তি কী?
উত্তর: 'সংক্রান্তি' (Solstice) শব্দের আক্ষরিক অর্থ হল 'শেষ দিন'। কোনো মাস, বছর ও কোনো গ্রহ নক্ষত্রের গতিপথের শেষ দিনকে সংক্রান্তি বলা হয়। সূর্যের আপাত বার্ষিক গতির জন্য পৃথিবীতে দুটি সংক্রান্তি ঘটে থাকে। সেগুলি হল-(i) কর্কটসংক্রান্তি (21 জুন, উত্ত রায়ণের শেষ দিন) এবং (ii) মকরসংক্রান্তি (22 ডিসেম্বর, দক্ষিণায়নের শেষ দিন)।
প্রশ্ন-12 বিষুব বলতে কী বোঝো?
উত্তর: 'বিষুব' এর প্রতিশব্দ 'Equinox' নামক একটি ল্যাটিন শব্দ, যার আক্ষরিক অর্থ হল দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্য সমান (Equinox-Equi = equal, nox = night)। 21 মার্চ ও 23 সেপ্টেম্বর পৃথিবী তার কক্ষপথের এমন এক স্থানে আসে, যখন পৃথিবীর উভয় গোলার্ধে সূর্য থেকে সমান দূরে অবস্থান করে। অর্থাৎ পৃথিবীর সর্বত্রই 12 ঘণ্টা দিন ও 12 ঘণ্টা রাত্রি হয়। ফলে এই দুই দিনকে বিষুব বলা হয়।
Long Answer Question
প্রশ্ন-1 পরিক্রমণ গতি বা বার্ষিক গতির প্রভাব বা ফলাফলগুলি আলোচনা করো।
উত্তর: পরিক্রমণ গতি বা বার্ষিক গতির ফলাফলগুলি হল-
(i) দিনরাত্রির হ্রাস বৃদ্ধি: পৃথিবীর অভিগত গোলাকৃতি ও পৃথিবীর মেরুরেখা কক্ষতলের সঙ্গে 66½° কোণে হেলে থাকায় ছায়াবৃত্ত
নিরক্ষরেখা ছাড়া অন্য কোনো অক্ষরেখাকে সারাবছর সমান দুভাগে ভাগ করে না। ফলে পৃথিবীপৃষ্ঠে দিন ও রাত্রির হ্রাসবৃদ্ধি ঘটে থাকে। 21 মা ও 23 সেপ্টেম্বর তারিখে পৃথিবী সূর্যকে প্রদক্ষিণ করার সময় সূর্যরশি নিরক্ষরেখার উপর স্লম্বভাবে কিরণ দেয়। ফলে ওই দিনে পৃথিবীর সর্বা দিন ও রাত্রি সমান থাকে। অর্থাৎ 12 ঘণ্টা দিন ও 12 ঘণ্টা রাত্রি। (চিত্র 21 মার্চের পর থেকে 23 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধ সূর্যে দিকে ঝুঁকে অবস্থান করে, সেজন্য উত্তর গোলার্ধে দিন বড়ো ও রবি ছোটো হয়। দক্ষিণ গোলার্ধে ঠিক এর বিপরীত অবস্থার সৃষ্টি হয়।
(ii) ঋতু পরিবর্তন : পৃথিবীতে দিনরাত্রির দৈর্ঘ্যের হ্রাসবৃদ্ধির কারণে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অক্ষাংশ-এ উষুতার পার্থক্য ঘটে। ফলে, ঋতু পরিবর্তন ঘটে। যেমন-21 মার্চ তারিখে উত্তর গোলার্ধে বসন্তকাল হলে দক্ষিণ গোলার্ধে শরৎকাল হয়। 21 মার্চের পর থেকে উত্তর গোলার্ধে দিনের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধিতে উন্নতা বৃদ্ধি পায়। ফলে উত্তর- গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল ও দক্ষিণ গোলার্ধে শীতকাল অনুভূত হয়। একইভাবে 23 সেপ্টেম্বরের পর থেকে দক্ষিণ-গোলার্ধে দিনের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধিতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় দক্ষিণ গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল ও উত্তর গোলার্ধে শীতকাল বিরাজ করে।
(iii) বছর গণনা বা সময়কাল নির্ণয় পৃথিবী 365 দিন 5 ঘণ্টা 48 মিনিট 46 সেকেন্ড সূর্যকে একবার সম্পূর্ণ প্রদক্ষিণ করে। একে সৌরবছর বলে। প্রতি 4 বছর অন্তর লিপইয়ারে 366 দিনে এক বছর ধরে বছর নির্ণয় করা হয়।
(iv) রবিমার্গ: সূর্য আকাশ পথে সারাবছর ধরে একটি নির্দিষ্ট গতিপথে বিচরণ করে। উত্তরে কর্কটক্রান্তি এবং দক্ষিণে মকরক্রান্তি রেখা হল সূর্যের বার্ষিক আপাতগতির শেষসীমা। আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় যে সূর্য সারাবছর পৃথিবীর বিষুবরেখা থেকে উত্তর কর্কটক্রান্তি থেকে দক্ষিণে মকরক্রান্তি পর্যন্ত ঘোরাফেরা করে তাকে সূর্যের আপাত বার্ষিক গতিপথ বা রবিমার্গ বলে।
(v) মেরুজ্যোতি সৃষ্টি: পৃথিবীর মেরুরেখা তার কক্ষতলের সঙ্গে 66½° কোণে হেলে থাকায় উভয় মেরুতে শীতকালে এক টানা 6 মাস রাত্রি বিরাজ করে। এই সময় মেরু আকাশে যে মৃদু বর্ণময় আলোক রশ্মি দেখা যায়। তা মেরুজ্যোতি নামে পরিচিত।
(vi) তাপমণ্ডলের সৃষ্টি: পৃথিবীর পরিক্রমণের ফলে সূর্যরশ্মির পতন কোণের তারতম্য ঘটে। ফলে উষ্ণতার পরিবর্তন ঘটে। এই উয়তার তারতম্য হেতু অক্ষাংশভেদে বিভিন্ন তাপমণ্ডলের সৃষ্টি হয়েছে। যেমন-উদ্বু মণ্ডল, নাতিশীতোয়ুমণ্ডল এবং হিমমণ্ডল।
প্রশ্ন-২ ঋতু পরিবর্তনের কারণগুলি লেখো। অথবা, ঋতুগুলো কেন পর্যায়ক্রমে আসে-তার কারণ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: পৃথিবীতে ঋতু পরিবর্তনের কারণগুলি হলো- (i) পৃথিবীর পরিক্রমণ গতি: পৃথিবী তার নিজ অক্ষের উপর পাক খাওয়ার সময়, কখনো পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে আবার কখনো দক্ষিণ গোলার্ধে সূর্যরশ্মি লম্বভাবে পড়ে। ফলে কখনো উত্তর গোলার্ধে এবং কখনও দক্ষিণ গোলার্ধে উদ্বুতা বেশি থাকে। এর ফলে বছরের বিভিন্ন সময়ে উয়তার তারতম্য ঘটায় জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটে। এর ফলে ঋতু পরিবর্তন হয়। যেমন- জুন মাসে কর্কটক্রান্তি রেখার উপর সূর্য লম্বভাবে কিরণ দিয়ে উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল হয়, আবার কর্কটসংক্রান্তির পর থেকে দক্ষিণায়ন শুরু হলে মকরক্রান্তিরেখার দিয়ে সরতে থাকলে অর্থাৎ সূর্যরশ্মি সেপ্টেম্বরে শরৎকাল ও নভেম্বর ডিসেম্বরে শীতকাল হয়।
(ii) পৃথিবীর গোলাকার আকৃতি: পৃথিবীর আকৃতি অভিগত গোলাকার হওয়ার জন্য পৃথিবীর পরিক্রমণ গতির ফলে সূর্য রশ্মির পতন
কোণ কোথাও তির্যক (মেরুপ্রদেশ), আবার কোথাও লম্বভাবে (নিরক্ষীয় অঞ্চলে) পড়ে বলে ঋতু পরিবর্তন হয়।
(iii) উপবৃত্তাকার কক্ষপথ: পৃথিবীর কক্ষপথটির আকৃতি উপবৃত্তাকার হওয়ায় সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব সর্বদা এক হয় না। তাই দূরত্বের হ্রাসবৃদ্ধি হলে বিভিন্ন অঞ্চলে উয়তার তারতম্যে ঋতু পরিবর্তন হয়।
(iv) পৃথিবীর মেরুরেখার 66½° কোণে হেলে অবস্থান: পৃথিবীর অক্ষ তার কক্ষতলের সঙ্গে 66½° কোণে হেলে থাকে বলে দিনরাত্রির দৈর্ঘ্যের হ্রাসবৃদ্ধি ও সূর্যরশ্মির পতনকোণের তারতম্য ঘটে। যা ভূপৃষ্ঠে সঞ্চিত তাপমাত্রার হ্রাসবৃদ্ধি ঘটে। দিনের দৈর্ঘ্য বেশি হওয়ায় ও লম্বভাবে পতিত সূর্যরশ্মির কারণে ভূপৃষ্ঠে সঞ্চিত তাপমাত্রা বেশি হয়, ফলে গ্রীষ্মকাল অনুভূত হয়। অন্যদিকে, রাত্রির দৈর্ঘ্য বেশি ও তির্যকভাবে পতিত সূর্যরশ্মির কারণে ভূপৃষ্ঠে সঞ্চিত তাপমাত্রা হ্রসে শীতকালে অনুভূত হয়। ফলে ঋতু পরিবর্তন ঘটে।
(v) অন্যান্য কারণ: এ ছাড়াও পৃথিবীর মেরুরেখার একইদিকে অবস্থিতি, দিনরাত্রির দৈর্ঘ্যের হ্রাসবৃদ্ধি এবং সূর্যের লম্ব ও তির্যক রশ্মি বা সূর্যরশ্মির পতন কোণের তারতম্য প্রভৃতি কারণেও ঋতু পরিবর্তন ঘটে
প্রশ্ন-3. 23 সেপ্টেম্বর থেকে 22 ডিসেম্বরের মধ্যে পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যে অবস্থান ও তার প্রভাব আলোচনা করে।
উত্তর: 23 সেপ্টেম্বর সূর্যের অবস্থান হয় ঠিক বিষুবরেখার বা নিরক্ষরেখার উপর। নিরক্ষরেখার উপর একদম লম্বভাবে সূর্যকিরণ পড়ার দরুন ঐ দিন প্রায় সমগ্র পৃথিবী জুড়ে বারো ঘণ্টা দিন ও বারো ঘণ্টা রাত হয়। অর্থাৎ দিনরাত্রি সমান হয়। তখন উত্তর গোলার্ধে শরৎকাল এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বসন্তকাল চলে।
23 সেপ্টেম্বরের পর থেকে সূর্যের চলার সময় এর গতি আরও বেশি করে মকরক্রান্তি রেখা অনুসারী হয়ে যায়। ফলে উত্তর গোলার্ধ থেকে সূর্যের দূরত্ব বাড়তে থাকে আর দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্যের নিকটবর্তী হতে থাকে। 22 ডিসেম্বর সূর্যের অবস্থান হয় মকরক্রান্তি রেখার একদম উপরে। এই তারিখে দক্ষিণ গোলার্ধে দীর্ঘতম দিন (14 ঘণ্টা) ও ক্ষুদ্রতম রাত (10 ঘণ্টা) ও দীর্ঘতম রাত হয়। আর স্বাভাবিক ভাবেই এই সময়ে উত্তর গোলার্ধে শীতকাল ও দক্ষিণ গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল চলে। কারণ দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্যের নিকটে থাকে।
হাতেকলমে
প্রশ্ন-1 কোন্ কোন্ ঋতুতে বেশিরভাগ দিন নীল আকাশ দেখা যায়?
উত্তর: শীত ঋতুতে এবং শরৎ ঋতুর শেষভাগে।
প্রশ্ন-২ কোন্ ঋতুতে মাঠের মাটি ফেটে যায়?
উত্তর: গ্রীষ্মঋতুতে।
প্রশ্ন-3 কোন্ ঋতুতে পুকুরগুলো জলে ভরতি থাকে?
উত্তর: বর্ষাঋতুতে।
প্রশ্ন-4 কোন্ কোন্ ঋতুতে বন্যার সম্ভাবনা থাকে?
উত্তর: বর্ষাঋতুতে। তবে মাঝে মাঝে শরৎঋতুতেও বন্যা ঘটে থাকে।
প্রশ্ন-5 কোন্ কোন্ ঋতুতে ডোবা, খাল, বিল ছেঁচে মাছ ধরা হয়?
উত্তর: শীতঋতুতে, গ্রীষ্মঋতুতে এবং শরৎঋতুতে।
প্রশ্ন-6 কোন্ ঋতুতে সূর্য পূর্ব আকাশের সব থেকে দক্ষিণ ঘেঁষে ওঠে?
উত্তর: শীত ঋতুতে।
প্রশ্ন-7 কোন্ ঋতুতে দুপুর 12 টায় ছায়ার দৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি হয়?
উত্তর: শীত ঋতুতে।
প্রশ্ন-৪ কোন্ ঋতুতে খুব কোকিল ডাকে?
উত্তর: বসন্তঋতুতে (ঋতুরাজ)।
প্রশ্ন-9 উত্তর গোলার্ধে কোন্ ঋতুতে সব থেকে বড়ো দিন হয়?
উত্তর: গ্রীষ্মঋতুতে।
1. কত খ্রিস্টাব্দে স্যার আইজ্যাক নিউটন মহাকর্ষ সূত্রটি আবিষ্কার করেন?'
উত্তর: 1687 খ্রিস্টাব্দে।
2. কোন্ জ্যোতির্বিজ্ঞানী সূর্যকেন্দ্রিক সৌরজগতের কথা সর্বপ্রথম বলেছিলেন?
উত্তর: কোপারনিকাস।
3. কারা সর্বপ্রথম 'অধিবর্ষ' কথাটি আবিষ্কার করেন?
উত্তর: মিশরীয়রা।
6. উত্তর গোলার্ধে সর্বাপেক্ষা বড়ো দিন কোন্ তারিখে হয়?
উত্তর: 21 জুন।
7. দিনের বেলায় কখন সূর্যালোকে সোজা দাঁড় করিয়ে রাখা কোনো দণ্ডের ছায়া সবথেকে ছোটো হয়?
উত্তর: মধ্যাহ্নে।
8. 23 সেপ্টেম্বর মধ্যাহ্ন সূর্য কোথায় লম্বভাবে পতিত হয়?
উত্তর: নিরক্ষরেখায়।
9. পৃথিবীর কোন্ কোন্ স্থানে ঋতু পরিবর্তন হয় না?
উত্তর: নিরক্ষীয় অঞ্চল ও মেরু অঞ্চল।
10. কোন্ দিন থেকে সূর্যের উত্তরায়ণ শুরু হয়?
উত্তর: 23 ডিসেম্বর।
11. কোন্ দিন থেকে সূর্যের দক্ষিণায়ন শুরু হয়?
উত্তর: 22 জুন।
13. দক্ষিণ গোলার্ধের মেরু নক্ষত্রের নাম কী?
উত্তর: হ্যাডলির অকট্যান্ট।
14. 4 জুলাই চন্দননগর-কলকাতা থেকে সূর্যের আকৃতি কেমন দেখায়?
উত্তর: ক্ষুদ্রতর।
15. নরওয়ের কোন্ বন্দর থেকে 'নিশীথ সূর্য' পরিলক্ষিত হয়?
উত্তর: হ্যামারফেস্ট।
17. পৃথিবীর কোন্ অঞ্চলে সারাবছরই দিন ও রাত সমান থাকে? (বহরমপুর কে.এন. কলেজ স্কুল)
উত্তর: নিরক্ষীয় অঞ্চল।
18. পৃথিবীর কোন্ অংশে জুন মাসে তুষারপাত এবং ডিসেম্বর মাসে উন্নতার তীব্রতা প্রবলভাবে অনুভূত হয়?
উত্তর: দক্ষিণ গোলার্ধে।
19. কোন্ দিনটিকে বসন্তকালীন বিষুব বলা হয়?
উত্তর: 21 মার্চ।
20. 'অয়ন' কথার অর্থ কী?
উত্তর: গতি বা গমন।
C.শূন্যস্থানে উপযুক্ত শব্দ বসাও:
1.------তারিখে সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব সবচেয়ে কম হয়।(পর্ষদ নমুনা প্রশ্ন)
উত্তর: 3 জানুয়ারি।
2. পৃথিবীর উভয় মেরু অঞ্চলে সারাবছরই—- বিরাজ করে।
উত্তর: শীতকাল।
4. পৃথিবীর কক্ষপথটি যে সমতলে অবস্থান করে, তাকে—- -বলে।
উত্তর: কক্ষতল।
5.----- - অবস্থানে পৃথিবীর পরিক্রমণ গতিবেগ বৃদ্ধি পায়।
উত্তর: অনুসূর।
6. পৃথিবীর প্রকার গতি আছে।
উত্তর: দুই।
7.----- হল পৃথিবীর বৃহত্তম কাল্পনিক বৃত্তাকার রেখা।
উত্তর: নিরক্ষরেখা।
8. 1900 খ্রিস্টাব্দে ফেব্রুয়ারি মাসের দিনসংখ্যা ছিল
উত্তর: 28।
9. সমগ্র সৌরজগৎ ছায়াপথে অবস্থান করছে।
উত্তর: আকাশগঙ্গা।
10. পরিক্রমণ গতির অপর নাম
উত্তর: বার্ষিক গতি।
11. 66½° উত্তর অক্ষাংশে অবস্থিত অক্ষরেখাকে বলে
উত্তর: সুমেরু বৃত্ত।
12. যে কাল্পনিক রেখার চারপাশে পৃথিবী আবর্তন করে, তাকে বলে পৃথিবীর
উত্তর: অক্ষ বা মেরুরেখা।
13. পরিক্রমণ গতির সময় পৃথিবীর উত্তর মেরু বিন্দু সর্বদা মুখী থাকে।
উত্তর: ধ্রুবতারা।
14 সর্বপ্রথম গ্রহদের গতি সম্পর্কে তিনটি সূত্র প্রবর্তন করেন।
উত্তর: কেপলার।
D. শুদ্ধ বা অশুদ্ধ লেখো:
1. সৌরদিনের সময়কাল 24 ঘণ্টা।
উত্তর: শুদ্ধ।
2. বার্ষিক গতির জন্য দিনরাত্রি সংঘটিত হয়।
উত্তর: অশুদ্ধ (আহ্নিক গতি)
3. 22 ডিসেম্বর সূর্যের দক্ষিণায়ন সম্পূর্ণ হয়।
উত্তর: শুদ্ধ
4. 21 মার্চকে জলবিষুব বলে।
উত্তর: অশুদ্ধ (23) ডিসেম্বর)
5. অধিবর্ষের দিনসংখ্যা হয় 366 দিন।
উত্তর: শুদ্ধ
6. উত্তর গোলার্ধে জুন মাসে দিন বড়ো হয়।
উত্তর: শুদ্ধ
7. শরৎকালে মহাবিষুব সংঘটিত হয়।
উত্তর: অশুদ্ধ (জলবিষুব)
8. প্রতি বছর মাত্র দুদিন পৃথিবীর সর্বত্র দিনরাত্রি সমান হয়।
উত্তর: শুদ্ধ
11. পৃথিবী তার নিজ অক্ষের চারদিকে 180° ঘুরতে পৃথিবীর সময় লাগে 12 ঘণ্টা।
উত্তর: শুদ্ধ
12. সূর্যের 'আপাত বার্ষিক গতি' সত্যিকারের গতি নয়।
উত্তর: শুদ্ধ
13. ইউরোপ মহাদেশে ঋতু পরিবর্তন লক্ষ করা যায়।
উত্তর: শুদ্ধ
14. মার্চ মাসে আর্জেন্টিনাতে গ্রীষ্মকাল থাকে।
উত্তর: অশুদ্ধ (শরৎকাল)
15. পশ্চিমবঙ্গসহ সমগ্র ভারতে শীত ঋতুর শেষ ভাগে বসন্ত ঋতুর আগমন ঘটে।
উত্তর: শুদ্ধ
16. 22 ডিসেম্বর উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্মকালীন সৌরস্থিতি লক্ষ করা যায়।
উত্তর: অশুদ্ধ (21 জুন)
17. 66½° উত্তর অক্ষরেখায় সারাবছর সূর্য তির্যকভাবে পড়ে।
উত্তর: অশুদ্ধ।
F. বেমানান শব্দটি চিহ্নিত করো:
1. 21 মার্চ, 21 জুন, 15 আগস্ট, 23 সেপ্টেম্বর
উত্তর: 15 আগস্ট।
2. সৌরদিন, আহ্নিক গতি, নক্ষত্র দিন, সৌরবছর
উত্তর: সৌরবছর।
4. রবিমার্গ, অধিবর্ষ, সৌরদিন, মহাকাশ
উত্তর: মহাকাশ।
G. ভুল সংশোধন করে লেখো:
1. আকাশগঙ্গা প্রকৃতপক্ষে একটি ধূমকেতু।
উত্তর: আকাশগঙ্গা প্রকৃতপক্ষে একটি ছায়াপথ।
2. কেপলার একজন মহাকাশচারী ছিলেন।
উত্তর: কেপলার একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী ছিলেন।
3. 4 জুলাই তারিখে পৃথিবীর অনুসূর অবস্থান ঘটে থাকে।
উত্তর: 4 জুলাই তারিখে পৃথিবীর অপসূর অবস্থান ঘটে থাকে।
4. ধ্রুবতারা সর্বদাই দক্ষিণ আকাশে প্রতিভাত হয়।
উত্তর: ধ্রুবতারা সর্বদাই উত্তর আকাশে প্রতিভাত হয়।
H.আমি কে?
1. আমার এই বিশেষ আকৃতির জন্য পৃথিবীপৃষ্ঠে দিনরাত্রির হ্রাস বৃদ্ধি ঘটে? কীরূপ আকৃতি?
উত্তর: অভিগত গোলক।
3. আমি একটি মহাদেশ। ভূবিজ্ঞানী ও পর্যটকরা ডিসেম্বর মাসে আমার বুকে পদার্পণ করে। আমি কে?
উত্তর: আন্টার্কটিকা।
5. আমার অপর নাম বসন্তকালীন বিষুব। আমি কে?
উত্তর: মহাবিষুব।
6. আমি সেই বছর, যে কিনা প্রতি চার বছর অন্তর বছরে একটা অতিরিক্ত দিন নিয়ে এসে থাকে। আমি কে?
উত্তর: অধিবর্ষ।
8. আমি পৃথিবীর আলোকিত অর্ধাংশ ও অন্ধকার অর্ধাংশের ঠিক মাঝখানে অবস্থান করি। আমি কে?
উত্তর: ছায়াবৃত্ত।
👉Paid Answer (For Membership User)
Editing By:- Lipi Medhi