Chapter 10
পরবাসী
----------------
১. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও :
১.১ কবি বিষ্ণু দে-র প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম কী?
উত্তর: ১৯৩২ সালে প্রকাশিত 'উর্বশী ও আর্টেমিস' কবি বিষু দে-র প্রথম কাব্যগ্রন্থ।
১.২ তাঁর লেখা দুটি প্রবন্ধের বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর:রবীন্দ্রোত্তর কবি বিষ্ণু দে প্রণীত দুটি উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধগ্রন্থ হল-
১. রুচি ও প্রগতি : ১৯৪৬, ২. সাহিত্যের দেশ বিদেশ : ১৯৬২
২. নিম্নরেখ শব্দগুলির বদলে অন্য শব্দ বসিয়ে অর্থপূর্ণ বাক্য তৈরি করো। প্রথমটি করে দেওয়া হল:
২.১ দুই দিকে বন, মাঝে ঝিকিমিকি পথ
উত্তর: দুই দিকে বন, মাঝে আলোছায়া পথ।
২.২ এঁকে বেঁকে চলে প্রকৃতির তালে তালে।
উত্তর: এঁকে বেঁকে চলে প্রকৃতির ছন্দে।
২.৩ তাঁবুর ছায়ায় নদীর সোনালি সেতারে।
উত্তর:তাঁবুর ছায়ায় নদীর কুলুকুলু ধ্বনিতে।
২.৪ হঠাৎ পুলকে বনময়ূরের কথক।
উত্তর: হঠাৎ পুলকে বনময়ূরের ভারতনাট্যম্।
২.৫ বন্যপ্রাণের কথাকলি বেগ জাগিয়ে।
উত্তর:বন্যপ্রাণের নৃত্যের বেগ জাগিয়ে।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও :
৩.১ পথ কীসের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলে?
উত্তর: রবীন্দ্র পরবর্তী কবি বিষ্ণু দে প্রণীত 'পরবাসী' নামাঙ্কিত কবিতায় পথ বনের মধ্যে এঁকেবেঁকে 'প্রকৃতির তালে-তালে' মিলিয়ে চলে।
৩.২ চিতার চলে যাওয়ার ছন্দটি কেমন?
উত্তর: রবীন্দ্র পরবর্তী অত্যন্ত খ্যাতিমান কবি বিষ্ণু দে প্রণীত 'পরবাসী' নামাঙ্কিত কবিতায় বন্য-হিংস্র চিতার চলে যাওয়ার ছন্দে তার লুব্ধতা ও ভয়ংকর হিংস্রতা ধরা পড়ে।
৩.৩ ময়ূর কীভাবে মারা গেছে?
উত্তর: রবীন্দ্র পরবর্তী অত্যন্ত খ্যাতিমান কবি বিষ্ণু দে প্রণীত 'পরবাসী' নামাঙ্কিত কবিতায় ময়ূরের মৃত্যুর নেপথ্য কারণ অন্বেষণে মানুষের অপরিমেয় লোভ-লালসা এবং অর্থ আদায়ের সংকল্পকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
৩.৪ প্রান্তরে কার হাহাকার শোনা যাচ্ছে?
উত্তর: রবীন্দ্র পরবর্তী অত্যন্ত খ্যাতিমান কবি বিষ্ণু দে প্রণীত 'পরবাসী' নামাঙ্কিত কবিতায় ধূসর, ঊষর, নির্জন প্রান্তরে 'শুকনো হাওয়ার হাহাকার' শোনা যায়।
৩.৫ পলাশের ঝোপে কবি কী দেখেছেন?
উত্তর: রবীন্দ্র পরবর্তী অত্যন্ত খ্যাতিমান কবি বিষ্ণু দে প্রণীত 'পরবাসী' নামাঙ্কিত কবিতায় কবি নিটোল টিলার পাশে লাল পলাশের ঝোপে বন্য ময়ূরকে অপূর্ব ছন্দে নৃত্য করতে দেখেছেন।
৪. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর কয়েকটি বাক্যে লেখো:
৪.১ জঙ্গলের কোন্ কোন্ প্রাণীর কথা কবি এই কবিতায় বলেছেন?
উত্তর: বিশ শতকের অন্যতম সংবেদনশীল কবি বিষ্ণু দে প্রণীত 'পরবাসী' নামাঙ্কিত কবিতায় কচি খরগোশ, বন ময়ূর, হরিণ ও হিংস্র চিতার কথা উল্লিখিত হয়েছে। এই প্রাণীরা একসময় আরণ্যক প্রান্তরে স্বাধীনভাবে বিচরণ করত।
৪.২ সেতারের বিশেষণ হিসেবে কবি 'সোনালি' শব্দের ব্যবহার করেছেন কেন?
উত্তর: বিশ শতকের অন্যতম সংবেদনশীল কবি বিষ্ণু দে প্রণীত 'পরবাসী' নামাঙ্কিত কবিতায় কবি নদীর প্রবাহিত কুলকুল ধ্বনির সঙ্গে সেতারের মূর্ছনার তুলনা করেছেন। সূর্যের নরম আলোয় নদীর বহমান জল সোনালি আভায় ভরে উঠেছে। ময়ূর আনন্দে কথকের মতো নৃত্য করে চলেছে। ময়ূরের সেই নৃত্যের সঙ্গে নদীর প্রবাহিত ধ্বনি মিলেমিশে অপূর্ব যে সৌন্দর্য সৃষ্টি হয়েছে তাকে চিহ্নিত করতে কবি বিষ্ণু দে 'সোনালি' শব্দটিকে সঠিক প্রয়োগ করেছেন।
৪.৩ 'কথক' ও 'কথাকলি'-র কথা কবিতার মধ্যে কোন্ প্রসঙ্গে এসেছে?
উত্তর: বিশ শতকের অন্যতম সংবেদনশীল কবি বিষু দে প্রণীত 'পরবাসী' নামাঙ্কিত কবিতায় 'কথক' ও 'কথাকলি'-এই দুটি ধ্রুপদী নৃত্যকলার উল্লেখ রয়েছে। কথক হল উত্তর ভারতের প্রসিদ্ধ ধ্রুপদী নৃত্যকলা। অষ্টাদশ শতকে এই নৃত্যশৈলীর উদ্ভব হয়। হঠাৎ পুলকিত বনময়ূরীর নৃত্য চাপল্যের পরিচয় প্রসঙ্গে কবি বিষ্ণু দে 'কথক'-এর প্রসঙ্গ এনেছেন।
'কথাকলি' হল দক্ষিণ ভারতের কেরলের নৃত্যশৈলী। পুরাণের আখ্যানকে মনে রেখে এই নৃত্যের বিষয় নির্বাচন করা হয়। লুব্ধক চিতাবাঘের গমনের সঙ্গে তুলনা করতে 'কথাকলি'-এর প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন কবি।
৪.৪ 'সিন্ধুমুণির হরিণ-আহ্বান' কবি কীভাবে শুনেছেন?
উত্তর: বিশ শতকের অন্যতম সংবেদনশীল কবি বিষ্ণু দে প্রণীত 'পরবাসী' নামাঙ্কিত কবিতায় রামায়ণের মিথলজিকে তুলে ধরা হয়েছে। রাজা দশরথ হরিণ ভেবে অন্ধমুনির পুত্র সিন্ধুকে শরাঘাত করেছিলেন। এর ফলে সিন্ধুমুনির মৃত্যু হয় এবং দশরথও অধমুনির অভিশাপে পরবর্তীকালে তাঁর প্রিয় পুত্র শ্রীরামচন্দ্রকে হারিয়ে অকালে প্রাণত্যাগ করেন।
সিন্ধুমুনি না জেনেই মৃত্যুকে আহ্বান করেছিলেন। কবি বিষ্ণু দে-র মনে হয়েছে সিন্ধুমুনির মতো জলপানের শব্দে হিংস্র চিতাবাঘকে আহ্বান করেছে সরল, নিষ্পাপ হরিণ। এর ফলে অজান্তেই সে নিজের মৃত্যুকে ডেকে এনেছে।
৪.৫ 'ময়ূর মরেছে পণ্যে' এই কথার অন্তর্নিহিত অর্থ কী?
উত্তর: বিশ শতকের অন্যতম সংবেদনশীল কবি বিষ্ণু দে প্রণীত 'পরবাসী' নামাঙ্কিত কবিতায় কবি মানুষের অফুরান লোভ-লালসা-জিঘাংসার পরিচয় দিয়েছেন। ময়ূরের সৌন্দর্য অপূর্ব। তাকে দেখলে মায়া হয়, ভালো লাগার এক অনুভূতি মনের মধ্যে জন্ম নেয়। অথচ সেই সৌন্দর্যের প্রতীক ময়ূরকে মানুষ অবলীলায় হত্যা করে, পণ্যের মতো বিক্রি করা হচ্ছে। এখানে ময়ূরকে ব্যবসায়িক পণ্যে পরিণত করায় ব্যথিত কবি এই মন্তব্য করেছেন।
৫. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো:
৫.১ বিরামচিহ্ন ব্যবহারের দিক থেকে কবিতাটির শেষ স্তবকের বিশিষ্টতা কোথায়? এর থেকে কবি-মানসিকতার কী পরিচয় পাওয়া যায়?
উত্তর: উত্তরের প্রথমাংশ: ইতিহাস ও সময়-সচেতন কবি বিষ্ণু দে প্রণীত 'শ্রেষ্ঠ কবিতা' কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত 'পরবাসী' নামাঙ্কিত কবিতায় পাঁচটি স্তবকে কুড়িটি পঙক্তি রয়েছে। কবিতার শেষ স্তবকে কবি প্রত্যেকটি বাক্যের শেষে একটি করে জিজ্ঞাসা চিহ্ন রেখেছেন। ফলে চারটি প্রশ্নবোধক বাক্য তৈরি করে কবি পাঠকের সামনে সমস্যাগুলি তুলে ধরেছেন। অর্থাৎ পাঠককে তিনি ভাবাতে চেয়েছেন-কেন এদেশে পশু-পাখি-ময়ূর- খরগোশের মতো প্রাণীরা বেঁচে থাকার স্বস্তিটুকু পায় না? কেন জঙ্গল পরিষ্কার করে রাতারাতি নগরায়ণের প্রক্রিয়া শুরু হয়? কেন নিজ দেশে মানুষ পরবাসী থেকে যায়? এই স্পর্শকাতর প্রশ্নগুলি পাঠকের মনের মধ্যে জাগিয়ে রাখতে কবিতার শেষ স্তবকে বিরাম চিহ্ন ব্যবহার করেছেন।
উত্তরের দ্বিতীয়াংশ: কবি বিষ্ণু দে চেয়েছেন প্রকৃতিকে যেন লুঠেরার ভান্ডার হিসাবে আমরা না দেখি। বন্য পথ, কচি কচি খরগোশের খেলা, ময়ূরের আপন মনে নৃত্য করা, নদীর কলকল ধ্বনিতে প্রবাহিত হওয়া, হরিণের জল পান করা, লুব্ধ হিংস্র ছন্দে চিতার এগিয়ে চলা-এইসব প্রকৃতির বাস্তুতন্ত্র বা ইকো সিস্টেমকে বাঁচিয়ে রাখে। কিন্তু নিসর্গ প্রকৃতির বুকে একসময় নেমে আসে শূন্যতা ও হাহাকার। জঙ্গল সাফ হয়ে যায়। গ্রাম মরে যায়। ময়ূরের মতো প্রাণীরা পণ্যে পরিণত হয়। মানুষ কোনো প্রতিবাদ করে না। এরই প্রতিবাদে কবি লেখেন 'পরবাসী' কবিতাটি। প্রশ্ন রাখেন মানুষ আর কতদিন নিজ বাসভূমিতে পরবাসী হয়ে থাকবে।
৫.২ কবি নিজেকে পরবাসী বলেছেন কেন?
উত্তর: ইতিহাস ও সময়-সচেতন কবি বিষ্ণু দে প্রণীত 'শ্রেষ্ঠ কবিতা' কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত 'পরবাসী' নামাঙ্কিত কবিতায় কবি দেখেছেন আরণ্যক প্রকৃতি দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে। একসময় আরণ্যক প্রাণীরা স্বাধীন, স্বচ্ছন্দে জীবনযাপন করতে পারত। তখন বনের আলো-অন্ধকারের পথ ঝিকিমিকি করত। রাতের বেলা জ্বলে উঠত বন্যপ্রাণীর চোখ। ছোট্ট খরগোশের দল আপনমনে খেলে বেড়াত। কথকের ছন্দে বনময়ূর নৃত্য করে যেত। কবি লিখেছেন-
নিটোল টিলার পলাশের ঝোপে দেখেছি
হঠাৎ পুলকে বনময়ূরের কথক ময়ূরের নৃত্যের ছন্দে মিশে যেত নদীর চলমানতার ধ্বনি। হরিণ আসত জল খেতে। আপন মনে হেটে বেড়াত লুব্ধ হিংস্র চিতা। নাগরিক সভ্যতার যত অগ্রসর ঘটেছে ততই সবুজায়ন নষ্ট হয়েছে। বিপরীতে মরুভূমির মতো শূন্যতা, রুক্ষতা আবৃত করে রেখেছে। ফলে মানুষ এখন আর তাঁর বাসভূমিকে চিনতে পারে না। কেননা, কোথাও জঙ্গল নেই, সবুজ প্রাণের স্পন্দন নেই। গ্রাম মরে গিয়েছে। ফলে কবির চেনা স্বদেশ একেবারেই অপরিচিত হয়ে গিয়েছে।
কবিতার প্রথম স্তবকে দুটি বনের মাঝখান দিয়ে আরণ্যক পথের সৌন্দর্য, রাতের আলোয় জ্বলতে থাকা বন্যপ্রাণীর চোখ, ছোট্ট খরগোশের আপন মনে লাফিয়ে চলার কথা বলেছেন।
দ্বিতীয় স্তবকে এসে নিটোল টিলার পলাশের ঝোপে বনময়ূরের অপূর্ব নৃত্য দেখেছেন। দেখেছেন নদীর আপনমনে কলকল শব্দে বয়ে চলা।
তৃতীয় স্তবকে নদীর কিনারায় দাঁড়িয়ে চুপিচুপি জলপান করতে দেখেছেন হরিণকে। দূরে আপন ছন্দে চলে যায় লুব্ধ হিংস্র চিতা।
চতুর্থ স্তবকে এসে প্রকৃতির ধ্বংস হওয়ার ট্রাজেডিকে পাঠকের সামনে তুলে ধরেন। তিনি দেখেন সেই বন নেই; সেই বসতিও নেই। চারিদিকে শুধু ধূ ধূ প্রান্তর এবং শুকনো হাওয়ার হাহাকার। কবি লিখেছেন-
জঙ্গল সাফ, গ্রাম মরে গেছে, শহরের
পত্তন নেই, ময়ূর মরেছে পণ্যে
পঞ্চম স্তবকে এসে চারটি পত্তিতে পরপর প্রশ্ন চিহ্ন বসিয়ে কবি প্রথমেই জানতে চান 'কেন এই দেশে মানুষ মৌন অসহায়?'
কবির মনে হয়েছে আমরা নিজবাসভূমে পরবাসী হয়ে গিয়েছি।
কবিতার প্রথম তিনটি স্তবকে কবির ভাবনা মূলত প্রকৃতির নিবিড় আলিঙ্গনে আবদ্ধ থাকার আনন্দ থেকে অপূর্ব ভাষারূপ পেয়েছে। সেখানে বনের মধ্যে দিয়ে চলা পথ, রাতের অন্ধকারে বন্যপ্রাণীর 'জ্বলে চোখ', লাফিয়ে খেলতে থাকে 'কচি-কচি খরগোশ'। পলাশের ঝোপের পাশে কবি দেখেন পুলকে নৃত্য করে চলেছে বনময়ূর। নদী চলেছে আপন ছন্দে। নদীর কিনারায় এসে দাঁড়ায় তৃয়ার্ত হরিণ। দূর থেকে দেখা যায় 'লুব্ধ হিংস্র ছন্দে' চলে যায় চিতা।
এই পর্যন্ত কবি প্রকৃতির অপূর্ব ছবি এঁকেছেন। কিন্তু চতুর্থ স্তবকে এসে কবি জানান, প্রকৃতি ধ্বংস হয়ে চলেছে। কবি দেখেন-
কোথায় সে বন, বসতিও কৈ বসেন,
শুধু প্রান্তর শুকনো হাওয়ার হাহাকার।
অর্থাৎ কবির চোখে ধরা পড়ে জঙ্গল সাফ হওয়ার দৃশ্য। কবি দেখেন 'গ্রাম মরে গেছে'। চারিদিকে শূন্যতা। ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে 'নদী গাছ পাহাড়'। কবির মনে হয় নিজবাসভূমিতে আমরা পরবাসী।
সভ্যতার ক্রমবিকাশের সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতি হারিয়েছে তার সৌন্দর্য, তার স্বাধীনতা। অথচ একসময় চারিদিকে বিস্তীর্ণ ছিল তপোবনের মতো আরণ্যক জীবন-সংস্কৃতি। তখন প্রকৃতির বুকে অসংখ্য গাছপালা, বন্যপ্রাণী, পাখ-পাখালি ছিল। আনন্দে খেলে বেড়াত খরগোশ। নৃত্য করত পুলকিত বনময়ূর। নদীর জল কলকল শব্দে এগিয়ে চলত। নদীর ধারে দেখা যেত তৃষ্ণার্ত হরিণের জল খাওয়া। দূরে 'লুব্ধ হিংস্র ছন্দে' যেতে দেখা যেত চিতাকে। কিন্তু প্রকৃতির সেই আনন্দময় দিনগুলি এখন হাহাকারে পরিণত হয়েছে। নির্বিচারে বৃক্ষছেদন, ময়ূরের মতো নিরীহ প্রাণীদের পণ্যে পরিণত করা ইত্যাদি প্রক্রিয়াগুলি অব্যাহত রয়েছে। মানুষ যেন 'নিজবাসভূমে পরবাসী'। এই বিষয়কে মাথায় রেখে কবিতার নাম 'পরবাসী' যুক্তিসংগত বলেই মনে হয়।
উত্তরের দ্বিতীয়াংশ: কবিতাটির বিকল্প নাম যদি দিতেই হয়, তবে আমি নাম রাখব 'সভ্যতার সংকট'। কবি যে সময়কে হারিয়ে ফেলেছেন সেই সময়ের আরণ্যক জীবন ও সংস্কৃতি তপোবনের মতো সুন্দর ও প্রাণময় ছিল। কিন্তু নগর সভ্যতা যত এগিয়েছে ততই অরণ্য মরুপ্রান্তর হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছে। ফলে আমরা এমন এক সভ্যতার সংকটে দাঁড়িয়ে আছি যেখান থেকে আমাদের মুক্তির পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাই আমি এই কবিতার বিকল্প নাম হিসাবে 'সভ্যতার সংকট'কেই গ্রহণ করব।
👉Download Books PDF
👉Paid Answer (For Membership User)