Chapter 12 

 একটি চড়ুই পাখি
------------------------------


১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :

১.১ তারাপদ রায় কত খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?

উত্তর : তারাপদ রায় ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।

১.২ তাঁর রচিত দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম লেখো।

উত্তর : তারাপদ রায় রচিত দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম হলো- ১. 'তোমার প্রতিমা'। ২. 'জলের মতো কবিতা'।

২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর লেখো।

২.১ কবিতার চড়ুই পাখিটিকে কোথায় বাসা বাঁধতে দেখা যায়?

উত্তর : তারাপদ রায়ের 'একটি চড়ুই পাখি' কবিতায় চড়ুই পাখিটিকে চারিদিকে ঘুরে ফিরে অবশেষে কবির ঘরেই বাসা বাঁধতে দেখা যায়।

২.২ চড়ুই পাখি এখান-সেখান থেকে কী সংগ্রহ করে আনে?

উত্তর: তারাপদ রায়ের 'একটি চড়ুই পাখি' কবিতায় চড়ুই পাখিটি এ বাড়ির খড় কুটো ও-বাড়ির ধান সংগ্রহ করে আনে।

২.৩ কবির ঘরে কোন্ কোন্ জিনিস চড়ুই পাখিটির চোখে পড়ে?

উত্তর: বিশিষ্ট কবি ও শিশুসাহিত্যিক তারাপদ রায়ের 'একটি চড়ুই পাখি' কবিতায় চড়ুই পাখিটি কৌতূহলী চোখে কবির ঘর, ঘরের দরজা, ' জানলা, টেবিলের উপর ফুলদানি, বইখাতা- এ সবই দেখে।

২.৪ ইচ্ছে হলেই চড়ুই-পাখি কোথায় চলে যেতে পারে?

উত্তর: বিশ শতকের পাঁচের দশকের কবি তারাপদ রায় রচিত 'একটি চড়ুই পাখি' কবিতায় চড়ুই পাখিটি ইচ্ছা হলেই এপাড়া, ওপাড়া অতিক্রম করে কখনও পালেদের বাড়ি, কখনও বা বোসেদের বাড়ি চলে যেতে পারে।

৩. নীচের প্রশ্নগুলির কয়েকটি বাক্যে উত্তর লেখো।

৩.১ চতুর চড়ুই এক ঘুরে ফিরে আমার ঘরেই বাসা বাঁধে।'-চড়ুই পাখিকে এখানে 'চতুর' বলা হল কেন?

উত্তর: রবীন্দ্র পরবর্তী বাংলা কাব্য-কবিতার বিশিষ্ট কবি তারাপদ রায়ের 'একটি চড়ুই পাখি' কবিতায় দেখা যায়, কবি সংসারহীন একাকী জীবনযাপন করেছেন। তাই পড়ার অন্যান্য ঘরের তুলনায় পরিবার-পরিজনহীন কবির বাড়ি চড়ুই পাখির পক্ষে অপেক্ষাকৃত নিরুপদ্রব, নিরাপদ। চড়ুই পাখিটি বাসস্থান নির্মাণের জন্য সঠিক স্থানটিই নির্বাচন করতে সক্ষম হয়েছে; তাই কবি পাখিটিকে 'চতুর' বিশেষণ দ্বারা বিশেষিত করেছেন।

৩.২ কবিতায় বিধৃত চিত্রকল্পগুলি দৃষ্টান্তসহ আলোচনা করো।

উত্তর: কবি তারাপদ রায় 'একটি চড়ুই পাখি' কবিতায় কতকগুলি ছোটো ছোটো চিত্রকল্প বা ইমেজ রচনা করে চড়ুই পাখিটিকে পাঠকের কাছে জীবন্ত করে তুলেছেন। আর এর ফলে কবিতাটিতে এসেছে সাবলীলতা। কবিতার প্রথম দিকেই কবি চড়ুই পাখিটির আগমনবার্তা দিয়েছেন নিসর্গ প্রকৃতিচেনাকে মিশিয়ে- 'অন্ধকার ঠোঁটে নিয়ে সন্ধ্যা ফেরে যেই সেও ফেরে'- জাগতিক নিয়মের উপর এখানে প্রাণের আরোপ করা হয়েছে। কেননা, অন্ধকার ঠোঁটে নিয়ে ফেরা সম্ভব নয়। কিন্তু পাখিটি সেই অন্ধকারকে সঙ্গে নিয়ে ঘরে ফেরে। সে 'কৌতূহলী দুই চোখ মেলে অবাক দৃষ্টিতে দেখে। 'কার্নিশে বসে চাহনিতে তাচ্ছিল্য মজার' ভাব পাখিটির চঞ্চল চাহনিতে ধরা পড়ে। বর্ণনার গুণে পাখিটির সঙ্গে পাঠকও যেন কৌতূহলী চোখে অবাক দৃষ্টি নিক্ষেপ করে ঘরের আসবাব পত্রগুলির উপর। পাখির মজার ভাবনায় পাঠকও রসদ খুঁজে পায়। 'রাত্রির নির্জন ঘরে আমি আর চড়ুই একাকী' পংক্তিটি কবি ও পাখিটির পরিবার-পরিজনহীন একাকিত্বের বেদনাকে পাঠকহৃদয়ে সঞ্চারিত করে। অন্তরের হাহাকার পাঠক মনে বেদনার ঢেউ তোলে। চিত্রকল্পগুলি সামান্য একটি চড়ুই পাখিকে অসামান্যে পরিণত করেছে; এখানেই কবির কৃতিত্ব।

৩.৩ 'হয়তো ভাবে...'-চড়ুই পাখি কী ভাবে বলে কবি মনে করেন?

উত্তর: কবি তারাপদ রায়ের 'একটি চড়ুই পাখি' কবিতায় কবি চড়ুই পাখিটির কৌতূহল ভরা অবাক দৃষ্টি দেখে মনে করেন-পাখিটি ভাবছে লোকটি অর্থাৎ পরিবার-পরিজনহীন কবি চলে গেলে বিধাতার আশীর্বাদে এই ঘর, জানলা, দরজা, টেবিলের ফুলদানি, বইখাতা সবকিছুরই অধিকারী সে-ই হবে।

৩.৪ 'আবার কার্নিশে বসে চাহনিতে তাচ্ছিল্য মজার...'

-তাচ্ছিল্যভরা মজার চাহনিতে তাকিয়ে চড়ুই কী ভাবে?

উত্তর: তারাপদ রায়ের 'একটি চড়ুই পাখি' কবিতায় চড়ুই পাখিটির তাচ্ছিল্য ভরা মজার চাহনিতে তাকিয়ে ভাবে-তার নিতান্ত মায়ার শরীর বলেই সে পরিবার পরিজনহীন একাকী ছন্নছাড়া এই কবির বাজে ঘরে বাসা বেঁধেছে। ইচ্ছা হলেই এপাড়ায় অথবা ওপাড়ায় পালেদের কিংবা বোসেদের বাড়িতে চলে যেতে পারে। পাখিটির মনের বার্তা জানিয়ে কবি লিখেছেন-

ইচ্ছে হলে আজই যেতে পারি 


এপাড়ায়-ওপাড়ায় পালেদের বোসেদের বাড়ি।


এইভাব থেকে সে কার্নিশে বসে তাচ্ছিল্য-মজার চাহনিতে কবিকে নিরীক্ষণ করে।



৩.৫ 'চড়ুই পাখিকে কেন্দ্র করে কবির ভাবনা কীভাবে আবর্তিত হয়েছে, তা কবিতা অনুসরণে আলোচনা করো।

উত্তর: কবি তারাপদ রায়ের 'একটি চড়ুই পাখি' কবিতায় কবি তাঁর সহবাসী চড়ুই পাখিটির কৌতূহল ভরা অবাক দৃষ্টি দেখে মনে করেছেন-চড়ুই পাখিটি হয়তো ভাবছে কবি চলে গেলে এর ঘর, জানলা, দরজা, ফুলদানি, বই-খাতার মালিক সে-ই হবে।

আবার কখনো কবি চড়ুইটির দৃষ্টিতে তাচ্ছিল্য ভরা মজার ভাবনার খোরাক পেয়েছেন। চড়ুইটি যেন ভাবছে- পরিবার-পরিজনহীন এই মানুষটির শ্রীহীন বাজে ঘরে বাসা বেঁধে সে কবির প্রতি করুণাই করেছে। মায়া কাটিয়ে যেকোনো দিনই সে এপাড়ায় কিংবা ওপাড়ায় পালেদের বা বোসেদের বাড়ি চলে যেতে পারে।


রাতের নির্জন অন্ধকার কবির চেতনায় পরিবর্তন এনেছে। অসহনীয় একাকিত্বের জ্বালা কবি চড়ুই পাখিটির সান্নিধ্যেই ভুলবার চেষ্টা করেছেন। উভয়ের একাকী জীবন যেন পরস্পরকে কিছুটা স্বস্তির রসদ জুগিয়েছে।



৩.৬ 'তবুও যায় না চলে এতটুকু দয়া করে পাখি'- পঙ্ক্তিটিতে কবিমানসিকতার কীরূপ প্রতিফলন লক্ষ করা যায়?

উত্তর: 'একটি চড়ুই পাখি' কবিতায় কবি তারাপদ রায় যে চড়ুই পাখিটির কথা লিখেছেন, সেটির কথা প্রসঙ্গে মনে পড়ে যায় জন কিটস্-এর নাইটিঙ্গেল পাখিটির কথা। কবি এই পাখিটিকে বলেছেন 'চতুর চড়ুই'। পরিবার-স্বজনহীন অন্ধকার ঘরে কবির একাকী বাস। চড়ুইটিও থাকে তাঁর সঙ্গে, যেন কবির একাকিত্বের সঙ্গী হয়ে। সারাক্ষণ ঘরের মধ্যে সে 'কিচিমিচি গান' জুড়ে দেয়। কবির মনে হয়েছে, পখিটি সবসময় 'কৌতূহলী দুই চোখ মেলে' কবির দিকে 'অবাক দৃষ্টিতে দেখে'। হয়তো চড়ুইটি মনে মনে ভাবে একদিন এই ঘর তারই হবে- 'আমাকেই দেবেন বিধাতা'।

কবি তারাপদ রায় কৌতুকের সঙ্গে বলেছেন-


ক। এই পাখিটি যেন নিতান্তই দয়া করে কবির জীর্ণ-ভগ্ন গৃহে পড়ে রয়েছে।


খ। ইচ্ছে করলেই সে পাল কিংবা বোসদের বাড়িতে স্থায়ী বাসা খুঁজে নিতে পারে।


গ। কবির নিঃসঙ্গ জীবনে সে যেন সঙ্গদানকারী স্বজন।


আসলে কবির নির্জন জীবনে চড়ুই পাখিটি যেন তাঁর একমাত্র সঙ্গী। সুতরাং কবির মনে হয়েছে, পাখিটি মনে মনে হয়তো ভাবে একপ্রকার দয়া করে এখানে সে পড়ে আছে। এখানে 'তবুও' শব্দটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।



৩.৭ ছোট্ট চড়ুই পাখির জীবনবৃত্ত কীভাবে কবিতার ক্ষুদ্র পরিসরে আঁকা হয়েছে তার পরিচয় দাও।

উত্তর: কবি জীবনানন্দ দাশের 'হায় চিল' কিংবা তারও আগে কবি জন কিটস্-এঁর ছোট্ট নাইটিঙ্গেল পাখিটির কথা আমরা জেনেছি। কবি তারাপদ রায় 'একটি চড়ুই পাখি' কবিতায় পাখিটির একটি জীবনবৃত্ত বর্ণনা করেছেন।

কবিতার ক্ষুদ্র পরিসরে এই চড়ুই পাখি যেভাবে অবস্থান করেছে, তাতে মনে হয় কবির একাকিত্বের জীবনে সে যেন মরূদ্যানের একটুকরো শান্তির মতো আনন্দদায়ক। এই পাখিটি চারিদিক ঘুরে ফিরে কবির ঘরেই বাসা বেঁধেছে। সন্ধ্যার অন্ধকার নামার সঙ্গে সঙ্গে সে কবির এই গৃহেই ফিরে আসে। কবি লিখেছেন-


এ বাড়ির খড় কুটো, ও বাড়ির ধান


ছড়ায় শব্দের টুকরো, ঘর জুড়ে কিচিমিচি গান। পাখিটি 'কৌতূহলী দুই চোখ মেলে' তাকিয়ে থাকে 'অবাক দৃষ্টিতে'। কবির মনে হয়েছে এই ঘর থেকে তিনি চলে গেলে পুরোপুরি জায়গাটা পাখির হয়ে যাবে। কখনও পাখিটির চাহনিতে ধরা পড়ে 'তাচ্ছিল্য মজার' ভাব। কবি লিখেছেন-


ভাবটা যেন- এই বাজে ঘরে আছি নিতান্ত মায়ার শরীর আমার তাই।


কবির মনে হয়েছে, পাখিটি যে তাঁকে পরিত্যাগ করেনি এর কারণ, সে যেন কবিকে দয়া করেছে। এভাবেই কবিতার ক্ষুদ্র পরিসরে ছোট্ট চড়ুই পাখির দৈনন্দিন জীবনবৃত্তের ছবি কবি তারাপদ রায় ফুটিয়ে তুলেছেন 'একটি চড়ুই পাখি' নামাঙ্কিত এই কবিতায়।



৩.৮ 'কৌতূহলী দুই চোখ মেলে অবাক দৃষ্টিতে দেখে'-চড়ুইপাখির চোখ 'কৌতূহলী' কেন? তার চোখে কবির সংসারের কোন্ চালচিত্র ধরা পড়ে?

উত্তর: উত্তরের প্রথমাংশ: সুখ্যাত কবি ও গল্পকার তারাপদ রায় প্রণীত 'একটি চড়ুই পাখি' নামাঙ্কিত কবিতায় দেখা যায় কবির শান্ত, নিরাপদ ঘরের দখল নেয় একটি চতুর চড়ুই পাখি। সন্ধ্যা যখন কালো রঙের ওড়না গায়ে দিয়ে নেমে আসে তখন চড়ুই বিভিন্ন জায়গা থেকে খড়কুটো সংগ্রহ করে তার সুখের বাসায় ফিরে আসে। কখনও আনন্দে-আহ্লাদে সে কিচিমিচি শব্দে গান ধরে। কবির ঘরের বই-খাতা, ফুলদানি সব কিছুতেই অধিকার আরোপ করে।

পাখিটির কৌতূহলের কারণ, তার মনে হয় এই অনাবশ্যক মানুষটা কেন একাকী এই নির্জন ঘরে বসে থাকে। অর্থাৎ জনমানবশূন্য ঘরটিকে নিজের আশ্রয়স্থল ভেবে নিয়ে কবির কাছাকাছি এসে কৌতূহলী চোখে ভাবে, 'এসব আমার-ই হবে।'


পাখির দৃষ্টি স্বাভাবিক। আসলে কবির কল্পনায় তা হয়ে উঠেছে কৌতূহলী। এক কারণ পাখিটি কবির কল্পনায় প্রাণবন্ত সত্তা লাভ করেছে।


উত্তরের দ্বিতীয়াংশ: কবি তারাপদ রায় তাঁর কবি কল্পনায় দেখেছেন, 'চতুর চড়ুই' পাখিটি কৌতূহলী দুটি চোখে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে কবির ঘরের সমস্ত জিনিসপত্রের দিকে। তার চোখে ধরা পড়ে কবির সংসারের নানা চালচিত্র। যেমন-


(ক) কবির ঘর, ঘরের জানালা-দরজা। (খ) কবির টেবিলে থাকা বইপত্র। (গ) কবির টেবিলে শোভিত হওয়া ফুলদানি। এই সব জিনিস সে স্থির প্রত্যয়ে দেখে এবং সেই সঙ্গে সমস্ত কিছুর মালিকানা লাভের স্বপ্ন দেখে- 'আমাকেই দেবেন বিধাতা'। 



৩.৯ 'রাত্রির নির্জন ঘরে আমি আর চড়ুই একাকী।'- পঙ্ক্তিটিতে 'একাকী' শব্দটি প্রয়োগের সার্থকতা বুঝিয়ে দাও।

উত্তর: তারাপদ রায়ের 'একটি চড়ুই পাখি' কবিতায় দেখি, কবি প্রথমেই বলে নিয়েছেন- এই পাখিটি হলো 'চতুর'। রাত্রির নির্জন ঘরে কবি যখন একাকী জীবন-যাপন করেন, তখন সেই নিঃসঙ্গতা কাটানোর জন্যেই পাখিটি যেন কবিকে অকৃপণ সঙ্গ দান করে। অর্থাৎ এই পাখিটি সেদিক থেকে কবির নিঃসঙ্গ জীবনে বন্ধুর মতো। আবার কবির ঘরটি চড়ুই পাখির কাছে নিশ্চিন্ত আশ্রয়ের মতো। 'একাকী' শব্দটি এখানে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কেননা-

(ক) কবির জীবন একাকিত্বে ভরা। (খ) পাখিটিও একাকী। (গ) রাতের নির্জনতায় তারা দুজনেই একাকিত্বের জীবন-যাপন করে। (ঘ) পাখিটি ইচ্ছা করলেও অন্যত্র যেতে পারে না। (ঙ) কবিও তাকে তাড়িয়ে দিতে পারেন না।


আসলে উভয়ের জীবন যেন একাকিত্বের নিঃসঙ্গ যাপনে কোথায় মিল আছে। 'একাকী' শব্দটি প্রয়োগের মাধ্যমে কবি পাঠক হৃদয়ে গভীর মর্মবেদনা ও নিঃসঙ্গতাকে সঞ্চারিত করে দিয়েছেন।



৩.১০ 'একটি চড়ুই পাখি' ছাড়া কবিতাটির অন্য কোনো নামকরণ করো। কেন তুমি এমন নাম দিতে চাও, তা বুঝিয়ে লেখো। 

উত্তর: নামকরণ বিষয়টি কোনো সৃষ্টিকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করে। নামকরণের মধ্যে প্রকাশ পায় কতকগুলি বিষয়। যেমন- (ক) কবির মনোভাব। (খ) কবির বিশেষ কোনো উপলব্ধি। (গ) কবির জীবন দর্শন। (ঘ) বিষয়ের সঙ্গে নামকরণের গভীর নিহিত সম্পর্ক।

'একটি চড়ুই পাখি' কবিতাটির নামকরণ করা যেতে পারে 'নিঃসঙ্গের সঙ্গী'।


এমন নামকরণের কারণ কবির পরিবার-পরিজন-স্বজনহীন জীবনে একমাত্র সঙ্গী হয়ে উঠেছে চড়ুই পাখিটি। এই পাখি কবির মনের সমস্ত ভাবনার কেন্দ্রীয় বিষয় হয়েছে। পাখিটির চঞ্চলতা, খাদ্য সংগ্রহ, অর্থহীন কিচিরমিচির গান, কৌতূহলী দৃষ্টি ইত্যাদি বিষয়গুলি কবির মনে বিশেষভাবে জাগয়া করে নিয়েছে। রাতের নির্জনতায় পাখিটি হয়ে উঠেছে কবির একাকী জীবন পথের দোসর। তাই কবিতাটির নামকরণ করা যেতে পারে 'নিঃসঙ্গের সঙ্গী'।



৪. নীচের শব্দগুলির প্রকৃতি-প্রত্যয় নির্ণয় করো!

সন্ধ্যা = সম্ + √ধ্যে + অ + আ

কৌতূহলী = কৌতূহল + ঙ্গিন

দৃষ্টি = দৃশ্ + তি


৫. নীচের বাক্যগুলির ক্রিয়ার কাল নির্ণয় করো:


৫.১ চতুর চড়ুই ঘুরে ফিরে আমার ঘরেই বাসা বাঁধে।

উত্তর: সামান্য বা নিত্য বর্তমান। 

৫.২ বই-খাতা এসব আমার-ই হবে।

উত্তর: সামান্য বা নিত্য ভবিষ্যৎ।

৫.৩ আবার কার্নিশে বসে।

উত্তর : সামান্য বা নিত্য বর্তমান।

৫.৪ এই বাজে ঘরে আছি।

উত্তর: সামান্য বা নিত্য বর্তমান।

৫.৫ ইচ্ছে হলে আজই যেতে পারি।

উত্তর: সামান্য বা নিত্য বর্তমান।

৬. নির্দেশ অনুসারে উত্তর দাও :

৬.১ অন্ধকার ঠোঁটে নিয়ে সন্ধ্যা ফেরে যেই সে'ও ফেরে। (সরল বাক্যে)

উত্তর : অন্ধকার ঠোঁটে নিয়ে সন্ধ্যার সঙ্গে সেও ফেরে।

৬.২ কখনো সে কাছাকাছি কৌতূহলী দুই চোখ মেলে অবাক দৃষ্টিতে দেখে। (নিম্নরেখাঙ্কিত শব্দের বিশেষ্যের রূপ লিখে বাক্যটি আবার লেখো।)

ক। কৌতূহলী (বিশেষণ) - কৌতূহল (বিশেষ্য)

খ। বাক্য রচনা : কখনও সে কাছাকাছি কৌতূহলভরা দুই চোখ মেলে অবাক দৃষ্টিতে দেখে।

৬.৩ আমাকেই দেবেন বিধাতা।  (না-সূচক বাক্যে)

উত্তর : বিধাতা আমাকে না দিয়ে পারবেন না।

৬.৪ এই বাজে ঘরে আছি নিতান্ত মায়ার শরীর আমার তাই। (জটিল বাক্যে)

উত্তর : যেহেতু আমার নিতান্ত মায়ার শরীর তাই এই বাজে ঘরে আছি।

৬.৫ ইচ্ছে হলে আজই যেতে পারি এ পাড়ায় ও পাড়ায় পালেদের বোসেদের বাড়ি। (জটিল বাক্যে)

উত্তর : যদি ইচ্ছে হয় তবে আজই যেতে পারি এ পাড়ায় ও পাড়ায় পালেদের বোসেদের বাড়ি।



 👉Online MCQs Test
👉Download Books PDF
👉Paid Answer (For Membership User)


উত্তর পেতে সদস্যপদ প্রয়োজন



Editing By:- Lipi Medhi