Chapter
22
নাটোরের
কথা
------------------------
১।
নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
১.১।
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা দুটি বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর: অবনীন্দ্রনাথ
ঠাকুরের লেখা দুটি বইয়ের নাম হল-
১. ক্ষীরের পুতুল
২. রাজকাহিনী
উত্তর: তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাইপো ছিলেন।
উত্তর: সুবিখ্যাত চিত্রশিল্পী এবং সুলেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'ঘরোয়া' গ্রন্থ থেকে সংকলিত 'নাটোরের কথা' গদ্যাংশে লেখক প্রশ্নোক্ত বক্তব্যটি প্রকাশ করেছেন।
স্বদেশি যুগে নাটোরে আয়োজিত এক প্রাদেশিক সম্মেলনে কীভাবে লেখক ও তাঁর সঙ্গীরা সেই সম্মেলনে বাংলা ভাষা প্রচলনের জন্য তর্ক-বিতর্ক করেছিলেন সেই গল্পই স্মরণ করেছেন।
নাটোরে আয়োজিত এক প্রাদেশিক সম্মেলনের রিসেপশন কমিটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন নাটোরের মহারাজা জগদিন্দ্রনাথ। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তাঁর পরিবারের আরও অনেকে আমন্ত্রিত হন এই সম্মেলনে। যেমন অবনীন্দ্র নিজে, তাঁর দীপুদা অর্থাৎ দীপেন্দ্রনাথ ঠাকুর, মেজো জ্যাঠামশায়, ন-পিসেমশাই জানকীনাথ ঘোষাল এবং বাড়ির অন্যান্য ছেলেরা। এছাড়াও আমন্ত্রিত হয়েছিলেন অনেক প্রভাব প্রতিপত্তিশালী নেতা এবং লালমোহন ঘোষের মতো বিদগ্ধ পন্ডিত ব্যক্তিও।
নাটোরের মহারাজা জগদিন্দ্রনাথকে 'নাটোর' নামেই লেখক ডাকতেন। সেই নাটোরই লেখকদের যাওয়া-আসার সুবন্দোবস্ত করে দিয়েছিলেন। নাটোরে যাওয়ার জন্য তিনি স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করেছিলেন, জলপথে যাওয়ার জন্য স্টিমারের ব্যবস্থা করেছিলেন। যাত্রাপথে খাওয়াদাওয়ারও আয়োজন ছিল যথেষ্ট এবং লেখক ও অন্যান্য যাত্রীদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয় তা দেখাশোনার জন্যেও লোকজন নির্দিষ্ট ছিল।
যখন সম্মেলন শুরু হয়েছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রস্তাব দিয়েছিলেন যে, এই সম্মেলন বাংলা ভাষায় হবে। লেখক ও তাঁর সঙ্গীরাও রবীন্দ্রনাথকে সমর্থন করেছিলেন। কিন্তু নেতারা চেয়েছিলেন সম্মেলন হবে ইংরেজি ভাষায়। এতে লেখকদের সঙ্গে নেতাদের বিরোধের ফলে দুটো আলাদা দল তৈরি হয়েছিল। যাদের একপক্ষ বলবে বাংলায় আর অন্যপক্ষ ইংরেজিতে।
সম্মেলন শুরু হয়েছিল রবীন্দ্রনাথের গাওয়া 'সোনার বাংলা' গান দিয়ে। কিন্তু সমস্যা হলো যখনই কেউ ইংরেজিতে বক্তৃতা দিতে শুরু করেন তখনই চারিদিক থেকে 'বাংলা, বাংলা' বলে সমস্বরে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হয়েছিল। অবনীন্দ্রনাথ জানিয়েছেন, 'মুখ আর খুলতেই দিই না কাউকে'।
একপ্রকার বাধ্য হয়ে কনফারেন্সের নেতৃবৃন্দ বাংলাতেই বলা শুরু করেছিলেন। এভাবে আন্তর্জাতিক ভাষার পাশে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিল প্রাদেশিক ভাষা, মাতৃভাষা বাংলা। সেই উল্লাসের পরিচয় প্রসঙ্গে অবনীন্দ্রনাথ লিখেছেন-
সেই প্রথম আমরা পাবলিকলি বাংলা ভাষার জন্য লড়লুম। এই বিষয়টি লেখকের একদিন সকালে মনে পড়েছিল।
উত্তর: লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বর্ণনা অনুযায়ী, তখনকার নাটোরের মহারাজার নাম ছিল- জগদিন্দ্রনাথ। লেখকরা তাঁকে 'নাটোর' নামেই ডাকতেন।
উত্তর: নাটোরের মহারাজা জগদিন্দ্রনাথ নাটোরে অনুষ্ঠিত প্রাদেশিক সম্মেলনে আপ্যায়ন কমিটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
উত্তর: সুবিখ্যাত চিত্রশিল্পী এবং সুলেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'ঘরোয়া' গ্রন্থ থেকে সংকলিত 'নাটোরের কথা' গদ্যাংশে দেখা যায় নেমন্তন্নের তালিকায় থাকা যে নামগুলি লেখক স্মরণ করতে পেরেছেন তাঁরা হলেন-লেখকের বাড়ির দীপুদা অর্থাৎ দীপেন্দ্রনাথ ঠাকুর, রবিকাকা অর্থাৎ কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, লেখকের মেজো জ্যাঠামশায় সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর, ন-পিসেমশাই জানকীনাথ ঘোষাল, উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, লালমোহন ঘোষ, সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি এবং ঠাকুর বাড়ির অন্যান্য ছেলেরা।
উত্তর: উত্তরের প্রথমাংশ: সুবিখ্যাত চিত্রশিল্পী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'ঘরোয়া' গ্রন্থ থেকে সংকলিত 'নাটোরের কথা' গদ্যাংশে লেখকরা নাটোরে যাওয়ার জন্য রওনা হলেন।
উত্তরের দ্বিতীয়াংশঃ স্বদেশি যুগে এক প্রাদেশিক সম্মেলনে রবীন্দ্রনাথসহ বিশিষ্টজনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন নাটোরের মহারাজা জগদিন্দ্রনাথ। নাটোরে যাওয়ার জন্য যে স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল লেখকরা তাতে চড়ে প্রথমে গেলেন সারাঘাট। আর সেখান থেকে স্টিমার চড়ে নাটোরে পৌঁছালেন।
উত্তর: অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত 'নাটোরের কথা' গদ্যাংশে দেখা যায়, সারাঘাট থেকে লেখক ও তাঁর সঙ্গীরা পদ্মানদীতে স্টিমার চড়েছিলেন।
উত্তর: সুবিখ্যাত চিত্রশিল্পী এবং সুলেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'ঘরোয়া' গ্রন্থ থেকে সংকলিত 'নাটোরের কথা' গদ্যাংশে নাটোরগামী স্টিমারে লেখক খাওয়া-দাওয়ার যে বর্ণনা দিয়েছেন তাতে তাঁর সরস মনের পরিচয় মেলে।
লেখক জানিয়েছেন, খাওয়ার সময় ডেকের উপর টেবিল-চেয়ার সাজিয়ে খাওয়ার জায়গা প্রস্তুত করা হয়। লম্বা টেবিলের একদিকে বসেছিলেন হোমরাচোমরা নেতাদের দল এবং অন্যদিকে ছিলেন লেখকের সঙ্গীসাথিরা এবং লেখকের পাশে দীপুদা। এরপর বয়'রা খাবার পরিবেশন করতে শুরু করে নেতাদের দলটির দিক থেকে। কিন্তু নেতাদের দলের মাঝখানে থাকা একজন ব্যক্তি এত বেশি পরিমাণে খাবার নিতে থাকে যে, এতে লেখকদের দিকে পরিবেশনের আগেই প্লেটের খাবার প্রায় শেষ হয়ে যেতে থাকে। কাটলেটের প্লেট কাছে আসা মাত্রই সেই কর্তাব্যক্তি ছ-সাতখানা কাটলেট একেবারেই তুলে নেন। ফলে অন্যদের জন্য বিশেষ কিছুই অবশিষ্ট থাকে না।
আবার দীপুদার অতি প্রিয় পুডিংও সেই ব্যক্তি এত পরিমাণে তুলে নেন যে দীপুদার কাছে আসার আগেই তা ফুরিয়ে যাবে কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। সেই ভদ্রলোকের দৈত্যের মতো খাওয়া দাওয়া দেখে লেখকরা বিস্মিত হন। এত খাওয়াদাওয়ার জন্য ভদ্রলোকের শরীরও ছিল দেখবার মতো। তাই অবনীন্দ্রনাথ বেশ মজা করে লিখেছেন, 'অমন 'জাইগ্যানটিক' খাওয়া আমরা কেউ কখনও দেখিনি'।
উত্তর: উত্তরের প্রথমাংশ: অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত 'নাটোরের কথা' শীর্ষক গদ্যাংশে নাটোরের মহারাজা জগদিন্দ্রনাথের বাড়িকে 'ইন্দ্রপুরী'র সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
উত্তরের দ্বিতীয়াংশঃ প্রোভিন্সিয়াল কনফারেন্সের উদ্দেশ্যে বাড়িতে অতিথি সমাগমের জন্য জগদিন্দ্রনাথ তাঁর বাড়ি থেকে বৈঠকখানা সমস্ত কিছুই সুন্দরভাবে সাজিয়েছিলেন। বাড়িতে রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতো ঝাড়লণ্ঠন, তাকিয়া, ভালো ভালো দামি ফুলদানি, সুদৃশ্য কার্পেট দিয়ে এমনভাবে সাজানো হয়েছিল যা নজর কাড়ে লেখকের। তাই লেখক বাড়িটিকে দেবরাজ ইন্দ্রের বাসস্থান 'ইন্দ্রপুরী'র সঙ্গে তুলনা করেছেন।
উত্তর: সুবিখ্যাত চিত্রশিল্পী এবং সুলেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'ঘরোয়া' গ্রন্থ থেকে সংকলিত 'নাটোরের কথা' গদ্যাংশে নাটোরের মহারাজা জগদিন্দ্রনাথ লেখক ও অন্যান্যদের নাটোরে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেন।
আগে থেকেই শিখিয়ে-পড়িয়ে রাখা কাজের লোকেরা সমস্ত জিনিস না চাইতেই সময়মাফিক এনে দিতে থাকে। খাওয়া-দাওয়া, গল্পগুজব, গান বাজনার মধ্যে দিয়ে সময় কাটতে থাকে। কোনো ব্যক্তি
কখন কি খেতে পছন্দ করেন তাও আগে জেনে নেওয়া হয়েছিল। তাই পছন্দমাফিক জিনিস যথাসময়ে পৌঁছে যেতে থাকে প্রত্যেক ব্যক্তির কাছেই। এমনকি রানিও তাঁর অন্দর মহল থেকে নিজের হাতে রেঁধে পাঠাতে থাকেন পিঠে-পায়েস।
এ ছাড়া প্রত্যেকে যখন যা ফরমাশ করেছেন তখনই তা পূরণের জন্য জগদিন্দ্রনাথ ও সর্বদা তৎপর। তাই দেখা যায় লেখক মজা করে চায়ের সাথে গরম সন্দেশ খাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করা মাত্রই হালুইকাররা খাবার ঘরের দরজার সামনেই গরম সন্দেশ বানাতে শুরু করে।
ধুতি-চাদর, বিছানা-পত্র সমস্তই গোছানো ছিল। চাওয়ার আগেই ভৃত্যরা হাতের কাছে সেই জিনিস পৌঁছে দিয়েছিল। বিপুল এই আয়োজনের মধ্যে এরূপ বিলাসিতা ও ত্রুটিহীনতার মধ্য দিয়েই নাটোরের মহারাজার অতিথি বাৎসল্যের পরিচয় ফুটে উঠেছে। তাই লেখক একে বলেছেন 'রাজসমাদর'।
উত্তর: অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাধারে যেমন ছিলেন প্রখ্যাত লেখক তেমনিই চিত্রশিল্পী হিসেবেও তিনি ছিলেন যথেষ্ট দক্ষ। জগদিন্দ্রনাথের আমন্ত্রণে নাটোরে গিয়ে তিনি অবসর সময়ে গ্রামে ঘুরতে বেড়ান এবং স্কেচ নিতে থাকেন গ্রামের পুরোনো বাড়ি-ঘর-মন্দিরের। লেখকের এই স্কেচ সম্বন্ধে নাটোর অর্থাৎ মহারাজা জগদিন্দ্রনাথেরও বিশেষ আগ্রহ ছিল। তাই তিনি লেখককে ঘুরিয়ে দেখান তাঁর রাজত্বের বিশেষ কিছু জিনিসপত্র ও রানির অন্দরমহল। লেখকও স্কেচ করতে থাকেন নিজের পছন্দমতো জিনিসগুলির। নাটোরও লেখককে ফরমাশ করতে থাকেন এটা-ওটা স্কেচ করে দেবার জন্য। লেখকের স্কেচের প্রতি নাটোরের এই আগ্রহের কথাই এখানে বলা হয়েছে।
উত্তর: উত্তরের প্রথমাংশ: শিল্পাচার্য অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'ঘরোয়া' গ্রন্থ থেকে সংকলিত 'নাটোরের কথা' গদ্যাংশ থেকে উদ্ধৃত উক্তিটি গৃহীত হয়েছে। লেখক জানিয়েছেন, আগে থেকেই ঠিক ছিল যে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রস্তাব তুলবেন যাতে কনফারেন্সের বক্তৃতাসহ অন্যান্য কথাবার্তা বাংলা ভাষাতে হয়।
উত্তরের দ্বিতীয়াংশ: কনফারেন্স শুরুর আগেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রস্তাব দেন যে, বাংলা ভাষাতেই যেন কনফারেন্স হয়। অর্থাৎ তিনি চেয়েছিলেন কনফারেন্সে বাংলা ভাষাকে স্থান দিতে। লেখক ও তাঁর সঙ্গীরা রবীন্দ্রনাথকে সমর্থন করে তাঁর দলে যোগ দেন। কিন্তু নেতারা লেখকদের কথায় পাত্তা না দিয়ে জানান, যেমন কংগ্রেসে হয়, তেমনি কনফারেন্স হবে ইংরেজি ভাষায়। এতে লেখকদের সাথে নেতাদের বিরোধের ফলে দুটো দল তৈরি হয়। যাদের একপক্ষ বলবেন ইংরেজিতে আর অন্যপক্ষ বাংলায়।
কিন্তু সমস্যা শুরু হয় যখন প্রেসিডেন্টসহ অন্যেরা ইংরেজিতে বক্তৃতা দিতে আসেন; তখনই লেখক ও তাঁর দলের ছেলেরা একসঙ্কো চেঁচামেচি করতে থাকেন বাংলায় বক্তৃতা দেওয়ার জন্য। ফলে কেউ আর কিছু বলতে পারেন না। এই পরিস্থিতিতে ইংরেজি ভাষায় অভিজ্ঞ লালমোহন ঘোষ বাধ্য হয়েই বক্তৃতা দেন বাংলা ভাষায়। তবে বাংলা ভাষাতেও তিনি খুব সুন্দর বক্তৃতা দেন। লেখকের মনে হয় এর ফলে মাতৃভাষারই স্বাতন্ত্র্য ও স্বাধীনতা রক্ষিত হয়েছে।
উত্তর: সুবিখ্যাত চিত্রশিল্পী এবং সুলেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'ঘরোয়া' গ্রন্থ থেকে সংকলিত 'নাটোরের কথা' গদ্যাংশে নাটোরের প্রোভিন্সিয়াল কনফারেন্সে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 'সোনার বাংলা' গানটি পরিবেশন করেছিলেন।
উত্তর: শিল্পাচার্য অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'ঘরোয়া' গ্রন্থ থেকে সংকলিত 'নাটোরের কথা' গদ্যাংশ থেকে উদ্ধৃত উক্তিটি গৃহীত হয়েছে।
কনফারেন্স শুরু হওয়ার আগে লেখকের কাকা রবি ঠাকুর প্রস্তাব দেন যাতে কনফারেন্স বাংলা ভাষায় হয়। লেখক ও তাঁর সঙ্গীরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে সমর্থন করেন। কিন্তু সমস্যার সৃষ্টি হয় নেতাদের নিয়ে। কারণ তাঁদের মতে কনফারেন্স ইংরেজি ভাষায় হবে। এই মত পার্থক্য নিয়ে লেখকদের সঙ্গে নেতাদের বিস্তর তর্কাতর্কির ফলে দুটো আলাদা দল তৈরি হয়। যাদের একপক্ষ বলবে ইংরেজিতে আর অন্যপক্ষ বলবে বাংলা ভাষায়।
কিন্তু বক্তারা ইংরেজিতে বলতে শুরু করলেই 'বাংলা, বাংলা' করে প্রবল চেঁচামেচি শুরু হয়। শেষপর্যন্ত পার্লামেন্টারি বক্তা লালমোহন ঘোষ মঞ্চে উঠে বাংলা ভাষাতে চমৎকার বক্তৃতা করেন। অবনীন্দ্রনাথের মনে হয়েছে এটা হল তাঁদের একপ্রকার তাঁদের মাতৃভাষার প্রতি সম্মানের প্রতিদান। তাই তিনি জানিয়েছেন, সেদিন তাঁদের উল্লাস এবং জয়জয়কার ঘোষিত হয়েছিল।
উত্তর: সুবিখ্যাত চিত্রশিল্পী এবং সুলেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'ঘরোয়া' গ্রন্থ থেকে সংকলিত 'নাটোরের কথা' থেকে উক্তিটি গৃহীত হয়েছে।
প্রাদেশিক সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে লেখকের কাকা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রস্তাব দেন যাতে কনফারেন্স বাংলা ভাষায় হয়। লেখক ও তাঁর দলের ছেলেরাও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে সমর্থন করে জানান যে, তাঁরা বাংলা ভাষার জন্যই লড়বেন।
কিন্তু সমস্যা সৃষ্টি হয় নেতাদের নিয়ে। কারণ, তাঁরা বলেন কনফারেন্স ইংরেজি ভাষায় হবে। এতে লেখকদের সঙ্গে নেতাদের বিস্তর তর্কাতর্কির পর দুটো পৃথক দল তৈরি হয়। যাদের একপক্ষ বক্তৃতা দেবেন ইংরেজিতে আর অন্যপক্ষ বাংলায়।
কিন্তু দেখা গেল বক্তৃতার শুরুতে প্রেসিডেন্ট বক্তৃতা দিতে এসে যেই ইংরেজিতে কথা বললেন তখনই ছেলেরা একসাথে চেঁচিয়ে উঠলেন বাংলা ভাষায় বক্তৃতা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে। এর ফলে কেউ প্রায় কিছুই বলতে পারলেন না। তাই পরিস্থিতি বুঝে ইংরেজি ভাষায় অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারি বক্তা লালমোহন ঘোষ বক্তৃতা দিলেন বাংলা ভাষায়। তবে ইংরেজির মতোই তিনি বাংলাতেও সুন্দর বক্তৃতা করেছিলেন।
বাংলা ভাষার প্রতি আন্তরিক ভালোবাসা থেকেই লেখক ও তাঁর সঙ্গীরা এভাবে বাংলা ভাষার জন্য পাবলিকলি লড়েছিলেন। যার ফলস্বরূপ শেষপর্যন্ত কনফারেন্সে বাংলা ভাষা প্রচলিত হয় এবং লেখকদের এই প্রচেষ্টা সার্থক হয়।
উত্তর: আজ সকালে সেই প্রথম স্বদেশি যুগের সময়কার যে গল্পটি মনে পড়ল, সেটি হল কী করে আমরা বাংলা ভাষার প্রচলন করলুম।
উত্তর: ভূমিকম্পের সেই বছরটায় প্রভিনশিয়াল কনফারেন্স হবে নাটোরে।
উত্তর: নাটোর নেমন্তন্ন করলেন আমদের এবং আমাদের বাড়ির সবাইকে।
উত্তর: আরো অনেকে ছিলেন, যাদের সবার নাম এখন মনে নেই।
উত্তর: নাটোর কিছু ভাবতে না বললেন। তিনি আরও বললেন যে, সব ঠিক আছে।
উত্তর:অমন 'আসুরিক' বা 'দৈত্যবৎ' খাওয়া আমরা কেউ কখনো দেখিনি।
উত্তর:ছোকরার দলের কথা উপেক্ষা করেন।
উত্তর: ন-পিসেমশাই জানকীনাথ ঘোষাল। তিনি রিপোর্ট লিখছেন আর কলম ঝাড়ছেন।
উত্তর: নিম্নরেখ শব্দটি শব্দদ্বৈতের উদাহরণ।
সদ্য তৈরি সন্দেশ আজ চায়ের সঙ্গে খাবার কথা আছে যে অবনদা।
উত্তর: যখনই হাতের কাছে খাবার আসত, তখনই তা তলিয়ে দিতেম।
উত্তর:আমাদের কী লোকজন নেই?
উত্তর: নির্ভাবনায় থাকুন দাদা।
উত্তর: সব কি এলাহী ব্যাপার নয়?
উত্তর: আমার হার হল না।
উত্তর: সবাই নির্বাক থাকেন।
👉Download Books PDF
👉Paid Answer (For Membership User)
Editing By:- Lipi Medhi