Chapter
15
১.
নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
১.১।
অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা দুটি বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর: কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা দুটি বইয়ের নাম হল- ১. 'অমাবস্যা', ২. 'নীল আকাশ'।
১.২।
তিনি কোন্ পত্রিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন?
উত্তর: কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত 'কল্লোল' পত্রিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন।
২।
নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর একটি বাক্যে লেখো:
২.১।
কবি প্রথমে গাছটিকে কেমন অবস্থায় দেখেছিলেন?
উত্তর: কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা 'ছন্নছাড়া' নামাঙ্কিত কবিতায় কবি গাছটিকে প্রথমে লতাপাতাহীন, জীর্ণ, শীর্ণ, শুষ্ক কাঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা একটি কঙ্কালসর্বস্ব অবয়ব রূপে দেখেছিলেন।
২.২।
'ড্রাইভার বললে, ওদিকে যাব না।'-ওদিকে না যেতে চাওয়ার কারণ কী?
উত্তর: কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা 'ছন্নছাড়া' নামাঙ্কিত কবিতায় ড্রাইভারের ওদিক না যাওয়ার কারণ ছিল-উদ্দিষ্ট স্থানে কয়েকটি ছন্নছাড়া বেকার ছোকরা রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছিল, যারা গাড়ি থামিয়ে লিফট চাইতে এবং গাড়িতে উঠে 'হাওয়া খাওয়ান' বলে দাবি জানাতে পারে।
২.৩।
'তাই এখন পথে এসে
দাঁড়িয়েছে সড়কের মাঝখানে।'ー সড়কের মাঝখানে, পথে
এসে দাঁড়ানোর কারণ কী?
উত্তর: কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা 'ছন্নছাড়া' নামাঙ্কিত কবিতায় ছন্নছাড়া যুবকদের, সড়কের মাঝখানে, পথে এসে দাঁড়ানোর কারণ হল-
ক।
ঘরে তাদের স্থান নেই।
খ। খেলার জন্য মাঠ নেই।
গ। আড্ডা দেওয়ার মতো মধ্যবিত্ত বাড়ির এক চিলতে রকও নেই।
২.৪।
'আমি বললুম, না ওখান দিয়েই যাব।'- কবির 'ওখান'
দিয়েই যেতে চাওয়ার কারণ কী?
উত্তর: কল্লোলের কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা 'ছন্নছাড়া' নামাঙ্কিত কবিতায় 'ওখান' থেকে যেতে চাওয়ার কারণ পথ কম হয়; অর্থাৎ শর্টকাটে যাওয়া যায়। তাই কবি ব্যস্ততার জন্য ওই পথ দিয়েই যেতে চেয়েছেন।
২.৫।
'ওই দেখতে পাচ্ছেন না ভিড়?'-
ওখানে কীসের ভিড়।
উত্তর: রবীন্দ্রপরবর্তী কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা 'ছন্নছাড়া' নামাঙ্কিত কবিতায় একটা বেওয়ারিশ ভিখিরি গাড়ি চাপা পড়ায় রাস্তার লোকেরা জমায়েত হয়েছিল। সেই কারণেই এত ভিড়।
২.৬।
'কে সে লোক?'-'লোক'টির পরিচয় দাও।
উত্তর: বিশ শতকের অন্যতম সফল কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা 'ছন্নছাড়া' নামাঙ্কিত কবিতায় লোকটি হল একটি নিরীহ বেওয়ারিশ ভিখিরি; যার সেই অর্থে কোনো সামাজিক স্বীকৃতি নেই।
২.৭।
'চেঁচিয়ে উঠল সমন্বরে....'-বলে কী তারা সমস্বরে চেঁচিয়ে উঠল?
উত্তর: কল্লোলিয়ান কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা 'ছন্নছাড়া নামাঙ্কিত কবিতায় তারা সমস্বরে চেঁচিয়ে বলে উঠল, 'প্রাণ আছে, এখনও প্রাণ আছে।'
২.৮।
'আমি নেমে পড়লুম তাড়াতাড়ি'-কবি নেমে পড়লেন কেন?
উত্তর: বিশ শতকের কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের 'ছন্নছাড়া' কবিতায় গাড়ি চাপা পড়া বেওয়ারিশ ভিখিরির রক্তের দাগ যাতে কবির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জামাকাপড়ে না লাগে সেই কারণেই কবি তাড়াতাড়ি নেমে পড়লেন।
২.৯।
'ফিরে আসতেই দেখি'...
ফেরার পথে কবি কী দেখতে পেলেন?
উত্তর: রবীন্দ্রপরবর্তী কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা 'ছন্নছাড়া' কবিতায় কবি ফেরার পথে দেখলেন গলির মোড়ের সেই শুকনো গাছটা সবুজ পাতায়, সুশোভিত ফুলে, অপূর্ব গন্ধে, হাজার হাজার পাখিতে ভরে গেছে।
২.১০।
'অবিশ্বাস্য চোখে দেখলুম'-
কবির চোখে অবিশ্বাসের ঘোর কেন?
উত্তর: কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের 'ছন্নছাড়া' কবিতায় শীর্ণ, শুষ্ক, আপাত-প্রাণহীন, রুক্ষ যে গাছটি কবি দেখেছিলেন তার মধ্যে অনন্ত প্রাণের প্রকাশ লক্ষণ দেখে কবির চোখে অবিশ্বাসের ঘোর এসেছিল।
৩।
নির্দেশ অনুসারে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:
৩.১।
'ওই পথ দিয়ে জরুরি দরকারে
যাচ্ছিলাম ট্যাক্সি করে'- কবির যাত্রাপথের অভিজ্ঞতার বিবরণ
দাও।
উত্তর: উদ্ধৃত উক্তিটি গৃহীত হয়েছে কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের ছন্নছাড়া কবিতা থেকে। ব্যস্ত কবি ট্যাক্সি নিয়ে যাচ্ছিলেন সেই পথ দিয়ে যেখানে লতাপাতাহীন মৃতপ্রায় এক গাছ দাঁড়িয়েছিল। ট্যাক্সিওয়ালার কথা না শুনে সময় বাঁচাতে কবি যখন যাত্রা শুরু করলেন তখন একদল ছন্নছাড়া যুবক গাড়ি থামিয়ে লিফট চেয়েছিল। সেই ছন্নছাড়া যুবক সহসা ভীড়াক্রান্ত জায়গা দেখে গাড়ি থামাতে বলে এবং রক্তাক্ত মৃতপ্রায় এক ভিখারিকে গাড়িতে তুলে নেয়। কবি লেখেন-
একটা বেওয়ারিশ ভিখিরি রক্তে-মাংসে দলা পাকিয়ে গেছে।
ওরা রক্তে মাখামাখি সেই দলা-পাকানো ভিখিরিকে পাঁজাকোলা করে ট্যাক্সির মধ্যে তুলে নেয়। পরিচ্ছন্ন জামাকাপড় রক্তের দাগে নষ্ট হয়ে যাবে ভেবে কবি ট্যাক্সি থেকে নেমে পড়েন। কিন্তু এটুকু বুঝতে পারেন এই ছন্নছাড়া যুবকের দল ছিল বলে এভাবে মৃতপ্রায় একটি মানুষ জীবনের নতুন আলো দেখতে পাবে।
৩.২।
'গলির মোড়ে একটা গাছ
দাঁড়িয়ে
গাছ না গাছের প্রেতচ্ছায়া-' -একটি গাছ দাঁড়িয়ে আছে বলেও কেন পরের পঙ্ক্তিতে তাকে 'গাছের প্রেতচ্ছায়া' বলা হয়েছে তা বুঝিয়ে দাও।
৪.২। দেখছেন না ছন্নছাড়া কটা বেকার ছোকরা রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছে? (যৌগিক বাক্যে)
উত্তর: দেখছেন না ছন্নছাড়া কটা বেকার ছোকরা রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে এবং আড্ডা দিচ্ছে?
৪.৩।
কারা ওরা? (প্রশ্ন
পরিহার করো)
উত্তর: ওদের পরিচয় দাও।
৪.৪। ঘেঁষবেন না ওদের কাছে। (ইতিবাচক বাক্যে)
উত্তর: ওদের থেকে দূরে থাকুন।
৪.৫। একটা স্ফুলিঙ্গ-হীন ভিজে বারুদের স্তূপ। (না সূচক বাক্যে)
উত্তর: একটা ভিজে বারুদের স্তূপ যেখানে কোনো স্ফুলিঙ্গ নেই।
৪.৬। জিজ্ঞেস করলুম, তোমাদের ট্যাক্সি লাগবে? (পরোক্ষ উক্তিতে)
উত্তর: তাদের ট্যাক্সি লাগবে কি না জিজ্ঞেস করলুম।
৪.৭। আমরা খালি ট্যাক্সি খুঁজছি। (জটিল বাক্যে)
৪.৮। দেখতে দেখতে গুচ্ছে গুচ্ছে উথলে উঠেছে ফুল। (ক্রিয়ার কাল নির্দেশ করো)
উত্তর: পুরাঘটিত বর্তমান।
👉Online
MCQs Test
👉Download Books PDF
👉Paid Answer (For Membership User)
উত্তর পেতে সদস্যপদ প্রয়োজন
Editing By:- Lipi Medhi
ছন্নছাড়া
--------------------
উত্তর: কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা দুটি বইয়ের নাম হল- ১. 'অমাবস্যা', ২. 'নীল আকাশ'।
উত্তর: কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত 'কল্লোল' পত্রিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন।
উত্তর: কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা 'ছন্নছাড়া' নামাঙ্কিত কবিতায় কবি গাছটিকে প্রথমে লতাপাতাহীন, জীর্ণ, শীর্ণ, শুষ্ক কাঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা একটি কঙ্কালসর্বস্ব অবয়ব রূপে দেখেছিলেন।
উত্তর: কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা 'ছন্নছাড়া' নামাঙ্কিত কবিতায় ড্রাইভারের ওদিক না যাওয়ার কারণ ছিল-উদ্দিষ্ট স্থানে কয়েকটি ছন্নছাড়া বেকার ছোকরা রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছিল, যারা গাড়ি থামিয়ে লিফট চাইতে এবং গাড়িতে উঠে 'হাওয়া খাওয়ান' বলে দাবি জানাতে পারে।
উত্তর: কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা 'ছন্নছাড়া' নামাঙ্কিত কবিতায় ছন্নছাড়া যুবকদের, সড়কের মাঝখানে, পথে এসে দাঁড়ানোর কারণ হল-
খ। খেলার জন্য মাঠ নেই।
গ। আড্ডা দেওয়ার মতো মধ্যবিত্ত বাড়ির এক চিলতে রকও নেই।
উত্তর: কল্লোলের কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা 'ছন্নছাড়া' নামাঙ্কিত কবিতায় 'ওখান' থেকে যেতে চাওয়ার কারণ পথ কম হয়; অর্থাৎ শর্টকাটে যাওয়া যায়। তাই কবি ব্যস্ততার জন্য ওই পথ দিয়েই যেতে চেয়েছেন।
উত্তর: রবীন্দ্রপরবর্তী কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা 'ছন্নছাড়া' নামাঙ্কিত কবিতায় একটা বেওয়ারিশ ভিখিরি গাড়ি চাপা পড়ায় রাস্তার লোকেরা জমায়েত হয়েছিল। সেই কারণেই এত ভিড়।
উত্তর: বিশ শতকের অন্যতম সফল কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা 'ছন্নছাড়া' নামাঙ্কিত কবিতায় লোকটি হল একটি নিরীহ বেওয়ারিশ ভিখিরি; যার সেই অর্থে কোনো সামাজিক স্বীকৃতি নেই।
উত্তর: কল্লোলিয়ান কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা 'ছন্নছাড়া নামাঙ্কিত কবিতায় তারা সমস্বরে চেঁচিয়ে বলে উঠল, 'প্রাণ আছে, এখনও প্রাণ আছে।'
উত্তর: বিশ শতকের কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের 'ছন্নছাড়া' কবিতায় গাড়ি চাপা পড়া বেওয়ারিশ ভিখিরির রক্তের দাগ যাতে কবির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জামাকাপড়ে না লাগে সেই কারণেই কবি তাড়াতাড়ি নেমে পড়লেন।
উত্তর: রবীন্দ্রপরবর্তী কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা 'ছন্নছাড়া' কবিতায় কবি ফেরার পথে দেখলেন গলির মোড়ের সেই শুকনো গাছটা সবুজ পাতায়, সুশোভিত ফুলে, অপূর্ব গন্ধে, হাজার হাজার পাখিতে ভরে গেছে।
উত্তর: কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের 'ছন্নছাড়া' কবিতায় শীর্ণ, শুষ্ক, আপাত-প্রাণহীন, রুক্ষ যে গাছটি কবি দেখেছিলেন তার মধ্যে অনন্ত প্রাণের প্রকাশ লক্ষণ দেখে কবির চোখে অবিশ্বাসের ঘোর এসেছিল।
উত্তর: উদ্ধৃত উক্তিটি গৃহীত হয়েছে কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের ছন্নছাড়া কবিতা থেকে। ব্যস্ত কবি ট্যাক্সি নিয়ে যাচ্ছিলেন সেই পথ দিয়ে যেখানে লতাপাতাহীন মৃতপ্রায় এক গাছ দাঁড়িয়েছিল। ট্যাক্সিওয়ালার কথা না শুনে সময় বাঁচাতে কবি যখন যাত্রা শুরু করলেন তখন একদল ছন্নছাড়া যুবক গাড়ি থামিয়ে লিফট চেয়েছিল। সেই ছন্নছাড়া যুবক সহসা ভীড়াক্রান্ত জায়গা দেখে গাড়ি থামাতে বলে এবং রক্তাক্ত মৃতপ্রায় এক ভিখারিকে গাড়িতে তুলে নেয়। কবি লেখেন-
একটা বেওয়ারিশ ভিখিরি রক্তে-মাংসে দলা পাকিয়ে গেছে।
ওরা রক্তে মাখামাখি সেই দলা-পাকানো ভিখিরিকে পাঁজাকোলা করে ট্যাক্সির মধ্যে তুলে নেয়। পরিচ্ছন্ন জামাকাপড় রক্তের দাগে নষ্ট হয়ে যাবে ভেবে কবি ট্যাক্সি থেকে নেমে পড়েন। কিন্তু এটুকু বুঝতে পারেন এই ছন্নছাড়া যুবকের দল ছিল বলে এভাবে মৃতপ্রায় একটি মানুষ জীবনের নতুন আলো দেখতে পাবে।
গাছ না গাছের প্রেতচ্ছায়া-' -একটি গাছ দাঁড়িয়ে আছে বলেও কেন পরের পঙ্ক্তিতে তাকে 'গাছের প্রেতচ্ছায়া' বলা হয়েছে তা বুঝিয়ে দাও।
উত্তর: বিশ
শতকের কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা 'ছন্নছাড়া' কবিতায় কবি গাছ বলতে যা বোঝায় গলির মোড়ে
দাঁড়িয়ে থাকা গাছটিকে তার কোনো বৈশিষ্ট্যে উজ্জ্বল হতে দেখেননি। কেননা, সবুজপাতা, সুগন্ধী ফুল ও অফুরাণ ফলের সজ্জিত যে গাছ
আমাদের ধারণায় উঠে আসে, কবির দেখা গাছটি তেমন ছিল না। সেই
গাছটি ছিল রুগ্ন, জীর্ণ, শীর্ণ। তার
কোনো লতাপাতা ছিল না। ছাল-বাকল ছিল না। তাই কবি একে গাছ না বলে গাছের প্রেতচ্ছায়া
বলেছেন। অর্থাৎ প্রথমে জানিয়েছেন একটি গাছ দাঁড়িয়ে আছে। পরক্ষণে সংশোধনের সুরে
জানিয়েছেন-গাছ নয়; গাছের প্রেতচ্ছায়া দাঁড়িয়ে আছে।
৩.৩।
'ওই পথ দিয়ে জরুরি দরকারে
যাচ্ছিলাম ট্যাক্সি করে।'-এভাবে কবিতায় উত্তমপুরুষের রীতি
কীভাবে ব্যবহৃত হয়েছে, অন্তত পাঁচটি পত্তি উদ্ধৃত করে বুঝিয়ে
দাও।
উত্তর: বিশ শতকের কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা 'ছন্নছাড়া' কবিতায় উত্তম পুরুষের রীতিকেই গ্রহণ করেছেন। অর্থাৎ কবি এই কবিতার মধ্যে একটি আখ্যান তৈরি করেছেন এবং নিজেই সেই আখ্যানকে বিবৃত করেছেন। কবিতায় থাকা উত্তম পুরুষের রীতি কীভাবে ব্যবহৃত হয়েছে তার দৃষ্টান্ত হল-
১। আমি বললুম, না ওখান দিয়েই যাব।
২। মুখ বাড়িয়ে জিজ্ঞেস করলুম।
৩। ওখান দিয়েই আমার শর্টকাট।
৪। বললুম, কদ্দুর যাবে।
৫। আমি নেমে পড়লুম তাড়াতাড়ি।
৩.৪।
'কারা ওরা'?-কবিতা অনুসরণে ওদের পরিচয় দাও।
উত্তর: বিশ শতকের কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা 'ছন্নছাড়া' কবিতায় ওরা বলতে কবি সেই যুবকদের কথা বলেছেন যারা একঅর্থে 'ছন্নছাড়া'। কেননা, এরা বেকার। কবি দেখেছেন-
ক। এদের জন্যে কলেজে সিট নেই।
খ। অফিসে চাকরি নেই।
গ। কারখানায় কাজ নেই।
ঘ। ঘরে-বাইরে কোথাও কোনো জায়গা নেই।
ঙ। প্রেম নেই।
চ। এদের প্রতি কারোর কোনো দরদ বা কর্তব্য নেই।
এদের আড্ডা দেওয়ার মতো কোনো জায়গা নেই। ফলে গলির পাশে কোথাও দাঁড়িয়ে এরা একসঙ্গে গল্পগুজব করে। কবির মতে এরা যেন কোনো এক 'নেই রাজ্যের বাসিন্দে'।
৩.৫।
'ঘেঁষবেন না ওদের কাছে।'-
এই সাবধানবাণী কে উচ্চারণ করেছেন? 'ওদের'
বলতে কাদের কথা বোঝানো হয়েছে?
ওদের কাছে না ঘেঁষার পরামর্শ দেওয়া হলো কেন?
উত্তর:উত্তরের প্রথমাংশ: কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা 'ছন্নছাড়া' কবিতায় কবি যে ট্যাক্সিতে উঠেছিলেন তার সচেতন ড্রাইভার এই সাবধান বাণীটি উচ্চারণ করেছিলেন।
উত্তরের দ্বিতীয়াংশ: 'ওদের' বলতে রাস্তার গলির মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা একদল কাজকর্মহীন ছন্নছাড়া বেকার যুবকদের বোঝানো হয়েছে। কবি এদের চিহ্নিত করেছেন 'নেই রাজ্যের বাসিন্দে'।
উত্তরের তৃতীয়াংশঃ ট্যাক্সি ড্রাইভার জানিয়েছিলেন ছন্নছাড়া যুবকগুলি গাড়ি দেখলেই লিফট্ চাইবে এবং সুযোগ বুঝে ড্রাইভার ও যাত্রীকে হেনস্থা করবে। তাই ড্রাইভার এমন সাবধানবাণী উচ্চারণ করেছিলেন।
৩.৬।
'তাই এখন এসে দাঁড়িয়েছে
সড়কের মাঝখানে।' -এখানে কাদের কথা বলা হয়েছে? তাদের জীবনের এমন পরিণতির কারণ কবিতায় কীভাবে ধরা পড়েছে তা নির্দেশ করো।
উত্তর: উত্তরের প্রথমাংশ: কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা 'ছন্নছাড়া' কবিতায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে আড্ডা দেওয়া গৃহবিবাগী একদল ছন্নছাড়া বেকার যুবকের কথা বলা হয়েছে।
উত্তরের দ্বিতীয়াংশ: যে যুবকদের কথা অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত তুলে ধরেছেন তাদের জীবনে কোনো ইতিবাচক সুফল দেখা যায়নি। তাই ক্রমাগত 'নেই' এই নেতিবাচক ক্রিয়াটিকে ব্যবহার করে কবি পরপর জানালেন, এদের জীবনে ঠিক কোন্ কোন্ জিনিস নেই। কবি লিখেছেন, এই নেই রাজ্যের বাসিন্দাদের সেই অর্থে সামাজিক কোনো স্বীকৃতি নেই। তাদের কোনো মর্যাদা নেই। সুখের কোনো শিহরণ নেই। এমনকি-
ক। ওদের জন্যে কলেজে সিট নেই
খ। অফিসে চাকরি নেই
গ। কারখানায় কাজ নেই
ঘ। ট্রামে-বাসে জায়গা নেই
ঙ। হাসপতালে বেড নেই
চ। বাড়িতে ঘর নেই
এমন একাধিক নেতিবাচকতায় দাঁড়িয়ে তবু এরা বাঁচতে পারত; কিন্তু বাঁচানোর মতো ইতিবাচক প্রেরণা না থাকায় এবং তাদের প্রতি কারোর কোনো দরদ না থাকায় এরা উদভ্রান্তের মতো রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে থাকে।
৩.৭।
'জিজ্ঞেস করলুম তোমাদের
ট্যাক্সি লাগবে?'- প্রশ্নবাক্যটিতে প্রশ্নকর্তার কোন অনুভূতির প্রকাশ ঘটেছে? তাঁর এই
প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়ার পর কীরূপ পরিস্থিতি তৈরি হল?
উত্তর : উত্তরের প্রথমাংশ: আধুনিক কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা 'ছন্নছাড়া' কবিতায় ট্যাক্সি ড্রাইভার যে অর্থে একদল যুবককে ছন্নছাড়া বলে চিহ্নিত করেছিলেন, প্রশ্নবাক্যটিতে প্রশ্নকর্তার তেমনটি মনে হয়নি। বরং প্রশ্নকর্তার মধ্যে সহানুভূতিশীল দরদি মনের পরিচয় পাওয়া যায়।
উত্তরের দ্বিতীয়াংশ: কবিতায় উদ্ধৃত এই প্রশ্নটি তিনজন যুবককে করেছিলেন কবি। তিনজন যুবক গাড়িতে চেপে বসেছিল। হঠাৎ কিছুটা দূরে এক বেওয়ারিশ ভিখিরির রক্তাক্ত দেহ দেখে তারা এগিয়ে গিয়েছিল। অতি দ্রুত সেই দলাপাকানো দেহটাকে পাঁজাকোলা করে ট্যাক্সির মধ্যে তুলে নিয়েছিল। পরিচ্ছন্ন জামাকাপড় রক্তের দাগে নষ্ট হতে পারে এই আশঙ্কা থেকে কবি ট্যাক্সি থেকে নেমে গিয়েছিলেন। কিন্তু পরে বুঝতে পেরেছিলেন যারা এভাবে মানুষের পাশে গিয়ে উপস্থিত হয় তারা আসলে ছন্নছাড়া নয়।
৩.৮।
'প্রাণ আছে, এখনো প্রাণ আছে।'- এই দুর্মর আশাবাদের 'তপ্ত শঙ্খধ্বনি' কবিতায় কীভাবে বিঘোষিত হয়েছে তা
আলোচনা করো।
উত্তর: কল্লোল গোষ্ঠীর অন্যতম প্রতিবাদী কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা 'ছন্নছাড়া' কবিতায় কবি একদল যুবকের কর্মতৎপরতা দেখে অভিভূত হয়েছিলেন।
মৃতপ্রায় পথযাত্রীকে দেখে গাড়ির মধ্যে বসে থাকা তিনটি যুবক দ্রুত এগিয়ে যায়। তারা একটি নিরীহ লোক গাড়ি চাপা পড়েছে দেখে রক্তে-মাংসে দলাপাকানো দেহটা দেখে অতি দ্রুত গাড়িতে তুলে নেয়। কবি লিখেছেন-
রক্তের মাখামাখি সেই দলা-পাকানো ভিখিরিকে
ওরা পাঁজাকোলা করে ট্যাক্সির মধ্যে তুলে নিল।
চারপাশের মানুষজন যখন ব্যক্তিস্বার্থে হাত গুটিয়ে বসে থাকে তখনও একদল যুবক মৃতপ্রায় দেহটাকে নিয়ে চেঁচিয়ে ওঠে এবং সোল্লাসে জানিয়ে দেয় 'প্রাণ আছে, এখনও প্রাণ আছে।' এই কথাটুকু সমগ্র কবিতায় বারংবার প্রতিধ্বনিত হয়।
গভীরতম প্রত্যয় আর আত্মবিশ্বাস থেকে ছন্নছাড়া একদল যুবক প্রমাণ করে চারিদিকে সংকীর্ণ গণ্ডীর মধ্যেও এখনও আশাবাদের যথেষ্ট জায়গা রয়েছে। তাই গভীর প্রত্যয়ের সঙ্গে উচ্চারিত হয় 'প্রাণ আছে, এখনও প্রাণ আছে', এবং 'তপ্ত শঙ্খধ্বনি'র মতো সেই কথা আকাশ-বাতাসে প্রতিধ্বনিত হয়ে ছড়িয়ে যায়।
৩.৯।
কবিতায় নিজের ভব্যতা ও শালীনতাকে বাঁচাতে চাওয়া মানুষটির 'ছন্নছাড়া'-র প্রতি যে
অনুভূতির প্রকাশ ঘটেছে তা বুঝিয়ে দাও।
উত্তর: বিশ শতকের কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা 'ছন্নছাড়া' কবিতায় দুটি স্বতন্ত্র সংস্কৃতির পরিচয় রয়েছে। একদল মানুষ শহুরে এবং তারা নিজেদের তথাকথিত সভ্যসমাজের রুচিসম্পন্ন মানুষ বলে দাবি করেন। অন্যদল মানুষের জন্যে, বিপন্ন-অসহায় মানুষের পাশে সবসময় দাঁড়িয়ে থাকাকেই কর্তব্য বলে মনে করে।
কবি এক ব্যস্ত দিনে গাড়িতে চেপে যখন যাচ্ছিলেন ঠিক সেই সময় কয়েকটি তরুণ ট্যাক্সির সামনে দাঁড়িয়ে গেলে কবি জিজ্ঞাসা করেন-'তোমাদের ট্যাক্সি লাগবে? লিফট চাই?' সোল্লাসে চিৎকার করে 'তিন-তিনটে ছোকরা' উঠে পড়ে ট্যাক্সিতে। সামনে ভিড় দেখতে পেয়ে ওরা দ্রুত নেমে যায়। কবি দেখেন রাস্তার ওপর পড়ে থাকা একটি বেওয়ারিশ ভিখিরিকে ওরা দ্রুত তুলে ট্যাক্সির মধ্যে নিতে চায়। ওরা সমস্বরে চেঁচিয়ে বলে 'প্রাণ আছে, এখনও প্রাণ আছে।' ওদের এই অফুরাণ প্রাণসন্ধানী মানসিকতা দেখে অভিভূত কবির মনে অদ্ভুত এক সমবেদনা জেগে ওঠে। নিজের ভব্যতা ও শালীনতাকে বাঁচাতে চাওয়া মানুষটির 'ছন্নছাড়া'দের প্রতি অন্য এক অনুভূতির প্রকাশ ঘটে।
৩.১০।
কবিতায় 'গাছটি' কীভাবে প্রাণের প্রতীক হয়ে উঠেছে তা আলোচনা করো।
উত্তর: বিশ শতকের কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা 'ছন্নছাড়া' কবিতায় 'গাছ' একটি প্রতীকে ব্যঞ্জনা পেয়েছে। প্রথমে গাছটিকে দেখে কবির মনে হয় 'রুক্ষ রুষ্ট রিক্ত জীর্ণ' লতাপাতাহীন এই গাছটি যেন গাছ নয়; গাছের কোনো 'প্রেতচ্ছায়া'।
এই গাছটির মধ্যে যেমন কোনো প্রাণের প্রবাহ নেই, বেঁচে থাকার রসদ নেই; ঠিক তেমনিই শহরের চারপাশে আশ্রয়হীন, চাকরিহীন, গৃহহীন যুবকদের একই অবস্থা। গাছটির মতো তারাও যেন জীবনের রস থেকে বঞ্চিত। কবি সেই বঞ্চনার ইতিবৃত্ত তুলে ধরতে বলেছেন-
'প্রেরণা-জাগানো প্রেম নেই
ওদের প্রতি সম্ভাষণে কারু দরদ নেই-'
কিন্তু এরা ভালোবাসা পেলে, একটুকরো মমতা পেলে কীভাবে জগতের কল্যাণের কাজ করতে পারে তার নমুনা দিয়েছেন কবি। তাই রাস্তার উপরে বেওয়ারিশ ভিখিরিকে দেখে যখন কারও মধ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না; ঠিক তখনই এই ছন্নছাড়া ছেলেরা মৃতপ্রায় মানুষের মধ্যে প্রাণ খোঁজে।
এই ঘটনার সূত্র ধরে কবি দেখেন এই মরা গাছটিতে সবুজের সমারোহ। তার গায়ে অসংখ্য সবুজ কচি পাতা, বুকে তার সুগন্ধ, ডালে তার রং-বেরঙের পাখি। অর্থাৎ গাছ এখানে হয়ে ওঠে প্রাণের প্রতীক।
৩.১১।
'এক ক্ষয়হীন আশা
এক মৃত্যুহীন মর্যাদা।'- 'প্রাণকে' কবির এমন অভিধায় অভিহিত করার সঙ্গত কারণ নিজের ভাষায় বিশ্লেষণ করো।
উত্তর: কল্লোল গোষ্ঠীর প্রতিবাদী কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা 'ছন্নছাড়া' কবিতায় কবি একটি গাছের প্রেতচ্ছায়ার চিত্রকে সামনে এনে একদল তরুণের একঘেয়েমি জীবনের চিত্র এঁকেছেন। এই তরুণদের ভালোবাসার কেউ নেই। এদের জন্যে কোনো প্রেম নেই। এরা ওই রুক্ষ গাছটির মতোই প্রাণহীন। ভদ্রসমাজ এদের উপেক্ষা করে। ট্যাক্সির ড্রাইভার এদের স্বভাব-চরিত্র নিয়ে বিদ্রূপ করে। ভদ্রলোকেরা এদের দেখলে পাশ কাটিয়ে যায়।
কিন্তু
কবি দেখেছেন এরাই প্রাণের প্রদীপ জ্বালায়। সেই প্রাণের প্রতীক হয়ে ওঠে গলির মোড়ের
সেই গাছটি। প্রেতচ্ছায়ার মতো দাঁড়িয়ে থাকা গাছটির শরীরে দেখা যায় হাজার হাজার 'সোনালি কচি পাতা'। তার ডালে 'রং-বেরঙের পাখি'। ধীরে ধীরে ঘন পত্রপুঞ্জে ভরে ওঠে গাছটি।
কবি গাছটির দিকে তাকিয়ে যুবকদের সেই কণ্ঠোচ্চারিত ধ্বনি শুনতে পান-'প্রাণ আছে, এখনও প্রাণ আছে'। এই প্রাণ হল 'ক্ষয়হীন আশা'। এই প্রাণ হল কবির মতে 'মৃত্যুহীন মর্যাদা'। অর্থাৎ কবিতার শেষে এসে কবি যেন গভীর
আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, নিষ্প্রাণের মধ্যেই একসময় প্রাণের সমারোহ দেখা যাবে।
৪।
নির্দেশ অনুযায়ী বাক্য পরিবর্তন করো:
৪.১।
ওই পথ দিয়ে জরুরি দরকারে যাচ্ছিলাম ট্যাক্সি করে। (জটিল বাক্যে)
উত্তর: ওই সেই পথ যে পথ দিয়ে জরুরি দরকারে যাচ্ছিলাম ট্যাক্সি করে।
উত্তর: বিশ শতকের কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা 'ছন্নছাড়া' কবিতায় উত্তম পুরুষের রীতিকেই গ্রহণ করেছেন। অর্থাৎ কবি এই কবিতার মধ্যে একটি আখ্যান তৈরি করেছেন এবং নিজেই সেই আখ্যানকে বিবৃত করেছেন। কবিতায় থাকা উত্তম পুরুষের রীতি কীভাবে ব্যবহৃত হয়েছে তার দৃষ্টান্ত হল-
১। আমি বললুম, না ওখান দিয়েই যাব।
২। মুখ বাড়িয়ে জিজ্ঞেস করলুম।
৩। ওখান দিয়েই আমার শর্টকাট।
৪। বললুম, কদ্দুর যাবে।
৫। আমি নেমে পড়লুম তাড়াতাড়ি।
উত্তর: বিশ শতকের কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা 'ছন্নছাড়া' কবিতায় ওরা বলতে কবি সেই যুবকদের কথা বলেছেন যারা একঅর্থে 'ছন্নছাড়া'। কেননা, এরা বেকার। কবি দেখেছেন-
ক। এদের জন্যে কলেজে সিট নেই।
খ। অফিসে চাকরি নেই।
গ। কারখানায় কাজ নেই।
ঘ। ঘরে-বাইরে কোথাও কোনো জায়গা নেই।
ঙ। প্রেম নেই।
চ। এদের প্রতি কারোর কোনো দরদ বা কর্তব্য নেই।
এদের আড্ডা দেওয়ার মতো কোনো জায়গা নেই। ফলে গলির পাশে কোথাও দাঁড়িয়ে এরা একসঙ্গে গল্পগুজব করে। কবির মতে এরা যেন কোনো এক 'নেই রাজ্যের বাসিন্দে'।
ওদের কাছে না ঘেঁষার পরামর্শ দেওয়া হলো কেন?
উত্তর:উত্তরের প্রথমাংশ: কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা 'ছন্নছাড়া' কবিতায় কবি যে ট্যাক্সিতে উঠেছিলেন তার সচেতন ড্রাইভার এই সাবধান বাণীটি উচ্চারণ করেছিলেন।
উত্তরের দ্বিতীয়াংশ: 'ওদের' বলতে রাস্তার গলির মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা একদল কাজকর্মহীন ছন্নছাড়া বেকার যুবকদের বোঝানো হয়েছে। কবি এদের চিহ্নিত করেছেন 'নেই রাজ্যের বাসিন্দে'।
উত্তরের তৃতীয়াংশঃ ট্যাক্সি ড্রাইভার জানিয়েছিলেন ছন্নছাড়া যুবকগুলি গাড়ি দেখলেই লিফট্ চাইবে এবং সুযোগ বুঝে ড্রাইভার ও যাত্রীকে হেনস্থা করবে। তাই ড্রাইভার এমন সাবধানবাণী উচ্চারণ করেছিলেন।
উত্তর: উত্তরের প্রথমাংশ: কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা 'ছন্নছাড়া' কবিতায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে আড্ডা দেওয়া গৃহবিবাগী একদল ছন্নছাড়া বেকার যুবকের কথা বলা হয়েছে।
উত্তরের দ্বিতীয়াংশ: যে যুবকদের কথা অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত তুলে ধরেছেন তাদের জীবনে কোনো ইতিবাচক সুফল দেখা যায়নি। তাই ক্রমাগত 'নেই' এই নেতিবাচক ক্রিয়াটিকে ব্যবহার করে কবি পরপর জানালেন, এদের জীবনে ঠিক কোন্ কোন্ জিনিস নেই। কবি লিখেছেন, এই নেই রাজ্যের বাসিন্দাদের সেই অর্থে সামাজিক কোনো স্বীকৃতি নেই। তাদের কোনো মর্যাদা নেই। সুখের কোনো শিহরণ নেই। এমনকি-
ক। ওদের জন্যে কলেজে সিট নেই
খ। অফিসে চাকরি নেই
গ। কারখানায় কাজ নেই
ঘ। ট্রামে-বাসে জায়গা নেই
ঙ। হাসপতালে বেড নেই
চ। বাড়িতে ঘর নেই
এমন একাধিক নেতিবাচকতায় দাঁড়িয়ে তবু এরা বাঁচতে পারত; কিন্তু বাঁচানোর মতো ইতিবাচক প্রেরণা না থাকায় এবং তাদের প্রতি কারোর কোনো দরদ না থাকায় এরা উদভ্রান্তের মতো রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে থাকে।
উত্তর : উত্তরের প্রথমাংশ: আধুনিক কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা 'ছন্নছাড়া' কবিতায় ট্যাক্সি ড্রাইভার যে অর্থে একদল যুবককে ছন্নছাড়া বলে চিহ্নিত করেছিলেন, প্রশ্নবাক্যটিতে প্রশ্নকর্তার তেমনটি মনে হয়নি। বরং প্রশ্নকর্তার মধ্যে সহানুভূতিশীল দরদি মনের পরিচয় পাওয়া যায়।
উত্তরের দ্বিতীয়াংশ: কবিতায় উদ্ধৃত এই প্রশ্নটি তিনজন যুবককে করেছিলেন কবি। তিনজন যুবক গাড়িতে চেপে বসেছিল। হঠাৎ কিছুটা দূরে এক বেওয়ারিশ ভিখিরির রক্তাক্ত দেহ দেখে তারা এগিয়ে গিয়েছিল। অতি দ্রুত সেই দলাপাকানো দেহটাকে পাঁজাকোলা করে ট্যাক্সির মধ্যে তুলে নিয়েছিল। পরিচ্ছন্ন জামাকাপড় রক্তের দাগে নষ্ট হতে পারে এই আশঙ্কা থেকে কবি ট্যাক্সি থেকে নেমে গিয়েছিলেন। কিন্তু পরে বুঝতে পেরেছিলেন যারা এভাবে মানুষের পাশে গিয়ে উপস্থিত হয় তারা আসলে ছন্নছাড়া নয়।
উত্তর: কল্লোল গোষ্ঠীর অন্যতম প্রতিবাদী কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা 'ছন্নছাড়া' কবিতায় কবি একদল যুবকের কর্মতৎপরতা দেখে অভিভূত হয়েছিলেন।
মৃতপ্রায় পথযাত্রীকে দেখে গাড়ির মধ্যে বসে থাকা তিনটি যুবক দ্রুত এগিয়ে যায়। তারা একটি নিরীহ লোক গাড়ি চাপা পড়েছে দেখে রক্তে-মাংসে দলাপাকানো দেহটা দেখে অতি দ্রুত গাড়িতে তুলে নেয়। কবি লিখেছেন-
রক্তের মাখামাখি সেই দলা-পাকানো ভিখিরিকে
ওরা পাঁজাকোলা করে ট্যাক্সির মধ্যে তুলে নিল।
চারপাশের মানুষজন যখন ব্যক্তিস্বার্থে হাত গুটিয়ে বসে থাকে তখনও একদল যুবক মৃতপ্রায় দেহটাকে নিয়ে চেঁচিয়ে ওঠে এবং সোল্লাসে জানিয়ে দেয় 'প্রাণ আছে, এখনও প্রাণ আছে।' এই কথাটুকু সমগ্র কবিতায় বারংবার প্রতিধ্বনিত হয়।
গভীরতম প্রত্যয় আর আত্মবিশ্বাস থেকে ছন্নছাড়া একদল যুবক প্রমাণ করে চারিদিকে সংকীর্ণ গণ্ডীর মধ্যেও এখনও আশাবাদের যথেষ্ট জায়গা রয়েছে। তাই গভীর প্রত্যয়ের সঙ্গে উচ্চারিত হয় 'প্রাণ আছে, এখনও প্রাণ আছে', এবং 'তপ্ত শঙ্খধ্বনি'র মতো সেই কথা আকাশ-বাতাসে প্রতিধ্বনিত হয়ে ছড়িয়ে যায়।
উত্তর: বিশ শতকের কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা 'ছন্নছাড়া' কবিতায় দুটি স্বতন্ত্র সংস্কৃতির পরিচয় রয়েছে। একদল মানুষ শহুরে এবং তারা নিজেদের তথাকথিত সভ্যসমাজের রুচিসম্পন্ন মানুষ বলে দাবি করেন। অন্যদল মানুষের জন্যে, বিপন্ন-অসহায় মানুষের পাশে সবসময় দাঁড়িয়ে থাকাকেই কর্তব্য বলে মনে করে।
কবি এক ব্যস্ত দিনে গাড়িতে চেপে যখন যাচ্ছিলেন ঠিক সেই সময় কয়েকটি তরুণ ট্যাক্সির সামনে দাঁড়িয়ে গেলে কবি জিজ্ঞাসা করেন-'তোমাদের ট্যাক্সি লাগবে? লিফট চাই?' সোল্লাসে চিৎকার করে 'তিন-তিনটে ছোকরা' উঠে পড়ে ট্যাক্সিতে। সামনে ভিড় দেখতে পেয়ে ওরা দ্রুত নেমে যায়। কবি দেখেন রাস্তার ওপর পড়ে থাকা একটি বেওয়ারিশ ভিখিরিকে ওরা দ্রুত তুলে ট্যাক্সির মধ্যে নিতে চায়। ওরা সমস্বরে চেঁচিয়ে বলে 'প্রাণ আছে, এখনও প্রাণ আছে।' ওদের এই অফুরাণ প্রাণসন্ধানী মানসিকতা দেখে অভিভূত কবির মনে অদ্ভুত এক সমবেদনা জেগে ওঠে। নিজের ভব্যতা ও শালীনতাকে বাঁচাতে চাওয়া মানুষটির 'ছন্নছাড়া'দের প্রতি অন্য এক অনুভূতির প্রকাশ ঘটে।
উত্তর: বিশ শতকের কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা 'ছন্নছাড়া' কবিতায় 'গাছ' একটি প্রতীকে ব্যঞ্জনা পেয়েছে। প্রথমে গাছটিকে দেখে কবির মনে হয় 'রুক্ষ রুষ্ট রিক্ত জীর্ণ' লতাপাতাহীন এই গাছটি যেন গাছ নয়; গাছের কোনো 'প্রেতচ্ছায়া'।
এই গাছটির মধ্যে যেমন কোনো প্রাণের প্রবাহ নেই, বেঁচে থাকার রসদ নেই; ঠিক তেমনিই শহরের চারপাশে আশ্রয়হীন, চাকরিহীন, গৃহহীন যুবকদের একই অবস্থা। গাছটির মতো তারাও যেন জীবনের রস থেকে বঞ্চিত। কবি সেই বঞ্চনার ইতিবৃত্ত তুলে ধরতে বলেছেন-
'প্রেরণা-জাগানো প্রেম নেই
ওদের প্রতি সম্ভাষণে কারু দরদ নেই-'
কিন্তু এরা ভালোবাসা পেলে, একটুকরো মমতা পেলে কীভাবে জগতের কল্যাণের কাজ করতে পারে তার নমুনা দিয়েছেন কবি। তাই রাস্তার উপরে বেওয়ারিশ ভিখিরিকে দেখে যখন কারও মধ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না; ঠিক তখনই এই ছন্নছাড়া ছেলেরা মৃতপ্রায় মানুষের মধ্যে প্রাণ খোঁজে।
এই ঘটনার সূত্র ধরে কবি দেখেন এই মরা গাছটিতে সবুজের সমারোহ। তার গায়ে অসংখ্য সবুজ কচি পাতা, বুকে তার সুগন্ধ, ডালে তার রং-বেরঙের পাখি। অর্থাৎ গাছ এখানে হয়ে ওঠে প্রাণের প্রতীক।
এক মৃত্যুহীন মর্যাদা।'- 'প্রাণকে' কবির এমন অভিধায় অভিহিত করার সঙ্গত কারণ নিজের ভাষায় বিশ্লেষণ করো।
উত্তর: কল্লোল গোষ্ঠীর প্রতিবাদী কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা 'ছন্নছাড়া' কবিতায় কবি একটি গাছের প্রেতচ্ছায়ার চিত্রকে সামনে এনে একদল তরুণের একঘেয়েমি জীবনের চিত্র এঁকেছেন। এই তরুণদের ভালোবাসার কেউ নেই। এদের জন্যে কোনো প্রেম নেই। এরা ওই রুক্ষ গাছটির মতোই প্রাণহীন। ভদ্রসমাজ এদের উপেক্ষা করে। ট্যাক্সির ড্রাইভার এদের স্বভাব-চরিত্র নিয়ে বিদ্রূপ করে। ভদ্রলোকেরা এদের দেখলে পাশ কাটিয়ে যায়।
উত্তর: ওই সেই পথ যে পথ দিয়ে জরুরি দরকারে যাচ্ছিলাম ট্যাক্সি করে।
৪.২। দেখছেন না ছন্নছাড়া কটা বেকার ছোকরা রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছে? (যৌগিক বাক্যে)
উত্তর: দেখছেন না ছন্নছাড়া কটা বেকার ছোকরা রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে এবং আড্ডা দিচ্ছে?
উত্তর: ওদের পরিচয় দাও।
৪.৪। ঘেঁষবেন না ওদের কাছে। (ইতিবাচক বাক্যে)
উত্তর: ওদের থেকে দূরে থাকুন।
৪.৫। একটা স্ফুলিঙ্গ-হীন ভিজে বারুদের স্তূপ। (না সূচক বাক্যে)
উত্তর: একটা ভিজে বারুদের স্তূপ যেখানে কোনো স্ফুলিঙ্গ নেই।
৪.৬। জিজ্ঞেস করলুম, তোমাদের ট্যাক্সি লাগবে? (পরোক্ষ উক্তিতে)
উত্তর: তাদের ট্যাক্সি লাগবে কি না জিজ্ঞেস করলুম।
৪.৭। আমরা খালি ট্যাক্সি খুঁজছি। (জটিল বাক্যে)
উত্তর: আমরা
এমন একটা ট্যাক্সি খুঁজছি যেটা খালি।
৪.৮। দেখতে দেখতে গুচ্ছে গুচ্ছে উথলে উঠেছে ফুল। (ক্রিয়ার কাল নির্দেশ করো)
উত্তর: পুরাঘটিত বর্তমান।
👉Download Books PDF
👉Paid Answer (For Membership User)
Editing By:- Lipi Medhi