Chapter
18
১.
নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
হাওয়ার
গান
-----------------
১.১ বুদ্ধদেব বসু রচিত দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম লেখো।
উত্তর: কবি বুদ্ধদেব বসু প্রণীত দুটি কাব্যগ্রন্থ হল-
১.
বন্দির বন্দনা : ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দ।
২. কঙ্কাবতী : ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দ।
উত্তর: কবি বুদ্ধদেব বসু 'কবিতা' পত্রিকা সম্পাদনা করতেন।
উত্তর: রবীন্দ্র-পরবর্তী কবি বুদ্ধদেব বসুর 'হাওয়ার গান' কবিতায় হাওয়ার 'দুর্বার ইচ্ছা' হল নিজস্ব একটি বাসস্থান পাওয়া। এই দুর্বার ইচ্ছায় তারা বারংবার 'পৃথিবীর সব জল, সব তীর ছুঁয়ে' গিয়েছে।
উত্তর: কবি বুদ্ধদেব বসু প্রণীত 'হাওয়ার গান' কবিতায় কবি জানিয়েছেন, হাওয়াদের কোনো বাড়ি নেই। তাই 'তারা শুধু কেঁদে মরে বাইরে।' হাওয়া তার বাসস্থানের কথা জানার জন্যে জল-স্থল, নগর, বন্দর, অরণ্য, প্রান্তর, শূন্য তেপান্তর সর্বত্রই গিয়েছে। যদিও কেউ তার বাসস্থানের সন্ধান দিতে পারেনি।
উত্তর: কবি বুদ্ধদেব বসু 'হাওয়ার গান' কবিতায় মাস্তুলে দীপ জ্বলার প্রসঙ্গ এনেছেন। গভীর অন্ধকারের মধ্যে দিয়ে জাহাজকে দীর্ঘ পথ চলতে হয়। তাই মাস্তুলে দীপ জ্বালাতে হয়। না হলে অন্ধকারে পথ চলা অসম্ভব।
উত্তর: কবি বুদ্ধদেব বসুর 'হাওয়ার গান' কবিতায় পার্কের বেঞ্চিতে ঝরা পাতা এবং শার্সিতে কেঁপে ওঠা দেয়ালের পঞ্জরে হাওয়ার উপস্থিতির চিহ্ন রয়েছে।
উত্তর: কবি বুদ্ধদেব বসু প্রণীত 'হাওয়ার গান' কবিতায় স্থায়ী বাসস্থান না থাকার ব্যথায় হাওয়ার নিঃশ্বাস সারা দিন রাত বুক-চাপা কান্নায় উত্তাল ও অস্থিরভাবে বয়ে যায়।
উত্তর: একালের অন্যতম আধুনিক কবি বুদ্ধদেব বসু প্রণীত 'হাওয়ার গান' কবিতায় হাওয়ার ব্যথা-বেদনার মূল কারণ 'হাওয়াদের বাড়ি নেই।' অথচ তার চোখের সামনে শুধু অসংখ্য সুখি গৃহকোণের চিত্র। যেমন-
ক।। একটি সুন্দর শিশু নিরাপদে, নিশ্চিন্তে দোলনায় ঘুমিয়ে রয়েছে।
খ।। কার্পেটের উপরে শুয়ে রয়েছে তন্দ্রাচ্ছন্ন কুকুর।
গ।। ঘরে ঘরে মায়াবী আলো ছড়িয়ে জ্বলছে অন্ধকার দূর করা মোমবাতি।
পৃথিবীর সব প্রাণী দিনের শেষে আশ্রয়ে ফিরে আসে। প্রত্যেকের গৃহকোণে দেখা যায় সুখ-স্বপ্ন-স্বস্তির নানা চিহ্ন। কিন্তু হাওয়ার কোনো 'বাড়ি নেই, দেশ নেই, শেষ নেই'। অন্যের সুখি গৃহকোণের ছবি দেখে তাই হাওয়ার কষ্টের শেষ নেই।
উত্তর: রবীন্দ্র পরবর্তী যুগের আধুনিক কবি বুদ্ধদেব বসুর 'হাওয়ায় গান' কবিতায় দেখা যায় 'আঁধারে জাহাজ চলে'। জাহাজের মাস্তুলে দীপ জ্বলে। জাহাজের যাত্রীরা আমোদে-আহ্লাদে আপ্লুত থাকে। হাওয়ার চোখে ভাসে উদ্দীপনাময় নানা চিত্র। যেমন-
ক।। কেউ সিনেমা দেখে।
খ।। কেউ নাচ করে।
গ।। কেউ গান করে।
একসময় গান-বাজনা, আমোদ-আহ্লাদ থেমে যায়। ডেক নির্জন হয়। ক্লান্ত পৃথিবী ধীরে ধীরে তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়। তখনও হাওয়া বিশ্রাম নিয়ে পারে না কেননা, সমুদ্রের জাহাজে নানা সুখ-স্বপ্ন তাকে গৃহকোণ অনুসন্ধানের স্বপ্ন দেখায়।
উত্তর: বুদ্ধদেব বসু দেখেছেন 'হাওয়াদের বাড়ি নেই'। তাই 'তার শুধু কেঁদে মরে বাইরে'। বিরামহীন পথ চলায় হাওয়া পৃথিবীর সমস্ত স্থলভূমি, জলভূমি, নদী, সমুদ্রতীর, পাহাড়-পর্বত, বন্দর, নগর, অরণ্য, তেপান্তর সর্বত্র ঘুরে বেড়ায়। কিন্তু কোথাও সে ঘরের পথ দেখতে পায়নি। ঘুরে বেড়ানোই তার সার হয়েছে।
উত্তর: উত্তরের প্রথমাংশ: কবি বুদ্ধদেব বসু প্রণীত 'হাওয়ার গান' কবিতায়। দেখা যায় 'বুক-চাপা কান্না'য় হাওয়া জানিয়েছে, হাওয়াদের বাড়ি নেই।
উত্তরের দ্বিতীয়াংশঃ স্থায়ী একটি বাসস্থান খোঁজার জন্যে হাওয়া। বিশ্বময় ঘুরে বেড়ায়। সে অশান্ত, অস্থির এবং 'শুধু কেঁদে মরে বাইরে'।
হাওয়ারা পৃথিবীর সব জল, সব তীর, পাহাড়ের গম্ভীর বন্দর, নগরের ঘন ভিড়, অরণ্য, প্রান্তর, শূন্য তেপান্তর সর্বত্র ঘুরে বেড়ায়। তবে তার সে অনিকেত পথ চলা শেষপর্যন্ত ব্যর্থ হয়।
উত্তর: উত্তরের প্রথমাংশ: কবি বুদ্ধদেব বসুর 'হাওয়ার গান' কবিতায় কবি জানিয়েছেন, হাওয়া চিরকাল 'উত্তাল' থাকে। উত্তরের দ্বিতীয়াংশ: হাওয়া চেয়েছে, তার স্থায়ী বাসস্থান হোক।
বাসভূমির স্বপ্নে সে বিশ্বময় দৌড়ে বেড়ায়। অনিকেত তার পথ চলা। কোথাও তার স্থিতি নেই। সে অস্থির, অশান্ত। মেঘের মতো দৌড়ে বেড়ানোই তার কাজ। স্থায়ী বাসার জন্যে জল-স্থল, বন-জঙ্গল, শহর-নগর সে ঘুরে বেড়ায়। অবিরাম উন্মাদের মতো সে নিরন্তর পথ চলতে থাকে। কিন্তু কোথাও তার বাসস্থান-মেলে না। তাই সে চিরকাল উত্তাল হয়ে বয়ে চলে।
উত্তর: কবি বুদ্ধদেব বসুর 'হাওয়ার গান' কবিতায় হাওয়াকে কোনো জড়বস্তু হিসেবে কবি দেখেননি। সাধারণ মানুষের মতো হাওয়ার মধ্যে রয়েছে না পাওয়ার বেদনা। কবিতার শুরুতেই কবি নেতিবাচক একটি চিত্র তুলে ধরেছেন-
হাওয়াদের বাড়ি নেই, হাওয়াদের বাড়ি নেই, নেই রে। তারা শুধু কেঁদে মরে বাইরে।
জগতে সর্বত্র সুখের শিহরণ। কিন্তু হাওয়ার মন বিষণ্ণ। কেননা, তার বুকে সবসময় চাপা কান্না। তার চোখে পড়ে গৃহী মানুষের সুখের নানা চালচিত্র। যেমন-
ক।। একটি শিশু নিরাপদ ও নিশ্চিন্তে দোলনায় ঘুমিয়ে থাকে।
খ। কার্পেটে অঘোরে ঘুমায় ক্লান্ত কুকুর।
গ। ঘরে ঘরে আলো দেয় স্বপ্নের মোমবাতি।
ঘ। জাহাজের যাত্রীরা আনন্দে উল্লাসে 'কেহ নাচে, গান গায়।'
কিন্তু হাওয়ার যন্ত্রণা একটাই- 'নেই, নেই, দেখা নেই, নেই রে'। অন্যেরা যখন সুখের গান করে হাওয়ার বুকে তখন অন্তহীন কান্না। তার গান আসলে ব্যথিত মনের যন্ত্রণার প্রতিধ্বনি। এদিক থেকে 'হাওয়ার গান' কবিতাটির নামকরণ কবিতাটির মূল বিষয়ের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। এই নামকরণ বিষয় অনুসারে সার্থক ও শিল্পমণ্ডিত হয়েছে।
উত্তর: ক্রিয়া- জ্বলে যায় ঘরে ঘরে- অধিকরণ কারক মোম- কর্মকারক
উত্তর: ক্রিয়া- চলে জাহাজ- কর্তৃকারক আঁধার- অধিকরণ কারক
উত্তর: ক্রিয়া- কেঁপে ওঠে পঞ্জর- কর্তৃকারক শার্সিতে- অধিকরণ কারক
উত্তর: ক্রিয়া- ফেটে পড়ে অন্ধকারে- অধিকরণ কারক গর্জন- কর্তৃকারক
👉Download Books PDF
👉Paid Answer (For Membership User)