Chapter
19
কী
করে বুঝব
--------------------
Short Question Answer
1.আশাপূর্ণা দেবীর লেখা দুটি উপন্যাসের নাম লেখো।
উত্তর: একালের প্রতিষ্ঠিত সুলেখিকা আশাপূর্ণা দেবীর লেখা দুটি উপন্যাস হল- ১. প্রথম প্রতিশ্রুতি ২.সুবর্ণলতা
উত্তর: আশাপূর্ণা দেবী তাঁর সাহিত্যকৃতির জন্য রবীন্দ্র পুরস্কার, সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার, লীলা পুরস্কার, জ্ঞানপীঠ পুরস্কার, একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি. লিট এবং নানা সরকারি খেতাবে ভূষিত হয়েছেন।
3.বুকু কোথায় বসে খেলা করছিল?
উত্তর: আশাপূর্ণা দেবীর 'কী করে বুঝব' গল্পে ছ'বছরের বালক বুকু বাড়ির বাইরের রোয়াকে বসে খেলা করছিল।
4.রিকশা থেকে কারা নামলেন?
উত্তর: একালের প্রখ্যাত লেখিকা আশাপূর্ণা দেবীর 'কী করে বুঝব' গল্পে রিকশা থেকে দুটি বেজায় মোটাসোটা ভদ্রমহিলা আর বুকুর বয়সেরই এক ছেলে নেমেছিল।
5.ডাম্বল আলমারি ভেঙে কার বই নামিয়েছিল?
উত্তর: আশাপূর্ণা দেবীর 'কী করে বুঝব' গল্পে ডাম্বল আলমারি ভেঙে বুকুর সেজোকাকার বই নামিয়েছিল।
6.বুকুর মা-র কী কেনা ছিল?
উত্তর: আশাপূর্ণা দেবীর লেখা 'কী করে বুঝব' গল্পে বুকুর মা-র সিনেমার টিকিট কেনা ছিল।
7.বুকু আর বুকুর সেজো খুড়িমা অতিথিদের জন্যে কী কী খাবার নিয়ে আসে?
উত্তর: আশাপূর্ণা দেবীর লেখা 'কী করে বুঝব' গল্পে বুকু আর বুকুর সেজো খুড়িমা অতিথিদের জন্যে চা, শিঙাড়া, নিমকি, বড়ো বড়ো রাজভোগ, ভালো ভালো সন্দেশ নিয়ে আসেন।
8.বুকু কোন্ স্কুলে ভরতি হয়েছিল?
উত্তর: আশাপূর্ণা দেবীর লেখা 'কী করে বুঝব' গল্পে বুকু 'আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'-এ ভরতি হয়েছিল।
Long Question Answer
1.বুকু খেলতে খেলতে তাকিয়ে অবাক হয়ে যায় কেন?
উত্তর: আশাপূর্ণা দেবীর 'কী করে বুঝব' গল্পে বুকু বাড়ির বাইরে রোয়াকে বসে খেলতে খেলতে দেখতে পেল একটা রিকশাগাড়ি তাদের বাড়ির সামনে এসে থামল। আর রিকশা থেকে দুটি বেজায় মোটাসোটা ভদ্রমহিলা আর তারই বয়সি কিন্তু মোটাসোটা একটি ছেলে নামল। রিকশাগাড়ির সামান্য পরিসরের মধ্যে কীভাবে এরা তিনজন বসেছিলেন- এটা ভেবে বুকু অবাক হয়ে যায়।
2.'সিঁড়ি ভেঙে আর উঠতে পারব না বাবা'- কারা এ কথা বলেছেন ? তাঁরা সিঁড়ি ভেঙে উঠতে পারবেন না কেন?
উত্তর: উত্তরের প্রথমাংশ: একালের কালজয়ী লেখিকা আশাপূর্ণা দেবীর 'কী করে বুঝব' গল্পে সুদূর উত্তরপাড়া থেকে ভবানীপুরের নির্মলাদেবীর বাড়িতে এসেছিলেন ছেনুমাসি ও বেনুমাসি। উদ্ধৃত উক্তিটি করা হয়েছিল বুকুকে উদ্দেশ্য করে।
উত্তরের দ্বিতীয়াংশ: বুকু কথা প্রসঙ্গে জানিয়েছে তার মা তিনতলার ছাতে, রান্নাঘরে রয়েছেন। ছেনুমাসি ও বেনুমাসি বাড়ি থেকে বেরিয়ে দুই তিন বার বাস বদল করে, অবশেষে রিকশায় চেপে বুকুদের বাড়িতে এসেছেন। ফলে এখন আর তিনতলা পর্যন্ত সিঁড়ি ভেঙে ওঠা সম্ভব নয়। তাঁরা হাঁফিয়ে উঠেছেন।
3.'ওকী!কান্ড করেছ তুমি'-কে, কী কাণ্ড করেছে?
উত্তর: একালের প্রখ্যাত লেখিকা আশাপূর্ণা দেবীর 'কী করে বুঝব' গল্পে বুকু তার সমবয়সি ডাম্বলকে উদ্দেশ্য করে এই কথা বলেছিল। ডাম্বল আলমারি ভেঙে বুকুর সেজোকাকার বই নামিয়েছিল। এটাকেই অস্বাভাবিক কাণ্ড বলে মনে হয়েছিল বুকুর। অত্যন্ত অশান্ত প্রকৃতির ডাম্বল উত্তরপাড়া থেকে ভবানীপুরে বুকুদের বাড়িতে বেড়াতে এসে দস্যিপনা শুরু করেছিল। সে বুকুর সেজো কাকার সাজানো-গোছানো সুন্দর বইয়ের সারি থেকে ইচ্ছেমতো বই মাটিতে ফেলে জানিয়েছিল 'দূর ছাই, ছবি নেই।' ডাম্বলের সেই কান্ড কারখানা দেখে উদ্ধৃত উক্তিটি করেছিল বুকু।
4.বুকু অবাক হয়ে ফ্যালফেলিয়ে মায়ের মুখের দিকে তাকিয়েছিল কেন?
উত্তর: একালের প্রখ্যাত লেখিকা আশাপূর্ণা দেবীর 'কী করে বুঝব' গল্পে বুকু তিনতলায় গিয়ে বাড়িতে অতিথি আসার খবর দিলে তার মা খুব বিরক্ত হয়ে ওঠেন। কেননা অসময়ে বাড়িতে অতিথি আসুক এটা তিনি মনে প্রাণে চাননি। অথচ বুকুর মা নির্মলাদেবী অতিথির সামনে এসে দিব্যি হাসি মুখে বলেন-
5.'ছেলের কথা শুনেই বুকুর মা-র মাথায় বজ্রাঘাত'- ছেলের কথা শুনে বুকুর মা-র মাথায় বজ্রাঘাত হল কেন?
উত্তর: একালের জনপ্রিয় লেখিকা আশাপূর্ণা দেবীর লেখা 'কী করে বুঝব' গল্পে বুকুর মুখে বাড়িতে অতিথি আসার কথা শুনে বুকুর মায়ের মাথা গরম হয়ে যায়। তাই তিনি রাগের মাথায় দু-চারটে খারাপ কথা বলে ফেলেন। অথচ ছেনুমাসি, বেনুমাসি ও দুরন্ত ডাম্বলকে বুকুর মা সাদর অভ্যর্থনা জানান। বুকু অবশ্য হঠাৎ আসা অতিথিদের সামনে তার মায়ের অসন্তোষের কথা ব্যক্ত করে। সবার মাঝে এভাবে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দেওয়ায় বুকুর মা-র মাথায় যেন বিনা মেঘে বজ্রপাত হয়।
6.ডাম্বলকে ইস্কুলে ভরতি করা হয়নি কেন?
উত্তর: মরমী কথাকার আশাপূর্ণা দেবীর 'কী করে বুঝব' গল্পে ডাম্বলকে স্কুলে ভরতি করা হয়নি কারণ তার বাবা ছিল ভয়ানক কৃপণ। তাঁর এই সাত বছরের ছেলের জন্য তিনি বছরে স্কুলের মাইনে সাত টাকা দিতে পারবেন না। তাই ছেলে পড়াশুনার বদলে চাষবাস করে খাক এটাই তিনি চান। ডাম্বলের বাবার বক্তব্য ছিল- ক)'পড়ে দরকার নেই'। খ)'চাষবাস করে খাবে'। অর্থাৎ অত্যন্ত কৃপণ পিতা পুত্রের পড়াশুনো বিষয়ে সম্পূর্ণ উদাসীন ছিলেন।
7.'কে জানে পাগলা-টাগলা হয়ে যাবে নাকি'-কার সম্পর্কে এই মন্তব্য করা হয়েছে? এমন সন্দেহের কারণ কী?
উত্তর: উত্তরের প্রথমাংশ: একালের জনপ্রিয় লেখিকা আশাপূর্ণা দেবীর 'কী করে বুঝব' গল্পে নির্মলাদেবী তাঁর সন্তান বুকুর সম্পর্কে এমন মন্তব্য করেছেন।
8.'দুজনে মিলে চেঁচান, 'বল, বল কেন ওসব বললি?' -বুকু কেন ওসব বলেছিল?
উত্তর: সুখ্যাত লেখিকা আশাপূর্ণা দেবীর 'কী করে বুঝব' গল্পে বুকু একটি সরল সাদাসিধে নিষ্পাপ ছেলে। ফুলের মতোই তার পবিত্র মন। সে তার মায়ের কাছে শিখেছে যে সবসময় সত্যি কথা বলতে হয়, কোনো কথা গোপন করতে নেই। তাই আড়ালে তার বাবা-মা হঠাৎ আসা অতিথিদের সম্পর্কে যে সব কথা বলেছিলেন, সেসব কথা সে সবার সামনে বলে ফেলেছিল। ফলে একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল।নিতান্তই বিরক্ত হয়ে বেনুমাসি, ছেনুমাসি আর ডাম্বল তাদের বাড়ি থেকে চলে গেলে বুকুর মা রণমূর্তি ধারণ করেন। আশাপূর্ণা দেবী লিখেছেন- ওঁরা বেরোবার সঙ্গে সঙ্গেই বুকুর মা রণচণ্ডী মূর্তি নিয়ে শুরু করেন ছেলে ঠ্যাঙাতে। বুকুর ভূতুড়ে বুদ্ধির কথা শুনে বুকুর বাবাও প্রহারে লেগে যান। দুজনেই চিৎকার করে জানতে চান কেন সে তাদের সামনে ওসব কথা বলেছে। অসহায় বুকু আসলে সৎ, সরল ও স্পষ্টবাদী। তাই সে বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যে কথা বলতে সে শেখেনি। স্বাভাবিক সারল্যে যে কথাগুলি বলেছে তা হিতে বিপরীত হওয়ায় বাবা-মা এমন প্রহার করেছেন।
9.গল্পে বুকুর আচরণ তাঁর মাকে অতিথিদের সামনে অস্বস্তিতে ফেলেছিল। বুকুর এই আচরণ কি তুমি সমর্থন করো? বুকু কেন অমন আচরণ অতিথিদের সামনে করেছিল?
উত্তর: উত্তরের প্রথমাংশ: সংবেদনশীল লেখিকা আশাপূর্ণা দেবীর 'কী করে বুঝব' গল্পে বুকুর আচরণ ওর মাকে চরম সংকটে ফেলেছিল। ওর এমন আচরণ করা উচিত হয়নি বলে আমার মনে হয়।
উত্তরের দ্বিতীয়াংশ: কাজের সময় বাড়িতে আত্মীয়স্বজন এলে আমরা অনেক সময় মনে মনে একটু বিরক্ত হই। আর আড়ালে-আবডালে কখনো-কখনো সেই অস্বস্তির কথা প্রকাশও করে ফেলি।
কিন্তু বাড়িতে অতিথি এলে তাদের আপ্যায়ন করা আমাদের অবশ্য পালনীয় কর্তব্য। বুকু নেহাতই একটি বাচ্চা ছেলে। তাই তার মনটাও অত্যন্ত সরল। তাই সে যা শুনেছে তা-ই সবার কাছে বলে দিয়েছে। কিন্তু এটা যে অতিথির সামনে বলা উচিত নয়, এই বোধ তার মধ্যে এখনও জন্মায়নি। বুকু দেখেছে ডাম্বল ছেলে হিসেবে মোটেই ভালো নয়। অথচ বুকুর মা দিব্যি জানিয়েছে 'আর কি সুন্দর দেখতে হয়েছে!' বুকু এ ধরনের মিথ্যা স্তুতিকে পছন্দ করেনি। তাই সে জানিয়েছে 'যেমন হাতির মতো চেহারা তোমা তেমনই হাতির মতো বুদ্ধি'। আগন্তুক অতিথিদের সম্পর্কে বুকুর এই মন্তব্য ঠিক হয়নি। অতিথিদের সম্পর্কে তার মায়ের প্রতিক্রিয়াগুলি সে ক্রমাগত বলে গিয়েছে। সত্যকে প্রকাশ করা ভালো, কিন্তু পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুসারে তা প্রকাশ করা উচিত। বুকু সত্য কথা এমন অনাবৃতভাবে প্রকাশ করেছিল যা হিতে বিপরীত হয়েছে। আসলে তার এমন আচরণের কারণ, তার মা তাকে শিখিয়েছিল- ক)'সবসময়ে সত্যি কথা বলবি'।
খ)'কারো কাছে কিছু লুকোবি না'। মায়ের এই কথা রাখতে এমন আচরণ অতিথিদের সামনে সে করেছিল।
10.'কী করে বুঝব, আসলে কী করতে হবে'- গল্পে বুকু এই কথা বলেছিল। -আসলে কী করা উচিত বলে তোমার মনে হয়?
উত্তর: বুকু হল আশাপূর্ণা দেবী রচিত 'কী করে বুঝব' গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র। মাতৃ আদেশ শিরোধার্য করেছিল সে। যে কারণে মিথ্যা কথা বলতে চায়নি। বুকুর মায়ের পরিচিত মাসিরা অসময়ে বাড়িতে এলে বিরক্ত হয় বুকুর মা। বুকু তার মায়ের মানসিক অস্বস্তির কথা অতিথিদের সামনে ব্যক্ত করে। সেই সত্য এতটাই অনাবৃত ছিল যে, ছেনুমাসিরা বাধ্য হন গৃহত্যাগ করতে। ওঁরা চলে যেতেই বুকুর মা রণচণ্ডী মূর্তি ধারণ করেন। ছেলেকে প্রহার করতে থাকেন। জানতে চান- বল শয়তান ছেলে, কেন ওরকম কথা বললি?
11.গল্পে দুটি ছোটো ছেলের কথা পড়লে-বুকু আর ডাম্বল। দুজনের প্রকৃতিগত মিল বা অমিল নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তর: আশাপূর্ণা দেবী দুটি বালকের কথা বলেছেন 'কী করে বুঝব' গল্পে। এই বালক দুটি হল- বুকু ও ডাম্বেল। এদের বয়স প্রায় কাছাকাছি। এদের দুজনের মধ্যে মিল হল- ১.দুজনে মুখে যা এসেছে বলেছে।
২.দু'জনেই অতি বাস্তববাদী হতে গিয়ে পরিবারের মান-সম্মান ভুলুণ্ঠিত করেছে।
৩.সত্যবাদী হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় তারা বড়োদের মুখের বুলি উচ্চারণ করেছে। অবশ্য আশাপূর্ণা বুকু ও ডাম্বলের মধ্যে অমিলের জায়গাটিও রেখেছেন। বুকু অনেক বেশি ভদ্র ও সহনশীল। উভয় চরিত্রের তুলনামূলক আলোচনায় বলা যায়-
১.বুকু ডাম্বলের তুলনায় বোদ্ধা।
২।বুকু পড়াশোনায় মনোযোগী ছাত্র। সে আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কৃতি ছাত্র। অন্যদিকে ডাম্বল অমনোযোগী শিক্ষার্থী।
৩.পাঠ্যাভ্যাস ডাম্বলের মধ্যে নেই। তাই সে জানায়- 'এঃ, ভারি তো বই! হতচ্ছাড়া বই! ছবি নেই।'
12.গল্পটি পড়ে বুকুর প্রতি তোমার সমানুভূতির কথা ব্যক্ত করে একটি অনুচ্ছেদ রচনা করো।
উত্তর: আশাপূর্ণা দেবী দেখিয়েছেন সব সময় সমস্ত সত্যিকে প্রকাশ করতে নেই। উপরন্তু তিনি দেখাতে চেয়েছেন, মানুষ ভিতরে-বাইরে দু'রকম কথা বলেন। অর্থাৎ মুখ ও মুখোশ এক নয়। বুকুর মা চেয়েছিলেন, তার ছেলে হবে সত্যবাদী ও ন্যায়নিষ্ঠ। কিন্তু দেখা গেল বুকু সত্যবাদী হয়েও শারীরিক ও মানসিক লাঞ্ছনার শিকার হয়েছে। সে অতিথিদের সামনে একের পর এক সত্যকে সঠিকভাবে উন্মোচন করেছে। এর ফলে ছেনুমাসিরা অপমানিত হয়েছেন। ওঁরা চলে গেলে তার মা ঠিক কী মনে করতে পারেন; সেই বিষয়টিও তার মনে এসেছে- ছেলেটা কী অসভ্য হ্যাংলা- মাসিরা কী অহংকারী- এসে
👉Online MCQs Test
👉Download Books PDF
👉Paid Answer (For Membership User)