Chapter --24

গড়াই নদীর তীরে

--------------------

    

Short Question Answer

1.কবি জসীমউদ্দীন কোন অভিধায় অভিহিত?

উত্তর: কবি জসীমউদ্দীন 'পল্লিকবি' অভিধায় অভিহিত।

2.তাঁর লেখা দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম লেখো।

উত্তর: তাঁর লেখা দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম হল 'নকশীকাঁথার মাঠ' ও 'রাখালি'।

3.কবিতায় বর্ণিত নদীটির নাম কী?

উত্তর: কবিতায় বর্ণিত নদীটির নাম 'গড়াই।'

4.মাচানের পরে কী আছে?

উত্তর: মাচানের পরে সিমলতা আর লাউ-কুমড়ার ঝাড় আছে।

5. মানুষের বসত করার কথা এখানে কারা বোঝেনি?

উত্তর: বনের পাখিরা মানুষের বসত করার কথা বোঝেনি।

6.উঠানেতে কী কী শুকাচ্ছে?

উত্তর: উঠানেতে মটরের ডাল, মসুরের ডাল, কালোজিরা, ধনে, লংকা, মরিচ রোদে শুকাচ্ছে।

7.বাড়িটিকে ভালোবেসে কারা বেড়াতে এলে কিছুক্ষণ থেমে রয়?

উত্তর: সাঁঝ-সকালের রঙিন মেঘেরা বাড়িকে ভালোবেসে বেড়াতে এলে কিছুক্ষণ থেমে রয়।

8. 'কুটীরখানিরে লতাপাতা ফুল মায়ায় রয়েছে ঘিরে'- এখানে কুটিরটিকে লতাপাতা-ফুলের মায়া দিয়ে ঘিরে রাখা বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?

উত্তর: পল্লিকবি জসীমউদ্দিন যে কুটিরটিকে কবিতায় বর্ণিত করেছেন, সেটির চারিপাশে দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন লতাপাতা, ফুলের গাছ, যার আবরণে কুটিরটির সৌন্দর্য যেন আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। কবির রঙিন তুলির আঁচড়ে গ্রামবাংলার একটি নৈসর্গিক চিত্র এখানে উদ্ভাসিত হয়েছে।

9.'যেন একখানি সুখের কাহিনি নানান আখরে ভরি'- 'আখরা শব্দটির অর্থ কী? সুখের কাহিনির যে নানা ছবি কবি এঁকেছেন তার মধ্যে কোনটি তোমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে এবং কেন?

উত্তর: 'আখর' শব্দটির অর্থ হল অক্ষর। সুখের কাহিনির যে নানা ছবি কবি এঁকেছেন তার মধ্যে রোদে শুকোতে দেয়া লংকা, মসুর, মটর, জিরে ও ধনের আলপনার চিত্রটা আমার সবচেয়ে বেশি সৌন্দর্যমন্ডিত বলে মনে হয়েছে।

10.কুটিরখানিরে লতাপাতা ফুল মায়ায় রয়েছে ঘিরে। 

উত্তর: বর্তমান কাল (সাধারণ)।

11.উঠোনের কোণে বুনো ফুলগুলি হেসে হয় কুটি কুটি। 

উত্তর: বর্তমান কাল (সাধারণ)।

12.লংকা-মরিচ রোদে শুকাইছে উঠোনেতে সযতনে।

উত্তর: বর্তমান কাল (ঘটমান)।

13.জিরা ও ধনের রঙের পাশেতে আলপনা আঁকা কার!

উত্তর: বর্তমান কাল (সাধারণ)।

14.কিছুখন যেন থামিয়া রয়েছে এ বাড়িরে ভালোবেসে। 

উত্তর: বর্তমান কাল (পুরাঘটিত)।

15.লাল শাড়িখানি রোদে দিয়ে গেছে এ বাড়ির বধূ কেউ। (জটিল বাক্যে)

উত্তর: লাল শাড়িখানিকে রোদে দিয়ে গেছে যে, সে এ বাড়িরই কোনো বধূ।

16. ডাহুক মেয়েরা বেড়াইতে আসে গানে গানে কথা কয়ে। (চলিত গদ্যে)

উত্তর: ডাহুক মেয়েরা গানে গানে কথা বলে বেড়াতে আসে।

17.গাছের শাখায় বনের পাখিরা নির্ভয়ে গান ধরে। (না-সূচক বাক্যে)

উত্তর: গাছের শাখায় বনের পাখিরা গান ধরতে ভয় পায় না।

18. এখনো তাহারা বোঝেনি হেথায় মানুষ বসত করে। (যৌগিক বাক্যে)

উত্তর: হেথায় মানুষ বসত করে কিন্তু এখনও তাহারা বোঝেনি।

19. গড়াই নদীর তীরে।

উত্তর: অধিকরণ কারক, 'এ' বিভক্তি। বিশ্লেষণ: স্থান অর্থে অধিকরণ কারক হয়েছে।

20.উঠানের কোণে বুনো ফুলগুলি হেসে হয় কুটি কুটি।

উত্তর: কর্তৃকারক, 'গুলি' নির্দেশক। বিশ্লেষণ: বাক্যের মূল কর্তা হল এখানে প্রধান। তাই এখানে কর্তৃকারক হয়েছে।

21.গাছের শাখায় বনের পাখিরা নির্ভয়ে গান ধরে।

উত্তর: কর্মকারক, 'শূন্য' বিভক্তি।

বিশ্লেষণ : এই বাক্যে 'গান' হলো কর্ম। তাই কর্মকারক হয়েছে। 

ক্রিয়ার কাছে 'কি' দিয়ে প্রশ্ন করলে কর্ম কারক হয়।

22.যেন একখানি সুখের কাহিনি নানান আখরে ভরি।

উত্তর : করণকারক, 'এ' বিভক্তি।

বিশ্লেষণ: ক্রিয়ার কাছে দ্বারা/দিয়ে/কর্তৃক-এই তিনটি অনুসর্গের যে-কোনো একটা দিয়ে প্রশ্ন করলে করণকারক হয়।

23.সাঁঝ-সকালের রঙিন মেঘেরা এখানে বেড়াতে এসে।

উত্তর : কর্তৃকারক, 'এরা' বিভক্তি।'

বিশ্লেষণ: 'রঙিন মেঘেরা' হল এখানে কর্তা বা বাক্যের মূল অংশ। তাই এখানে কর্তৃকারক হয়েছে।

24. নীচের শব্দগুলির মধ্যে কোনটি কোন শ্রেণির বিশেষ্য তা নির্দেশ করো:

মানুষ- জাতিবাচক বিশেষ্য।

ফুলগুলি- বস্তুবাচক বিশেষ্য।

আনন্দ- ভাববাচক বিশেষ্য।

আলপনা- ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য।

25. নীচের শব্দগুলির মধ্যে কোনটি কোন্‌ শ্রেণির সর্বনাম তা নির্দেশ করো:

যার- অনির্দেশক সর্বনাম।

তাহারা- ব্যক্তিবাচক সর্বনাম।

কেউ- অনির্দেশক সর্বনাম।

তার- ব্যক্তিবাচক সর্বনাম।

26. এঁদে, লাল, বুনো, রঙিন-বিশেষণগুলির সাহায্যে নতুন শব্দ৷ তৈরি করো।

এঁদে- এঁদো গলি

বাক্য : এই এঁদো গলি দিয়ে পথ চলা যায় না।

লাল- লাল ঝুঁটি

বাক্য : লাল ঝুঁটি কাকাতোয়া টিনের চালে বসে আছে।

বুনো- বুনো ওল

বাক্য : বুনো ওল খেয়ে গলার অবস্থা খারাপ।

রঙিন- রঙিন জামা

বাক্য : রঙিন জামা পড়ে ভদ্রলোেক সামনে দাঁড়ালেন।


👉Online MCQs Test

 👉Download Books PDF

👉Paid Answer (For Membership User)

EDITING BY--Liza Mahanta