CHAPTER--34

 পরাজয়

---------------

    👉Online MCQs Test

    👉Download Books PDF

    👉Paid Answer (For Membership User)


Short Question Answer

1. শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম বইয়ের নাম লেখো।

উত্তর: শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম বইয়ের নাম হলো 'ফেরারি'।

2. "এত দুঃখ এত ব্যথা সে কখনও পায়নি।"-এখানে কার দুঃখ-বেদনার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: উদ্ধৃত প্রশ্নে অত্যন্ত কৃতি ফুটবলার রঞ্জন সরকারের দুঃখ-বেদনার কথা বলা হয়েছে।

3. "রঞ্জনদা তুমি কাল ক্লাবে যাওনি?"-এই প্রশ্নের উত্তরে রঞ্জন কী বলেছিল?

উত্তর: এই প্রশ্নের উত্তরে অত্যন্ত ব্যথিত হয়ে রঞ্জন বলেছিল যে, সে ক্লাবের বার পুজোয় যেতে পারেনি। কারণ, আগের দিন সকালেই তাকে কলকাতার বাইরে যেতে হয়েছিল।

4.গঙ্গার পাড়ে গিয়ে কোন্ দৃশ্য রঞ্জনের চোখে ভেসে উঠল?

উত্তর: ব্যথিত মন নিয়ে গঙ্গার পারে গিয়ে রঞ্জন দেখেছিল-জলের ছোটো ছোটো ঢেউ, দূরে নোঙর করা কয়েকটা ছোটো-বড়ো জাহাজ, অনেকগুলো নৌকা, ফেরি-স্টিমার রয়েছে।

4."সিদ্ধান্তটা নেওয়ার পর রঞ্জনের মন অনেকটা শান্ত হলো।"-এখানে রঞ্জনের কোন্ সিদ্ধান্তের কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: রঞ্জন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ক্লাব থেকে কোনো ডাক না এলে দু-দিন অপেক্ষার পর সে নিজেকে প্রমাণ করতে বিপক্ষ দলে যোগদান করবে। 

5. "রঞ্জনের দলবদল করার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে টনক নড়েছিল ক্লাবকর্তাদের।"- কীভাবে ক্লাবকর্তাদের যে টনক নড়েছে তা বোঝা গেল?

উত্তর: ক্লাব কর্তারা রঞ্জনের ক্লাব বদলের খবর পেয়ে রঞ্জনকে ফোন করতে থাকেন। শুধু তাই নয়, কনিষ্ঠ সহখেলোয়াড়দের মাধ্যমে রঞ্জনের মত পরিবর্তনের জন্যে অনুরোধ করেন।

6. "ব্যাপারটা কী হলো বুঝতে একটু সময় লাগল সমর্থকদের।" -এখানে কোন্ ব্যাপারটার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে রঞ্জন সরকারের ব্যাকভলিতে করা গোলের বিষয়টি বুঝতে একটু সময় লেগেছিল দর্শকদের।

7. "দুহাতে মুখ ঢেকেশুয়ে পড়ল একটা বেঞ্চিতে।”- স্ট্রাইকার রঞ্জন সরকারের এমনভাবে শুয়ে পড়ার কারণ কী?

উত্তর: নিজের প্রিয় ক্লাব ছেড়ে অন্য ক্লাবে যোগদানের জন্যে রঞ্জনের যে কষ্ট হয়েছিল, তা অন্যদের কাছ থেকে আড়াল করার জন্যে দু-হাতে মুখ ঢেকে যন্ত্রণাকাতর এই মানুষটি বেঞ্চিতে শুয়ে পড়েছিল।

8."ঠিক এক বছর আগের ঘটনা।"-একবছর আগে কোন্ ঘটনা ঘটেছিল?

উত্তর: 'ঠিক এক বছর আগের ঘটনা' বলতে ক্লাবের সম্পাদক ও কোচ কীভাবে দল গঠন করবে সেই আলোচনা করার কথা বলা হয়েছে। তাঁরা একবছর আগেও জানতে চেয়েছিলেন, দলে কারা কারা থাকবে। অর্থাৎ স্পষ্টই রঞ্জন সরকার উপলব্ধি করতে পারে, একবছর আগেও তাকে ক্লাব কতখানি গুরুত্ব দিত।

9. "রঞ্জন সারাটি দিন আর বাড়ি থেকে বোরোয়নি।" - কোন্ দিনের কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: এখানে পয়লা বৈশাখের কথা বলা হয়েছে। দীর্ঘ পনেরো বছর ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত ছিল রঞ্জন সরকার। ক্লাবের স্বার্থে নিজের সর্বস্ব উৎসর্গ করেছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় এবার বারপুজোর দিনে ক্লাব তাকে নিমন্ত্রণটুকুও করেনি। তাই অত্যন্ত আহত হয়ে রঞ্জন সারাদিন বাড়ি থেকে বেরোয়নি।

10. "রঞ্জন নামগুলো পড়ার চেষ্টা করে।"-রঞ্জন কোন্ নামগুলি পড়ার চেষ্টা করে?

উত্তর: অফিস থেকে গঙ্গার ধারে এসে গঙ্গার ঢেউয়ে ভাসতে থাকা কয়েকটি ছোটো বড়ো জাহাজ দেখতে পায় রঞ্জন সরকার। সেই জাহাজের নামগুলোই সে পড়ার চেষ্টা করে।

11. "রঞ্জন টেলিফোনটা রেখে দিলো।"- কোন্ কথা শুনে রঞ্জন টেলিফোনটা রেখে দিলো?

উত্তর: রঞ্জন ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর অন্য বড়ো ক্লাবের সেক্রেটারি স্বপনদা রঞ্জনকে ফোন করে জানান, তিনি আধ ঘণ্টার মধ্যে রঞ্জনের বাড়িতে পৌঁছে যাবেন। এই কথা শুনে রঞ্জন টেলিফোনটা রেখে দেয়।

12. "সত্যি ওরা তোমার সঙ্গে উচিত কাজ করেনি!"- কোন্ অনুচিত কাজের প্রতি নির্দেশ করা হয়েছে?

উত্তর: ক্লাব কর্তৃপক্ষ পয়লা বৈশাখের বারপুজোয় রঞ্জনকে মৌখিকভাবে কোনোকিছুই জানায়নি। তাকে রীতিমতো অবহেলা ও অবজ্ঞা করেছে। ক্লাব কর্তৃপক্ষের এই ব্যবহারকে স্বপনদা অনুচিত কর্ম বলে চিহ্নিত করেছেন।

13. "মন স্থির করে ফেলেছে তো?"-উদ্দিষ্টব্যক্তি কোন্ বিষয়ে মনস্থির করে ফেলেছে?

উত্তর: অনেক কিছু পাওয়ার সম্ভাবনা সত্ত্বেও রঞ্জন সরকার কখনো ক্লাব ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাবতেও পারেনি। কিন্তু ক্লাব কর্তৃপক্ষ তার সঙ্গে ইদানীং এমন ব্যবহার করতে থাকে যে, তারা যেন তাকে চেনেই না। ব্যথিত রঞ্জন স্বপনবাবুদের ক্লাবে যোগদেওয়ার সিদ্ধান্ত জানালে স্বপনবাবু তার কাছে জানতে চান রঞ্জন মনস্থির করে এই কথাগুলি বলছে, কি না।

14."আপনি সব ব্যবস্থা করুন।"- কোন্ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে?

উত্তর: রঞ্জন যাতে তার পুরোনো ভালোবাসার ক্লাব ছেড়ে নতুন ক্লাবে যোগদিতে পারে, সেই ব্যবস্থা করতে বলেছে স্বপনবাবুকে। অপমানিত রঞ্জন আর কোনো ভাবেই নিজের ক্লাবে থাকতে চায় না।

15. "রাগে ফুঁসছিল রঞ্জন।"-তার এই রাগের কারণ কী?

উত্তর: 'পরাজয়' গল্পে দেখা যায় ক্লাবের জন্যে আত্মসমর্পিত রঞ্জন তার সর্বস্ব বিসর্জন দিলেও একটা সময়ে ক্লাব তাকে বোঝেনি। ক্লাবের বার পুজোতে তাকে কোনোভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। সকালে খবরের কাগজে চোখ রেখে সে দেখতে চেয়েছিল, ক্লাবের এই মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানে কারা উপস্থিত ছিলেন। তখনই রঞ্জন ক্ষোভে-কষ্টে-রাগে ফুঁসছিল।

16. "এত দুঃখ, এত ব্যথা সে কোথাও পায়নি।"-এই দুঃখ-যন্ত্রণার দিনে কীভাবে অতীতের সুন্দর দিনগুলির কথা রঞ্জনের মনে এসেছে?

উত্তর: দুঃখ কষ্টের দিনে রঞ্জনের অতীতের দিনগুলির কথা মনে পড়ছিল। প্রতিবছর বার পুজোর সময় তার কাছে ফোন আসত। ফোন করতেন ক্লাবের প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারি ও পদস্থ সদস্যরা। ভোরবেলাতেই তার বাড়ির সামনে গাড়ি এসে দাঁড়াতো তাকে মাঠে নিয়ে যাওয়ার জন্যে। রঞ্জন গাড়ি এলেই মাঠের দিকে রওনা হতো। এভাবে অতীতের সেই মধুর দিনগুলি তার মনে পড়েছিল।



Paid Answer Link (Membership User)

EDITING BY--Liza Mahanta