Chapter--36
টিকিটের
অ্যালবাম
---------------------------
👉Download Books PDF
👉Paid Answer (For Membership User)
১. সুন্দর রামস্বামী কোন্ ভাষার লেখক?
উত্তর: সুন্দর রামস্বামী তামিল ভাষার লেখক।
২. তিনি কোন্ ছদ্ম নামে লিখতেন?
উত্তর: সুন্দর রামস্বামী 'পদুবিয়া' ছদ্মনামে লিখতেন।
৩. 'টিকিটের অ্যালবাম' গল্পের লেখক কে?
উত্তর: 'টিকিটের অ্যালবাম' গল্পের লেখক হলেন-সুন্দর রামস্বামী।
৪. মূল গল্পটি কোন্ ভাষায় রচিত?
উত্তর: টিকিটের অ্যালবাম তামিল ভাষায় রচিত।
৫. গল্পটিতে মোট কটি চরিত্রের দেখা পাওয়া যায়?
উত্তর: টিকিটের অ্যালবাম গল্পে সর্বমোট ৯টি চরিত্র রয়েছে। এরা হলো-রাজাপ্পা, নাগরাজন, কৃষ্ণান, কামাক্ষী, আপ্পু, রাজাপ্পার মা, নাগরাজনের বাবা, কাকা এবং পার্বতী।
৬. মেয়েদের পক্ষ থেকে কে নাগরাজনের থেকে অ্যালবামটি চেয়ে নিয়ে যেত?
উত্তর: মেয়েদের পক্ষ থেকে পার্বতী নাগরাজনের কাছ থেকে অ্যালবামটি চেয়ে নিয়ে যেত।
৭. রাজাপ্পা কীভাবে তার অমূল্য ডাকটিকিটগুলি সংগ্রহ করত?
উত্তর: রাজাপ্পা অনেক খোঁজ-খবর নিয়ে অত্যন্ত কষ্টস্বীকার করে তার অমূল্য ডাকটিকিটগুলি সংগ্রহ করত।
৮. নাগরাজনের অ্যালবামটি তাকে কে উপহার দিয়েছিলেন?
উত্তর: নাগরাজনের অ্যালবামটি তার কাকা উপহার দিয়েছিলেন।
৯. সেই অ্যালবামের প্রথম পাতায় কী লেখা ছিল?
উত্তর: নাগরাজনের অ্যালবামের প্রথম পাতায় লেখা ছিল তার নাম-এস নাগরাজন। তার নীচে লেখা ছিল-এই অ্যালবামটা চুরি করতে চেষ্টা করছ যে নির্লজ্জ হতভাগা, তাকে বলছি-ওপরে আমার নামটা দেখেছ? এটা আমার অ্যালবাম। এটা আমার এবং যতদিন ঘাসের রং সবুজ আর পদ্মফুল লাল, সূর্য পূর্বে উঠবে আর পশ্চিমে অস্ত যাবে একমাত্র আমারই থাকবে।
২. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
১. নাগরাজনের অ্যালবামের প্রতি সকলে আকৃষ্ট হয়ে পড়ল কেন?
উত্তর: নাগরাজনের অ্যালবামটি সিঙ্গাপুর থেকে আনা। এই অ্যালবামটি অত্যন্ত সুন্দর। তাছাড়া এটি যথেষ্ট বড়ো। স্থানীয় কোনো দোকানে এমন অপূর্ব সুন্দর অ্যালবাম পাওয়া যাবে না। তাই নাগরাজনের অ্যালবামের প্রতি সকলে আকৃষ্ট হয়ে পড়েছিল।
২. 'কেটে পড় হিংসুটে পোকা।'-বক্তা কে? কাকে সে এমন কথা বলেছে? তুমি কি এই কথার মধ্যে কোনো যুক্তি খুঁজে পাও?
উত্তর: বক্তা: কাকে বলেছে যৌক্তিকতা বিচার এখানে বক্তা হলো কুয়ান।
রাজাপ্পাকে উদ্দেশ্য করে একথা বলেছে। রাজাপ্পা অ্যালবাম বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন। সে চাইত তার অ্যালবাম সম্পর্কে সবাই ভালো কিছু মন্তব্য করুক। সিঙ্গাপুর থেকে নাগরাজনের কাকার পাঠানো অ্যালবামটি ক্লাসের ছেলেমেয়েদের খুব পছন্দ হয়েছিল। এর ফলে নাগরাজনের মনে প্রতিহিংসার আগুন জমেছিল। রাজাপ্পার সেই আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে হিংসুটে পোকা বলেছিল কৃয়ান। কৃয়ানের এই বক্তব্যটি অযৌক্তিক নয়।
উত্তর: কার উপলব্ধি: এই উপলব্ধিটি হলো রাজাপ্পার। তর্কের প্রসঙ্গ ক্লাসের ছেলেদের মধ্যে কার ডাকটিকিটের অ্যালবামটি সর্বাধিক সুন্দর-নাগরাজনের না রাজাপ্পার?-তা নিয়ে তর্কের প্রসঙ্গ উঠেছিল।
লাভ না থাকার কারণ: রাজাপ্পার অ্যালবামটি নিশ্চয় খুব সুন্দর। কিন্তু নাগরাজনের অ্যালবামটি বেশ বড়ো এবং ছবিগুলোও চমৎকার। ফলে রাজাপ্পার অ্যালবাম সম্পর্কে ছেলেমেয়েদের আগের মতো আর উৎসাহ থাকে না। এতে ক্ষুণ্ণ হয় রাজাপ্পা। কৃয়ান রাজাপ্পাকে জানায় তার অ্যালবামটি এখন ডাস্টবিনে রাখার যোগ্য। কৃষ্ণানের বক্তব্যকে অন্য সহপাঠীরা সমর্থন করলে রাজাপ্পার মনে হয়, তাদের সঙ্গে তর্ক করে কোনো লাভ নেই।
১. 'হঠাৎ যেন ওর জনপ্রিয়তা কমে গেছে'- কার এমন মনে হয়েছে? এই 'জনপ্রিয়তা' হঠাৎ কমে যাওয়ার কারণ কী?
উত্তর: উদ্দিষ্ট ব্যক্তি: এখানে ডাকটিকিটের সংগ্রাহক রাজাপ্পার এমনটি মনে হয়েছে।
'জনপ্রিয়তা' কমে আসার কারণ: এতদিন রাজাপ্পার অ্যালবাম নিয়ে প্রত্যেকে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিল। কিন্তু সহসা নাগরাজনের অ্যালবাম দেখে সবাই অবাক হয়। এমন অ্যালবাম সচরাচর চোখে মেলে না। ফলে সেই অ্যালবামের প্রতি সবাই দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। তাছাড়া নাগরাজন নিজে এই অ্যালবামটি উৎসাহের সঙ্গে বন্ধুদের দেখাত। ক্লাসের অন্যতম সহপাঠিনী পার্বতী নিজে সেই অ্যালবামটি চেয়ে নিয়ে দেখেছিল। ফলে একটা সময় দেখা যায় রাজাপ্পার অ্যালবামটি আর কেউ দেখছে না। সুতরাং বিগত দিনের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, রাজাপ্পার জনপ্রিয়তা হঠাৎ কমে গিয়েছিল।
উত্তর: এমন আচরণের কারণ অ্যালবাম নিয়ে রাজাপ্পার মনে যথেষ্ট অহংকার ছিল। তার মনে হয়েছিল এমন অ্যালবাম আর কারও নেই। কিন্তু নাগরাজনের অ্যালবামটি দেখার পর সবাই সেই অ্যালবামের | প্রশংসা করতে শুরু করে। ক্লাসের সহপাঠী কৃয়ান ঠাট্টা করে জানায় রাজাপ্পার অ্যালবামটা এখন ডাস্টবিনে রাখার যোগ্য। তার কথার সমর্থন জানিয়ে ক্লাসের বন্ধুরা সমস্বরে চিৎকার জানায়, অ্যালবামটি সত্যিই বাজে-"বাজে অ্যালবাম!" ফলে রাজাপ্পার মন খারাপ হয়ে যায়। সে স্পষ্টই অনুভব করে তার অ্যালবাম সম্পর্কে কেউ কোনো উৎসাহ দেখায় না।
এই প্রসঙ্গে স্মরণীয় যে, নাগরাজনের ব্যবহার ছিল অত্যন্ত মধুর। সে প্রত্যেককে অ্যালবাম ডেকে ডেকে দেখাত। বন্ধুরা মুগ্ধ হয়ে সেই ছবিগুলি দেখত। ফলে তাদের আর নতুন করে রাজাপ্পার কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হতো না। তাই কেউ রাজাপ্পাকে পাত্তাই দিত না।
উত্তর: নাগরাজন তার কাকার কাছ থেকে একটি অপূর্ব সুন্দর অ্যালবাম উপহার পেয়েছিল। সেই অ্যালবামটি সে ক্লাসের প্রত্যেক ছেলেমেয়েকে ডেকে দেখাত। এমনকি সন্ধ্যেবেলায় তার বাড়িতে গিয়ে বন্ধুরা অ্যালবামটি দেখত। নাগরাজন এতে কোনো রাগ বা অসন্তোষ প্রকাশ করত না। পরম যত্নে অ্যালবামটি সে রাখত। স্কুলের সহপাঠিনী পার্বতী নিজেও এই অ্যালবামটি বাড়িতে নিয়ে দেখে পুনরায় নাগরাজনকে ফিরিয়ে দিত। এভাবে স্কুলের ছেলেমেয়েদের নাগরাজন নিজের অ্যালবামটি দেখাত।
উত্তর: সুন্দর রামস্বামী প্রণীত 'টিকিটের অ্যালবাম' গল্পের মূল বিষয় হলো অপূর্ব সুন্দর ডাকটিকিট সংগ্রহ করার ইচ্ছা। রাজাপ্পা যেভাবে ডাকটিকিট সংগ্রহ করত, তার সেই আগ্রহের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে মৌমাছির মধু সংগ্রহের সঙ্গে।
বহু দূর দূরান্তে গিয়ে রাজাপ্পা ডাকটিকিট সংগ্রহ করত। বিকালে স্কুলে থেকে ফিরে এসেই বইপত্র বাড়িতে রেখে বেড়িয়ে পড়ত অনেক দূরে। এমনও হয়েছে প্রায় চার মাইল দূরে থাকা একটি ছেলের কাছে সে পৌঁছে গিয়েছিল কানাডার ডাকটিকিট সংগ্রহ করার ইচ্ছাতে।
উত্তর: অ্যালবামটির বিশেষত্ব প্রখ্যাত ভারতীয় লেখক সুন্দর রামস্বামী প্রণীত 'টিকিটের অ্যালবাম' নামাঙ্কিত গল্পে রাজাপ্পার চোরা দৃষ্টির কথা বলা হয়েছে।
সিঙ্গাপুর থেকে যে অ্যালবামটি নাগরাজনের কাকা নাগরাজনকে দিয়েছিল সেই অ্যালবামটি ছিল অত্যন্ত সুন্দর। ক্লাসের সমস্ত ছেলেমেয়ে সেই অ্যালবাম দেখার জন্যে বিপুল উৎসাহে একত্রিত হতো। রাজাপ্পার অ্যালাবামটি কেউ দেখত না। ফলে রাগে ও ঈর্ষায় সে চোরা দৃষ্টিতে অ্যালবামটি দেখার চেষ্টা করত। কোনো স্থানীয় দোকানে এমন সুন্দর অ্যালবাম পাওয়া সম্ভব নয়। রাজাপ্পার মনে হয়েছিল, এই অ্যালবামটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। অর্থাৎ, অ্যালবামটি একেবারেই স্বতন্ত্র। তার চোরা দৃষ্টিতে অ্যালবামের অপূর্ব সৌন্দর্য ধরা পড়েছে।
৬. নাগরাজনের প্রতি রাজাপ্পা কীভাবে ক্রমশ ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়েছিল?
উত্তর: 'টিকিটের অ্যালবাম' গল্পে সুন্দর রামস্বামী দুই বন্ধুর অ্যালবামকে কেন্দ্র করে পারস্পরিক ঈর্ষার দিকটি দেখাতে চেয়েছেন। নাগরাজনের অ্যালবাম অপূর্ব সুন্দর। সেই অ্যালবামের সঙ্গে কোনোমতেই রাজাপ্পার অ্যালবামের তুলনা চলে না। সবাই যখন নাগরাজনের অ্যালবামের প্রশংসা করে, তখন মনে মনে ঈর্ষা প্রকাশ করে রাজাপ্পা। রাজাপ্পার মনোভাবকে ব্যাখ্যা করে কৃষ্ণান তাকে হিংসুটে পোকা বলে চিহ্নিত করেছে। তার অ্যালবামটি যে মোটেই নাগরাজনের অ্যালবামের সঙ্গে তুলনীয় হতে পারে না-এই বিষয়টি রাজাপ্পা নিজেও উপলব্ধি করেছে। একসময় তার মনে হয়েছে নাগরাজনের অপূর্ব অ্যালবামটির সঙ্গে তার অ্যালবামটি যেন ছেঁড়া ন্যাকড়ার মতো বেমানান।
৭. 'সন্ধ্যাবেলা রাজাপ্পা নাগরাজনের বাড়ি গেল।'- কোন্ উদ্দেশ্য নিয়ে রাজাপ্পা নাগরাজনের বাড়িতে গিয়েছিল? এর মধ্যে দিয়ে তার চরিত্রের কোন্ দিকটি ধরা পড়ে?
উত্তর: রাজাপ্পার উদ্দেশ্য রাজাপ্পা যখন দেখেছিল তার অ্যালবামের তুলনায় অনেক সুন্দর অ্যালবাম নাগরাজনের কাছে আছে তখন সে মনে মনে ঈর্ষা প্রকাশ করেছিল। সেই ঈর্ষার কারণে সে পৌঁছে গিয়েছিল নাগরাজনের বাড়ি। তার মূল উদ্দেশ্য ছিল অ্যালবামটি তার কাছে নিয়ে আসা।
চারিত্রিক দিক রাজাপ্পা যে মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে, তার মধ্যে মানবিকতা বোধ নেই। বরং তার মধ্যে রয়েছে হিংসা ও পরশ্রীকাতরতা। সে অন্যের জিনিস দেখে মনে মনে ঈর্ষান্বিত হয়েছে। এই কারণে সে সহজ-সরল ও অপূর্ব সুন্দর ব্যবহারের অধিকারী নাগরাজনের অ্যালবামটি চুরি করেছে। এর মধ্যে দিয়ে তার শঠতা, হিংসা, দ্বেষ ও মানবিক মূল্যবোধহীন, অবিবেচক দৃষ্টিভঙ্গীটি প্রকাশিত হয়।
৮. 'রাজাপ্পার চোখ জলে ভরে গেল।'- কোন্ পরিস্থিতিতে রাজাপ্পার চোখ জলে ভরে উঠল?
উত্তর: কোন্ পরিস্থিতি রাজাপ্পা অবশেষে তীব্র হিংসার বসে নাগরাজনের অ্যালবামটি আগুনে পুড়িয়ে দেয়। সৌন্দর্যের এই ধ্বংস দেখে তার মনে গভীর এক অনুশোচনাবোধ তৈরি হয়। সেই পরিস্থিতিতে রাজাপ্পার চোখ জলে ভরে ওঠে।
ক্লাসের সমস্ত ছেলেমেয়ে নাগরাজনের অ্যালবামের প্রতি মুগ্ধ হলে রাজাপ্পা মনে মনে অভিমান করে। সেই অভিমান একসময় বিদ্বেষে পরিণত হয়। সে যে-কোনোভাবে নাগরাজনের অ্যালবামটি দেখার চেষ্টা করে। একসময় তার বাড়ি গিয়ে অ্যালবামটি চুরি করে আনে। কিন্তু চুরি করার পরে অদ্ভুত এক সমস্যা তার মনের মধ্যে তৈরি হয়। সে কোনোভাবে রাতে ঘুমাতে পারে না। তার মধ্যে অস্থিরতা দেখা যায়। ফালে সে বাধ্য হয়ে অ্যালবামটি পুড়িয়ে দেয়।
যখন নাগরাজন রাজাপ্পার সামনে দাঁড়িয়ে মনের কষ্ট প্রকাশ করে, তখন সহপাঠীর সেই ব্যথা-বেদনাবোধ রাজাপ্পাকে পীড়িত করে। অপূর্ব ও মূল্যবান অ্যালবামটি নষ্ট করার কারণে এক তীব্র অনুশোচনাবোধ থেকে রাজাপ্পার চোখ জলে ভরে ওঠে।
উত্তর: হতবুদ্ধি হয়ে পড়ার কারণ সুন্দর রামস্বামী প্রণীত 'টিকিটের অ্যালবাম' গল্পটি আসলে অ্যামবামকে কেন্দ্র করে সহপাঠীদের মধ্যে যে উত্তেজনা-উৎসাহ-আগ্রহ দেখা যেত, তার অপূর্ব শিল্পরূপ। এই গল্পের মূল চরিত্র দুটি। রাজাপ্পা ও নাগরাজন দুই সহপাঠী। রাজাপ্পা যে অ্যালবামটি সবাইকে দেখাত, সেই অ্যালবামের থেকে অনেক সুন্দর হলো নাগরাজনের অ্যামবামটি। একটা সময় দেখা যায়, সেই অ্যালবামের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে প্রত্যেকে নাগরাজনের অ্যালবামটি দেখতে থাকে। ঈর্ষাপরায়ণ রাজাপ্পা তখন নাগরাজনের বাড়ি থেকে অ্যালবামটি চুরি করে আনে।
একসময় মানসিকভাবে ভীতিগ্রস্ত হয়ে নাগরাজনের সেই মূল্যবান অ্যালবামটি অগ্নিদগ্ধ করে। নাগরাজন যখন রাজাপ্পার বাড়িতে এসে ভাঙা গলায় জানায়, "আমার টিকিটের অ্যালবাম হারিয়ে গেছে”, তখন প্রাথমিক কথা বলার পর ক্রন্দনরত নাগরাজনকে স্বান্তনা দিয়ে বলে-"কাঁদিস না।” নাগরাজন যখন রাজাপ্পার বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে, তখন রাজাপ্পা নিজের অ্যালবামটি নাগরাজনকে দেওয়ার কথা বলে। এই কথা শুনে নাগরাজন হতবুদ্ধি হয়ে যায়।
উত্তর: উদ্ধৃতিটির যথার্থতা বিচার: ভারতীয় কথাসাহিত্যের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একজন লেখক হলেন সুন্দর রামস্বামী। তাঁর 'টিকিটের অ্যালবাম' গল্পের প্রধান দুটি চরিত্র হলো-রাজাপ্পা ও নাগরাজন। রাজাপ্পার অ্যালবাম অপেক্ষা যখন নাগরাজনের অ্যালবামটি নিয়ে সবাই মুগ্ধ হয়, তখন রাজাপ্পা মনে মনে ঈর্ষান্বিত হয়। সে ঈর্ষার বশে নাগরাজনের বাড়িতে পৌঁছে যায় এবং তার অ্যালবামটি চুরি করে আনে।
একসময় মূল্যবান এই অ্যালবামটি সে অগ্নিদগ্ধ করে। অত্যন্ত বিষণ্ণ মন নিয়ে নাগরাজন রাজাপ্পার বাড়িতে উপস্থিত হয়। রাজাপ্পা যতই ক্রন্দনরত নাগরাজনকে স্বান্তনা দেয়, ততই নাগরাজন কাঁদতে থাকে। রাজাপ্পার বাড়ি থেকে যখন সে বেরিয়ে যায়, তখন রাজাপ্পা নিজের অ্যালবামটি দেওয়ার কথা বলে।
আসলে রাজাপ্পার মনের মধ্যে ছিল তীব্র অনুশোচনাবোধ। সেই অনুশোচনাবোধ থেকে তার আত্মশুদ্ধি ঘটে। অর্থাৎ তার মনের মধ্যে গভীর এক পরিবর্তন দেখা যায়।
উত্তর: পাঠ্য বইয়ে দেওয়া ডাকটিকিটের ছবিগুলি দেখে নেবে এবং তার সঙ্গে নিজের সংগৃহীত অন্যান্য ছবি একত্রিত করে নিজেরা একটি সুন্দর অ্যালবাম তৈরি করে নেবে।
Paid Answer Link (Membership User)