Chapter-37
👉Online MCQs Test
👉Download Books PDF
👉Paid Answer (For Membership User)
লোকটা জানলই না
------------------------------
👉Download Books PDF
👉Paid Answer (For Membership User)
১. কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম কি?
উত্তর: কবি মুখোপাধ্যায় প্রণীত প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম হলো- 'পদাতিক' (১৯৪০)।
২. তাঁর লেখা দুটি গদ্যগ্রন্থের নাম লেখো।
উত্তর: কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় প্রণীত দুটি গদ্যগ্রন্থ হলো-
১. কাঁচা পাকা
২. ঢোল গোবিন্দের আত্মদর্শন
১. 'বাঁদিকে বুক পকেটটা সামলাতে সামলাতে...'- এখানে 'বাঁদিকের বুক পকেট' বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: আলোচ্য অংশে 'বাঁদিকের বুক পকেট' বলতে টাকা-পয়সার কথা বোঝানো হয়েছে।
২. 'ইহকাল পরকাল'-এই শব্দদ্বয় এখানে কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
উত্তর: 'ইহকাল পরকাল' এই শব্দদ্বয় এখানে লৌকিক জগৎ ও পরলৌকিক জগৎ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
৩. কবিতায় লোকটির দু-আঙুলের ফাঁক দিয়ে কী খসে পড়ল?
উত্তর: কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, 'লোকটা জানলই না' কবিতায় লোকটার দু-আঙুলের ফাঁক দিয়ে কখন খসে পড়ল তার জীবন।
৪. 'আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ' আসলে কী? তাকে এরকম বলার কারণ বুঝিয়ে দাও?
উত্তর: উত্তরের প্রথমাংশ: 'আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ' রূপকথার বিচিত্র জগৎকে মনে করিয়ে দেয়। এখানে অবশ্য এই কথার মাধ্যমে হৃদয়ের সুখ-আনন্দ-শান্তিকেই বোঝানো হয়েছে।
উত্তরের দ্বিতীয়াংশ: তাকে এরকম বলার কারণ, লোকটা জানলই না শুধু অর্থ-প্রাচুর্য সন্ধানেই জীবনের আনন্দ নেই। সে শুধুমাত্র বাঁ দিকের বুক-পকেটটা সামলাতে সামলাতে ইহকাল-পরকাল নষ্ট করেছে। নিজের হৃদয়কে সে বুঝতে পারেনি।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির কয়েকটি বাক্যে উত্তর লেখো:
১. 'লোকটা জানলই না' পঙ্ক্তিটি দুবার কবিতায় আছে। একই পঙ্ক্তিটি একাধিকবার ব্যবহারের কারণ কী?
উত্তর: কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় একটি মানুষের অকালে নিঃশেষিত হওয়ার সংবাদ জ্ঞাপন করে জানিয়েছেন, লোকটা জীবনের প্রকৃত অর্থ, বেঁচে থাকার সার্থকতা- এসব কিছুই জানল না। ফলে 'তার কড়িগাছে কড়ি হলো' ঠিকই কিন্তু হৃদয়ের কোনো খবর সে পেল না। এই কথাটুকু অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বোঝানোর জন্যে 'লোকটা জানলই না' পঙ্ক্তিটি একাধিকবার ব্যবহৃত হয়েছে।
২. কবি 'হায়-হায়' কোন্ প্রসঙ্গে বলেছেন? কেন বলেছেন?
উত্তর: প্রসঙ্গ: কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় 'লোকটা জানলই না' কবিতায় সেই মানুষটির কথা বলেছেন, যে বাঁ দিকের বুক-পটেকটা সামলাতে সামলাতে হৃদয়ের কথা শোনেনি। সেই প্রসঙ্গে অত্যন্ত আক্ষেপ থেকে 'হায়-হায়' কথাটি উচ্চারণ করেছেন।
উত্তটির কারণ: নাম-গোত্রহীন লোকটা শুধু অর্থ চিন্তা করতে গিয়ে জীবনের সহজ আনন্দকে নষ্ট করে ফেলেছে। বন্ধু-বান্ধব, স্বজন-পরিজনহীন জীবন অতিবাহিত করে সে শুধুমাত্র অর্থ সংগ্রহের বাসনায় জীবনের সমস্ত আনন্দকেই বিসর্জন দিয়েছে। তাই কবি 'হায়-হায়' এই বিস্ময়বোধক পদ ব্যবহার করেছেন।
উত্তর: নামকরণের নেপথ্যে লেখকের নিজস্ব বোধ-মেধা-যুক্তি কাজ করে। 'লোকটা জানলই না' কবিতার নামকরণ হতে পারত 'হৃদয়'। কেননা, আলোচ্য কবিতার মানুষটি কারও হৃদয় পায়নি। ফলে সে শুধু নিরানন্দময় জীবন অতিবাহিত করেছে। আলোচ্য কবিতার নাম অনুরূপে 'আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ' হতে পারতো। কেননা, কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় হৃদয়কে তুলনা করেছেন আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপের সঙ্গে।
কিন্তু কবি সচেতনভাবেই তাকে বিশ্বময় ব্যাপ্ত আনন্দ থেকে বঞ্চিত থাকতে দেখেছেন। তাই বাইরের জগৎ এমনকি তার অন্তর্জগৎও শূন্য হতে দেখেছেন। এজন্যে কবি আলোচ্য যে নামকরণ করেছেন, কবির অভিপ্রায় অনুসারে তা যথার্থ।
উত্তর : 'অথচ' শব্দটিকে ব্যাকরণের ভাষায় বলা হয় সংশয়বাচক অব্যয়।
কবিতায় এই 'অথচ' শব্দটির প্রয়োগ হয়েছে একটি লোকের জীবন-পরিণাম নির্দেশ করতে। লোকটা সুখ-স্বস্তি-শান্তি পেতে পারত; অথচ তা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এজন্যে 'অথচ' শব্দের প্রয়োগ হয়েছে।
Paid Answer Link (Membership User)