Chapter 5
------------------
১. নীচের প্রশ্নগুলি কয়েকটি বাক্যে উত্তর দাও :
১. বনভোজনের উদ্যোগ কাদের মধ্যে দেখা গিয়েছিল?
উত্তর: বনভোজনের উদ্যোগ দেখা গিয়েছিল টেনিদা, হাবুল, প্যালা
এবং ক্যাবলা-এই চারজনের মধ্যে।
২. বনভোজনের জায়গা কোথায় ঠিক হয়েছিল?
উত্তর: শ্যামবাজার থেকে মার্টিনের রেলে চেপে বাগুইআটি
ছাড়িয়ে আরও চারটে স্টেশন পর পায়ে হেঁটে প্রায় মাইলখানেক গেলে ক্যাবলার মামার বাড়ি।
সেখানে বনভোজনের জায়গা ঠিক হয়েছিল।
৩. বনভোজনের জায়গায় কীভাবে যাওয়া যাবে?
উত্তর: শ্যামবাজার থেকে মার্টিনের
রেলে চেপে বাগুইআটি ছাড়িয়ে আরও চারটে স্টেশন পর নামতে হবে। তারপর পায়ে হেঁটে প্রায়
মাইলখানেক গেলে ক্যাবলার মামার বাড়িতে বনভোজনের জায়গায় যাওয়া যাবে।
৪. রাজহাঁসের ডিম আনার দায়িত্ব কে নিয়েছিল?
উত্তর: রাজহাঁসের ডিম আনার দায়িত্ব নিয়েছিল গল্পের কথক প্যালা।
৫. বনভোজনের বেশিরভাগ সামগ্রী কারা সাবাড় করেছিল?
উত্তর: নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় বিরচিত 'বনভোজনের
ব্যাপার' গল্পে বনভোজনের বেশিরভাগ সামগ্রী সাবাড় করেছিল বানরের দল।
২. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত ও যথাযথ উত্তর দাও:
১. বনভোজনের প্রথম তালিকায় কী কী খাদ্যের উল্লেখ ছিল? তা বাতিল হল কেন?
উত্তর: প্রথমাংশ: নারায়ণ
গঙ্গোপাধ্যায় বিরচিত 'বনভোজনের ব্যাপার' গল্পে বনভোজনের প্রথম তালিকায় বিরিয়ানি পোলাও, কোর্মা, কোপ্তা, কাবাব
(দু-রকম), মাছের চপ-এর উল্লেখ ছিল।
দ্বিতীয়াংশঃ অর্থাভাবের
কারণে তালিকাটি বাতিল হয়। কেননা,
বনভোজনের সেই রসনাবুচিকর খাবারের জন্য দুশো
টাকার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু চাঁদা উঠেছিল দশটাকা ছ-আনা। এই সামান্য অর্থে রাজকীয়
বনভোজন অসম্ভব ছিল।
২. বনভোজনের দ্বিতীয় তালিকায় কী কী খাদ্যের উল্লেখ ছিল এবং কে কী কাজের
দায়িত্ব নিয়েছিল?
উত্তর: প্রথমাংশ: বিখ্যাত
ছোটোগল্পকার এবং ঔপন্যাসিক নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের 'বনভোজনের ব্যাপার' গল্পে
বনভোজনের দ্বিতীয় তালিকায় ছিল খিচুড়ি, আলুভাজা, পোনামাছের কালিয়া, আমের
আচার, রসগোল্লা এবং লেডিকেনি।
দ্বিতীয়াংশ: প্যালা রাজহাঁসের ডিম আনবে এবং পোনা মাছের কালিয়া বানাবে।
ক্যাবলা আলু ভাজবে, হাবুল দিদিমার ঘর থেকে হাত সাফাই করে আমের আচার আনবে এবং
রসগোল্লা ও লেডিকেনি দোকান থেকে ধারে ম্যানেজ করতে হবে। যদিও শেষপর্যন্ত এসব
আয়োজনের কোনোটাই বনভোজনের আয়োজকরা খেতে পায়নি।
৩. প্যালার রাজহাঁসের ডিম আনার ঘটনাটির বর্ণনা দাও।
উত্তর: প্যালা রাজহাঁসের ডিম সংগ্রহের জন্য ভন্টাদের
বাড়িতে যায়। কাঠের বাক্সে রাজহাঁসের সার সার খুপরিগুলি বিশ্রী ময়লা ও ততোধিক
দুর্গন্ধে প্যালার অবস্থা শোচনীয় হয়ে ওঠে। এসব সহ্য করেও ডিমের লোভে যেই সে
খুপরিতে হাত বাড়ায় অমনি একটি রাজহাঁস তার হাতে মোক্ষম এক কামড় বসায়। শেষে রক্তান্ত
অবস্থায় দৌড়ে সে প্রাণ বাঁচায়। শেষে গাঁটের পয়সা খরচ করে গোটা কয়েক মাদ্রাজি ডিম
কিনে ব্যাপারটি ম্যানেজ করতে হয়।
৪. ট্রেন থেকে নেমে হাঁটতে গিয়ে তাদের কী কী বিপদ ঘটেছিল?
উত্তর: নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের 'বনভোজনের ব্যাপার' গল্পে
দেখি ট্রেন থেকে নেমে হাঁটতে গিয়ে স্লিপ খেয়ে হাবুল, প্যালা, এবং
টেনিদা উলটে পড়ে যায়। যার ফলে প্যালার কষ্টার্জিত ডিম, হাবুলের
হাত সাফাই করা দিদিমার আমের আচার এবং ধারে 'ম্যানেজ' করা রসগোল্লার অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া ঘটে।
৫. 'মাছের কালিয়ার তিনটি বেজে গেল'- মাছের কালিয়া সম্পর্কে এরকম
বলার কারণ কী?'
উত্তর: পোনামাছের কালিয়া রাঁধার কথা ছিল প্যালার।
অনভিজ্ঞতার • কারণে কাঁচা তেলে মাছ দিয়ে ফেলায় মাছগুলি তালগোল পাকিয়ে হালুয়ার মতো
হয়ে যায়। যার ফলে ক্যাবলা আদালতের পেয়াদার মতো ঘোষণা করে 'মাছের
কালিয়ার তিনটে বেজে গেল।' অর্থাৎ মাছের - কালিয়া খাওয়ার আশাটুকু বাস্তবায়িত হয়নি।