Chapter 6
১. নীচের
প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর একটি বাক্যে লেখো:
নিখিল-বলা-কবিতা-সংঘ
---------------------
১.১ 'বড়ো মিস বিশ্বাসের ক্লাস'- বড়ো মিস কী পড়াতেন?
উত্তর: নলিনী দাশ রচিত 'নিখিল-বলা-কবিতা-সংঘ' নামাঙ্কিত গদ্যে বড়ো মিস ক্লাসে পড়াতেন সংস্কৃত ব্যাকরণ।
১.২ 'এমন চমকে গিয়েছিলাম'-চমকে যাওয়ার কারণ কী ছিল?
উত্তর: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' নামাঙ্কিত গদ্যে দেখা যায় ছুটির ঘণ্টার আগে ডেস্কের তলা দিয়ে একখানা দলা পাকানো কাগজ কথকের হাতে পৌঁছায়। হঠাৎ করে এমন কাগজ দেখে তিনি চমকে গিয়েছিলেন।
উত্তর: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' নামাঙ্কিত গদ্যে এখানে 'লু' বলতে মালুর কথা বলা হয়েছে।
১.৪ স্কুলে ভরতি হবার দিন কয়েক বাদে মালু কোথায় গিয়েছিল?
উত্তর: স্কুলে ভরতি হবার দিন কয়েক বাদে মালু তার মাসির বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিল।
উত্তর: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' নামাঙ্কিত গদ্যে দেখা যায়, মাসির বাড়ি থেকে মালু পদ্যে কালুকে একটি চিঠি লিখেছিল।
উত্তর: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' নামাঙ্কিত গদ্যে উদ্ধৃত এই উক্তিটি করেছিল মালু।
১.৭ কার কবি খ্যাতি সারা স্কুলে ছড়িয়ে পড়েছিল?
উত্তর: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' নামাঙ্কিত গদ্যে দেখা যায় মালুর কবিখ্যাতি সারা স্কুলে ছড়িয়ে পড়েছিল।
উত্তর: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' নামাঙ্কিত গদ্যে লেখিকা তাঁদের ক্লাসে উনিশজন মেয়ের কথা বলেছেন।
উত্তর: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' নামাঙ্কিত গদ্যে উনিশটি মেয়েকে নিয়ে মালু যে কবিতা লিখেছিল, তার নাম হল- 'ঊনবিংশতি-রত্ন-কথা'।
১.১০ 'নটি রত্নের গুণে ভরে ছিল জানি'- কোথায় নটি
রত্ন ছিল?
উত্তর: রাজা বিক্রমাদিত্যের রাজসভায় নটি রত্ন ছিলেন। কালিদাস তাঁর মধ্যে অন্যতম।
উত্তর: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' নামাঙ্কিত গদ্য থেকে গৃহীত এই উক্তির বস্তা হল মালু।
উত্তর: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' নামাঙ্কিত গদ্যে দেখা যায় সকলের মনেই কবিত্ব জাগার কারণ হল বাদলা হাওয়া।
উত্তর: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' নামাঙ্কিত গদ্যে উদ্ধৃত কবিতাংশটি লিখেছে মালু।
উত্তর: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' নামাঙ্কিত গদ্যে মালু বারো মাস ক্লাসের পর ক্লাস করার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যে নিখিল-বঙ্গঙ্গ কবিতা সংঘ স্থাপন করতে চেয়ে লিখেছিল-
নিখিল বঙ্গ
কবিতা সংঘ
আমরা স্থাপন করি
উত্তর: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' নামাঙ্কিত গদ্যে বড়ো বড়ো হরফে লেখা ছিল- আমরা দুজন আছি দলে কাজল এবং বীণা বলে
উত্তর: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' নামাঙ্কিত গদ্যে এই কথাটি লিখেছে বুলু।
উত্তর: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' নামাঙ্কিত গদ্যে উদ্ধৃত অংশে যার লেখার কথা বলা হয়েছে, সে হল কালু।
উত্তর: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' নামাঙ্কিত গদ্যে উদ্ধৃত পঙক্তিটি লিখেছে কালু।
উত্তর: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' নামাঙ্কিত গদ্যে কালু সংস্কৃতের শিক্ষিকা মিস বিশ্বাসের কাছে একটা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছিল।
১.২০ 'মানে আমরা চার বন্ধু' -এই চার
বন্ধু কারা?
উত্তর: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' নামাঙ্কিত গদ্যে চার বন্ধু হল- ১. মালু, ২. কালু ৩. বুলু, ৪. টুলু।
উত্তর: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' নামাঙ্কিত গদ্যে 'গণ্ডালু-দলের' সভাপতি হয়েছিল কালু।
উত্তর: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' নামাঙ্কিত গদ্যে 'গণ্ডালু-দলের' সহকারী সভাপতি হয়েছিল বুলু।
উত্তর: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' নামাঙ্কিত গদ্যে 'গণ্ডালু-দলের' কোশাধ্যক্ষ হয়েছিল মালু।
উত্তর: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' নামাঙ্কিত গদ্যে 'গণ্ডালু-দলের' সংঘ সম্পাদিকা হয়েছিল মালু।
উত্তর: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গা-কবিতা-সংঘ' নামাঙ্কিত গদ্যে উদ্ধৃতাংশের বস্তা হল বুলু।
উত্তর: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' নামাঙ্কিত গদ্যে বুলু জানিয়েছে- সকালে পড়া, বিকেলে খেলা, সন্ধ্যায় আবার পড়া; তারপরে খাওয়া আর ঘুম। এই সব কাজ করার পর দু-ঘণ্টা সময় একসঙ্গে পাওয়া কঠিন।
উত্তর: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' নামাঙ্কিত গদ্যে প্রশ্নোদ্ভূত অংশে 'আমরা' বলতে কাজল, ললিতা আর বিজলীর কথা বলা হয়েছে।
উত্তর: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' নামাঙ্কিত গদ্যে উদ্ধৃতাংশটির বক্তা হল মালু।
উত্তর: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' নামাঙ্কিত গদ্য থেকে গৃহীত উদ্ধৃত এই অংশে বীণা, হাসি আর নন্দিতা আপত্তি তুলেছিল।
উত্তর: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' নামাঙ্কিত গদ্যে অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে কালু জানিয়েছিল নাচ-গান শেখা এবং সুযোগমতো বাড়িও যাওয়া যদি নিত্য রুটিন হয়ে দাঁড়ায় তাহলে কবিতা চর্চা করতে হবে না।
১.৩১ 'তবে অমন সভা চাই না'- কারা একথা বলেছিল?
উত্তর: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' নামাঙ্কিত গদ্যে কাজল আর বীণা এই কথা বলেছিল।
উত্তর: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' নামাঙ্কিত গদ্য থেকে গৃহীত উদ্ধৃতাংশের বক্তা হল মালু।
উত্তর: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' নামাঙ্কিত গদ্য থেকে গৃহীত উদ্ধৃতাংশের বস্তা হল বুলু।
১.৩৪ 'ইউরেকা' বলে কে চেঁচিয়ে উঠেছিল?
উত্তর: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' নামাঙ্কিত গদ্যে কালু 'ইউরেকা' বলে চেঁচিয়ে উঠেছিল।
১.৩৫ 'মণিকাদিদিদের ঘর ঝাঁট দিতে এসেছে।' -কে ঘর ঝাঁট দিতে এসেছে?
উত্তর: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' নামাঙ্কিত গদ্য থেকে গৃহীত এই উদ্ধৃতাংশে দেখা যায় কেষ্ট দাসী মণিকাদিদিদের ঘর ঝাঁট দিতে এসেছে।
উত্তর: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' নামাঙ্কিত গদ্যে আলোচ্য উক্তিটি করেছে বুলু।
উত্তর: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' নামাঙ্কিত গদ্যে আলোচ্য উক্তিটি করেছে বুলু।
উত্তর: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' নামাঙ্কিত গদ্যে আলোচ্য উক্তিটি করেছে টুলু।
উত্তর: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' নামাঙ্কিত গদ্যে আলোচ্য উক্তিটি করেছে কালু।
উত্তর: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' নামাঙ্কিত। গদ্যে টুলু এক ধাক্কায় বুলুকে জাগিয়ে দিয়েছিল।
উত্তর: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' নামাঙ্কিত গদ্যে উদ্ধৃতাংশ বক্তব্যটি করেছে বুলু।
উত্তর: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' নামাঙ্কিত গদ্যে উদ্ধৃতাংশ বক্তব্যটি করেছেন অণিমাদি।
উত্তর: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' নামাঙ্কিত গদ্যে উদ্ধৃত বক্তব্যটি করেছেন অণিমাদি।
উত্তর: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' নামাঙ্কিত গদ্যে উদ্ধৃত বক্তব্যটি করেছেন মণিকাদি।
উত্তর: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' গদ্যে মণিকাদি প্রশ্ন করেছিলেন- 'তোমাদের সব কাজ কি কবিতায় হবে?'
উত্তর: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' গদ্যে উদ্ধৃতাংশ কবিতাটি লিখেছে কালু।
উত্তর: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' নামাঙ্কিত গদ্যে উদ্ধৃতাংশ কবিতাটি লিখেছে কাজল।
উত্তর: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' গদ্যে উদ্ধৃতাংশ কবিতাটি লিখেছে বুলু।
উত্তর: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' গদ্যে মণিকাদি মেয়েদের কবিতা শুনে বলেছিলেন- সব সময়েই মেয়েরা যেন পরীক্ষা-বিরোধী কবিতা না লেখে।
উত্তর: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' গদ্যে সভাঘর থেকে বেরিয়ে কালু বলেছিল 'আমাদের দিদিদের মতন ভালো টিচার কি কোনো স্কুলে আছেন।'
২.১ 'কিন্তু কার সাধ্য যে আমাদের দমিয়ে দেয়।' বক্তা কে? কোন্ প্রসঙ্গে এই বক্তব্য এই বক্তব্যের কারণ কী?
উত্তর: প্রথমাংশ: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা- সংঘ' গদ্যে উদ্ধৃত উক্তিটি করেছে টুলু।
দ্বিতীয়াংশ: প্রতিনিয়ত নিয়ম মেনে পড়া তৈরি করা যখন মেয়েদের মনকে নিরানন্দ করেছিল তখন তাদের মাথায় এসেছিল তারা 'নিখিল বঙ্গ কবিতা সংঘ' তৈরি করবে। সেই মতো যত পরিকল্পনা। একটা সাংঘাতিক উত্তেজনায় ক্লাসের পড়ায় অবশ্য ঘাটতি শুরু হল। সেই প্রসঙ্গে এই উক্তি।
তৃতীয়াংশ: বড়ো মিস বিশ্বাসের সংস্কৃত ব্যাকরণের ক্লাস বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নেহাত বিরক্তির কারণ হয়ে উঠেছিল। দীর্ঘ একটানা নীরস বক্তব্য শোনার ফাঁকে তাদের মন কবিতা লেখায় উদ্দীপ্ত হয়ে উঠেছিল। সেই মতো তারা কবিতা সংঘ তৈরিতে উদ্যোগী হয়। খাবার ঘরে সেই আয়োজন চলে। কয়েকদিন ধরে নানা পরিকল্পনার ছক তৈরি করা হয়। সাহিত্য সভার ব্যবস্থা হতেই অদ্ভুত এক মন্ত্রবলে সবার মন-মেজাজ ভালো হয়ে যায়। একটা সাংঘাতিক গোপন উত্তেজনা তাদের মনের মধ্যে কাজ করে। ক্লাসের পড়া ভুল হলেও তাদের সেই উৎসাহ উদ্দীপনাকে দমিয়ে রাখা যায়নি।
উত্তর: প্রমথাংশ: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা- সংঘ' গদ্যে মাঝ রাতে খাওয়ার ঘরের দরজা খুলে মেয়েরা সবাই হতভম্ব হয়ে গিয়েছিল। তারা হকচকিয়ে থমকে দাঁড়িয়েছিল। সেই প্রসঙ্গে এই উক্তি।
দ্বিতীয়াংশ: 'গণ্ডালু-দলে'র চার বন্ধু মালু, কালু, বুলু আর কথক অর্থাৎ টুলু মিলে যে কবিতা সংঘের আয়োজন করেছিল মাঝরাতে খাওয়ার ঘরে ছিল তার গোপন মিটিং। মাঝরাতে দল বেঁধে তারা ঘরে ঢুকতে দেখে রীতিমতো উৎসবের আয়োজন। যেমন-
ক। ঘরখানা আলোয় ঝলমল করছিল।
খ। বড় টেবিলে শৌখিন সাদা ফুল কাটা চাদর পাতা ছিল।
গ। পিতলের ফুলদানিতে সাজানো ছিল পদ্ম আর গোলাপ।
ঘ। কাচের বাসনে ছিল খাবারের নানা আয়োজন।
রীতিমতো চোখ জুড়ানো পোশাকে হাজির ছিল মণিকাদি, অণিমাদি, হিরণদি এমনকি বড়োমিস পর্যন্ত সবাই। অদ্ভুত এক বিস্ময়ে কথকের মনে হয় সে যেন স্বপ্ন দেখছে।
উত্তর: প্রথমাংশ: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ- কবিতা-সংঘ' নামাঙ্কিত গদ্যে সপ্রতিভ ডানপিটে মেয়ে কালু অপ্রস্তুতভাবে কাঁপা গলায় সভা আরম্ভের সূচনায় বলেছিল 'ভদ্রমহিলা আর মহোদয়গণ!' কিন্তু 'মহোদয়গণ' বলতে কারা সে বিষয়ে চাপা হাসি শোনা যেতেই আলোচ্য এই প্রসঙ্গটি এসেছে।
দ্বিতীয়াংশ: মণিকাদি কালুকে বলেছিলেন সভানেত্রী অর্থাৎ কালু যেন সভার কাজ শুরু করে দেয়। স্কুলে দিদিমণিরা সমস্ত খবরই রাখেন। মেয়েরা সবাই বসে পড়ে এবং তাদেরকে উদ্দেশ্য করে অণিমাদি বলেন, সামনে যে খাওয়ার আয়োজন করা হয়েছে তা যেন মেয়েরা খাওয়া শুরু করে। সামনে ছিল মস্ত বড়ো কেক, নানারকমের সন্দেশ, বিভিন্ন মিষ্টি, বড়ো বড়ো আপেল ও মর্তমান কলা। মণিকাদি নির্দেশ দিয়েছিলেন, 'সভা আরম্ভ হোক'। অভিভূত কালু কাঁপা গলায় সেইসময় যে বক্তব্য রাখতে চলেছিল তারই প্রেক্ষিতে ফিসফিস করে প্রশ্ন ওঠে 'মহোদয় কেরে?' অর্থাৎ ডানপিটে কালুও যে উত্তেজনায়-আবেগে-বিস্ময়ে অবাক হয়ে গিয়েছিল তার প্রমাণ আলোচ্য এই বক্তব্যে উঠে এসেছে।
উত্তর: প্রথমাংশ: সুখ্যাত লেখিকা নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' নামাঙ্কিত গদ্যে দেখা যায় ছোটো ছোটো সদস্যরা পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুসারে রাত বারোটায় বোর্ডিং-এর খাবার ঘরে প্রবেশ করে সবিস্ময়ে হকচকিয়ে গিয়েছিল।
দ্বিতীয়াংশ: অধিবেশনের জন্য বোর্ডিং-এর খাবার ঘরে সবাই একত্রিত হবে এটাই ছিল পূর্ব মীমাংসিত সিদ্ধান্ত। সেই সিদ্ধান্ত অনুসারে মাঝরাতে ট্রেনটা চলে যাবার পর সাবধানে খাবার ঘরের দরজা খুলে ভিতরে ঢুকতেই তারা হতভম্ব হয়ে যায়। তাদের মনে হয়, 'একি সত্য না স্বপ্ন? ঘটনা না কল্পনা?' তাদের এমনটি মনে হওয়ার কারণ, তারা দেখেছিল মাঝের বড়ো টেবিলে শৌখিন সাদা চাদর পাতা ছিল। বড়ো বড়ো পিতলের ফুলদানিতে ছিল অপূর্বভাবে সজ্জিত পদ্ম আর গোলাপের সারি। কাঁচের বাসনে সজ্জিত ছিল নানারকম খাদ্যের তালিকা। যেমন-
১. মস্ত বড়ো কেক
২. নানা রকম সন্দেশ
৩. বিভিন্ন মিষ্টির আয়োজন
৪. বড়ো বড়ো আপেল ও মর্তমান কলা টেবিলের চারদিকে চেয়ার সাজানো ছিল। তারই একদিকে স্কুলের দিদিমণিরা বসেছিলেন। মণিকাদি, অণিমাদি, হিরণদি এমনকি মিস্ বিশ্বাস পর্যন্ত। এই দৃশ্য দেখে স্কুলের মেয়েরা হকচকিয়ে গিয়েছিল।
উত্তর: প্রথমাংশ: নলিনী দাশ প্রণীত 'নিখিল-বঙ্গ- কবিতা-সংঘ' । গদ্যে সপ্রতিভ ডানপিটে মেয়ে কালু হল উক্তিটির বস্তা।
দ্বিতীয়াংশ: মেয়েদের প্রস্তাব অনুসারে ঠিক হয়েছিল পরের সপ্তাহ থেকেই সোম-মঙ্গল-বুধ এবং বৃহস্পতিবারে সকাল-সন্ধ্যা পড়ার ঘণ্টা পনেরো মিনিট করে বাড়িয়ে দেওয়া হবে। আর তার পরিবর্তে শুক্রবার সন্ধেবেলা পড়ার ঘণ্টা থাকবে না। তখন মেয়েদের সাহিত্যসভা, গানের আসর বা অভিনয় ইত্যাদি হবে। দিদিমণিদের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আলোচ্য এই উক্তিটি করা হয়েছে।
তৃতীয়াংশ: অণিমাদি মেয়েদের লেখা পড়ে উচ্চপ্রশংসা করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, মেয়েরা যেন লেখার অভ্যাস ছেড়ে না দেয়। সেইসঙ্গে মণিকাদির অনুরোধ ছিল, 'সব সময়েই পরীক্ষা-বিরোধী কবিতা লিখো না।' সেই প্রসঙ্গে দিদিমণিদের উদারতা, মানবিকতা ও উৎসাহপ্রদানের বিষয়টিকে দেখে অভিভূত কালু এই মন্তব্যটি করেছে।
২.৬ 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' রচনাটির নামকরণের তাৎপর্য বিচার করো।
উত্তর: 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' রচনাটির বিষয় বলে দেয় সাহিত্য-সাংস্কৃতির আয়োজন আমাদের মনের চিন্তা-শক্তিকে বাড়িয়ে দেয়। পাঠ্যবই আমাদের বিদ্যাচর্চাকে অব্যাহত রাখে ঠিকই; কিন্তু নাচ-গান-কবিতা আমাদের সৃজনশীলতাকে বাঁচিয়ে রাখে। তাই ক্লাসে বসেই মেয়েরা ঠিক করে তারা 'কবিতা সংঘ' তৈরি করে কাব্যচর্চা করবে।
তাদের এই সুস্থ চিন্তা-চেতনার সঙ্গে বিদ্যালয়ের শিক্ষিকারাও যুক্ত হন। তাঁরাও চান শিক্ষার বাইরে অন্য আর এক বিকল্প সুস্থ সংস্কৃতি গড়ে উঠুক। এই ভাবনাকেই মনে রেখে 'নিখিল-বঙ্গ-কবিতা-সংঘ' তৈরি হয়। কাহিনির মূল বিষয়ের সঙ্গে সংগতি রেখে এই নামকরণটি যথাযথ হয়েছে বলেই মনে হয়।
Editing By:- Lipi Medhi