Chapter 4
--------------------
[MCQs]
1. সমুদ্র বায়ু (ডেবরা হরিমতী সারস্বত বিদ্যামন্দির, উঃমাঃ)
(a) সকালবেলা
(b) দুপুরবেলা
(c) মধ্যরাতে
(d) বিকেলবেলায় দ্রুত প্রবাহিত হয়
উত্তর: (d) বিকেলবেলায় দ্রুত প্রবাহিত হয়।
2. বাণিজ্য বায়ুর অপর নাম-
(a) মেরু বায়ু
(b) পশ্চিমা বায়ু
(c) আয়ন বায়ু
(d) মৌসুমি বায়ু
উত্তর: (c) আয়ন বায়ু।
3. অশ্ব অক্ষাংশের অবস্থান-
(a) 0°-5° উঃ
(b) 25°-35° উঃ ও দঃ
(c) 60°-70° উঃ
(d) 80°-90° দঃ অক্ষাংশে
উত্তর: (b) 25°-35° উঃ ও দঃ অক্ষাংশে।
Short Answer Question
প্রশ্ন 1: অ্যানাবেটিক ও ক্যাটাবেটিক বায়ু কাকে বলে?
উত্তর: যে উয় ও হালকা বায়ু পাহাড়ের ঢাল বেয়ে উপরে ওঠে, তাকে অ্যানাবেটিক বায়ু বলে। এই বায়ুপ্রবাহ দিনের বেলা অনুভূত হয়। আর যে শীতল ও ভারী বায়ু পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নীচের দিকে নেমে আসে, তাকে ক্যাটাবেটিক বায়ু বলে। এই বায়ুপ্রবাহ রাত্রিবেলা অনুভূত হয়।
প্রশ্ন 2: মেরু বায়ু কাকে বলে?
উত্তর: পৃথিবীর উভয় গোলার্ধের মেরু অঞ্চলের (সুমেরু-কুমেরু) উচ্চচাপ বলয় (80°-90° উত্তর ও দক্ষিণ) থেকে যে শুষ্ক ও শীতল বায়ু মেরুবৃত্ত প্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয়ের (60°-70° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশ) দিকে সারাবছর নিয়মিতভাবে প্রবাহিত হয়, তাকে মেরুবায়ু বলে।
প্রশ্ন 3: বায়ুস্রোত বলতে কী বোঝো?
উত্তর: পৃথিবীপৃষ্ঠের উপর অবস্থিত বিশেষ ভৌগোলিক অবস্থান ও বিশেষ ভূমিরূপের জন্য বায়ু যখন উপর থেকে নীচ অথবা নীচ থেকে উপরে উল্লম্বভাবে চলাচল করে, তাকে বায়ুস্রোত বলে। বায়ুস্রোতের কারণে বায়ুর শান্তভাব বিরাজ করে বলে নিরক্ষীয় অঞ্চল, কর্কটীয় ও মকরীয় অঞ্চলে শান্তবলয় নামে পরিচিত। অন্যদিকে পার্বত্য উপত্যকায় দিনের বেলায় অ্যানাবেটিক বায়ু এবং রাত্রিবেলায় ক্যাটাবেটিক বায়ু বায়ুস্রোতের উদাহরণ।
প্রশ্ন 4: নিয়তবায়ু কাকে বলে?
উত্তর: ভূপৃষ্ঠের সমান্তরালে সারাবছর বায়ু নিয়মিতভাবে একটি নির্দিষ্ট উচ্চচাপ বলয় থেকে নির্দিষ্ট পথ অনুসরণ করে নির্দিষ্ট নিম্নচাপ বলয়ের দিকে বায়ু প্রবাহিত হয়। তাকে নিয়তবায়ু বলে। নিয়তবায়ু তিন প্রকার, সেগুলি হল- (i) আয়ন বায়ু, (ii) পশ্চিমা বায়ু ও (iii) মেরু বায়ু।
প্রশ্ন 5: বাণিজ্য বায়ু কাকে বলে?
উত্তর: 'আয়ন বায়ুর' অপর নাম বাণিজ্য বায়ু। 'আয়ন' শব্দের অর্থ 'পথ'। প্রাচীনকালে বাণিজ্য করার জন্য পালতোলা জাহাজগুলি আয়ন বায়ুর নির্দিষ্ট প্রবাহপথ অনুসরণ করে চলাচল করত বলে আয়নবায়ুকে বাণিজ্য বায়ু (Trade wind) বলে।
প্রশ্ন 6: প্রবল পশ্চিমা বায়ু কাকে বলে?
উত্তর: মকরীয় উচ্চচাপ বলয় (23½° দক্ষিণ) থেকে কুমেরু বৃত্ত প্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয়ের (66½° দক্ষিণ) দিকে প্রবাহিত পশ্চিমা বায়ু বাধাহীনভাবে দ্রুতগতিতে সমুদ্রের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তাই উত্তর-পশ্চিম পশ্চিমা বায়ুকে প্রবল বা সাহসী পশ্চিমা বায়ু বলে।
প্রশ্ন 7: বায়ুচাপ বলতে কী বোঝো?
উত্তর: ভূপৃষ্ঠে নির্দিষ্ট পরিমিত বর্গ একক ক্ষেত্রফল বিশিষ্ট জায়গার ওপর বায়ুমণ্ডল যে ওজন বা দেয় তাকে বায়ুচাপ বলে। বায়ুচাপকে মিলিবার এককে মাপা হয়।
Long Answer Question
প্রশ্ন 1: পৃথিবীর প্রধান বায়ুচাপ বলয়গুলির অবস্থান ও সৃষ্টির কারণ ব্যাখ্যা করো।
অথবা, সৃষ্টির কারণসহ বিভিন্ন উচ্চচাপ বলয়গুলির সচিত্র বর্ণনা দাও। অথবা, নিরক্ষীয় ও মেরুবৃত্ত প্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয়গুলিতে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার কারণ আলোচনা করো।
অথবা, কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয় সৃষ্টি হয় কীভাবে?
উত্তর: চিত্রের জন্য পৃ: ৭৩৯-এর প্রথম ছবিটা দ্যাখো। পৃথিবীর কতকগুলি নিদিষ্ট স্থানে পূর্ব-পশ্চিমে বলয় আকারে অক্ষরেখার প্রায় সমান্তরালে বেষ্টিত সারাবছর একই রকমের উচ্চ বা নিম্নঅঞ্চল সমূহকে বায়ুচাপ বলয় বলে। পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের উয়তা, আর্দ্রতা, ভূমির উচ্চতা, আবর্তন গতি প্রভৃতির পার্থক্যের জন্য পৃথিবীতে প্রধান 7টি বায়ুচাপ বলয় (3টি নিম্নচাপ ও 4টি উচ্চচাপ) সৃষ্টি হয়েছে। এই চাপবলয়গুলির অবস্থান ও সৃষ্টির কারণ নিম্নরূপ-
(1) নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়:
• অবস্থান: উভয় গোলার্ধের 0°-5° (সর্বাধিক 10°) অক্ষাংশের মধ্যবর্তী স্থান।
• সৃষ্টির কারণ: (i) লম্ব সূর্যকিরণ নিরক্ষীয় অঞ্চলে সূর্যরশ্মির সারাবছর প্রায় লম্বভাবে পতনের কারণে বায়ু অধিক উয় ও হালকা হয়ে পরিচলন পদ্ধতিতে উপরে উঠে বায়ুরঘনত্ব হ্রাস করে নিম্নচাপ ঘটায়।
(ii) অধিক বাষ্পীভবন এখানে জলভাগের বিস্তার ও অধিক ও প্রচুর বাষ্পীভবনের ফলে জলীয় বাষ্পযুক্ত বায়ু হাল্কা হওয়ায় ঊর্ধ্বগামী হয়ে বায়ুর ঘনত্বের চাপ হ্রাস করে।
(iii) সর্বাধিক আবর্তন বেগ নিরক্ষীয় অঞ্চলে পৃথিবীর আবর্তনের বেগ সর্বাধিক হওয়ায় উদ্বু-আর্দ্র বায়ু ঊর্ধ্বগামী হয়ে উভয় ক্রান্তীয় অঞ্চলের দিকে ছিটকে যাওয়ায় বায়ুর ঘনত্ব হ্রাস পেয়ে নিম্নচাপ বলয় সৃষ্টি করেছে।
(2) কর্কটীয় উচ্চচাপ বলয় ও (3) মকরীয় উচ্চচাপ বলয়:
• অবস্থান: উভয় গোলার্ধের 25°-35° অক্ষাংশের মধ্যবর্তী স্থান সমূহ।
• সৃষ্টির কারণ: (i) নিম্নগামী বায়ুঃ নিরক্ষীয় অঞ্চলের ঊর্ধ্বগামী উয়-আর্দ্র বায়ু সর্বাধিক আবর্তন বেগের প্রভাবে উভয় ক্রান্তীয় অঞ্চলে ছিটকে শীতল ও ভারী হয়ে নেমে এসে বায়ুর ঘনত্ব বৃদ্ধি করে উচ্চচাপের সৃষ্টি হয়েছে।
(ii) মেরুবৃত্ত প্রদেশের নিম্নগামী বায়ুঃ মেরুবৃত্ত প্রদেশের অপেক্ষাকৃত উয় হালকা ঊর্ধ্বগামী বায়ু পৃথিবীর আবর্তনের প্রভাবে বিক্ষিপ্ত হয় এবং ঊর্ধ্বাকাশে উঠে শীতল ও ভারী হয়ে দুই ক্রান্তীয় অঞ্চলে নেমে আসে এবং বায়ুর ঘনত্ব বৃদ্ধি করে উচ্চচাপ বলয় সৃষ্টি করেছে।
(4) সুমেরু বৃত্ত প্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয় ও (5) কুমেরু বৃত্ত প্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয়:
• অবস্থান: উভয় গোলার্ধের 60°-70° অক্ষাংশের মধ্যবর্তী স্থান সমূহ।
• সৃষ্টির কারণ: (i) উন্নতা: দুই মেরু অঞ্চলের তুলনায় এই দুই মেরুবৃত্ত প্রদেশীয় অঞ্চলের উয়তা বেশি। ফলে এখানকার উয় বায়ু হালকা ও প্রসারিত হয়ে ঊর্ধ্বগামী হয়ে বায়ুর ঘনত্ব হ্রাস ঘটিয়ে নিম্নচাপের সৃষ্টি করেছে।
(ii) অধিক আবর্তন বেগ: মেরু অঞ্চলের তুলনায় অধিক আবর্তন বেগ অধিক কোরিওলিস বলের কারণে ঊর্ধ্বগামী বায়ু উত্তর ও দক্ষিণে বিক্ষিপ্ত হয়ে বায়ুর ঘনত্ব হ্রাসের মাধ্যমে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে।
(iii) দুই বিপরীতধর্মী বায়ুর সংঘর্ষ: মেরু অঞ্চল থেকে আগত শীতল ও শুষ্ক মেরু বায়ুর সাথে ক্রান্তীয় অঞ্চল থেকে আগত উয়-আর্দ্র পশ্চিমা বায়ুর সংঘর্ষের ফলে বায়ু ঊর্ধ্বগামী হয়ে নিম্নচাপ সৃষ্টি করে।
(6) সুমেরু উচ্চচাপ বলয় ও (7) কুমেরু উচ্চচাপ বলয়:
• অবস্থান: উভয় গোলার্ধের 80°-90° অক্ষাংশের মধ্যবর্তী স্থান সমূহ।
• সৃষ্টির কারণ: (i) তির্যক সৌরকিরণ: 2-6 মাস সূর্যের অতি তির্যক সৌরকিরণ ও 2-6 মাস সূর্যালোকের অনুপস্থিতির কারণে কম তাপমাত্রার কারণে এখানকার বায়ু সর্বদাই শীতল ও ভারী হয়।
(ii) নিম্নগামী বায়ু: মেরুবৃত্ত প্রদেশের বিক্ষিপ্ত বায়ু শীতল ও ভারী হয়ে এই অঞ্চলে নেমে বায়ুর ঘনত্ব বৃদ্ধি করে উচ্চচাপ সৃষ্টি করেছে।
প্রশ্ন 2: চিত্রসহ নিয়ত বায়ুপ্রবাহের উৎপত্তি ব্যাখ্যা করো।
অথবা, আয়নবায়ু ও পশ্চিমাবায়ু চিত্রসহ ব্যাখ্যা করো। (তুফানগঞ্জ এন.এন.এম. হাই স্কুল, উঃ মাঃ)
অথবা, পৃথিবীর নিয়ত বায়ুপ্রবাহগুলির উৎপত্তি ও গতিপথ চিত্রসহ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: সংজ্ঞা: ভূপৃষ্ঠের উপর দিয়ে সারা বছর স্থায়ী উচ্চচাপ বলয় থেকে স্থায়ী নিম্নচাপ বলয়ের দিকে নিয়মিতভাবে নির্দিষ্ট দিকে ও নির্দিষ্ট গতিতে প্রবাহিত বায়ুকে নিয়ত বায়ু বলে।
• শ্রেণিবিভাগ: পৃথিবীপৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ুস্তরে প্রধানত তিনপ্রকার নিয়ত বায়ুপ্রবাহ লক্ষ করা যায়। এগুলি হল-(1) আয়নবার বা বাণিজ্যবায়ু, (2) পশ্চিমা বা প্রত্যয়ন বায়ু ও (3) মেরু বয় বা হিমশীতল বায়ু।
(1) আয়ন বায়ু বা বাণিজ্যবায়ু : কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়ের দিকে সারাবছর ধরে। নিয়মিতভাবে নির্দিষ্ট পথে যে বায়ু প্রবাহিত হয়, তাকে আয়ন বায়ু বলে। 'আয়ন' এর অর্থ 'পথ'।
• উৎপত্তিস্থল: দুই ক্রান্তীয় উচ্চচাপ বলয়।
• প্রবাহের দিক: নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়।
• বিস্তার: উভয় গোলার্ধের 5° থেকে 25° অক্ষাংশের মধ্যবর্তী অঞ্চল।
• শ্রেণিবিভাগ: আয়ন বায়ু ফেরেল-এর সূত্রানুসারে উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে বেঁকে উত্তর-পূর্ব আয়ন বায়ুরূপে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বাম দিকে বেঁকে দক্ষিণ-পূর্ব আয়ন বায়ুনামে প্রবাহিত হয়।
• অপর নাম: বাণিজ্য বায়ু।
• বৈশিষ্ট্য: (i) উত্তর গোলার্ধে স্থলভাগ বেশি থাকায় উত্তর- পূর্ব আয়ন বায়ুর গতিবেগ প্রায় 16 কিমি./ঘণ্টা দক্ষিণ হলেও গোলার্ধে বিস্তৃত ওপর দিয়ে বাধাহীনভাবে জলভাগের দক্ষিণ- পূর্ব আয়ন বায়ু প্রায় 22-24 কি.মি./ঘন্টা গতিবেগে প্রবাহিত হয়। (ii) প্রাচীনকালে পালতোলা জাহাজগুলি বাণিজ্যের উদ্দেশে আয়ন বায়ুর গতিপথকে অনুসরণ করে চলত বলে এই বায়ুকে বাণিজ্য বায়ু বলে। (iii) আয়ন বায়ু পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয় বলে মহাদেশসমূহের পূর্বদিকে বৃষ্টিপাত বেশি হলেও ক্রমশ পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ায় জলীয় বাষ্পের অভাবে বৃষ্টিহীন উয় মরুভূমির সৃষ্টি হয়েছে।
(2) পশ্চিমা বায়ু: কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে মেরুবৃত প্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয়ের দিকে যে নিয়তবায়ু প্রবাহিত হয়। তাকে পশ্চিমা বায়ু বলে।
• উৎপত্তি স্থল: দুই ক্রান্তীয় উচ্চচাপ বলয়।
• প্রবাহের দিক: মেরুবৃত্ত প্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয়।
• বিস্তার: উভয় গোলার্ধের 35°-60° অক্ষরেখার মধ্যবর্তী অঞ্চল।
• শ্রেণিবিভাগ: পশ্চিমবায়ু উত্তর গোলার্ধে ফেরেলের সূত্রানুসারে ডানদিকে বেঁকে দক্ষিণ-পশ্চিম পশ্চিমা বায়ু এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বামদিকে বেঁকে উত্তর-পশ্চিম পশ্চিমা বায় নামে প্রবাহিত হয়।
• বৈশিষ্ট্য: (i) বৃষ্টিপাত: পশ্চিমা বায়ু পশ্চিম দিক থেকে প্রবাহিত হয় বলে মহাদেশের পশ্চিমাংশে প্রায় সারাবছর ধরে বৃষ্টিপাত (শীতকালে অধিক) হয় এবং পূর্বদিকে ধীরে ধীরে বৃষ্টিশূন্য হয়।
(ii) তৃণভূমি: পশ্চিমা বায়ুর প্রবাহপথে কর্ম বৃষ্টিযুক্ত অঞ্চলে নাতিশীতোয় তৃণভূমি সৃষ্টি হয়েছে। যথা- স্তেপ, প্রেইরি, পম্পাস, ভেল্ড প্রভৃতি।
(iii) গতিবেগ: দক্ষিন গোলার্ধে জলভাগ বেশি থাকায় উত্তর-পশ্চিম পশ্চিমা বায় প্রবল বেগে প্রবাহিত হয়, যা প্রবল বা সাহসী পশ্চিমা বায়ু নামে পরিচিত।
এই বায়ু 40° দক্ষিণ অক্ষরেখায় 'গর্জনশীল চল্লিশা', 50° দক্ষিণ অক্ষরেখায় ক্রোধোন্মত্ত পঞ্চাশ এবং 60° দক্ষিণ অক্ষরেখায় তীক্ষ্ণ চিৎকারকারী ষাট নামে পরিচিত।
(3) মেরুবায়ু বা হিমশীতল বায়ুঃ সুমেরীয় ও কুমেরীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে শুষ্ক, শীতল উচ্চচাপযুক্ত যে নিয়ত বায়ু সারাবছর নিয়মিতভাবে দুই মেরুবৃত্ত প্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয়ের দিকে প্রবাহিত হয়, তাকে মেরুবায়ু বা হিমশীতল বায়ু বলে।
• উৎপত্তিস্থল: দুই মেরু উচ্চচাপ বলয়।
• প্রবাহের দিক: মেরুবৃত্ত প্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয়।
• বিস্তার: উভয় গোলার্ধের 70°-80° অক্ষরেখার মধ্যবর্তী অঞ্চল।
• শ্রেণিবিভাগ: মেরুবায়ু উত্তর গোলার্ধে ফেরেলের সূত্রানুসারে ডানদিকে বেঁকে উত্তর-পূর্ব মেরু বায়ু এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বামদিকে বেঁকে দক্ষিণ-পূর্ব মেরু বায়ু নামে প্রবাহিত হয়।
• অপর নাম: মাত্রাতিরিক্ত ঠান্ডা বায়ু হওয়ায় একে হিমশীতল বায়ুও বলা হয়।
• বৈশিষ্ট্য: (i) মেরুবায়ু অত্যন্ত শীতল ও শুষ্ক।
(ii) মেরু বায়ুর প্রভাবে মাঝেমধ্যে প্রবল তুষারঝড় ও তুষারপাত হয়।
(iii) আন্টার্কটিকায় অপেক্ষাকৃত উয় সামুদ্রিক বায়ুর সাথে মেরুবায়ুর সংঘর্ষে তুষারঝড়-বজ্রপাত হয়।
G. ভুল সংশোধন করো লেখো।
1. বসন্তকালে সাইক্লোন 'পিলিন' দেখা গিয়েছিল।
উত্তর: শরৎকালে সাইক্লোন 'পিলিন' দেখা গিয়েছিল।
2. সমুদ্র সমতলে বায়ুর স্বাভাবিক চাপ হল 1031.25 মিলিবার।
উত্তর: সমুদ্র সমতলে বায়ুর স্বাভাবিক চাপ হল 1013.25 মিলিবার।
3. নিয়ত বায়ু প্রধানত দুটি ভাগে বিভক্ত।
উত্তর: নিয়ত বায়ু তিনটি ভাগে বিভক্ত।
4. আমাদের দেশে গ্রীষ্মকালে উত্তুরে হাওয়া প্রবাহিত হয়।
True And False
1. বায়ুর উন্নতা কমে গেলে চাপ বেড়ে যায়।
উত্তর: শুদ্ধ।
2. অ্যানাবেটিক বায়ু নিম্নগামী।
উত্তর: অশুদ্ধ।
3. মৌসুমি বায়ু পৃথিবীর কিছু অংশের বাইরে প্রবাহিত হয় না। বলে, এটি একটি স্থানীয় বায়ু।
উত্তর: অশুদ্ধ।
4. উন্নতার সাথে বায়ুচাপের সম্পর্ক সমানুপাতিক।
উত্তর: অশুদ্ধ।
5. দুই ক্রান্তীয় অঞ্চলে বায়ুর ঘনত্ব বেশি।
উত্তর: শুদ্ধ।
6. পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবেই বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর গায়ে আটকে আছে।
উত্তর: শুদ্ধ।
• শূন্যস্থানে উপযুক্ত শব্দ বসাও:
1. পশ্চিমা বায়ু ও মেরুবায়ু মিলিত হয়ে ঘূর্ণবাত সৃষ্টি হয়।
উত্তর: নাতিশীতোয়।
2. আমফান/উম্পুন ঘূর্ণিঝড় 2020 খ্রিস্টাব্দের মাসে হয়েছিল।
উত্তর: মে।
3. বায়ুর চাপ যন্ত্রের সাহায্যে পরিমাপ করা হয়।
উত্তর: ব্যারোমিটার।
4. বায়ুর উল্লম্ব চলাচলকে বলে।
উত্তর: বায়ুস্রোত।
Editing by:- Lipi Medhi