Class 8 Paribesh O Bigyan (WBBSE)
Chapter 10
পরিবেশের সংকট ও সংরক্ষণ
-----------------------
1. নীচের কোন্ শব্দটি উদ্ভিদ সমষ্টি বোঝায়?
(a) সমুদ্র
(b) পাহাড়
(c) বন
(d) কোনোটিই নয়
উত্তর: (c) বন
2. একটি গাছ 50 বছর বেঁচে থাকলে তার জীবদ্দশায় কতখানি অক্সিজেন ত্যাগ করে?
(a) 270 কেজি
(b) 2700 কেজি
(c) 200 কেজি
(d) 2000 কেজি
উত্তর: (b) 2700 কেজি
3. বনের একদম ওপরের স্তরকে বলে-
(a) ছাদ
(b) মেঝে
(c) ব্যালকনি
(d) কোনোটিই নয়
উত্তর: (a) ছাদ
4. সূচের মতো পাতাযুক্ত গাছের বনের একটি উদ্ভিদ হল-
(a) পাইন
(b) ক্যাকটাস
(c) গরান
(d) বট
উত্তর: (a) পাইন
5. পাতা
ঝরা গাছের বনে দেখা যায়-
(a) ভালুক
(b) হাতি
(c) ভোঁদর
(d) চিংকারা
উত্তর: (b) হাতি
6. বাদাবনে পাওয়া যায়-
(a) বাঘ
(b) গরান
(c) খাড়ির কুমির
(d) সবকটি
উত্তর: (d) সবকটি
7. বর্ষাবন দেখা যায়-
(a) নিরক্ষরেখা বরাবর
(b) ক্রান্তীয় রেখা বরাবর
(c) মেরুরেখা বরাবর
(d) সর্বত্র
উত্তর: (a) নিরক্ষরেখা বরাবর
৪. বন কাটার ফলে অতিরিক্ত গরমে নষ্ট হয়-
(a) অক্সিজেন চক্র
(b) কার্বন ডাই অক্সাইড চক্র
(c) জলচক্র
(d) বায়ুচক্র
উত্তর: (c) জলচক্র
9. উত্তরবঙ্গের প্রাকৃতিক বনাঞ্চল সংকুচিত হওয়ার কারণ-
(a) চা বাগান
(b) গাছ কাটা
(c) রেল লাইন তৈরি করা
(d) সবকটি
উত্তর: (d) সবকটি
10. পাকা ফল মাটিতে পড়ার আগে অঙ্কুরোদ্গম ঘটে যে উদ্ভিদে-
(a) গরান
(c) বট
(b) সুন্দরী
(d) আম
উত্তর: (a) গরান
11. সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ "আন্তর্জাতিক বনবর্ষ” বলে ঘোষণা করেছেন-
(a) 2011 সালকে
(b) 2012 সালকে
(c) 1911 সালকে
(d) 2005 সালকে
উত্তর: (a) 2011 সালকে
12. সমুদ্রের ইউফোটিক অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়-
(a) প্রবাল প্রাচীর
(b) ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন
(c) জুপ্ল্যাঙ্কটন
(d) ছোটোমাছ
উত্তর: (b) ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন
13. তারামাছের বাহুর সংখ্যা-
(a) 3
(b) 5
(c) 8
(d) 4
উত্তর: (b) 5
14. সমুদ্রের গভীরে গেলে যেটি ঘটে-
(a) তাপমাত্রা কমে
(b) অন্ধকার বাড়ে
(c) জলের চাপ বাড়ে
(d) সবকটি
উত্তর: (d) সবকটি
15. ঠান্ডা আলো তৈরিতে সাহায্য করে-
(a) লুসিফেরিন
(b) অক্সিজেন
(c) লুসিফারেজ
(d) সবকটি
উত্তর: (d) সবকটি
16. সিলিকা
নির্মিত কোশ প্রাচীর দেখা যায়-
(a) ডায়াটমে
(b) জিনোফ্ল্যাজেলেটে
(c) কেলেপ
(d) অক্টোপাসে
উত্তর: (a) ডায়াটমে
17. স্কুইড শিকার করে-
(a) শোষকযন্ত্র দিয়ে
(b) নালিপথ দিয়ে
(c) ফ্ল্যাজেলা দিয়ে
(d) সিলিয়া দিয়ে
উত্তর: (a) শোষকযন্ত্র দিয়ে
18. মানুষখেকো শার্ক হল-
(a) বাস্কিং শার্ক
(b) হোয়েল শার্ক
(c) হ্যামার হেডেড শার্ক
(d) কোনোটিই নয়
উত্তর: (c) হ্যামার হেডেড শার্ক
19. দৈত্যাকার অক্টোপাস দেখা যায়-
(a) প্রশান্ত মহাসাগরে
(b) আটলান্টিক মহাসাগরে
(c) ভারত মহাসাগরে
(d) সবকটিতে
উত্তর: (a) প্রশান্ত মহাসাগরে
20. সমুদ্রের জলের রং লাল হয় যার সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে, সেটি হল-
(a) ডায়াটম
(b) জিনোফ্ল্যাজেলেট
(c) সীপেন
(d) কেল্প
উত্তর: (b) জিনোফ্ল্যাজেলেট
21. সমুদ্রের জলের অম্লত্ব বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ হল পরিবেশে-
(a) O2 -র বৃদ্ধি
(b) CO2-র বৃদ্ধি
(c) N₂ বৃদ্ধি
(d) H2PO4 বৃদ্ধি
উত্তর: (b) CO2-র বৃদ্ধি
22. একটি ঠান্ডা মরুভূমি হল-
(a) সাহারা মরুভূমি
(b) থর মরুভূমি
(c) গোবি মরুভূমি
(d) আরবের মরুভূমি
উত্তর: (c) গোবি মরুভূমি
23. থর মরুভূমি অবস্থিত-
(a) গুজরাটে
(b) অসমে
(c) রাজস্থানে
(d) মহারাষ্ট্রে
উত্তর: (c) রাজস্থানে
24. মরুভূমিতে বছরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ-
(a) 20 cm-এর কম
(b) 50 cm-এর বেশি
(c) 100 cm-এর কম
(d) 120 cm-এর বেশি
উত্তর: (a) 20 cm-এর কম
25. মরু অঞ্চলের উদ্ভিদের পাতায় পত্ররন্ধ্রের সংখ্যা কম হয় কারণ-
(a) জল শোষণের জন্য
(b) বাষ্পমোচন কম করার জন্য
(c) সালোকসংশ্লেষের জন্য
(d) কোনোটিই নয়
উত্তর: (b) বাষ্পমোচন কম করার জন্য
Fill In The Blanks
1. পৃথিবীপৃষ্ঠের
তাপমাত্রা ও জলচক্র নিয়ন্ত্রণ করে |
2. শ্বাসমূলযুক্ত গাছের বাদাবনে গাছ দেখা যায়।
উত্তর: গরান
3. বনগঠনের শেষ স্তর হল বনের ।
উত্তর: মেঝে
4. বর্ষাবন
হল এর মতো।
উত্তর: স্পঞ্জ
5. বনের আগুনকে বলে।
উত্তর: দাবানল
6. মরুভূমি
বিস্তারের একটি কারণ হল-
|
উত্তর: বনভূমি হ্রাস
7. বনের
মাটি আর গাছের পাতা বৃষ্টিপাতের প্রায়
শুষে নেয়।
উত্তর: 50%
৪. পাহাড়ের ঢালে বিদেশ থেকে আগত গাছের বন আছে।
উত্তর: ধূপী
9. পরিবেশের
তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে সমুদ্রের জলে বাড়ছে
পরিমাণ।
উত্তর: নুনের
11. ডায়াটম হল একটি |
উত্তর: ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন
12. সমুদ্রের
ডুবে থাকা মহাদেশের অংশকে
বলে।
13. কেল্প হল এক প্রকার সামুদ্রিক |
উত্তর: শৈবাল/শ্যাওলা
14. বায়োলুমিনিসেন্ট জীবের দেহে নামক উৎসেচক পাওয়া যায়।
উত্তর: লুসিকারেজ
15. গমনে
অক্ষম একটি প্রাণী হল
|
উত্তর: সাগর কুসুম
16. দশবাহুযুক্ত একটি প্রাণী হল |
উত্তর: স্কুইড
17. মানুষের ক্ষেত্রে প্রাণঘাতী হল অক্টোপাস।
উত্তর: ব্লু-রিংড
18. নালিপদের সাহায্যে চলাফেরা করে।
উত্তর: তারামাছ
19. মরুভূমিতে
তাপমাত্রা খুব বেড়ে গেলে কোনো কোনো প্রাণী
নামক গরম ঘুমে চলে যায়।
20. মরু উদ্ভিদের দেহে এর পরিবর্তে কাঁটা থাকে।
21. প্রিকলি
পিয়ারের আত্মরক্ষার অস্ত্র হল
|
22. মরুভূমির
গাছের ছালকে মানুষ থালা, বাটি হিসেবে ব্যবহার করে।
23. সবদেশের
মরুভূমিতে আছে
পিয়ার
গাছ।
24. মরুভূমির
সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ হল |
25.
মরুভূমিতে
বসবাসকারী মানুষদের বুশম্যান বলে।
1. ভারতের স্থলভাগের ২১ শতাংশ হল বন।
শুদ্ধ
2. মাটির নীচের জলস্তর নিয়ন্ত্রণে উদ্ভিদের কোনো ভূমিকা নেই।
অশুদ্ধ
3. শন, পুরুন্ডি ইত্যাদি দেখা যায় ঘাসের বনে।
শুদ্ধ
4. তাপির, গরিলা ইত্যাদি প্রাণী বর্ষাবনে দেখা যায়।
শুদ্ধ
5. বন কেটে ফেললে খরা ও বন্যার সমস্যা কমে যায়।
অশুদ্ধ
6. সারা পৃথিবীতে প্রতি সেকেন্ডে মানুষ প্রায় 11½ একর বন কেটে ধ্বংস করে।
শুদ্ধ
7. তরাই এর বন দক্ষিণ সমুদ্রোপকূলে দেখা যায়।
অশুদ্ধ
৪. শ্বাসমূলযুক্ত উদ্ভিদ দেখা যায় পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিকে।
শুদ্ধ
9. ঠেসমূল দেখা যায় পাইন গাছে।
অশুদ্ধ
10. অক্টোপাস খুব নিরীহ আর ভীরু প্রকৃতির প্রাণী।
শুদ্ধ
11. ডিনোফ্ল্যাজেলেট সিলিয়ার সাহায্যে চলাফেরা করে।
অশুদ্ধ
12. সাগর কুসুম এর কর্ষিকাগুলোতে থাকে অসংখ্য দংশক কোশ।
শুদ্ধ
13. সী-পেন দেখতে হাঁসের পালকের তৈরি কলমের মতো।
শুদ্ধ
14. অক্টোপাসের বাহুর সংখ্যা ১০ টি।
শুদ্ধ
15. ডিমফুটে শিশু অক্টোপাস বেরোলে মা অক্টোপাস মারা যায়।
শুদ্ধ
16. দৈত্যাকার স্কুইড বাস করে প্রশান্ত মহাসাগরে।
অশুদ্ধ
17. হাঙরের দেহে পাঁচটি ফুলকা ফাটল বা স্লিট থাকে।
শুদ্ধ
18. রাসায়নিক সার ও জৈব বর্জ্য সমুদ্রে অ্যালগাল ব্লুমের কারণ।
শুদ্ধ
19. ভারতবর্ষের উন্ন মরুভূমি হল থর।
শুদ্ধ
20. অ্যারবিয়ান উটে দুটি কুঁজ থাকে।
অশুদ্ধ
1. আদর্শ অরণ্যের কোন স্তর সর্বাপেক্ষা ঘটনাবহুল?
উত্তর: বনের মেঝের ঠিক ওপরের অংশ বা স্তর।
2. বনের কোন্ স্তরে উদ্ভিদরা সবচেয়ে বেশি খাদ্য তৈরি করে?
উত্তর: ছাদ বা Canopy স্তরে।
3. পৃথিবীর
বায়ুমণ্ডলের ফুসফুস কাকে বলে?
উত্তর: আমাজনের বর্ষাবনকে।
4. বর্ষাবনের মাথায় পড়া বৃষ্টির ফোঁটা মাটিতে আসতে কতটা সময় নেয়?
উত্তর: 10 মিনিট পর্যন্ত।
5. অ্যাকেরিয়ামের রঙিন মাছরা বেশির ভাগ কোথায় জন্মায়?
উত্তর: দক্ষিণ আমেরিকা বা এশিয়ার বর্ষাবনের জলে।
6. পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের অধিকাংশ অক্সিজেনের উৎপত্তি কোথায়?
উত্তর: বর্ষাবনে।
7. দাবানল কী?
উত্তর: বনে গাছে বা পাতায় ধরে যাওয়া আগুনকে দাবানল বলে।
৪. বৃক্ষচ্ছেদনের প্রাথমিক ফল কী?
উত্তর: বায়ুমণ্ডলে ০, এর হ্রাস ও CO₂ বৃদ্ধি
9. বনের
কোন্ স্তরে হিউমাস তৈরি হয়?
উত্তর: বনের মেঝেতে।
10. মানুষের কার্যকলাপে আগামি কত বছরে বর্ষাবন পৃথিবী থেকে লুপ্ত হয়ে যাবে?
উত্তর: 100 বছরে।
11. উত্তরবঙ্গের বনভূমির একটি সংকট লেখো।
উত্তর: মানুষ ও হাতির সংঘাত।
12. পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম দিকে শালের জঙ্গলে হাতি কোথা থেকে আসে?
উত্তর: দলমা পাহাড় থেকে।
13. সমুদ্রের জলে কতটা লবণ থাকে?
উত্তর: সমুদ্রের জলে প্রায় 33-38 গ্রাম লবণ প্রতি হাজার গ্রাম জলে থাকে।
14. ঠেসমূলের কাজ কী?
উত্তর: নরম লবর্ণাক্ত মাটিতে গাছকে শক্ত করে আঁকড়ে ধরে রাখে ঠেসমূল।
15. ইউফোটিক অঞ্চল কাকে বলে?
উত্তর: সমুদ্রের ভেতরে যতটা দূর পর্যন্ত আলো প্রবেশ করে, তাকে ইউফোটিক অঞ্চল বলে।
16. 'বায়োলুমিনিসে' শব্দটির অর্থ কী?
উত্তর: জীবের থেকে আসা আলো।
17. ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন কী?
উত্তর: জলে ভেসে বেড়ানো আণুবীক্ষণিক সালোকসংশ্লেষকারী উদ্ভিদ।
18. জুপ্ল্যাঙ্কটন কাকে বলে?
উত্তর: জলে ভেসে থাকা আণুবীক্ষণিক প্রাণী।
19. ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটনের একটি ভূমিকা লেখো।
উত্তর: পরিবেশে কার্বনের ভারসাম্য বজায় রাখা।
20. দুটি ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটনের নাম লেখো।
উত্তর: ডায়াটম, জিনোফ্ল্যাজেলেট।
21. ঠান্ডা আলোর জীবেদের দেহে কোন্ উৎসেচক থাকে?
উত্তর: লুসিফারেজ।
22. সাগরকুসুমের কর্ষিকা কী কাজ করে?
উত্তর: ছোটো মাছ বা অন্য প্রাণী শিকারে সাহায্য করে।
23. সীপেন বা সাগর কলম কি গমন করতে পারে?
উত্তর: না। সীপেন গমন করতে পারে না।
24. খোলসবিহীন
একটি মোলাস্কার নাম লেখো।
25. অমেরুদণ্ডী
প্রাণীদের মধ্যে উন্নত চোখ ও মস্তিষ্ক কোন্ প্রাণীতে থাকে?
26. অক্টোপাস কীভাবে আত্মরক্ষা করে?
উত্তর: অক্টোপাস আক্রান্ত হলে দেহের কালি গ্রন্থি থেকে কালি ছিটিয়ে
জল ঘোলা করে দিয়ে পালিয়ে যায়।
27. কোন্
অমেরুদণ্ডী প্রাণীর দেহ টর্পেডোর মতো?
29. দৈত্যাকার
স্কুইড কত বড়ো হয়?
30. নালিপদ
কী?
31. অক্টোপাসের
বাহুর সংখ্যা কয়টি?
32. হাঙর
মাছের চামড়ায় কী ধরনের আঁশ থাকে?
33. একটি
মানুষখেকো হাঙরের নাম লেখো।
34. কোন্
মাছের কঙ্কাল কার্টিলেজ দিয়ে তৈরি?
35. কোন্
প্রাণীর বাহু ভেঙে গেলে ভাঙা বাহু থেকে নতুন বাহু তৈরি হয়?
উত্তর: তারামাছের।
36. অ্যালগাল
ব্লুমের কারণে সামুদ্রিক জীবের মৃত্যু কীভাবে ঘটে?
37. মরুভূমিতে
আধিক্য কোন্ জিনিসের?
উত্তর: বালির।
38. মরুভূমিতে
তাপমাত্রা বা গরম বেশি কেন?
উত্তর: মরুভূমিতে বালি থাকায় জল মাটিতে শোষিত হয় না, সূর্যের আলোয় 90% বিকিরিত হয়। তাই মরুভূমিতে তাপমাত্রা বেশি।
39. মরূদ্যান
কী?
উত্তর: মরুভূমিতে চারদিকের বালির মধ্যে অবস্থিত সামান্য জলাশয় ও গাছপালা ঘেরা অংশকে মরুদ্যান বলে।
40. মরু
উদ্ভিদের মূলত্র শক্তপোক্ত হয় কেন?
উত্তর: জলের খোঁজে মাটির অনেক গভীরে মরুউদ্ভিদের মূল প্রবেশ করে। তাই মরু উদ্ভিদের মূলত্র শক্তপোক্ত হয়।
41. মেশকুইট
গাছ মরুভূমির কোন্ অংশে জন্মায়?
উত্তর: মরুভূমির বালিয়াড়িতে মেশকুইট গাছ জন্মায়।
42. দৈত্যকার
ক্যাকটাস কাকে বলে?
উত্তর: সাগুয়াকে দৈত্যাকার ক্যাকটাস বলে।
43. সাগুয়ারো
গাছে কখন ফুল ফোটে?
উত্তর: রাত্রে সাগুয়ারো গাছে হলুদ রঙের ফুল ফোটে।
44. কোন্
গাছের ফল তরমুজের মতো দেখতে?
উত্তর: সাগুয়ারো।
45. উটের
কুঁজে কী থাকে?
উত্তর: উটের কুঁজে চর্বি/ফ্যাট থাকে।
46. মরুভূমির
গিরগিটি কখন শিকারের জন্য বেরিয়ে আসে?
উত্তর: সন্ধ্যের দিকে।
47. র্যাটল
সাপ-এর শত্রু কে?
উত্তর: ঈগল।
48. থর
মরুভূমির সবচেয়ে বড়ো পাখি কোন্টি?
উত্তর: বাস্টার্ড।
49. ভারতের
জাতীয় পাখি কোথায় দেখা যায়?
উত্তর: থর মরুভূমিতে।
50. মরুভূমির
ক্যাঙারু কাকে বলে?
উত্তর: জারবিলকে মরুভূমির ক্যাঙারু বলে।
51. সাহারা
মরুভূমির অধিবাসীদের কী বলে?
উত্তর: বেদুইন।
52. সান
বুশম্যান কারা?
উত্তর: কালাহারি মরুভূমিতে বসবাসকারী অধিবাসীদের সান বুশম্যান বলে।
53. আমেরকিার
মরু অঞ্চলের অধিবাসীদের কী বলে?
উত্তর: রেড ইন্ডিয়ান।
54. বালির
ভেতরে গর্ত করে থাকে কোথাকার অধিবাসীরা?
উত্তর: নামিব মরুভূমির অধিবাসী বুশম্যানরা বালির ভেতরে গর্ত করে থাকে।
55. কী
কারণে মরুভূমি বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে?
উত্তর: মাটির ক্রমশ ক্ষয়বৃদ্ধি ও জৈব উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাসের কারণে মরুভূমি বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
56. মেরু অঞ্চল কোন্টি?
উত্তর: উত্তর ও দক্ষিণ মেরুকে ঘিরে যে ভৌগোলিক অঞ্চল অবস্থিত, তাই হল মেরু অঞ্চল।
57. সুমেরুর
জীবজগতের প্রধান বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর: সুমেরুর জীবজগতের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল জলজ স্তন্যপায়ীদের প্রাধান্য।
58. এমন
একটি পরিযায়ী পাখির নাম লেখো যারা এক মেরু থেকে অন্য মেরুতে পরিযান করে।
উত্তর: আর্কটিক টার্ন।
59. সুমেরুর
উদ্ভিদে গ্রীষ্মকালে ফুল ফোটে কেন?
উত্তর: কারণ যাতে শরতের আগেই গাছের বীজ দূর দূরান্তে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই গ্রীষ্মকালে সুমেরুর উদ্ভিদে ফুল ফোটে।
60. মেরু
ভালুকের গায়ের লোমের রং কী রকম?
61. মেরু
ভালুকের শরীরের একদম নীচের চামড়া কালো রঙের কেন হয়?
উত্তর: সূর্যের তাপ ধরে রাখার জন্য।
62. মেরু
ভালুক জলে ভেসে থাকতে পারে কেন?
উত্তর: কারণ এদের শরীরে চামড়ার নীচে পুরু চর্বির স্তর থাকে।
63. সুমেরু
অঞ্চলে মাছেদের দেহতলে তরল জমাট বাঁধে না কেন?
উত্তর: দেহের তরলে অ্যান্টিফ্রিজ প্রোটিন থাকে। তাই দেহতলে তরল জমাট বাঁধে না।
64. এস্কিমো
কথাটির অর্থ কী?
উত্তর: এক্সিমোর যারা কাঁচা মাংস খায়।
65. অ্যান্টার্কটিকার বিস্ময় কারা?
উত্তর: পেঙ্গুইনরা অ্যান্টার্কটিকার বিস্ময়।
66. অ্যান্টার্কটিকার
ওজোনস্তর ছিদ্রকারী পদার্থের নাম লেখো।
উত্তর: ক্লোরোফ্লুওরোকার্বন ও হ্যালনজাতীয় যৌগ ওজোনস্তর ছিদ্র করছে অ্যান্টার্কটিকায়।
67. পশ্চিমবঙ্গের
রাজ্য পশুর নাম কী?
উত্তর: মেছো বিড়াল বা বাঘরোল।
68. বিপন্ন
জীব কাকে বলে?
উত্তর: নিকটে ভবিষ্যতে না হলেও বন্য পরিবেশে যে সকল জীবের বিলুপ্তি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে, তাদের বিপন্ন প্রাণী বলে
69. ভারতবর্ষের
একটি সরীসৃপ শ্রেণির বিপন্ন প্রাণীর নাম লেখো।
উত্তর: খাড়ির কুমির।
70. IUCN-এর
পুরো নাম লেখো।
উত্তর: ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর দ্য কনজারভেশন অব ন্যাচার অ্যান্ড ন্যাচারাল রিসোর্সেস।
71. জলদাপাড়া
অভয়ারণ্য কোন্ প্রাণী সংরক্ষণের জন্য বিখ্যাত?
উত্তরঃ একশৃঙ্গ গন্ডার।
72. পশ্চিমবঙ্গের
একটি বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভের নাম লেখো।
উত্তর: সুন্দরবন বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ।
73. বনের
পশুকে বনেই সংরক্ষণ করাকে কী বলে?
উত্তর: ইনসিটু সংরক্ষণ/প্রাকৃতিক পরিবেশে সংরক্ষণ।
74. পৃথিবীর প্রথম শুশুক স্যাংচুয়ারিটির নাম কী?
উত্তর: বিক্রমশীলা গ্যাঞ্জেটিক ডলফিন স্যাংচুয়ারি।
75. আমাদের
জাতীয় জলজ প্রাণী কোন্টি?
উত্তর: গঙ্গার শুশুক।
76. পশ্চিমবঙ্গের
শকুন পুনর্বাসন কেন্দ্রটি কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: উত্তরবঙ্গের রাজা ভাতখাওয়াতে।
1. আবহাওয়ার
বিভিন্ন শর্তের পার্থক্যভেদে কত ধরনের বনের অস্তিত্ব দেখা যায় ও কী কী?
উত্তর: আবহাওয়ার বিভিন্ন শর্তের পার্থক্যভেদে নিম্নলিখিত ধরনের বন দেখা যায়- (ক) সূচের মতো পাতাযুক্ত গাছের বন, (খ) পাতাঝরা গাছের বন, (গ) চিরসবুজ গাছের বন, (ঘ) কাঁটাওয়ালা ঝোপঝাড়, (ঙ) ঘাসের বন, (চ) শ্বাসমূলযুক্ত গাছের বাদাবন।
3. বনের মেঝের ঠিক ওপরের স্তরে সবসময় কী ঘটনা ঘটে চলে?
উত্তর: বনের মেঝের ঠিক ওপরের স্তরে মূলত বীরুৎজাতীয়, সদ্য বীজ থেকে বেরোনো গাছের চারা, ফার্ন, ঘাস এবং নানা আগাছা দেখা যায়। এরা বনের মেঝে ঢেকে রাখে। এই স্তরে ইদুর, পোকামাকড়, সাপ, ব্যাং থাকে। হরিণ তার বাচ্চাদের এখানে যেমন লুকিয়ে রাখে। শিকারি প্রাণীর শিকার ধরার জন্য নিজেদের এখানে লুকিয়ে রাখে।
4. হিউমাস
কী? বনের
মধ্যে মেঝেতে কোন্ কোন্ জীব থাকে?
উত্তর: গাছের ঝরে পড়া পাতা, ফুল, ফল, পাখির পালক, লোম, মল, মৃত পচাগলা পদার্থ মাটির সঙ্গে মিশে মাটিকে উর্বর করে তোলে। মাটির সঙ্গে মেশা এইসব জৈব পদার্থকে হিউমাস বলে। বনের মেঝেতে কেঁচো, কেন্নো, আরশোলা, কাঁকড়াবিছে, তেঁতুলেবিছে, শামুকসহ নানা আণুবীক্ষণিক জীব বসবাস করে।
5. বর্ষাবন
কোথায় দেখা যায়? এই
বনের বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর: নিরক্ষরেখা বরাবর 10° উত্তর এবং 10° দক্ষিণ-এর মধ্যে বর্ষাবন দেখা যায়। বর্ষাবনের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল- লম্বা লম্বা গাছ, উয় আবহাওয়া, আর প্রচুর বৃষ্টিপাত।
6. বৃক্ষচ্ছেদন
কীভাবে মরুভূমি সৃষ্টি করে?
উত্তর: গাছের মূল মাটির কণাকে আঁকড়ে ধরে রাখে। গাছ কেটে ফেললে অর্থাৎ বৃক্ষচ্ছেদন করলে মাটির কণা আলগা হয়ে যায়, জল শুকিয়ে যায়। বৃষ্টির জলে মাটি ধুয়ে চলে যায় এবং নীচের পাথর বেরিয়ে পড়ে। ফলে কোনো গাছ আর জন্মাতে পারে না। এই ঘটনা বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে দীর্ঘকাল চলতে থাকলে মরুভূমির সৃষ্টি হয়।
7. বন
কাটার সঙ্গে খরা ও বন্যার সম্পর্ক কী?
উত্তর: বন ক্রমাগত কাটার ফলে পরিবেশে CO₂-র পরিমাণ বাড়তে থাকে। CO₂-র পরিমাণ বাড়লে পরিবেশ গরম হয়ে বিশ্ব উন্নায়ন ঘটে। এরফলে জলচক্র ব্যাহত হয়। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমতে থাকে বা বৃষ্টিপাতের চরিত্রের পরিবর্তন ঘটে। ফলে খরার সৃষ্টি হতে পারে বা বন্যাও হতে পারে।
10. উত্তরবঙ্গের
বনভূমিতে কোন্ কোন্ উদ্ভিদ দেখা যায়?
উত্তর: উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্স এবং তরাই-এর বনভূমিতে শাল, গামার, খয়ের, শিশু, আমলকী, দেওদার গাছ দেখা যায়। উঁচু পাহাড়ের ঢালে রডোড্রেনড্রন, পাইন প্রভৃতি নানা গাছ দেখা যায়। এছাড়া আছে বিদেশ থেকে আনা ধূপী গাছের বন।
11. "উত্তরবঙ্গের
বনভূমির একটি সংকট হল মানুষ-হাতি সংঘাত"- ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: পর্যটনের উন্নয়ন তথা যাতায়াতের সুবিধার জন্য উত্তরবঙ্গের বনভূমি কেটে হাতির যাতায়াতের পথে রেললাইন নির্মাণ করা হয়েছে। এরফলে ট্রেনে কাটা পড়ে অনেক হাতি মারা যাচ্ছে। এছাড়া বসতি নির্মাণের কারণে বন কাটা হচ্ছে। ফলে খাদ্যের সন্ধানে বর্ষার শুরুতে ভুট্টার সময়ে এবং শীতের শুরুতে ধান পাকতে শুরু করলে হাতি লোকালয়ে চলে আসে। ফলে শুরু হয় মানুষ হাতির সংঘাত।
12. বর্তমানে ম্যানগ্রোভ বনভূমির জীবেরা কী কী সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে?
উত্তর: বর্তমানে নির্বিচারে গাছকাটা ও পরিবেশ দূষণের ফলে পৃথিবীর
তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়ছে। এর ফলে জমে থাকা বরফ গলে জলের উচ্চতা ক্রমাগত বাড়াচ্ছে।
বাড়াচ্ছে জলে নুনের পরিমাণ। অতিরিক্ত নুনের কারণে গাছের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে।
বিপন্ন হচ্ছে বাঘ, খাঁড়ির কুমির, রিভার টেরাপিন (নদীর কচ্ছপ)-এর মতো প্রাণীরা।
13. ম্যানগ্রোভ
উদ্ভিদরা কীভাবে তাদের দেহ থেকে অতিরিক্ত লবণ বার করে দেয়?
উত্তর: ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদরা যেহেতু লবণাক্ত অঞ্চলে জন্মায়। তাই মূলরোম দিয়ে শোষিত জলের সঙ্গে এদের দেহে অতিরিক্ত লবণ প্রবেশ করে। এই অতিরিক্ত লবণ দেহ থেকে বার করে দেওয়ার জন্য ওদের মূল ও পাতার লবণ গ্রন্থি দেখা যায়। এই লবণ গ্রন্থির সাহায্যে এরা লবণ বের করে দেয়। এছাড়া পাতা ঝরিয়ে, বাকল মোচন করেও এরা লবণ বার করে দেয়।
14. উত্তরবঙ্গের
বনভূমিতে মানুষ ও চিতাবাঘের সংঘাতের মূল কারণ কী?
উত্তর: জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে বসতি নির্মাণ ও কৃষিজমি সম্প্রসারণের জন্য বনভূমির আয়তন আজ সংকুচিত হচ্ছে। ফলে চিতাবাঘের প্রাকৃতিক খাদ্য নানা তৃণভোজী প্রাণীদের বাসস্থল ধ্বংস হচ্ছে ও তারা বিলুপ্ত হচ্ছে। ফলস্বরূপ চিতাবাঘ খাদ্যের জন্য লোকালয়ে প্রবেশ করে হাঁস, মুরগি, ছাগল, গোরু, বাছুর ইত্যাদি শিকার করছে। ফলে দেখা যাচ্ছে মানুষ ও চিতাবাঘের সংঘাত। এছাড়া মানুষ চিতাবাঘ দ্বারা জখম হচ্ছে। কখনও আবার মানুষের তৈরি মরণ ফাঁদ বা বিষ প্রয়োগে চিতাবাঘের মৃত্যু ঘটছে।
15. সমুদ্রের নীচের জীবনের বৈচিত্র্য কোন্ কোন্ শর্তের ওপর নির্ভরশীল?
উত্তর: সমুদ্রের নীচের জীবনের বৈচিত্র্য সূর্যালোকের প্রবেশ বা ভেদ্যতা, তাপমাত্রা, জলের চাপ, লবণাক্ততা ইত্যাদি বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল।
16. সমুদ্রের কোন্ অংশে জীববৈচিত্র্য অধিক ও কেন?
উত্তরঃ সমুদ্রের জলের মধ্যে যতটা গভীরতা পর্যন্ত সূর্যালোক প্রবেশ করতে পারে ততদূর পর্যন্ত জীববৈচিত্র্য অধিক। কারণ এই অঞ্চলে ফাইটো প্ল্যাঙ্কটনসহ অন্যান্য স্বভোজী তথা উৎপাদকরা জন্মায় এবং সালোকসংশ্লেষের মাধ্যমে খাদ্য তৈরি করে। এই খাবারের ওপর নির্ভর করে এই অঞ্চলের অন্যসব জীবেরা তাই এই অঞ্চলে জীববৈচিত্র্য অধিক।
17. বায়োলুমিনিন্সে
কী?
উত্তর: বায়োলুমিনিন্সে হল সমুদ্রের গভীরে থাকা একধরনের জীবের দেহের ঠান্ডা আলো। ওই সকল জীবের দেহে অবস্থিত লুসিফেরিন প্রোটিন রঞ্জক অক্সিজেনের উপস্থিতিতে লুসিফারেজ উৎসেচকের সহায়তায় রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে রাসায়নিক শক্তিকে আলোকশক্তিতে রূপান্তরিত করে। এই আলোই হল বায়োলুমিনিসিস বা ঠান্ডা আলো।
18. বায়োলুমিনিন্সে
জীবেদের কীভাবে সাহায্য করে?
উত্তর: বায়োলুমিনিন্সে জীবকে খাদ্য খুঁজতে সাহায্য করে। খাদ্যকে আকর্ষণ করতে, ছদ্মবেশ ধারণ করতে ও আত্মরক্ষায় সাহায্য করে।
20. তারামাছ
কীভাবে শিকার করে?
উত্তর: তারামাছের ফাঁপা নালিপদের শেষ প্রান্তে আছে চোষক বা সাকার। নালিপদের চোষক দিয়ে জল টেনে তা বের করে শিকার ধরে। জল টানার সময় যে সাময়িক শূন্যতা তৈরি হয়, তাতে শিকার নালিপদে আটকে যায়। তখন তাকে খেয়ে নেয়। ঝিনুক তারামাছের প্রিয় খাদ্য। নালিপদ দিয়ে ঝিনুককে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে এবং চোষক দিয়ে টানতে থাকে। ক্রমাগত টান পড়ার ফলে ঝিনুকটা খোলের বাইরে বেরিয়ে আসে এবং তারামাছ তা খেয়ে নেয়।
21. সমুদ্রের
জলে প্লাস্টিক দূষণ বেড়ে যাওয়ার ফলে কী ঘটছে?
উত্তর: সমুদ্রের জলে প্লাস্টিক দূষণ বাড়ে যাওয়ার ফলে সামুদ্রিক প্রাণীরা খাবার ভেবে প্লাস্টিকজাত জিনিস খেয়ে ফেলে। এই প্লাস্টিকের জিনিসগুলি খাদ্যনালিতে আটকে গিয়ে খাবার যাওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে অনাহারে বা সংক্রমণে প্রাণীগুলি মারা যায়। কখনও এই প্লাস্টিক পাকস্থলিতে গিয়ে সংক্রমণ ঘটিয়ে প্রাণীদের মৃত্যুর কারণ হয়।
22. ইউট্রফিকেশন
কাকে বলে?
উত্তর: কোনো জলাশয়ে, নদীতে, সমুদ্রে প্রভৃতিতে রাসায়নিক সার বিশেষত ফসফেট জাতীয় সার, জৈব বর্জ্যযুক্ত ময়লা জল ক্রমাগত পড়তে থাকলে জলে নানা পুষ্টি উপাদান বৃদ্ধি পায়। ফলে জলজ ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটনের সংখ্যা বেড়ে যায়। জলের পুষ্টি উপাদান বেড়ে যাওয়াকে ইউট্রফিকেশন বলে।
23. মরুভূমির বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর: মরুভূমিতে চারিদিকে শুধু বালি আর বালি। দিনেরবেলায় প্রখর
সূর্যের তাপ, রাত্রিবেলা
ঠান্ডা। বছরে বৃষ্টিপাত 20 সেন্টিমিটারের কম
হয়। ফলে চারিদিক শুষ্ক, রুক্ষ ও জলহীন।
মরুভূমি যে শুধু গরম হয় তা নয়, মরুভূমি ঠান্ডাও হয়। এই মরুভূমির মাঝে মাঝে কোথাও একটু জল ও
সবুজের সমারোহ দেখা যায়। যাকে মরুদ্যান বলে।
24. এশিয়া
মহাদেশে অবস্থিত একটি উয় ও একটি ঠান্ডা মরুভূমির নাম লেখো।
উত্তর: এশিয়া মহাদেশের একটি উয় মরুভূমি হল ভারতবর্ষের থর মরুভূমি এবং ঠান্ডা মরুভূমি হল মঙ্গোলিয়ার গোবি মরুভূমি।
25. ঠান্ডা মরুভূমিতে কোন্ কোন্ প্রাণী দেখা যায়?
উত্তর: ঠান্ডা মরুভূমি গোবি মরুভূমিতে ব্যাকট্রিয়ান উট, বিটল, নীল পাহাড়ি পায়রা, ভালুক, বরফ চিতা, বন্য ভেড়া দেখা যায়।
26. প্রিকলিপিয়ার
বা সাধারণ ফণীমনসার কাঁটার গুরুত্ব কী?
উত্তর: প্রিকলিপিয়ার বা সাধারণ ফণিমনসার কাঁটার গুরুত্ব অপরিসীম। প্রথমত, কাঁটাগুলি পাতার রূপান্তর। এটি বাষ্পমোচনরোধ করে জলের অপচয়রোধ করে, দ্বিতীয়ত, কাঁটা আত্মরক্ষায় সাহায্য করে।
27. যশুয়া
গাছের মূলের বিশেষত্ব কী?
উত্তর: যশুয়া গাছে দু প্রকারের মূল দেখা যায়। একধরনের মূল জল সঞ্চয় করে স্ফীত হয়ে কন্দ তৈরি করে। আরেক ধরনের মূল জল সংগ্রহের জন্য মাটির অনেক গভীরে চলে যায়।
28. মরুভূমির
উদ্ভিদের শুষ্কতা প্রতিরোধে ও দেহের জলের অপচয় রোধের একটি করে দেহগত ব্যবস্থার
উল্লেখ করো।
উত্তর: মরু অঞ্চলের উদ্ভিদরা দেহের শুষ্কতাকে প্রতিরোধ করার জন্য কান্ডে মিউসিলেজ নামক জেলির ন্যায় অর্ধতরল পদার্থের মধ্যে জল সঞ্চয় করে। ফলে কাণ্ড রসালো হয়। জলের অপচয় রোধ করার জন্য এদের দেহের ত্বকে পুরু কিউটিকল থাকে ও পাতা কাঁটায় রূপান্তরিত হয়। ফলে জলের বাষ্পমোচন হয় না।
29. মরু
অঞ্চলের জীবেদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা কীরূপ?
উত্তর: মরু অঞ্চলে দিনের ভয়াবহ তাপের কারণে সাধারণত বেশিরভাগ প্রাণীরা বালির নীচে লুকিয়ে থাকে। সন্ধ্যে নামার সঙ্গে সঙ্গে তারা বালি ফুঁড়ে বেরিয়ে আসে। বালির ওপর শিকার ধরে, নানা কাজকর্ম করে। ভোরবেলায় পুনরায় গর্তে চলে যায়।
30. দেহে
জল সংরক্ষণের জন্য উটের দেহে ২টি অভিযোজনগত বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর: দেহে জল সংরক্ষণের জন্য উটের দেহে ২টি অভিযোজনগত বৈশিষ্ট্য হল-
(ক) উটের দেহে ঘর্মগ্রন্থির সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। ফলে ঘামের মাধ্যমে জল বেরিয়ে যেতে পারে না।
(খ) জল সংরক্ষণের জন্য উট ঘন মূত্র ত্যাগ করে।
31. মরুভূমির
গিরগিটি সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো।
উত্তর: মরুভূমির গিরগিটি চওড়া ধরনের হয়। এরা রাতের বেলা বালির ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে। এরা যখন বালির ওপর দিয়ে চলাফেরা করে, তখন এরা সাঁতার কাটছে মনে হয়। এদের চোখের পাতা স্বচ্ছ চামড়া দিয়ে আবৃত থাকে। লেজে চর্বি সঞ্চিত থাকে। পোকামাকড় খেয়ে বেঁচে থাকে।
32. জারবিলের
খাদ্য কী? কীভাবে
এরা আত্মরক্ষা করে?
উত্তর: জারফিল মূলত বিভিন্ন ধরনের ফল, বীজ, বাদাম এবং পতঙ্গ খায়। জারবিলের রং সাদা থেকে খয়েরি হয়। তবে শত্রুর হাত থেকে আত্মরক্ষার জন্য এরা বালির রং ধারণ করে শত্রুর চোখে ধুলো দেয়।
33. থর
মরুভূমির কিছু উল্লেখযোগ্য প্রাণীর নাম লেখো।
উত্তর: থর মরুভূমির কিছু উল্লেখযোগ্য প্রাণী হল- উট, কৃষ্ণসার হরিণ, বুনো গাধা, বাস্টার্ড পাখি, ময়ূর, চিল, ঘুঘু, বালিমোরগ প্রভৃতি।
34. পুয়েবলা কী?
উত্তর: আমেরিকার মরু অঞ্চলের অধিবাসীদের রেড ইন্ডিয়ান বলে। এরা সবাই একসঙ্গে মিলেমিশে থাকে। সবাই মিলে পাথরের বাড়ি বানায়। রেড ইন্ডিয়ানদের নির্মিত পাথরের বাড়িগুলিকে পুয়েবলা বলে।
35. থর
মরুভূমিতে কোন্ কোন্ সম্প্রদায়ের লোক থাকে? এদের প্রকৃতি কীরূপ?
উত্তর: থর মরুভূমিতে ওয়াধা, ভীল, গাদি-লোহার সম্প্রদায়ের লোক বসবাস করে। এরা যাযাবর প্রাকৃতির হয়।
36. সুমেরুর
জীবজগতের প্রধান বৈচিত্র্য লেখো।
37. পরিযান কাকে বলে?
উত্তর: এক বাসস্থান ত্যাগ করে অন্য বাসস্থানে অস্তিত্ব রক্ষার
তাগিদে যাওয়াকে পরিযান বলে। ম্যাপ বা কম্পাসের সাহায্য ছাড়াই নানা প্রাকৃতিক চিহ্ন
(পর্বত, নদী, তটরেখা, উদ্ভিদ, বায়ুর গতি প্রকৃতি) দেখে সুমেরু অঞ্চলের পাখি, বলগা হরিণ খাদ্যের সন্ধানে, প্রজননের জন্য অপেক্ষাকৃত উয় অঞ্চলে গমন করাকেই পরিযান
হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
38. মেরু
ভালুকের স্বাভাবিক অস্তিত্ব রক্ষার সমস্যাগুলি কী?
উত্তর: মেরু ভালুকের স্বাভাবিক অস্তিত্ব রক্ষার প্রধান সমস্যাটি হল বিশ্ব উন্নায়ন। ক্রমাগত পরিবেশ দূষণের ফলে পৃথিবীর ওপর গ্রিন হাউস গ্যাসের আস্তরণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গলে যাচ্ছে মেরু অঞ্চলের বরফ, সংকুচিত হচ্ছে ভালুকের বাসস্থান ও বিচরণ ভূমি। এছাড়া লোম, চামড়া ও নখের জন্য এদের নির্বিচারে শিকার করাও হচ্ছে।
39. কখন সুমেরুর প্রাণীরা বাচ্চা দেয় বা ডিম পাড়ে?
উত্তর: সুমেরুর প্রচণ্ড ঠান্ডায় শীতকালে বেশিরভাগ প্রাণীই বাচ্চা
দেয় না। কারণ ঠান্ডা ও যথাযথ খাদ্যের অভাব। তবে বসন্তের শেষ থেকে প্রাণীরা নিজেদের
অঞ্চল নির্দিষ্ট করে নেয় এবং স্বল্পস্থায়ী গ্রীষ্মকালে ডিম পাড়ে বা বাচ্চা দেয়।
তবে মেরু ভালুকরা শীতকালের প্রচণ্ড ঠান্ডায় শিশু ভালুকের জন্ম দেয়। শীতের
মাসগুলোতে। বরফগুহায় এদের লুকিয়ে রাখে। মায়ের দুধ খেয়ে বেঁচে থাকে। বসন্ত আসার
সঙ্গে সঙ্গে এরা গুহা থেকে বেরিয়ে আসে।
40. সুমেরুর
কম তাপমাত্রায় মাছেরা কীভাবে বেঁচে থাকে?
উত্তর: জলের তাপমাত্রা ০°C-এর নীচে নেমে গেলেও বরফের নীচে জল তরল থাকে। মাছেরা তাতে দিব্যি বেঁচে থাকে। নোনাজলের সমুদ্রের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে নেমে গেলেও জলের নুন এদের দেহকে জমে যেতে বাধা দেয় আর এদের দেহে কিছু অ্যান্টিফ্রিজ প্রোটিন থাকে, যা দেহের ভেতরের জলকে বরফ হতে বাধা দেয়।
41. ইগলু
কী? কারা
কখন কীভাবে ইগলু তৈরি করে?
উত্তর: এক্সিমোদের তৈরি বরফ বাড়ি হল ইগলু।
42. দক্ষিণ
মেরুতে কোন্ কোন্ প্রাণী দেখা যায়?
উত্তরঃ দক্ষিণ মেরুতে সিল, তিমি, ডলফিন, পেঙ্গুইন দেখা যায়। মেরু ভালুক দেখা যায় না।
43. পেঙ্গুইনদের
অস্তিত্ব আজ সংকটজনক কেন?
উত্তর: পেঙ্গুইনদের চামড়ার নীচে থাকে চর্বির পুরু স্তর। এই চর্বি বা ফ্যাটের লোভে আজ নির্বিচারে পেঙ্গুইন হত্যা করা হয়। পেঙ্গুইনের ফ্যাট থেকে প্রাপ্ত তেল সাবান তৈরি ও জ্বালানির কাজে ব্যবহার হয়। পেঙ্গুইনের তেল থেকে ওষুধও তৈরি হত। এছাড়া পেঙ্গুইনের পালক জামাকাপড়, টুপি ও ব্যাগ তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়।
44. এস্কিমোদের
জীবনে কুকুর অপরিহার্য কেন?
উত্তর: এস্কিমোদের জীবনে পরিবারকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য একটা বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে শিকারের খোঁজে বেরোতে হয়। বরফের ওপর পায়ে হেঁটে ঘোরা সম্ভব নয়। তাই কুকুরে টানা স্লেজগাড়ির ওপর এদের নির্ভর করতে হয়। তাছাড়া শিকার চিহ্নিত করতে এস্কিমোরা কুকুরের ঘ্রাণশক্তির ওপর নির্ভর করে। তাই এস্কিমোদের জীবনে কুকুর অপরিহার্য।
45. এস্কিমোদের
জীবনযাত্রা কেমন?
উত্তর: এস্কিমোদের জীবনযাত্রা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও কষ্টসাধ্য। উত্তর মহাসাগরের ঠান্ডা জলের সিল, স্যামন, কড মাছ হল এদের প্রধান খাদ্য। সেইসঙ্গে এরা হাঁস, খরগোশ, মেরু শিয়াল, এমনকি মেরু ভালুক ও তিমি শিকার করে মাংস খায়। এদের জীবনে কুকুর অপরিহার্য। যাতায়াত ও শিকারের জন্য এরা কুকুরের ব্যবহার করে।
Paid
Answer Link (Membership User)
EDITING BY--Liza Mahanta