আমরা
👉Paid Answer (For Membership User)
সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো।
প্রশ্নঃ কারা সংস্কৃতের কাঞ্চন-কোকনদকে সুরভিত করেছেন?
(a) রবীন্দ্রনাথ- জয়দের
(b) মধুসূদন-বিদ্যাপতি
© চন্ডীদাস-গোবিন্দদাস
(d) রঘুনাথ-গোবিন্দদাস।
উত্তরঃ (a) রবীন্দ্রনাথ-জয়দেব
প্রশ্নঃ 'রবি-জয়দেব' কী দ্বারা সংস্কৃতের কাল্গুন-কোকনদকে সুরভিত করেছেন।
(a) অমিত্রাক্ষর রীতিতে
(b) মিশ্রকলাবৃত্ত ছন্দে
© পয়ার রীতিতে
(d) কোমল পদে।
উত্তরঃ (d) কোমল পদে
প্রশ্নঃ বাঙালির কবি জগতে কীসের গান গাইছেন?
(a) বিভেদের গান
(b) মহামিলনের গান
© বিদ্রোহের গান
(d) রবীন্দ্রসংগীত।
উত্তরঃ (b) মহামিলনের গান
প্রশ্নঃ "বাঙালি...... লঙ্গিল গিরি তুষারে ভয়ংকর।"
(a) বিবেকানন্দ
(b) বৃন্দাবন
© অতীশ
(d) রামচন্দ্র
উত্তরঃ © অতীশ
প্রশ্নঃ "তাহারি ছায়ায় আমরা মিলব জগতের......."
(a) শত কোটি
(b) শত কোটি শত লক্ষ
© শত হাজার
(d) শত শত কোটি
উত্তরঃ (a) শত কোটি
প্রশ্নঃ দিল্লিনাথ যার হুকুমে ফিরে গিয়েছিলেন।
(a) শিবাজি
(b) চাঁদ ও প্রতাপ
© জয় সিংহ
(d) উদয় সিংহ।
উত্তরঃ (b) চাঁদ ও প্রতাপ
প্রশ্নঃ"- বাণী ছুটেছে জগৎময়" (শূন্যস্থান পূরণ করো)
(a) রবীন্দ্রনাথ
(b) বীর সন্ন্যাসী বিবেকের
© জয়দেব
(d) অতীশ দীপঙ্কর।
উত্তরঃ (b) বীর সন্ন্যাসী বিবেকের
প্রশ্নঃ বঙ্গমাতার চরণে কোন ফুল থাকে?
(a) গোলাপ
(b) জুঁই
© পদ্ম
(d) মাধবী।
উত্তরঃ © পদ্ম
প্রশ্নঃ শ্মশানের বুকে আমরা রোপণ করেছি-
(a) অশ্বত্থ
(b) বেল
© পঞ্চবটী
(d) আম।
উত্তরঃ (a) অশ্বত্থ
প্রশ্নঃ কোন বয়সে বাঙালির ছেলে পক্ষধরের পক্ষপাতন করেছে?
(a) কিশোর বয়সে
(b) যুবক বয়সে
© প্রৌঢ় বয়সে
(d) বালক বয়সে।
উত্তরঃ (a) কিশোর বয়সে
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
প্রশ্নঃ আমাদের পট কোথায় অক্ষয় হয়ে রয়েছে?
উত্তরঃ আমাদের আঁকা পট অজন্তা গুহাচিত্রে অক্ষয় হয়ে রয়েছে।
প্রশ্নঃ মুক্তবেণীর গঙ্গা কী বিতরণ করে?
উত্তরঃ মুক্তবেণীর গঙ্গা মুক্তি বিতরণ করে।
প্রশ্নঃ বঙ্গঙ্গজননীর বাম হাতে কী রয়েছে?
উত্তরঃ বঙ্গঙ্গজননীর বাঁ-হাতে রয়েছে কমলার ফুল।
প্রশ্নঃ বঙ্গভূমিকে সাগর কী দিয়ে বন্দনা করে?
উত্তরঃ বঙ্গভূমিকে সাগর অজস্র ঢেউয়ের মাধ্যমে বন্দনা করে।
প্রশ্নঃ কারা মন্বন্তরে মরেনি?
উত্তরঃ কবি সত্যেন্দ্রনাথ লিখেছেন, বাঙালি জাতি মন্বন্তরের পরও মরেনি।
প্রশ্নঃ 'ওঙ্কারধাম' কী?
উত্তরঃ দ্বিতীয় সূর্য বর্মনের আমলে কম্বোজে নির্মিত হয় বৌদ্ধমন্দির ওঙ্কারধাম। প্রথমে এটি হিন্দুমন্দির ছিল। পরে এটি বৌদ্ধমন্দিরে পরিণত হয়।
প্রশ্নঃ কাকে 'বাংলার রবি' বলা হয়েছে?
উত্তরঃ কবি জয়দেব গোস্বামীকে বাংলার রবি বলা হয়েছে।
প্রশ্নঃ কার আশীর্বাদে বাঙালি ভুবন জয় করবে?
উত্তরঃ বিধাতা পুরুষের কৃপায় বাঙালি ভুবন জয় করবে বলে কবি সত্যেন্দ্রনাথের আশা।
প্রশ্নঃ প্রাচীন বাংলার বিখ্যাত দু'জন ভাস্করের নাম লেখো।
উত্তরঃ প্রাচীন বাংলার বিখ্যাত দু'জন ভাস্কর হলেন- বিপাল ও ধীমান।
প্রশ্নঃ বাঙালি কীভাবে দেবঋণ মুক্ত হবে?
উত্তরঃ বিশ্ববাসীকে মহামিলনের মন্ত্রে দীক্ষিত করে বাঙালি দেবঋণ হতে মুক্ত হবে।
প্রশ্নঃ বাঙালি কীভাবে বিশ্বে নিজেকে প্রসারিত করবে?
উত্তরঃ শারীরিক শক্তি কিংবা ঈর্বা নয়, বাঙালি মিলনের মহামন্ত্রে বিশ্বে নিজেকে প্রসারিত করুন।
প্রশ্নঃ কার বাণী জগৎময় ছুটেছে?
উত্তরঃ স্বামী বিবেকানন্দের বাণী বিশ্বময় ছড়িয়েছে।
প্রশ্নঃ পঞ্চবটী কী?
উত্তরঃ পঞ্চবটী বলতে বট, বেল, অশ্বথ, অশোক, আমলকি -এই পাঁচটি বৃক্ষকে একত্রে বোঝানো হয়েছে।
ব্যাখ্যাভিত্তিক প্রশ্নোত্তর
প্রশ্নঃ "পক্ষধরের পক্ষপাতন করি বাঙালির ছেলে ফিরে এল দেশে যশের মুকুট পাঁড়া। -এই উক্তির মধ্যে কোন তথ্যটি রয়েছে?
অথবা, "কিশোর বয়সে পক্ষধরের পক্ষপাতন করি।" এই উক্তির কারণ কী? অথবা, "বাঙালির ছেলে ফিরে এল দেশে যশের মুকুট পরি।"- বাঙালির ছেলে কে? তিনি কীভাবে 'পক্ষধরের পক্ষপাতন' করেছিলেন?
উত্তরঃ বাঙালির ছেলে বলতে কিশোর রঘুনাথকে বোঝানো হয়েছে। পঞ্চদশ শতাব্দীতে নবমীদে জ্ঞানচর্চার সার্বিক বিকাশ ঘটেছিল। নবদ্বীপের প্রখ্যাত ন্যায়শাস্ত্রবিদ ছিলেন রঘুনাথ শিরোমণি। তিনি ছিলেন শ্রীচৈতন্যের সমসাময়িক। এই তরুণ পণ্ডিত মিথিলার প্রখ্যাত নৈয়ায়িক পক্ষদর মিশ্রকে তর্কযুদ্ধে হারিয়ে দেন। এর ফলে বাঙালির গৌরব অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। কবিত মনে হয়েছে এতে পক্ষধরের পক্ষপাতন বা ডানা ছেদন করা হয়েছে।
প্রশ্নঃ "তপের প্রভাবে বাগুলি সাধক জড়ের পেয়েছে সাড়া"-উব্রিটির মর্মার্থ ব্যাখ্যা করো।। অথবা, "তপের প্রভাবে বাঙালি সাধক জড়ের পেয়েছে সাড়া"- 'বাঙালি সাধক' কে? তিনি কীভাবে 'তপের প্রভাবে' জড়ের সাড়া পেয়েছিলেন?
অথবা, "তপের প্রভাবে বাঙালি সাধক জড়ের পেয়েছে সাড়া" কোন প্রসঙ্গে এই উক্তি? 'বাঙালি সাধক' কীভাবে 'তপের প্রভাবে' জড়ের সাড়া পেয়েছিলেন।
উত্তরঃ বাঙালি বিজ্ঞান সাধক হলেন বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু। বাঙালির প্রতিভা ও মেধার কথা বলতে গিয়ে এই উক্তি করেছেন কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত।
জগদীশচন্দ্র বসু তাঁর কঠোর সাধনায় আবিষ্কার করেন- গাছেরও প্রাণ আছে। এর আগে পর্যন্ত মানুষ গাছকে জড় পদার্থ বলেই বিবেচনা করত। জগদীশচন্দ্র প্রমাণ করেন লজ্জাবতী লতাও উত্তেজনায় সাড়া দেয়। বনচাঁড়ালের মতো গাছ মানুষের মতো জীবনীশক্তি নিয়ে স্পন্দিত হয়। তাই কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত লিখেছেন যে তপস্যার ফলে বাঙালি সাধক জড়েও সাড়া পেয়েছেন।
প্রশ্নঃ "ঘরের ছেলের চক্ষে দেখেছি বিশ্বভূপের ছায়া" কোন প্রসঙ্গে এই উক্তি? এই উক্তির তাৎপর্য লেখো।
অথবা, "ঘরের ছেলের চক্ষে দেখেছি বিশ্বভূপের ছায়া"- উক্তিটির মর্মার্থ পরিস্ফুট করো।
উত্তরঃ কবি সত্যেন্দ্রনাথ 'আমরা' কবিতায় বাঙালির বিজয় গৌরব ও বিশ্বপ্রেমের মাহাত্ম্য বর্ণনা প্রসঙ্গে এই উক্তি করেছেন।
শ্রীগৌরাঙ্গ অর্থাৎ শ্রীচৈতন্য নবদ্বীপে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। অথচ তাঁর মানবপ্রেমের জোয়ারে সারা বিশ্ব আপ্লুত। তিনি জাতি-ধর্ম-বর্ণভেদ দেখেননি। সবশ্রেণির মানুষের মধ্যে ভালোবাসা বিতরণ করেছেন তিনি। সমস্ত ভেদবুদ্ধির ঊর্ধ্বে উঠে মানুষের মধ্যে ঈশ্বরকে খোঁজেন তিনি। দ্বিজ অপেক্ষা চন্ডালও শ্রেষ্ঠ হতে পারেন-তাঁর সেই উক্তি আজও ভেদ-বৈষম্যের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট এক বার্তা। সমগ্র বিশ্বে তিনি প্রেমের বাণী প্রচার করেছিলেন।
প্রশ্নঃ 'আমরা' কবিতায় কবি যে প্রকৃতিচিত্র অঙ্কন করেছেন তা নিজের ভাষায় লেখো।
অথবা, 'আমরা' কবিতা অবলম্বনে বাংলার রূপসৌন্দর্য বর্ণনা করো।
উত্তরঃ ছন্দগুরু কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত 'আমরা' কবিতায় বঙ্গপ্রকৃতির সৌন্দর্য-শস্যশ্যামলময় রূপচিত্র সুন্দরভাবে অঙ্কন করেছেন। কবির মতে, গঙ্গাবিধৌত বঙ্গোপ্রকৃতির সমভূমি অঞ্চল কনক ধান্যে শোভিত। প্রকৃতি প্রদত্ত বিভিন্নরকম ফুল অতস-অপরাজিতা ও পদ্মফুলের সৌরভে পরিপূর্ণ এই দেশ বাঙালি মনকে সৌন্দর্যে ভূষিত করেছে। বাংলামায়ের উত্তরে সুবিশাল হিমালয় পর্বতমালা যেন রাজমুকুট রূপে গোটা বাংলাকে আলোক বিতরণ করেছে। দক্ষিণে অবস্থিত বঙ্গোপসাগর সমুদ্রতটে অজস্ব ঢেউ তুলে বাংলামাকে প্রণাম জানিয়ে বন্দনাগীত রচনা করে। বঙ্গপ্রকৃতির অপূর্ব রূপ আস্বাদ লাভ করে কবি বাংলাকে পৃথিবীর মানুষের কাছে 'বাঞ্ছিত ভূমি' হিসেবে উপস্থাপন করেছেন।
প্রশ্নঃ "বাঙালির হিয়া অমিয় মথিয়া নিমাই ধরেছে কায়া" নিমাই কে? তিনি কীভাবে ''বাঙালির হিয়া অমিয় মথিয়া কায়া' ধরেছেন?
উত্তরঃ উদ্ধৃত অংশটি গৃহীত হয়েছে সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের 'আমরা' কবিতা থেকে। নিমাই হলেন নবদ্বীপের তরুণ সন্ন্যাসী শ্রীগৌরাঙ্গ। পরবর্তীতে তাঁর নাম হয় শ্রীচৈতন্যদেব।
নবদ্বীপের নিমাই কৃষ্ণপ্রেমের জোয়ারে বিশ্বকে ভাসিয়ে দেন। তিনি সমস্ত নবদ্বীপে যেমন কৃষ্ণপ্রেমের বাণী প্রচার করেছিলেন তেমনি সেই প্রেমকে বিশ্বজনীন করেছিলেন। সমগ্র বিশ্বের কাছে বাঙালির প্রেমধর্মকে তিনি প্রসারিত করেছিলেন বলে এই উক্তিটি করা হয়েছে।
প্রশ্নঃ "মন্বন্তরে মরিনি আমরা মারী নিয়ে ঘর করি" এই উক্তিটির তাৎপর্য বিচার করো। অথবা, "মন্বন্তরে মরিনি আমরা মারী নিয়ে ঘর করি"- কোন প্রসঙ্গে এই উক্তি? এই উক্তির তাৎপর্য বিচার করো।
উত্তরঃ 'আমরা' নামাঙ্কিত কবিতায় আটটি স্তবকে ৫৬টি পঙ্ক্তি রয়েছে। এর পঞ্চম স্তবকের শুরুতে বাঙালির অটুট ধৈর্যশক্তি ও অতুলনীয় জীবনীশক্তির বর্ণনা প্রসঙ্গে এই উক্তি।
কবি সত্যেন্দ্রনাথ ইতিহাসের অভিজ্ঞতা থেকে জেনেছেন, বাংলার বুকে বারংবার মধস্তর ও মহামারি সংঘটিত হলেও বাঙালি নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি। প্রসঙ্গত, ১১৭৬ বঙ্গাব্দে (৭৬-এর মন্বন্তর) কিংবা ১৯৪৩-এর মন্বন্তরে বাংলা প্রায় শ্মশানে পরিণত হয়েছিল।
প্রশ্নঃ "বাঞ্জলির ছেলে ব্যাঘ্রে বৃষভে ঘটাবে সমন্বয়" - উক্তিটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো। অথবা, "বাঙালির ছেলে ব্যাঘ্রে বৃষভে ঘটাবে সমন্বয়"- বাঙালির ছেলে কে? 'ব্যাঘ্রে বৃষভে' কীভাবে তিনি সমন্বয় ঘটিয়েছেন?
উত্তরঃ 'বাঙালির ছেলে' হলেন বীর সন্ন্যাসী বিবেকানন্দ। 'ব্যাঘ্র' বলতে বোঝায় বাঘ আর "বৃষভ' শব্দের অর্থ ষাঁড়। বাংলায় প্রবাদ আছে 'বাঘে-গরুতে এক ঘাটে জল খায়'। স্বামী বিবেকানন্দ সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলেন। শিকাগো ধর্মমহাসম্মেলনে তাঁর জ্ঞানদীপ্ত বক্তৃতায় সারা পৃথিবীর মানুষ মুগ্ধ হয়েছিলেন। ইউরোপীয়রা এতদিন ব্যাঘ্রের মতো দীপ্ত তেজে বাঙালিদের ঘৃণা করে এসেছেন। কিন্তু স্বামীজি দেখিয়েছেন, বাঙালি চেষ্টা করলে সব পারে।
উত্তর পেতে সদস্যপদ প্রয়োজন
Paid Answer Link (Membership User)
Editing By- Lipi Medhi