Chapter 6 - 

হিমালয় দর্শন

 

বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নোত্তর

👉Paid Answer (For Membership User) 


সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো।


প্ৰশ্নঃ ভুটিয়ানিরা পৃষ্ঠে কত মণ বোঝা নিয়ে অনায়াসে উঁচু পাহাড়ে ওঠে?

 

(a) তিন-চার মণ (b) দুই-এক মণ

 

© দুই-তিন মণ (d) ছয়-সাত মণ।

 

 

প্ৰশ্নঃ হিমালয় রেল রোড আরম্ভ হইয়াছে-



(a) দার্জিলিং থেকে (b) শিলিগুড়ি থেকে



© কালিম্পং থেকে (d) জলপাইগুড়ি থেকে।

 

 

প্ৰশ্নঃ..... "ইহারা কোথায় চলিয়াছে।" যাদের কথা বলা হয়েছেতারা হলো-



(a) জলপ্রপাত বা ঝরনা (b) মহানন্দা-মেচি



© মেঘপুঞ্জ (d) আলোছায়া।

 

 

প্ৰশ্নঃ গাড়িগুলি চলার সময় শব্দ হয়-



(a) কটাটটা (b) কু-ঝিক ঝিক © কটমট (d) ঝমঝম।

 

 

প্ৰশ্নঃ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে কার্শিয়াং-এর উচ্চতা-



(a) ৪৮৬৪ ফিট (b) ৩৮৫৪ ফিট © ৫৩৪০ ফিট (d) ২৮৪৮ ফিট

 

 

প্ৰশ্নঃ ভুটিয়ানিরা কী বলে আপন পরিচয় দেয়?



(a) সাহসিনী (b) পাহাড়নি © দুর্বলা (d) সবলা।

 

 

প্ৰশ্নঃ 'বিছকথার অর্থ-



(a) বিধাতা (b) বিশ্ব © সূর্য (d) চন্দ্র।

 

 

প্ৰশ্নঃ মানুষের চলার সংকীর্ণ পথগুলিকে লেখিকা কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?



(a) নদীর সঙ্গে (b) সমুদ্রের সঙ্গে © সীমান্তের সঙ্গে (d) জলপ্রপাতের সঙ্গে।

 

 

প্ৰশ্নঃ কী দেখতে খুব পরিষ্কার ও স্বচ্ছ?



(a) জল (b) বায়ু © কাচ (d) আলো।

 

 

প্ৰশ্নঃ পাহাড়ে লেখিকারা জলপান করতেন- 



(a) জল ফুটিয়ে (b) ফিলটারে জল ছেঁকে 



© মেশিনে জল পরিশুদ্ধ (d) জলে ওষুধ দিয়ে।

 

 

প্ৰশ্নঃ লেখিকাদের ট্রেনটি যে পথ অতিক্রম করে উপরে উঠতে লাগল-



(a) সরু পথ (b) আঁকাবাঁকা পথ © চড়াই-উতরাই (d) উঁচু-নীচু পথ।

 

 

অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর



প্ৰশ্নঃ লেখিকা ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ কেন?

 

প্ৰশ্নঃ হিমালয়ের পাদদেশ সম্পর্কে লেখিকার কী মনে হয়?

 

প্ৰশ্নঃ হিমালয় দর্শনে আমাদের কোন কোন ইন্দ্রিয় সজাগ হয়?

 

প্ৰশ্নঃ জাহ্নবীর উৎস কী?

 

প্ৰশ্নঃ পার্বত্য বসন্তকাল কী?

 

প্ৰশ্নঃ ঝরনার দৃশ্য মানুষ কীভাবে অনুভব করে?

 

প্ৰশ্নঃ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দর্শনের জন্য কী প্রয়োজন?

 

প্ৰশ্নঃ ঈশ্বরের উদ্দেশে তাঁর সৃষ্টির জন্য কী বলতে ইচ্ছে করে?

 

প্ৰশ্নঃ  কাকে তিনি এই সৃষ্টির জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন?

 

প্ৰশ্নঃ এই রেলগাড়িগুলিতে যাত্রীর কী সুবিধা হয়?

 

প্ৰশ্নঃ  পথের দু'ধারের দৃশ্য কেমন?

 

প্ৰশ্নঃ বন্যপথে কীসের উৎপাত বেশি?

 

প্ৰশ্নঃ পাহাড়ি ঝরনা সম্পর্কে লেখিকার আর কী অভিজ্ঞতা হয়েছিল?

 

প্ৰশ্নঃ  'জোঁক'-কে ভুটিয়া চাকরানিরা কী বলে?

 

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর




প্ৰশ্নঃ "তিনিই ধন্য”-'তিনিকেতাঁর ধন্য হওয়ার স্বরূপ ব্যাখ্যা করো।



অথবা, "ঈশ্বরই প্রশংসার যোগ্য। তিনিই ধন্য!" কার লেখাকোন রচনা থেকে উদ্ধৃতিটি নেওয়া হয়েছেএর তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।

 

প্ৰশ্নঃ  'হিমালয় দর্শনগদ্যাংশে লেখিকার সৌন্দর্যপিপাসু মনের পরিচয় দাও। 

 

প্ৰশ্নঃ  "ইহারা উদরান্নের জন্য পুরুষদের প্রত্যাশী নহে;" এরা কারাউদরান্নের জন্য পুরুষদের প্রত্যাশী না হওয়ার পরিচয় দাও।

 

অথবা, 'হিমালয় দর্শনরচনাংশটিতে পার্বত্য জাতি সম্পর্কে লেখিকার কীরূপ মনোভাব ফুটে উঠেছে?

 

প্ৰশ্নঃ  "ইহাদের এই তামাশা দেখিতেই আমার সময় অতিবাহিত হয়আত্মহারা হইয়া থাকি"-তামাশার অভিজ্ঞতা ব্যাখ্যা করো। লেখিকা এখানে কী অসুবিধায় পড়েছিলেন?

 

 

 

উত্তর পেতে সদস্যপদ প্রয়োজন

 

Paid Answer Link (Membership User)

 

Type - Boby Bora


OLD


    আবহমান

 

বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নোত্তর

👉Paid Answer (For Membership User) 

 

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো।

 

প্রশ্নঃ "কে এইখানে এসেছিল"- কবে?


(a) অনেক দিন আগে


(b) কয়েক মাস আগে


© অনেক সপ্তাহ আগে


(d) অনেক বছর আগে


উত্তরঃ অনেক বছর আগে।


প্রশ্নঃ সন্ধ্যার বাতাসে'- সন্ধ্যার বাতাসে কী হয়?


(a) ছোট্ট একটা ফুল দোলে


(b) ছোট্ট একটা ফল দোলে 


© ছোট্ট একটা বাতাবি লেবু দোলে


(d) ছোট্ট একটা পেয়ারা দোলে।


উত্তরঃ (a) ছোট্ট একটা ফুল দোলে


প্রশ্নঃ কোন গাছটি বুড়িয়ে ওঠে?


(a) বটগাছ


(b) নটেগাছ


© জামগাছ


(d) হিজলগাছ।


উত্তরঃ (b) নটেগাছ


প্রশ্নঃ 'আবহমান' কবিতার কবির নাম -


(a) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর


(b) নজরুল ইসলাম


© নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী


(d) সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত।


উত্তরঃ © নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী


প্রশ্নঃ "এইখানে ঘর বেঁধেছে নিবিড়"-


(a) বিষাদে 


(b) ক্ষোভে 


© অনুরাগে 


(d) বিরাগে।


উত্তরঃ © অনুরাগে


প্রশ্নঃ "কে এইখানে হারিয়ে গিয়েও আবার ফিরে আসে"


(a) মাটিকে


(b) বাতাসকে


© পূর্বোক্ত দু'টিকেই


(d) পূর্বোক্ত কোনোটিকেই নয়।


উত্তরঃ © পূর্বোক্ত দু'টিকেই 


প্রশ্নঃ "ফুরয় না তার" কী ফুরোয় না?


(a) যাওয়া-আসা


(b) গমন-আগমন


© গমন-প্রত্যাবর্তন


(d) ওঠা-নামা।


উত্তরঃ (a) যাওয়া-আসা


প্রশ্নঃ "সারাটা দিন আপন মনে" আপন মনে কী করে?


(a) ঘাসের গন্ধ মাখে


(b) আতর মাখে


© মাটির গন্ধ মাখে


(d) রৌদ্র মাখে।


উত্তরঃ (a) ঘাসের গন্ধ মাখে


প্রশ্নঃ "নামলে আবার ছুটে আসে"- কী ছুটে আসে?


(a) নদীর হাওয়া


(b) সমুদ্রের হাওয়া


© খালের হাওয়া


(d) সান্ধ্য নদীর হাওয়া।


উত্তরঃ (d) সান্ধ্য নদীর হাওয়া


প্রশ্নঃ "একটা ফুল দুলছে" কোন ফুল?


(a) বেঁটে


(b) মাঝারি


© লম্বা


(d) ছোট্ট।


উত্তরঃ (d) ছোট্ট



অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর


প্রশ্নঃ কোন নির্দিষ্ট সময়ে ফুল দোলার কথা বলা হয়েছে?


উত্তরঃ সন্ধ্যাবেলা ফুল দোলার কথা বলা হয়েছে।


প্রশ্নঃ "কে এইখানে হারিয়ে গিয়েও আবার ফিরে আসে,"-'আবার' শব্দটি ব্যবহারের কারণ কী?


উত্তরঃ জীবিকার তাগিদে যারা চলে গিয়েছিল মাতৃভূমির টানে, শিকড়ের সন্ধানে যখন তারা ফিরে আসবে, সেই সময়কে 'আবার' বলা হয়েছে।


প্রশ্নঃ 'আবহমান' কথাটির অর্থ কী?


উত্তরঃ 'আবহমান' শব্দের অর্থ 'নিরবচ্ছিন্ন'। প্রাচীন কাল থেকে যা চলে আসছে তা-ই আবহমান।


প্রশ্নঃ "ফুরয় না, তার কিছুই ফুরয় না" পরবর্তী চরণটি লেখো।


উত্তরঃ উদ্ধৃতাংশটির পরবর্তী চরণটি হলো- "নটেগাছটা বুড়িয়ে ওঠে, কিন্তু মুড়য় না।"


প্রশ্নঃ "তেমনি করেই সূর্য ওঠে"- এখানে কার কথা বলা হয়েছে?


উত্তরঃ প্রশ্নেপ্রদত্ত উদ্ধৃতাংশে নতুন চেতনার উন্মেষের কথা বলা হয়েছে।


প্রশ্নঃ "নেভে না তার যন্ত্রণা যে, দুঃখ হয় না বাসি,"- কার কথা বলা হয়েছে?


উত্তর প্রশ্নোপ্রদত্ত উদ্ধৃতাংশে গ্রাম বাংলার দরিদ্র মানুষের কথা বলা হয়েছে।


প্রশ্নঃ "লাউমাচার পাশে"-কবিতায় এই চরণটি একাধিকবার ব্যবহারের উদ্দেশ্য লেখো।


উত্তরঃ লাউ একটি অতিপরিচিত গাছ যেটি গ্রামের সহজ সরল জীবনযাত্রার রূপ তুলে ধরতে সাহায্য করে। সে কারণেই কবি কবিতায় "লাউমাচার পাশে" চরণটি একাধিকবার ব্যবহার করেছেন।


প্রশ্নঃ "সারাটা রাত তারায় তারায় স্বপ্ন এঁকে রাখে।" কার কথা বলা হয়েছে?


উত্তরঃ এখানে পল্লিজননীর কথা বলা হয়েছে।


প্রশ্নঃ 'সান্ধ্য নদীর হাওয়া'র স্বরূপ কেমন?


উত্তরঃ 'সান্ধ্য নদীর হাওয়া' দুরন্ত।


ব্যাখ্যাভিত্তিক প্রশ্নোত্তর


প্রশ্নঃ  "যা গিয়ে ওই উঠানে তোরা দাঁড়া" কোন কবির, কোন কবিতার অংশ? বস্তুা কাকে, কোথায় দাঁড়াতে বলেছেন?


উত্তরঃ কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর 'আবহমান' কবিতা থেকে উদ্ধৃতাংশটি নেওয়া হয়েছে। 


কবি নগরজীবনে ক্লান্ত মানুষগুলির উদ্দেশে এ কথাটি বলেছেন। গ্রামে ফিরে তাদের বাড়ির উঠানে লাউমাচার পাশে তিনি দাঁড়াতে বলেছেন। কারণ এটাই তাদের আবার প্রাণময় করে তুলতে পারে।


প্রশ্নঃ "সারাটা দিন আপন মনে ঘাসের গন্ধ মাখে" কে এই কাজ করে? কেন?


উত্তরঃ কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী 'আবহমান' কবিতায় হাজারো কষ্টেও যিনি গ্রাম ছেড়ে চলে যাননি সেই পল্লিমায়ের কথা বলেছেন।


স্বজন হারানোর যন্ত্রণায় তিনি কাতর। তাই একদিন যেখানে সন্তানেরা খেলা করে বেড়াত, ঘাসে গড়াগড়ি দিত, গায়ে ধুলো-বালি মাখত, সেই ঘাসকেই আঁকড়ে ধরে, সন্তানস্নেহে খুশি থাকতে চান জননী। তাই তিনি সারাটা দিন আপন মনে ঘাসের গন্ধকে অনুভব করে বাঁচতে চেয়েছেন।


প্রশ্নঃ "কে এইখানে এসেছিল অনেক বছর আগে,"- কোন কবিতার অংশ? কবির নাম লেখো। 'কে' বলতে কার কথা বলা হয়েছে? এখন সে কোথায়?


উত্তরঃ আলোচ্য অংশটি 'আবহমান' কবিতার অংশ। 


কবি হলেন নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। 


গ্রামকে ভালোবেসে সেখানে যারা ঘর বেঁধেছে, একসময় তারা গ্রামকে ভালোবেসে ফেলেছে। পরম মমতায় গ্রামকে ভালোবেসে অন্য কোথাও যায়নি যারা তাদের কথা বলা হয়েছে।


'সে' এখন বিদেশে, দেশ ছেড়ে অন্যত্র গমন করেছে।


প্রশ্নঃ "কে এইখানে হারিয়ে গিয়েও আবার ফিরে আসে" পঙ্ক্তিটির মর্মার্থ লেখো।


উত্তরঃ কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর 'আবহমান' কবিতায় জীবিকার তাগিদে দেশান্তরিত মানুষ জন্মভূমির টান আর ঘনিষ্ঠ মানুষজনের স্নেহের টানে ঘরে ফিরে আসেন। পল্লিবাংলার ছায়া সুনিবিড় শান্ত প্রকৃতি, বড়োদের স্নেহস্পর্শ, তাদের আন্তরিকতা, মায়ের ভালোবাসা, ছেলেবেলাকার সেই নিকানো উঠানে দৌড়ঝাঁপ, লাউমাচার পাশে বন্ধুদের সঙ্গে খেলা করা-আজ সেই সমস্ত স্মৃতি তাদের পুনরায় গ্রামমুখী করেছে। তাই একদিন শহরের ভিড়ে হারিয়ে গিয়েও আবার সেই অতি পরিচিত শ্যামল পরিবেশে ফিরে আসতে উদ্যোগী হয়েছে তারা।


রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর


প্রশ্নঃ 'আবহমান' কবিতা অবলম্বনে কবির প্রকৃতিচেতনার পরিচয় দাও।


উত্তরঃ কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তাঁর প্রথম কাব্যেই সমাজের ক্লেদাক্ততার বাইরে গিয়ে নির্মল প্রকৃতির ছোঁয়ায় যাত্রা শুরু করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রকৃতিচেতনা তাঁর রক্তে। তাঁর 'অন্ধকার বারান্দা' নামক কাব্যের অন্তর্গত 'আবহমান' কবিতাটিও এর ব্যতিক্রম নয়।


আলোচ্য কবিতার শুরুতেই যে চারটি চরণ রয়েছে তা মোট চারবার ব্যবহৃত হয়েছে সমগ্র কবিতায়। লক্ষ করলে দেখা যাবে উঠোন, লাউমাচা, ছোট্ট ফুল, সন্ধ্যার বাতাস- এ সবই গ্রাম্য প্রকৃতির অনুষঙ্গ। এদের যথার্থ ব্যবহারে কবিতায় জন্মভূমির প্রতি আবহমান কাল ধরে চলে আসা টান ব্যক্ত করা হয়েছে। এভাবে তিনি প্রতিটি মানুষের ফেলে আসা শৈশবের খেলাঘরে ফেরার চিরন্তন আকাঙ্ক্ষা ফুটিয়ে তুলেছেন অনবদ্য ভঙ্গিমায়। ঘাসের গন্ধ, তারার স্বপ্ন, না-নেভা যন্ত্রণার আগুন, না-বাসি হওয়া দুঃখ কুন্দ ফুলের মাধ্যমে ফুটে ওঠা, সূর্যের ওঠা-নামা, সন্ধ্যার বাতাস ইত্যাদি প্রকৃতির অনুষঙ্গকে সচেতনভাবে ব্যবহার করেছেন কবি। এতে তাঁর প্রখর প্রকৃতিচেতনার পরিচয় মেলে।


প্রশ্নঃ "তেমনি করেই সূর্য ওঠে, তেমনি করেই ছায়া" কীভাবে সূর্য ওঠে? 'তেমনি 'করেই' সূর্য ওঠা ও ছায়ার তাৎপর্য নির্দেশ করো।


উত্তরঃ কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী 'আবহমান' কবিতায় বলতে চেয়েছেন বিদেশে থাকা মানুষগুলি আগে তাদের মায়ের কাছে নিশ্চিন্তে দিন কাটাবার সময় যেভাবে সূর্য উঠত, আজও তারা গ্রাম ছেড়ে অনেক দূর চলে যাবার এতদিন পরে সেই একইরকমভাবে সূর্য ওঠে।


গ্রামের বাড়িতে থাকা জননী সবসময় মুহ্যমান প্রতীক্ষায় থাকেন আর থাকেন সন্তানের আগমনের আশায়। শহরবাসী ছেলে যখন গ্রামে বসবাস করত, এমনকী ছোটোবেলায় তার প্রকৃতি কেমন ছিল, কীভাবে এখন সে দিন যাপন করছে- এই সমস্ত কথা যখন মায়ের স্মৃতিতে ভেসে ওঠে, তখন মা অত্যন্ত বেদনাহত হয়ে পড়েন। অতীতের সঙ্গে বর্তমানের যোগসূত্র টানতে 'তেমনি' শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে।


আসলে সূর্য যেমন সত্য, তেমনি তার পাশাপাশি অন্ধকারও সত্য। সন্তানকে কাছে না পাবার জন্য মায়ের হৃদয় ব্যাকুল হয়ে ওঠে, তখনই যেন তার জীবনে ছায়া নেমে আসে। আবার সন্তানের শৈশবের স্মৃতি মা যখন তার বাড়ির চারপাশে খুঁজে বেড়ান তখন মায়ের মুখ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে - এই উজ্জ্বলতা সূর্যের আলোর উজ্জ্বলতারই প্রতিরূপ। আসলে আমাদের জীবনে যে আলোর পাশাপাশি অন্ধকার বিরাজ করছে সেই গভীর সত্যটিকে কবি দুঃখিনী মায়ের মধ্যে উদ্ভাসিত করেছেন।


 
 
উত্তর পেতে সদস্যপদ প্রয়োজন
 
Paid Answer Link (Membership User)
 
Editing By- Lipi Medhi