বল ও
গতি
সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো।
প্রশ্নঃ রকেটের গতি যে সংরক্ষণ নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত তা হলো-
(a) ভর
(b) গতিশক্তি
© রৈখিক ভরবেগ✓
(d) কৌণিক ভরবেগ।
প্রশ্নঃ দড়ি টানাটানি খেলায় দড়ির উভয় প্রান্তে T টান প্রয়োগ করলে দড়িতে টান হবে-
(a) T✓
(b) 2T
©T/2
(d) T/4
প্রশ্নঃ নিউটনের প্রথম গতিসূত্র থেকে-
(a) বলের সংজ্ঞা পাওয়া যায়✓
(b) বলের পরিমাপ পাওয়া যায়
© জানা যায় যে ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া সমান ও বিপরীতমুখী
(d) জাড্যের পরিমাপ পাওয়া যায়।
প্রশ্নঃ একটি গাড়ি সমবেগে চলছে। তাতে ক্রিয়াশীল লব্ধি বল F হলে-
(a) F>0
(b) F≥0
© F≤0
(d) F=0✓
প্রশ্নঃ সচল বস্তুর গড় বেগ-
(a) শূন্য হবে
(b) শূন্য হবে না
(c) শূন্য হতে পারে✓
(d) বেগ ও ত্বরণ পরস্পরের লম্ব হলে শূন্য হবে।
প্রশ্নঃ নিউটনের কোন গতিসূত্রটিকে জাড্যের সূত্র বলে?
(a) প্রথম গতিসূত্র✓
(b) দ্বিতীয় গতিসূত্র
© তৃতীয় গতিসূত্র
(d) সবক'টি।
প্রশ্নঃ একটি বস্তুকণা সমদ্রুতিতে গতিশীল। কণাটির গতিবেগ
(a) ধ্রুবক
(b) পরিবর্তনশীল
© পরিবর্তনশীল হতে পারে না-ও হতে পারে✓
(d) কোনোটিই নয়।
প্রশ্নঃ বলের পরিমাপের ধারণা পাওয়া যায় যে গতিসূত্র থেকে তা হলো-
(a) প্রথম গতিসূত্র
(b) দ্বিতীয় গতিসূত্র✓
© তৃতীয় গতিসূত্র
(d) সবক'টি।
প্রশ্নঃ একটি বস্তু সরলরেখায় স্থির দ্রুতি নিয়ে চলছে। কোন ক্ষেত্রে বলের প্রয়োজন হয় না?
(a) বস্তুটির দ্রুতি বাড়াতে
(b) ভরবেগ কমাতে
© গতির অভিমুখ পালটাতে
(d) সমবেগে গতিশীল রাখতে।✓
প্রশ্নঃ কোনো গতিশীল বস্তুর গড় গতিবেগ ও গড় দ্রুতির অনুপাত-
(a) সর্বদা 1
(b) সর্বদা 1-এর থেকে কম
© সর্বদা 1-এর থেকে বেশি
(d) 1-এর সমান বা 1 অপেক্ষা ছোটো হয়✓
(a) ঘূর্ণন গতি✓
(b) বৃত্তীয় গতি
© চলন গতি
(d) কোনোটিই নয়।
প্রশ্নঃ নিজ অক্ষের সাপেক্ষে পৃথিবীর গতি হলো-
(a) আবর্ত গতি
(b) ঘূর্ণন গতি✓
© রৈখিক গতি
(d) মিশ্র গতি।
প্রশ্নঃ নীচের কোন গতিসূত্রটি রকেটের গতি ব্যাখ্যা করে?
(a) প্রথম গতিসূত্র
(b) দ্বিতীয় গতিসূত্র
© তৃতীয় গতিসূত্র✓
(d) কোনোটিই নয়।
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
প্রশ্নঃ কোন বলের প্রভাবে বস্তুর বিকৃতি হয়?
উত্তরঃ প্রতিমিত বলের প্রভাবে।
প্রশ্নঃ বেগ কাকে বলে?
উত্তরঃ সময়ের সাপেক্ষে কোনো গতিশীল বস্তুর সরণের পরিবর্তনের হারকে বস্তুটির বেগ বলে।
প্রশ্নঃ বল প্রযুক্ত না হলেও একটি বস্তু গতিশীল থাকতে পারে কি?
উত্তরঃ কোনো বস্তু সমবেগে চলতে থাকলে তার উপর কোনো বল কাজ করে না।
প্রশ্নঃ সরণ কাকে বলে?
উত্তরঃ সময়ের সঙ্গে কোনো গতিশীল বস্তু একটি নির্দিষ্ট দিকে স্থান পরিবর্তন করলে বস্তুটির প্রথম ও শেষ অবস্থানের মধ্যে সরলরৈখিক বা সর্বনিম্ন দূরত্বকে বলা হয় সরণ।
প্রশ্নঃ সরণ-সময় লেখচিত্রের নতি কী নির্দেশ করে?
উত্তরঃ তাৎক্ষণিক বেগ।
প্রশ্নঃ কোন বলের প্রভাবে স্থির বস্তুর ত্বরণ সৃষ্টি হয়?
উত্তরঃ কার্যকর বল বা অপ্রতিমিত বল-এর প্রভাবে।
প্রশ্নঃ ঘূর্ণন গতিতে কী অপরিবর্তিত থাকে?
উত্তরঃ অক্ষ।
প্রশ্নঃ ত্বরণ কাকে বলে?
উত্তরঃ যদি কোনো বস্তু ক্রমবর্ধমান বেগ নিয়ে চলে, তবে সময়ের সাপেক্ষে বস্তুটির বেগ বৃদ্ধির হারকে ত্বরণ বলে।
প্রশ্নঃ মন্দন কী?
উত্তরঃ কোনো গতিশীল কণার বেগ যদি সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে হ্রাস পায় তাহলে কণার বেগ পরিবর্তনের হার বা ত্বরণ হয় ঋণাত্মক। এই ঋণাত্মক ত্বরণকেই বলা হয় মন্দন।
প্রশ্নঃ বেগ-সময় লেখচিত্রের নতি কী নির্দেশ করে?
উত্তরঃ তাৎক্ষণিক ত্বরণ।
প্রশ্নঃ দ্রুতি কাকে বলে?
উত্তরঃ সরল বা বক্রপথে কোনো গতিশীল বস্তু একক সময়ে যে দূরত্ব অতিক্রম করে, তাকে বস্তুর দ্রুতি বলে।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
প্রশ্নঃ বলের সংজ্ঞা দাও।
উত্তরঃ বাইরে থেকে যা প্রয়োগ করে বস্তুর স্থিতি বা গতিশীল অবস্থার পরিবর্ত করা হয় বা পরিবর্তন করার চেষ্টা করা হয়, অথবা কোনো বস্তুর আকার বা আকৃতি। পরিবর্তন করা হয় বা পরিবর্তন করার চেষ্টা করা হয় তাকে বল বলে।
প্রশ্নঃ নিউটনের প্রথম গতিসূত্রটি লেখো।
উত্তরঃ নিউটনের প্রথম গতিসূত্র: বাইরে থেকে প্রযুক্ত বল দ্বারা অবস্থার পরিবর্তনে বাধ্য না করলে স্থির বস্তু চিরকাল স্থির অবস্থায় থাকতে চায় এবং গতিশীল বস্তু চিরকাল সমবেগে সরলরেখা বরাবর চলতে থাকে।
প্রশ্নঃ কোনো বস্তুকে সোজা উপরের দিকে ছুড়লে বস্তুটির সর্বোচ্চ স্থানে ভরবেগ কত?
উত্তরঃ বস্তুর ভরবেগ = ভর × বেগ। কিন্তু বস্তুর সর্বোচ্চ অবস্থানে বেগ শূন্য হয়। তাই সর্বোচ্চ অবস্থানে বস্তুর ভরবেগ = ভর× 0 = 0, শূন্য হয়।
প্রশ্নঃ 'কোনো বস্তুর বেগ আছে, কিন্তু ত্বরণ নেই'- এরকম হতে পারে কি?
উত্তরঃ হ্যাঁ, হতে পারে। সমবেগে গতিশীল কোনো বস্তুর ক্ষেত্রে বেগ থাকে কিন্তু ত্বরণ থাকে না।
প্রশ্নঃ নিউটনের তৃতীয় গতিসূত্রটি লেখো।
উত্তরঃ নিউটনের তৃতীয় গতিসূত্র: কোনো বস্তুর উপর কোনো বল ক্রিয়া করলে বস্তুটিও ঐ সমমানের বিপরীতমুখী বল দ্বারা প্রতিক্রিয়া করে অর্থাৎ বলা যায় প্রত্যেক ক্রিয়ার সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে।
প্রশ্নঃ বলের সংযোজন-সংক্রান্ত সামান্তরিক সূত্রটি লেখো।
উত্তরঃ কোনো বিন্দু থেকে একই সঙ্গে ক্রিয়াশীল দুটো বলের মান ও দিক যদি ওই বিন্দু থেকে অঙ্কিত সামান্তরিকের দু'টি সন্নিহিত বাহু ধরা হয় তবে ওই বিন্দু থেকে অঙ্কিত সামান্তরিকের কর্ণ ওই বল দু'টির লব্ধি বলের মান ও দিক নির্দেশ করে।
প্রশ্নঃ নিউটন ও ডাইনের সংজ্ঞা দাও।
উত্তরঃ নিউটনঃ 1 কিলোর্রাম ভরের বস্তুর উপর যে পরিমাণ বল প্রয়োগ করলে 1/মিটার / সে2 ত্বরণ সৃষ্টি হয, সেই পরিমাণ বলকে 1 নিউটন বলা হয়।
ডাইনঃ 1 গ্রাম ভরের বস্তুর উপর যে পরিমাণ বল প্রযোগ করলে 1 সেমি / সে2 ত্বরণ সৃষ্টি হয়, সেই পরিমাণ বলকে 1 ডাইন বলা হয়।
প্রশ্নঃ বেগ - সময় লেখচিত্র ব্যবহার করে গতির সমীকরণগুলি প্রতিষ্ঠা করো
উত্তরঃ
প্রশ্নঃ নিউটনের প্রথম গতিসূত্র থেকে জাড্যের সংজ্ঞা দাও।
উত্তরঃ নিউটনের প্রথম গতিসূত্র থেকে আমরা বলতে পারি, স্থির বস্তুর স্বাভাবিক ধর্ম হলো স্থির থাকা এবং গতিশীল বস্তুর স্বাভাবিক ধর্ম হলো সমবেগে সরলরেখা বরাবর চলতে থাকা। অর্থাৎ বাইরে থেকে বল প্রয়োগ না করলে উভয় বস্তুই তার নিজস্ব ধর্ম বজায় রাখতে চায়। এই কারণে নিউটনের প্রথম গতিসূত্রকে জাড্যের সূত্র বলা হয়। এর থেকে জাড্যের সংজ্ঞা হিসেবে বলা যায়, পদার্থের যে ধর্মের জন্য স্থির বস্তু চিরকাল স্থির এবং গতিশীল বস্তু চিরকাল সমবেগে সরলরেখা বরাবর চলতে থাকে তাকে জাড্য বলে।
প্রশ্নঃ নিউটনের প্রথম গতিসূত্র থেকে কীভাবে বলের সংজ্ঞা পাওয়া যায়?
উত্তরঃ নিউটনের প্রথম গতিসূত্র থেকে আমরা বলতে পারি যে বাইরে থেকে কোনোকিছু প্রয়োগ না করলে স্থির বস্তু চিরকাল স্থির এবং গতিশীল বস্তু সমবেগে সরলরেখা বরাবর গতিশীল থাকতে চায়। সুতরাং নিউটনের প্রথম গতিসূত্র থেকে বলের সংজ্ঞা হিসেবে বলা যায় যে বাইরে থেকে যা প্রয়োগ করে স্থির বস্তুর স্থির অবস্থার বা সমবেগে সরলরেখা বরাবর গতিশীল বস্তুর গতিশীল অবস্থার পরিবর্তন করা হয় বা পরিবর্তন করার চেষ্টা করা হয় তাকে বল বলে।
প্রশ্নঃ একটি বাস হঠাৎ চলতে শুরু করলে বাসের যাত্রীরা পিছনের দিকে হেলে যায় কেন?
উত্তরঃ বাস যখন স্থির থাকে তখন বাসের যাত্রীরাও স্থিতিজাড্যে থাকে। কিন্তু বাস হঠাৎ চলতে শুরু করলে বাসের যাত্রীর পায়ের দিক তৎক্ষণাৎ গতিজাড্যে আসতে পারে না। তাই যাত্রীর পা বা নীচের অংশ এগিয়ে যায় এবং মাথা স্থির থাকে। ফলে বাসের যাত্রীরা পেছনের দিকে হেলে যায়।
প্রশ্নঃ নিউটনের দ্বিতীয় গতিসূত্রটি লেখো।
উত্তরঃ কোনো বস্তুর উপর বল প্রয়োগ করে ভরবেগের পরিবর্তন ঘটালে বস্তুটির ভরবেগ পরিবর্তনের হার বস্তুটির উপর প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক এবং বল যেদিকে ক্রিয়া করে বস্তুটির ভরবেগের পরিবর্তন সেই দিকে ঘটে।
প্রশ্নঃ একটি কণা স্থিতাবস্থা থেকে সমত্বকরণে 10 সে. চলার পর 20 মি./সে. বেগ প্রাপ্ত হলো। এর পর কণাটি কণাটি 5 সেকেন্ড সমবেগে চলল এবং সমমন্দনে 10 সেকেন্ড চলার পর স্থিতাবস্থায় এল। কণাটির বেগ-সময় লেখচিত্র অঙ্কন করো এবং লেখচিত্র থেকে কণাটির মোট অতিক্রান্ত দূরত্ব নির্ণয় করো।
উত্তরঃ
প্রশ্নঃ পার্থক্য লেখো - দ্রুতি ও বেগ।
উত্তরঃ
প্রশ্নঃ একটি রোলারকে ঠেলার চেয়ে টানা সুবিধাজনক কেন?
উত্তরঃ
প্রশ্নঃ একটি চলন্ত বাস হঠাৎ ব্রেক কষলে বাসের যাত্রীরা সামনের দিকে হেলে যায় কেন?
উত্তরঃ বাস যখন গতিশীল অবস্থায় থাকে তখন বাসের যাত্রীরাও গতিজাড্যে থাকে। কিন্তু বাস হঠাৎ থেমে গেলে বাসের যাত্রীর পায়ের দিক তৎক্ষণাৎ স্থিতিজাড্য লাভ করে। কিন্তু যাত্রীর মাথা তখনও গতিজাড্যে থাকে। তাই যাত্রীর পা বা নীচের অংশ স্থির হয়ে যায় এবং মাথা গতিজাড্যে থাকার দরুন এগিয়ে যায়। ফলে বাসের যাত্রীরা সামনের দিকে হেলে যায়।
প্রশ্নঃ প্রতিমিত বল (Balance force) কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ যখন কোনো একটি বস্তুর ওপর সমমানের কিন্তু পরস্পর বিপরীতমুখী দু'টি বল একই সঙ্গে, একই বিন্দুতে ক্রিয়া করে তখন স্থির বস্তু স্থির অবস্থায় অথবা গতিশীল বস্তু সমবেগে সরলরেখা বরাবর চলতে থাকে। এই ধরনের বলকে প্রতিমিত বল বলা হয়।
উদাহরণ: দেওয়ালে ধাক্কা দিলে দেওয়াল সরে না। এক্ষেত্রে হাত দিয়ে কোনে ব্যক্তি যে বল প্রয়োগ করে, উল্টোদিকে দেওয়াল হাতের উপর সমান ও বিপরীতমুখী বল প্রয়োগ করছে। এই সমমানের পরস্পর বিপরীতমুখী বলকে প্রতিমিত বল বলে।
প্রশ্নঃ অপ্রতিমিত বল কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ যখন কোনো একটি বস্তুর উপর অসমান মানের কিন্তু পরস্পর বিপরীতমুখী দু'টি = বল একই সঙ্গে, একই বিন্দুতে ক্রিয়া করে, তখন বস্তুটি বৃহত্তর বলের দিকে গতিশীল হয়। এই বলকে অপ্রতিমিত বল বা কার্যকর বল বলে।
উদাহরণ: একটি স্থির গাড়িকে পেছন দিক থেকে ধাক্কা দিলে গাড়িটি সামনের দিকে এগিয়ে যায়। এক্ষেত্রে ব্যক্তি কর্তৃক প্রযুক্ত বল গাড়ি কর্তৃক প্রতিক্রিয়া বলের থেকে বেশি হওয়ায় গাড়ি সামনের দিকে এগিয়ে যায়।
প্রশ্নঃ স্থিতি ও গতি বলতে কী বোঝো?
উত্তরঃ স্থিতি: কোনো বস্তু যদি তার চারপাশে উপস্থিত বস্তুগুলির সাপেক্ষে সময়ের সঙ্গে অবস্থান পরিবর্তন না করে, তা হলে সেই বস্তুকে স্থির বস্তু বলা হয় এবং বস্তুটির এই অবস্থাকে বলা হয় স্থিতি।
গতি: কোনো বস্তু যদি তার চারপাশে উপস্থিত বস্তুগুলির সাপেক্ষে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অবস্থান পরিবর্তন করে তাহলে সেই বস্তুকে গতিশীল বস্তু বলা হয় এবং বস্তুটির এই অবস্থাকে গতি বলে।
প্রশ্নঃ গতির সমীকরণগুলি লেখো। যেখানে u = প্রাথমিক বেগ, y = অন্তিম বেগ, s = সরণ, f = ত্বরণ, t = সময়।
উত্তরঃ i) s = ut, ii) f = v-ut, iii) v = u + ft, iv) s = ut + 12 ft2,
v) v2 = u2 + 2fs
প্রশ্নঃ 'মহাবিশ্বে পরম স্থিতি বা পরম গতি বলে কিছু নেই' - ব্যাখ্যা করো। অথবা, 'স্থিতি ও গতি আপেক্ষিক'- ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ
প্রশ্নঃ 'সমদ্রুতিসম্পন্ন বস্তু, সমবেগসম্পন্ন না-ও হতে পারে'- ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ বক্রপথে গতিশীল কোনো বস্তু সমান সময়ের অবকাশে সমান দূরত্ব অতিক্রম করলে বস্তুর গতি সমদ্রুতিসম্পন্ন। বস্তুটি বক্রপথে গতিশীল হওয়ার জন্য প্রতিমুহূর্তে তার বেগের অভিমুখ পরিবর্তন হয়, তাই বস্তুর গতি সমবেগসম্পন্ন নয়। সুতরাং অভিমুখ পরিবর্তন করে যদি কোনো বস্তু সমান সময়ের অবকাশে সমান দূরত্ব অতিক্রম করে তাহলে বস্তু সমদ্রুতিসম্পন্ন হলেও সমবেগসম্পন্ন হয় না।
প্রশ্নঃ দুই বন্ধু মিলে একটি টেবিলের পরস্পরের বিপরীত দু'দিকে টানছে কিন্তু টেবিলটি একটুও সরছে না- এটা কীভাবে সম্ভব?
উত্তরঃ যখন কোনো একটি বস্তুর উপর একই সঙ্গে সমান মানের কিন্তু বিপরীতমুখী বল একই বিন্দুতে ক্রিয়া করে তখন বস্তুটি স্থির অবস্থায় থাকে। এই বলকে প্রতিমিত বল বলা হয়। এক্ষেত্রে দুই বন্ধু সমান বল দ্বারা বিপরীত দিক থেকে টান দেওয়ার ফলে প্রতিমিত বলের দরুন টেবিলটি একটুও সরছে না।
প্রশ্নঃ কোনো স্থির গাড়িতে বসে থাকা আরোহী কি ভেতর থেকে ঠেলে গাড়িকে গতিশীল করতে পারে? ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ আরোহী গাড়িটিকে গতিশীল করতে পারবে না। আরোহী সহ গাড়িটি স্থির থাকায় ওদের মোট ভরবেগশূন্য। এখনআরোহী গাড়িটিকেভিতর থেকে ঠেললেনিউটনের তৃতীয় সূত্রানুযায়ী গাড়িও আরোহীর উপর বিপরীত দিকে সমান প্রতিক্রিয়া বল প্রয়োগ করে। কিন্তু এই ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া বল হলো গাড়ি ও আরোহী নিয়ে গঠিত বস্তুসংস্থার অভ্যন্তরীণ বল। বাইরে থেকে কোনো বল প্রয়োগ না হওয়ায় রৈখিক ভরবেগ সংরক্ষণ সূত্রানুযায়ী গাড়ি ও আরোহীর মোট ভরবেগ শূন্যই থাকবে। ফলে গাড়িটি গতিশীল হবে না।
প্রশ্নঃ নিউটন ও ডাইনের মধ্যে সম্পর্কটি প্রতিষ্ঠা করো।
উত্তরঃ 1 নিউটন (N) = 1 কিলোগ্রাম 1 মি, / সে2
= 1000 গ্রাম 100 সেমি / সে2
= 100000 গ্রাম সেমি / সে2
= 105 ডাইন [ 1 গ্রাম 1 সেমি / সে2 = 1 ডাইন ]
প্রশ্নঃ একটি মালবোঝাই ট্রাক ও একটি খালি ট্রাক একসাথে ব্রেক কষলে কে আগে দাঁড়াবে এবং কেন?
উত্তরঃ সমান বেগে গতিশীল একটি খালি ট্রাক অপেক্ষা একটি মালবোঝাই ট্রাকের ভরবেগ বেশি।
নিউটনের দ্বিতীয় সূত্রানুসারে আমরা বলতে পারি, ভরবেগ প্রযুক্ত বলের সঙ্গে সমানুপাতিক। অর্থাৎ যার ভরবেগ কম তাকে থামাতে গেলে কম বল প্রয়োগ করতে হবে এবং যার ভরবেগ বেশি তাকে থামাতে গেলে বেশি বল প্রয়োগ করতে হবে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে একসাথে ব্রেক কষলে খালি ট্রাক আগে দাঁড়াবে।
প্রশ্নঃ বায়ুশূন্য স্থানে পাখি উড়তে পারে না কেন?
উত্তরঃ পাখি ওড়ার সময় তার ডানা দিয়ে বাতাসের উপর বল প্রয়োগ করে। প্রতিক্রিয়া স্বরূপ বাতাসও পাখির ডানার ওপর সমান ও বিপরীতমুখী বল প্রতিক্রিয়া বল প্রয়োগ করে। ফলে পাখি বাতাসে উড়তে পারে। কিন্তু বায়ুশূন্য স্থানে পাখি ডানা নাড়ালেও পাখির ডানার ওপর প্রতিক্রিয়া বলের সৃষ্টি হয় না। ফলে বায়ুশূন্য স্থানে পাখি উড়তে পারে না।
প্রশ্নঃ গতির প্রকারভেদ লেখো এবং উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ
প্রশ্নঃ কোনো বস্তুর ওপর কার্যকর বলের প্রভাব কী?
উত্তরঃ (1) কার্যকরী বল স্থির বস্তুকে গতিশীল করতে সাহায্য করে।
(2) গতিশীল বস্তুকে স্থির বা থামাতে বল প্রয়োগ করা হয়।
(3) বল কোনো গতিশীল বস্তুর দিক পরিবর্তনে সাহায্য করে।
(4) বল বস্তুর আকৃতি পরিবর্তন ঘটাতে পারে।
প্রশ্নঃ ভরবেগ বলতে কী বোঝো? S.I. পদ্ধতিতে এর একক কী?
উত্তরঃ ভরবেগ: ভর ও বেগের সমন্বয়ে কোনো গতিশীল বস্তুতে যে ধর্মের সৃষ্টি হয় তাকে ভরবেগ বলে।
S.I. পদ্ধতিতে এর একক হলো- কিলোগ্রাম-মিটার/সেকেন্ড।
প্রশ্নঃ চেয়ারে বসে চেয়ারের উপর বল প্রয়োগ করে চেয়ার সহ নিজেকে উপরে তোলা যায় না কেন?
উত্তরঃ চেয়ারে বসে থাকা ব্যক্তি এবং চেয়ার একটিই ব্যবস্থা। তাই চেয়ার ও ব্যক্তির মধ্যে কোনো প্রকার পরস্পর বিপরীতমুখী ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া বলের সৃষ্টি হয় না। এই বল বাইরের থেকে বস্তু-সংহতির ওপর প্রযুক্ত না হওয়ায় ব্যক্তি সহ চেয়ারের ভরবেগের কোনো পরিবর্তন হয় না। তাই চেয়ারে বসে চেয়ারটিকে উপরে তোলা যায় না।
প্রশ্নঃ নিউটনের তৃতীয় গতিসূত্রের সাহায্যে রকেট ও জেটপ্লেনের গতি ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ রকেট ও জেটপ্লেন চালানো হয় নিউটনের তৃতীয় সূত্র বা রৈখিক ভরবেগের নিত্যতা সূত্রকে কাজে লাগিয়ে। রকেট ও জেটপ্লেনের মধ্যে একটি দহন প্রকোষ্ঠ থাকে। এতে সঞ্চিত জ্বালানির দ্রুত দহনের ফলে অত্যন্ত উচ্চচাপ বিশিষ্ট গ্যাসের সৃষ্টি হয়। এই গ্যাস রকেট বা জেটপ্লেনের দহন কক্ষে থাকা ছোটো ছিদ্র দিয়ে তীব্র গতিতে পিছন দিকে নির্গত হয়। রৈখিক ভরবেগের নিত্যতা সূত্র অনুসারে নির্গত গ্যাসের ভরবেগের সমান ও বিপরীতমুখী একটি ভরবেগ রকেট বা জেটপ্লেনে সঞ্চারিত হয়। এর ফলে রকেট বা জেটপ্লেন উপরের দিকে বা সামনের দিকে এগিয়ে চলে।
প্রশ্নঃ চলন্ত ট্রেনের কামরায় কোনো আরোহী একটি বলকে উপরের দিকে ছুড়লে তা আবার ঐ আরোহীর হাতে এসে পড়ে কেন?
উত্তরঃ বল ছোড়ার সময় আরোহীর গতিজাড্যের দরুন বলটির অনুভূমিক গতিবেগ সর্বদা গাড়ির গতিবেগের সমান হয়। ফলে বলটি নেমে আসার পূর্ব মূহূর্ত পর্যন্ত ট্রেনটি তার গতির অভিমুখে যতদূর এগোয়, গতিজাড্যের জন্য বলটিও সামনের দিকে ততদূর এগোয়। ফলে কিছুক্ষণ পরে বলটি আরোহীর হাতে এসে পড়ে।
প্রশ্নঃ বন্দুক থেকে বুলেট ছোড়ার সময় বন্দুকটি বন্দুকধারীকে পিছনের দিকে ধাক্কা দেয় কেন?
উত্তরঃ একটি বন্দুক থেকে বুলেট ছোড়ার আগে বুলেট ও বন্দুক উভয়েই স্থির অবস্থায় থাকে, অর্থাৎ উভয়েরই ভরবেগ শূন্য। গুলি ছোড়া হলে বুলেটটি সামনের দিকে একটি ভরবেগ পায়। ভরবেগের সংরক্ষণ সূত্রানুযায়ী বন্দুকটিও একই ভরবেগ নিয়ে পিছনের দিকে সরে যায়। ফলে বন্দুকধারী পিছন দিকে একটি ধাক্কা অনুভব করে।
প্রশ্নঃ কোনো বস্তুর বেগ শূন্য হলেও তার ত্বরণ থাকতে পারে কি?
উত্তরঃ কোনো বস্তুর বেগ শূন্য হলেও তার ত্বরণ থাকতে পারে। উদাহরণ-
কোনো বস্তুকে উল্লম্বভাবে উপরের দিকে ছুড়লে সর্বোচ্চ অবস্থানে বস্তুটির বেগ শূন্য হয়। কিন্তু তখনো তার ওপর অভিকর্ষজ ত্বরণ ক্রিয়াশীল থাকে।
সরল দোলকের ক্ষেত্রে দোলকপিণ্ডটি মধ্যবিন্দু থেকে যখন সর্বোচ্চ দূরে থাকে তখন তার বেগ শূন্য হয়, কিন্তু এই অবস্থানে দোলকপিন্ডটির ত্বরণের মান সর্বোচ্চ হয়।
প্রশ্নঃ কোনো বস্তু দ্বারা অতিক্রান্ত পথ শূন্য নয়, অথচ বস্তুটির সরণ শূন্য হতে পারে কি?
উত্তরঃ কোনো বস্তু একটি স্থান থেকে যাত্রা শুরু করে আবার সেই স্থানে ফিরে এলে, ঐ বস্তু দ্বারা অতিক্রান্ত দূরত্ব শূন্য হবে না। কিন্তু এক্ষেত্রে যেহেতু বস্তুটির প্রথম ও শেষ অবস্থান একই, তাই বস্তুটির সরণ শূন্য হবে।
প্রশ্নঃ কাচের শার্সিতে ঢিল ছুড়লে শার্সি টুকরো টুকরো হয়ে যায়। কিন্তু বন্দুকের গুলি ছুড়লে একটি গোল গর্ত সৃষ্টি হয় কেন?
উত্তরঃ কাচের শার্সিতে একটি ঢিল ছুড়লে ঢিলের বেগ কম হওয়ায় অসম বল কাচের সর্বত্র সৃষ্টি হতে প্রয়োজনীয় সময় পায়। স্থিতিজাড্য নষ্ট হয়ে কিছু টুকরো আলাদা হয়ে কাচের শার্সিকে টুকরো টুকরো করে দেয়। বন্দুকের গুলি খুব দ্রুত আঘাত করে এবং অসম বল গঠিত হয়ে জানলার শার্সির বিভিন্ন বিন্দুতে স্থিতিজাড্য নষ্ট হওয়ার যথেষ্ট সময় পায় না, ফলে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট একটি অংশের স্থানচ্যুতি ঘটে গর্ত সৃষ্টি হয়।
প্রশ্নঃ কোনো আরোহী নৌকা থেকে তীরে লাফ দিলে নৌকাটিও পিছনের দিকে সরে যায় কেন? অথবা, 'ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া বল যুগপৎ ঘটে'- উদাহরণ সহ ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ নৌকা থেকে কোনো আরোহী তীরে লাফ মারার সময় আরোহীর পা নৌকাটির উপর বল প্রয়োগ করে। ফলে নৌকাটিও তৎক্ষণাৎ আরোহীর পায়ের উপর প্রতিক্রিয়া বল প্রয়োগ করে। নৌকার এই প্রতিক্রিয়া বলের প্রভাবে আরোহী তীরে লাফ দিতে পারে। কিন্তু আরোহী নৌকাটির ওপর যে ক্রিয়া বল প্রয়োগ করেছিল তার প্রভাবে নৌকাটি পিছনের দিকে সরে যায়।
প্রশ্নঃ 'ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া সাম্য প্রতিষ্ঠা করতে পারে না' - ব্যাখ্যা করো। অথবা, ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া সমান ও বিপরীতমুখী হলেও ওরা সাম্য প্রতিষ্ঠা করতে পারে না কেন?
উত্তরঃ ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া সমান ও বিপরীতমুখী বল হলেও এরা সাম্য প্রতিষ্ঠা করতে পারে না। কারণ ক্রিয়া বল ও প্রতিক্রিয়া বল সর্বদা দু'টি আলাদা বস্তুর উপর প্রযুক্ত হয়। কিন্তু সাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হলে দু'টি সমান ও বিপরীতমুখী বলকে (প্রতিমিত বল) একই বস্তুতে বা একই বিন্দুতে প্রযুক্ত হতে হবে। তাই ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া সাম্য প্রতিষ্ঠা করতে পারে না।
প্রশ্নঃ নিউটনের দ্বিতীয় গতিসূত্র থেকে কীভাবে বলের পরিমাপ করা যায়? অথবা, p = m.f সমীকরণটি প্রতিষ্ঠা করো।
উত্তরঃ
উত্তর পেতে সদস্যপদ প্রয়োজন
Paid Answer Link (Membership User)
1. উত্তরহীন প্রশ্ন ও উত্তর সেখানে দেখা যাবে
2 বিনামূল্যে উত্তর পান থেকে এটি প্রয়োগ করুন