জল
👉Paid Answer (For Membership User)
সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো
প্রশ্নঃ অস্থায়ী খরতার কারণ -
(a) CaSO4
(b) Ca (HCO3)2✓
© MgSO4
(d) MgCI2.
প্রশ্নঃ ব্ল্যাকফুট রোগ কোন মৌলের দূষণের ফলে হয়?
(a) Ca
(b) Mg
© F
(d) As.
প্রশ্নঃ ক্যাটায়ন বিনিময়কারী রেজিনকে প্রকাশ করা হয় -
(a) RH দ্বারা✓
(b) ROH দ্বারা
© RNH2 দ্বারা
(d) RCI দ্বারা .
প্রশ্নঃ প্রাণীদের প্রধান সংবহন মাধ্যম হলো -
(a) হাড়
(b) রক্ত✓
© পেশিকোশ
(d) পাচক রস.
প্রশ্নঃ এনড্রিন একটি -
(a) ডিটাবজেন্ট
(b) পেস্টনাশক✓
© অজৈব সার
(d) আর্সেনিক যৌগ.
প্রশ্নঃ কত উষ্ণতায় জলের ঘনত্ব সর্বাধিক হয়?
(a) 25°C
(b) 50°C
© 0°C
(d) 4°C.✓
প্রশ্নঃ স্থায়ী খরতার কারণ -
(a) Mg(HCO3)2
(b) Ca(HCO3)2
© NaCI
(d) MgSO4✓
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
প্রশ্নঃ জলের মধ্যে কোন মৌলের মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতির জন্য ব্ল্যাকফুট ডিজিজ হয়?
উত্তরঃ আর্সেনিক।
প্রশ্নঃ ফ্লুরোসিস রোগ কোন মৌলের প্রভাবে হয়?
উত্তরঃ ফুওরাইড।
প্রশ্নঃ পানীয় জলে কোন ধাতুর উপস্থিতিতে মিনামাটা রোগ হয়?
উত্তরঃ পারদ।
প্রশ্নঃ খর জল কাকে বলে?
উত্তরঃ যে জলে সাবান ঘষলে খুব সহজে ফেনা উৎপন্ন হয় না, অনেক বেশি ঘষলে খুব কম ফেনা উৎপন্ন হয় এবং সাদা অধঃক্ষেপ পড়ে তাকে খর জল বলে।
প্রশ্নঃ পানীয় জলে আর্সেনিকের নিরাপদ মাত্রা কত?
উত্তরঃ 0.05 মিলিগ্রাম/লিটার।
প্রশ্নঃ জলের খরতা কোন এককে প্রকাশ করা হয়?
উত্তরঃ ppm (Parts per million)
প্রশ্নঃ BOD-এর সম্পূর্ণ নাম কী?
উত্তরঃ Biological Oxygen Demand বা জৈব অক্সিজেন চাহিদা।
প্রশ্নঃ জলের সাথে কোন হ্যালোজেন মৌল যোগ করে জীবাণুমুক্ত করা হয়?
উত্তরঃ ক্লোরিন (C/)
প্রশ্নঃ মৃদু জল কাকে বলে?
উত্তরঃ যে জলে সাবান ঘষলে খুব সহজে বেশি ফেনা উৎপন্ন হয় তাকে মৃদু জল বলে।
প্রশ্নঃ WHO-এর নির্দেশিকা অনুসারে পানীয় জলে ফুওরাইড-এর নিরাপদ মাত্রা কত?
উত্তরঃ 1.0 মিলিগ্রাম/লিটার।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
প্রশ্নঃ ডিটারজেন্ট কীভাবে জলদূষণ ঘটায়?
উত্তরঃ (1) ডিটারজেন্টে উপস্থিত সোডিয়াম ট্রাই-পলিফসফেট, টেট্রা-সোডিয়াম, পাইরো ফসফেট জলজ উদ্ভিদের দ্রুত বৃদ্ধি (ইউট্রিফিকেশন) ঘটায়। ফলে জলে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা হ্রাস পায় এবং জলজ প্রাণীদের জীবনযাপন ব্যাহত হয়।
(2) ডিটারজেন্ট জৈব বিয়োজক নয়। ফলে দূষণের মাত্রা বাড়ে।
(3) ডিটারজেন্ট জলকে বায়ু ও সূর্যালোক থেকে পৃথক রাখে। জলে অক্সিজেন দ্রবীভূত হতে পারে না। তাই জলে দ্রবীভূত অক্সিজেন ঘাটতি পড়ে।
প্রশ্নঃ রেজিন ব্যবহার করার পর রেজিনের কর্মক্ষমতা কীভাবে পুনরুদ্ধার করা হয়?
উত্তরঃ দীর্ঘদিন ব্যবহার করার পর রেজিনগুলির কর্মক্ষমতা ক্রমশ হ্রাস পায়। তাই নিষ্ক্রিয় ক্যাটায়ন বিনিময়কারী রেজিনের মধ্যে লঘু H₂SO₄ যোগ করলে এবং অ্যানায়ন বিনিময়কারী রেজিনের সাথে NaOH যোগ করলে এর কর্মক্ষমতা ফিরে আসে।
প্রশ্নঃ জলের স্থায়ী খরতা দূরীকরণের একটি পদ্ধতি আলোচনা করো।
উত্তরঃ জলের স্থায়ী খরতা দূরীকরণে আয়ন বিনিময়কারী রেজিন পদ্ধতি বিশেষ কার্যকরী। এই পদ্ধতিতে প্রথমে ক্যাটায়ন বিনিময়কারী রেজিন (R SO₂H) -এর মধ্য দিয়ে খরজলকে চালনা করলে খরজলে উপস্থিত Ca2+ , Mg2+, Na+ ইত্যাদি ক্যাটায়ন রেজিনের H+ আয়নের সঙ্গে স্থান বিনিময় করে অপসারিত হয়।
2RSO3 + CaCI2 + (RSO3)2Ca ↓ + 2H++ 2CI-
এরপর ক্যাটায়নমুক্ত এই জলকে অ্যানায়ন বিনিময়কারী রেজিনের (R-NH3+ OH-) মধ্য দিয়ে চালনা করলে জলে উপস্থিত CI-, SO42- আয়নগুলি জলের OH- আয়নের সঙ্গে স্থান বিনিময় করে অদ্রবণীয় রেজিনরূপে অপসারিত হয়।
H+ + CI- + R - NH3 +OH- = R - NH3+ CI- + H2O
এইভাবে প্রাপ্ত জলে H+ ও OH- আয়ন ছাড়া অন্য কোনো আয়ন থাকে না, একে আয়নমুক্ত জল বলে।
প্রশ্নঃ জলের স্থায়ী খরতার কারণ কী?
উত্তরঃ জলে ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও আয়রনের সালফেট বা ক্লোরাইড লবণ দ্রবীভূত থাকলে জলে স্থায়ী খরতার সৃষ্টি হয়।
প্রশ্নঃ ওজোন গ্যাসের সাহায্যে কীভাবে জল পরিশোধন করা হয়?
উত্তরঃ জলের মধ্য দিয়ে ওজোন গ্যাস ০, পাঠালে এটি অক্সিজেন (O₂) ও জায়মান অক্সিজেনে বিয়োজিত হয়। এই জায়মান অক্সিজেন অত্যন্ত সক্রিয়। জায়মান অক্সিজেন জলে উপস্থিত রোগজীবাণুকে ধ্বংস করে এবং জল পরিশোধন করে।
O3 O2 + O
প্রশ্নঃ অ্যালগাল ব্লুম বা শৈবাল সাম্রাজ্য কী?
উত্তর: কৃষি খামার থেকে নির্গত আবর্জনা, বিভিন্ন উৎস থেকে নির্গত বর্জ্য পদার্থ, ডিটারজেন্টে প্রচুর পরিমাণে ফসফেট এবং উদ্ভিদের বৃদ্ধির জন্য প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর পদার্থ থাকে। এই সমস্ত আবর্জনা জলে জমা হলে উপস্থিত শৈবালের অতি দ্রুত বৃদ্ধি ঘটতে থাকে। এই ঘটনাকে অ্যালগাল ব্লুম বলে।
প্রশ্নঃ রাসায়নিক সার, কীটনাশক ও কারখানার পরিত্যক্ত রাসায়নিক বর্জ্য পদার্থ কীভাবে জলদূষণ ঘটায়?
উত্তর:
প্রশ্নঃ জলে ফ্লুরাইড দূষণের দু'টি ক্ষতিকারক প্রভাব লেখো।
উত্তর: ফ্লুরোসিস রোগ হয়। দাঁতের ক্ষেত্রে হলুদ ছোপ দেখা দেয় এবং দাঁতের গঠনে বিকৃতি ঘটে।
প্রশ্নঃ জলদূষণের কারণগুলি উল্লেখ করো।
উত্তরঃ (1) জমিতে ব্যবহৃত পেস্টিসাইড দ্বারা জল দূষিত হয়, (2) জমিতে রাসায়নিক সার প্রয়োগ করলে তা বৃষ্টির জল দ্বারা ধৌত হয়ে জলাশয়ের জলদূষণ ঘটায়, (3) শিল্পের বর্জ্যপদার্থ জলদূষণ ঘটায়, গৃহস্থালির বর্জ্য পদার্থ, ডিটারজেন্ট দ্বারা দূষণ ঘটে, • গবাদিপশুর স্নান ও শৌচকর্মের ফলে জলদূষণ ঘটে।
প্রশ্নঃ BOD কী?
উত্তর: জলে উপস্থিত বিভিন্ন উদ্ভিদ মারা গেলে জৈব বিয়োজকগুলি জলে দ্রবীভূত অক্সিজেনের সাহায্যে এগুলির বিয়োজন ঘটায়। ফলে জলে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ দ্রুত হারে কমে যায়। অর্থাৎ জলে স্বাভাবিক যতটা অক্সিজেন দ্রবীভূত থাকার কথা তা থাকে না অর্থাৎ ঘাটতি থাকে। একে বলা হয় Biological Oxygen Demand বা BOD।
প্রশ্নঃ ব্লিচিং পাউডারের সাহায্যে কীভাবে জল পরিশোধন করা হয়?
উত্তর: জলের সাথে ব্লিচিং পাউডারের বিক্রিয়ায় জায়মান ক্লোরিন উৎপন্ন হয়। এটি অত্যন্ত সক্রিয়। এই জায়গায় ক্লোরিন জলে উপস্থিত রোগজীবাণুকে ধ্বংস করে এবং জল পরিশোধন করে।
Ca(OCI)CI+ H2O Ca(OH)2 + 2 CI.
প্রশ্নঃ ফ্লুরাইড দূষণ ও তার ক্ষতিকর প্রভাব আলোচনা করো।
উত্তর: ফুরাইড (F) দূষণ: ফ্লুরাইড দূষণ প্রধানত পানীয় জলের মাধ্যমে ঘটে। সাধারণত জলে দ্রবীভূত সোডিয়াম ফ্লুরাইড ও পটাশিয়াম ফ্লুরাইড জলদূষণ ঘটায়। 10 mg/L ফ্লুরাইড সম্পন্ন জল কখনোই পানের যোগ্য নয়, সেই জল ফ্লুরাইড মুক্ত করে পান করা প্রয়োজন। 10 mg/L ফ্লুরাইড মুক্ত জল স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি করে না বরং দন্তক্ষয় রোধে সাহায্য করে। অতিরিক্ত ফ্লুরাইড দাঁতের এনামেলের সাদা বর্ণকে হলুদ বা কালো করে তোলে। ফ্লুরাইড দূষণের ফলে মানুষের ফ্লুরোসিস রোগ হয়। ফলে অস্থি বক্রতা, শারীরিক বিকৃতি, পঙ্গু হয়ে পড়া প্রভৃতি রোগলক্ষণ প্রকাশ পায়। জলে ফ্লুরাইড দূষণের প্রভাবে নক-নি-সিনড্রোম রোগ দেখা যায়। এই রোগে হাঁটুর নীচ থেকে পা বাইরের দিকে বেঁকে যায়।
প্রশ্নঃ UV রশ্মি দ্বারা জল পরিশোধনের সুবিধাগুলি লেখো।
উত্তরঃ (1) UV রশ্মি দ্বারা জল পরিশোধনে অন্য পদ্ধতির তুলনায় কম খরচ হয়। (2) UV রশ্মি দ্বারা পরিশোধন দ্রুত, কার্যকরী ও নিরাপদ। (3) UV রশ্মির সাহায্যে শুধুমাত্র রোগজীবাণু ধ্বংস হয়। জলে দ্রবীভূত প্রয়োজনীয় মৌলগুলি বিনষ্ট হয় না। (4) জলের স্বাদ পরিবর্তন হয় না। (5) ভাইরাস দূরীকরণে এটি ক্লোরিনের থেকে বেশি কার্যকরী। (6) ক্ষতিকারক কোনো রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় না বলে দূষণ ঘটার কোনো সম্ভাবনা নেই।
প্রশ্নঃ জলদূষণ কীভাবে রোধ করা যাবে?
উত্তরঃ (1) খোলা জায়গায় যত্রতত্র মলত্যাগ বন্ধ করে স্যানিটারি শৌচালয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। (2) পুকুর, নদী ও অন্যান্য জলাশয়ে আবর্জনা নিক্ষেপ, মৃত জীবজন্তু নিক্ষেপ, গবাদি পশুর স্নান বন্ধ করতে হবে। (3) শিল্পকারখানা থেকে নির্গত দূষিত বর্জ্য পদার্থগুলিকে বিশেষ উপায়ে পরিশোধিত করার পর নদী বা অন্যান্য জলাশয়ে নিক্ষেপ করতে হবে। (4) অতিরিক্ত মাত্রায় কীটনাশক, আগাছানাশক ও রাসায়নিক সারের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কৃষিক্ষেত্রে জৈব সারের প্রয়োগ ও জৈব নিয়ন্ত্রক পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে। (5) সিন্থেটিক ডিটারজেন্টের বদলে বায়োডিগ্রেডেবল ডিটারজেন্টের ব্যবহারে জোর দিতে হবে। (6) পয়ঃপ্রণালীর জলকে যথাযথ উপায়ে পরিশোধনের পর জলাশয়ে ফেলতে হবে।
প্রশ্নঃ ইউট্রিফিকেশন কী?
উত্তর: জলে বিভিন্ন আবর্জনা ও ফসফেট জাতীয় পদার্থের আধিক্য ঘটলে জলে শৈবাল ও কচুরিপানা জাতীয় উদ্ভিদের অতি দ্রুত বৃদ্ধি ঘটে। এই উদ্ভিদগুলি মারা গেলে বিভিন্ন জৈব বিয়োজক জলে দ্রবীভূত অক্সিজেনের সাহায্যে এদের বিয়োজন ঘটায়। ফলে অক্সিজেনের পরিমাণ দ্রুত হারে কমে যায়। ফলস্বরূপ মাছ সহ সমস্ত জলজ প্রাণী মারা যায়। এই ঘটনাকে ইউট্রিফিকেশন বলে।
প্রশ্নঃ জলদূষণ কাকে বলে?
উত্তরঃ জলের মধ্যে অবাঞ্ছিত বস্তুর অনুপ্রবেশ ঘটলে জলের ভৌত, রাসায়নিক বা জৈবরাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে। এর ফলে জল ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে, একে জলদূষণ বলে।
প্রশ্নঃ আয়নমুক্ত জল কী?
উত্তরঃ খরজলকে ক্যাটায়ন বিনিময়কারী রেজিন ও অ্যানায়ন বিনিময়কারী রেজিনের মধ্য দিয়ে পাঠালে জলে উপস্থিত সমস্ত ক্যাটায়ন ও অ্যানায়ন অপসারিত হয়ে যায়, শুধুমাত্র H+ ও OH- উপস্থিত থাকে। এই জলকে আয়নমুক্ত জল বলে।
প্রশ্নঃ আয়নমুক্ত ও পাতিত জলের মধ্যে কোনটি অধিক বিশুদ্ধ?
উত্তরঃ পাতিত
জল অধিক বিশুদ্ধ। কারণ এতে আয়ন ও জীবাণু কিছুই থাকে না। কিন্তু আয়নমুক্ত জলে
জীবাণু থাকতে পারে।
উত্তর পেতে সদস্যপদ প্রয়োজন
Paid Answer Link (Membership User)