দ্ৰবণ
👉Paid Answer (For Membership User)
সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো।
প্ৰশ্নঃ জল ও চিনির মিশ্রণে উৎপন্ন হয়-
(a) কলয়েডীয় দ্রবণ
(b) সাসপেনশন
© প্রকৃত দ্রবণ✓
(d) কোনোটিই নয়।
প্ৰশ্নঃ সালফার যে দ্রাবকে দ্রবীভূত হয় সেটি হলো-
(a) জল/ (b) অ্যালকোহল/
© কার্বন ডাই-সালফাইড/ (d) ইথার।
উত্তরঃ © কার্বন ডাই-সালফাইড
প্ৰশ্নঃ একটি প্রাকৃতিক কলয়েডীয় দ্রবণ হলো-
(a) রক্ত/
(b) আইসক্রিম/
© কোল্ডক্রিম/ (d) ভ্যানিশিং ক্রিম।
উত্তরঃ (a) রক্ত
প্ৰশ্নঃ চাপ বৃদ্ধিতে তরলে গ্যাসের দ্রাব্যতা-
(a) বৃদ্ধি পায়/ (b) হ্রাস
পায়/ © একই থাকে/ (d) প্রথমে বৃদ্ধি পায় পরে হ্রাস পায়।
উত্তরঃ (a) বৃদ্ধি পায়
প্ৰশ্নঃ একটি কঠিন এরোসল হলো-
(a) গঁদ/ (b) দুধ/ © মেঘ /
(d) ধোঁয়া।
উত্তরঃ (d) ধোঁয়া
প্ৰশ্নঃ একটি ইমালসন কারক হলো-
(a) অ্যারারুট/ (b) জিলেটিন
/ © ডেটল / (d) কডলিভার তেল।
উত্তরঃ (b) জিলেটিন
প্ৰশ্নঃ যে দ্রবণ আরো দ্রাব দ্রবীভূত করতে পারে সেটি
হলো-
(a) সম্পৃক্ত দ্রবণ/ (b) অতিপৃক্ত
দ্রবণ/ © অসম্পৃক্ত দ্রবণ/ (d) কলয়েডীয়
দ্রবণ।
উত্তরঃ (b) অতিপৃক্ত দ্রবণ
প্ৰশ্নঃ একটি ইমালসন হলো-
(a) দুধ/ (b) সাবানের
ফেনা/ © কুয়াশা/ (d) গঁদের আঠা।
উত্তরঃ (a) দুধ
প্রশ্নঃ 10-10 সেমি ব্যাসবিশিষ্ট কণা উৎপন্ন করে-
(a) প্রকৃত দ্রবণ/ (b) কলয়েডীয়
দ্রবণ/
© সাসপেনশন/ (d) কোনোটিই
নয়।
উত্তরঃ (a) প্রকৃত দ্রবণ
অতিসংক্ষিপ্ত
প্রশ্নোত্তর
প্রশ্নঃ SMP-এর পুরো নাম কী?
উত্তর: Suspended Particulate Matter বা প্রলম্বিত ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণা।
প্রশ্নঃ তরলের দ্রাব্যতা কী কী বিষয়ের উপর নির্ভর করে?
উত্তর: (1) উন্নতা, (2) চাপ।
প্রশ্নঃ দুধ কী জাতীয় দ্রবণ?
উত্তর: কলয়েড বা ইমালসন।
প্রশ্নঃ সোডা ওয়াটারে কোন গ্যাস দ্রবীভূত থাকে?
উত্তর: কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂)।
প্রশ্নঃ দ্রবণ কাকে বলে?
উত্তর: দুই বা ততোধিক পদার্থ (কঠিন, তরল বা গ্যাসীয়) একসঙ্গে মিশে যদি একটি সমসত্ত্ব মিশ্রণ তৈরি করে, তবে তাকে দ্রবণ বলে।
দ্রবণের উপাদানগুলির ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম বজায় থাকে।
প্রশ্নঃ গ্যাসীয় পদার্থের দ্রাব্যতার উপর চাপের প্রভাব লেখো।
উত্তর: চাপ বাড়ালে তরলে গ্যাসের দ্রাব্যতা বাড়ে এবং চাপ কমালে দ্রাব্যতা কমে।
প্রশ্নঃ কীভাবে একটি সম্পৃক্ত দ্রবণকে অসম্পৃক্ত দ্রবণে পরিণত করবে?
উত্তর: (1) উয়তা বৃদ্ধি করে, (2) অতিরিক্ত দ্রাবক যোগ করে।
প্রশ্নঃ উয়তা বাড়ালে জলে দ্রাব্যতা বাড়ে • এমন একটি পদার্থের নাম লেখো।
উত্তর: চিনি।
প্রশ্নঃ ধোঁয়া কী? এটি কী জাতীয় পদার্থ?
উত্তর: বায়ুর সাথে কার্বনের সূক্ষ্ম কণা মিশে ধোঁয়া সৃষ্টি করে। এটি একপ্রকার কঠিন এরোসল।
প্রশ্নঃ রক্ত কী জাতীয় পদার্থ?
উত্তরঃ কলয়েডীয় পদার্থ।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
প্রশ্নঃ ব্রাউনীয় গতি কী?
উত্তরঃ কলয়েড দ্রবণে কলয়েড কণাগুলি এদিক ওদিক এলোমেলোভাবে বিরামহীন গতিতে ছুটে বেড়ায়। কণার এই গতিকে ব্রাউনীয় গতি বলে।
প্রশ্নঃ কলয়েড কী?
উত্তরঃ কোনো তরলে অদ্রাব্য কঠিন পদার্থের সূক্ষ্ম কণা (ব্যাস 10-7 - 10-5) তরলে দ্রবীভূত না হয়ে তরলের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে ইতঃস্তত ঘুরে বেড়ায় এবং দ্বি-দশাবিশিষ্ট, স্থায়ী অসমসত্ত্ব মিশ্রণ তৈরি করে তাকে কলয়েড বলে। উদাহরণ- দুধ, চা, কফি, ভাতের ফেন, রক্ত।
প্রশ্নঃ কেলাস কী?
উত্তরঃ নির্দিষ্ট জ্যামিতিক আকারবিশিষ্ট, নির্দিষ্ট সংখ্যক সমতলপৃষ্ঠ দ্বারা সীমাবদ্ধ সমসত্ত্ব কঠিন পদার্থের দানাকে কেলাস বলে। যেমন- ফিটকিরি, চিনি, তুঁতে ইত্যাদি।
প্রশ্নঃ কুয়াশা কী? এটি কী জাতীয় পদার্থ?
উত্তরঃ ভূ-সংলগ্ন বায়ুস্তরের উয়তা শিশিরাঙ্কের নীচে নেমে গেলে বায়ুতে উপস্থিত জলীয় বাষ্প জলকণা হয়ে বাতাসে ভেসে বেড়ায় এবং ধুলিকণার সাথে মিশে থাকে। একেই বলে কুয়াশা। এটি একপ্রকার তরল এরোসল।
প্রশ্নঃ ইমালসন কী?
উত্তরঃ একটি তরলের মধ্যে আর একটি অমিশ্রণীয় তরল পদার্থের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা বিস্তৃত থেকে যে কলয়েডীয় দ্রবণ উৎপন্ন করে তাকে ইমালসন বলে।
যেমন: দুধ, মাখন, কোল্ড ক্রিম ইত্যাদি।
প্রশ্নঃ ফোম কী?
উত্তরঃ কোনো তরল বিস্তার মাধ্যমে গ্যাসীয় পদার্থ বিস্তৃত অবস্থায় থাকার ফলে যে কলয়েড দ্রবণ উৎপন্ন হয় তাকে ফোম বলে। যেমন- সাবানের ফেনা, শেভিং ফোম।
প্রশ্নঃ দ্রাব্যতার সংজ্ঞা দাও।
উত্তরঃ কোনো নির্দিষ্ট উয়তায় 100 গ্রাম দ্রাবকে সর্বাধিক যত গ্রাম দ্রাব যোগ করলে দ্রবণটি একটি সম্পৃক্ত দ্রবণে পরিণত হয়, দ্রাবের সেই পরিমাণ-সংখ্যাকে ওই উন্নতায় ঐ দ্রাবকে দ্রাবের দ্রাব্যতা বলে।
প্রশ্নঃ এরোসল কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ গ্যাসীয় বিস্তার মাধ্যমে তরল বা কঠিন পদার্থের অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা প্রলম্বি অবস্থায় থেকে যে কলয়েডীয় মিশ্রণ সৃষ্টি করে তাকে এরোসেল বলে।
যেমন: ধোঁয়া, বায়ুতে ভাসমান ধুলিকণা হলো কঠিন এরোসল এবং মেঘ, কুয়া হলো তরল এরোসল।
প্রশ্নঃ কেলাসন কী?
উত্তরঃ কোনো পদার্থের সম্পৃক্ত দ্রবণকে ধীরে ধীরে ঠান্ডা করে বা অসম্পৃক্ত দ্রবণে বাষ্পীভূত করে কেলাস তৈরি করার পদ্ধতিকে কেলাসন বলে।
প্রশ্নঃ দ্রাব্যতার সংজ্ঞায় নির্দিষ্ট উয়তার উল্লেখ থাকে কেন?
উত্তরঃ কারণ বিভিন্ন উন্নতায় নির্দিষ্ট দ্রাবকে নির্দিষ্ট দ্রাবের দ্রাব্যতা বিভিন্ন হয়। তা দ্রাব্যতার সংজ্ঞায় উয়তার উল্লেখ থাকে।
প্রশ্নঃ কীভাবে একটি অসম্পৃক্ত দ্রবণকে সম্পৃক্ত দ্রবণে পরিণত করবে?
উত্তরঃ অতিরিক্ত দ্রাব যোগ করে, দ্রাবককে বাষ্পীভূত করে, দ্রবণটিকে ঠান্ড। করতে থাকলে একটি নির্দিষ্ট উয়তায় দ্রবণটি সম্পৃক্ত হয়ে যাবে। i
প্রশ্নঃ এমন একটি পদার্থের নাম লেখো যার জলে দ্রাব্যতা উন্নতা বৃদ্ধির সঙ্গে প্রথমে বৃদ্ধি পায় এবং তারপর আরও উন্নতা বৃদ্ধি করলে দ্রাব্যতা হ্রাস পায়।
উত্তরঃ গ্লবার লবণ বা সোডিয়াম সালফেট (Na, SO₄ 10H₂O)।
প্রশ্নঃ "20°C উয়তায় জলে খাদ্য লবণের দ্রাব্যতা 35"- এই কথাটির অর্থ কী?
উত্তরঃ 20°C উন্নতায় 100 গ্রাম জলে 35 গ্রাম খাদ্য লবণ যোগ করলে দ্রবণটি সম্পৃক্ত দ্রবণে পরিণত হয়।
প্রশ্নঃ প্রলম্বন কী?
উত্তরঃ কোনো তরলে অদ্রাব্য কঠিন পদার্থের খুব ক্ষুদ্র কণা তরলে দ্রবীভূত হয় না কিছু তরলের সমগ্র অংশে সমানভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং তরলের মধ্যে প্রলম্বিত অবস্থায় থেকে একটি অস্বচ্ছ মিশ্রণ তৈরি করে, তাকে প্রলম্বন বা সাসপেনশন বলে।
উদাহরণ: কাদামিশ্রিত ঘোলা জল।
প্রশ্নঃ জেল কী?
উত্তরঃ কোনো তরল বিস্তার মাধ্যমে কঠিন
পদার্থের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা বিস্তৃত অবস্থায় থাকার ফলে যে অর্ধ-কঠিন কলয়েড দ্রবণ
উৎপন্ন হয় তাকে জেল বলে। যেমন- জেলি, দই।
দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর
প্রশ্নঃ একটি দ্রবণ সম্পৃক্ত না অসম্পৃক্ত তা কীভাবে শনাক্ত করবে?
উত্তরঃ (1) দ্রবণটিতে আরো দ্রাব যোগ করলে যদি দ্রবীভূত না হয়ে থিতিয়ে পড়ে তবে দ্রবণটি সম্পৃক্ত। (2) দ্রবণে অতিরিক্ত দ্রাব যোগ করলে যদি দ্রবীভূত হয়ে যায় এবং ঘনত্ব বাড়ে তবে দ্রবণটি অসম্পৃক্ত।
প্রশ্নঃ উষ্ণতা বাড়লে জলে দ্রাব্যতা কমে এমন কয়েকটি পদার্থের নাম লেখো।
উত্তরঃ কলিচুন [Ca(OH)2], ক্যালশিয়াম সালফেট (CaSo₂), ক্যালশিয়াম-নাইট্রেট [Ca(NO)3] ইত্যাদি।
প্রশ্নঃ কলয়েডের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।
উত্তর: ⅰ) কলয়েড দ্রবণে কলয়েড কণার ব্যাস 10-7 সেমি - 10-5সেমি। ii) সাধারণ মাইক্রোস্কোপে কণাগুলি দেখা যায় না, তবে আল্ট্রামাইক্রোস্কোপে দেখা যায়। iii) দ্রবণ অস্বচ্ছ। iv) আপাতদৃষ্টিতে দ্রবণটি সমসত্ত্ব মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে অসমসত্ত্ব। v) ফিল্টার পেপার দ্বারা কণাগুলি পৃথক করা যায় না, তবে পার্চমেন্ট পেপারের সাহায্যে পৃথক করা যায়। vi) ব্রাউনীয় গতি প্রদর্শন করে। vii) টিন্ড্যাল এফেক্ট প্রদর্শন করে।
প্রশ্নঃ এক কাপ জলে চিনির দ্রাব্যতা কি কলকাতা ও দার্জিলিং-এ একই হবে? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।
উত্তর: কোনো পদার্থের দ্রাব্যতা তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে। উয়তা বাড়লে চিনির দ্রাব্যতা বাড়ে এবং উয়তা কমলে চিনির দ্রাব্যতা কমে। একই সময় কলকাতা ও দার্জিলিং-এর তাপমাত্রা এক নয়। এজন্য এক কাপ জলে চিনির দ্রাব্যতা কলকাতা ও দার্জিলিং-এ এক নয়।
প্রশ্নঃ এমন একটি পদার্থের নাম লেখো, যার উয়তা বাড়লেও জলে দ্রাব্যতা অপরিবর্তিত থাকে?
উত্তর: খাদ্য লবণ বা সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl)।
প্রশ্নঃ দ্রাব্যতা লেখ কী? এর উপযোগিতা কী?
উত্তর: ছক কাগজের x-অক্ষ বরাবর উন্নতা এবং y অক্ষ বরাবর দ্রাব্যতা বসিয়ে যে লেখচিত্র পাওয়া যায় তাকে দ্রাব্যতা লেখ বলে।
জলে কঠিন দ্রাব্যগুলির দ্রাব্যতা উন্নতার সঙ্গে কীভাবে পরিবর্তন হয়, তা এই লেখচিত্র দেখে জানা যায়।
প্রশ্নঃ টিন্ড্যাল এফেক্ট কী?
উত্তর: কলয়েড দ্রবণে দৃশ্যমান আলো প্রবেশ করলে দেখা যায় কলয়েড কণা দ্বারা আলো বিক্ষিপ্ত হয় এবং স্পষ্টভাবে আলোর গতিপথ লক্ষ করা যায়। কলয়েড কণা দ্বারা আলোর এই বিক্ষেপণের ঘটনাকে টিন্ড্যাল এফেক্ট বলা হয়।
প্রশ্নঃ কয়েকটি জৈব দ্রাবকের নাম লেখো।
উত্তর: ইথাইল অ্যালকোহল, মিথাইল অ্যালকোহল, ক্লোরোফর্ম, বেঞ্জিন, টলুইন, কেরোসিন, পেট্রোল ইত্যাদি।
প্রশ্নঃ সোডা ওয়াটার বোতলের ছিপি খুললে বোতলের মুখে ফেনা সৃষ্টি হয় কেন?
উত্তর: জলে কার্বন ডাই-অক্সাইডকে উচ্চচাপে দ্রবীভূত করলে যে দ্রবণ উৎপন্ন হয় তা-ই সোডা ওয়াটার। চাপ বাড়ালে জলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের দ্রাব্যতা বাড়ে এবং চাপ কমালে দ্রাব্যতা কমে। সোডা ওয়াটারের বোতলে উচ্চচাপে জলে কার্বন ডাই-অক্সাইড দ্রবীভূত থাকে। বোতলের ছিপি খুললেই বোতলের ভিতরের চাপ কমে যায়। ফলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের দ্রাব্যতা কমে যায় এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড দ্রবণ থেকে বুদবুদ আকারে বেরিয়ে আসে। ওই বুদবুদ বোতলের মুখে ফেনার সৃষ্টি করে।
প্রশ্নঃ কেলাসন কাকে বলে? কীভাবে কেলাস প্রস্তুত করা হয়?
উত্তর: কেলাসন যে পদ্ধতিতে কোনো কঠিন পদার্থের কেলাস প্রস্তুত করা হয় তাকে কেলাসন বলে।
কেলাস প্রস্তুত: বিভিন্ন পদ্ধতিতে কেলাস প্রস্তুত করা হয়-
(1) উচ্চ উয়তায় উৎপন্ন কোনো পদার্থের সম্পৃক্ত দ্রবণকে ধীরে ধীরে ঠান্ডা করলে ওই পদার্থের কেলাস তৈরি হয়।
(2) কোনো কোনো পদার্থের ঊর্ধ্বপাতন করে তাদের কেলাস উৎপন্ন করা হয়।
প্রশ্নঃ কীভাবে ফটকিরির কেলাস তৈরি করবে?
উত্তর: একটি পাত্রে ফটকিরির সম্পৃক্ত দ্রবণ নিয়ে তার মধ্যে ফটকিরির একটি বীজ কেলাসকে সুতোর মধ্যে বেঁধে ঝুলিয়ে দিলে কিছুক্ষণ পরে দেখা যাবে ক্ষুদ্র কেলাসটি বৃহৎ আকার ধারণ করেছে।
প্রশ্নঃ কয়েকটি সোদক কেলাস বা আর্দ্র কেলাসের উদাহরণ দাও।
উত্তর: ছুঁতে [CuSO4, 5H2O] , ফটকিরি [k₂SO₄, AI2 (SO4 )3 . 24H2O], গ্রিন ভিট্রিয়ল [FeSO4.7H₂O], কাপড় কাচার সোডা [Na₂CO₃-10H₂O]।
প্রশ্নঃ কেলাসন প্রক্রিয়ায় বীজ কেলাস বা সিড কেলাসের ভূমিকা কী? শিল্পক্ষেত্রে এর প্রয়োগ উল্লেখ করো।
উত্তর: সম্পৃক্ত দ্রবণকে অনেকক্ষণ ঠান্ডা করলেও সহজে কেলাসন প্রক্রিয়া শুরু হতে চায় না। তাই দ্রবণটির মধ্যে দ্রাবের একটি ক্ষুদ্র কেলাস ফেলে দিলে কেলাসন প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু হয়। এই কেলাসকে সিড কেলাস বা বীজ কেলাস বলে।
শিল্প থেকে বীজ কেলাস ব্যবহার করে কেলাসন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করা হয়। চিনি থেকে মিছরি, তুঁতের বড়ো কেলাস, মূল্যবান পাথর প্রভৃতি তৈরি করা হয়।
প্রশ্নঃ ইমালসনের কয়েকটি ব্যবহার উল্লেখ করো।
উত্তর: ইমালসনের কয়েকটি ব্যবহার-
(1) ওষুধ তৈরিতে: বেশ কিছু ওষুধ ইমালসন অবস্থায় কার্যকরী হয়, যেমন- কডলিভার তেল, ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স ইত্যাদি তেল জাতীয় ইমালসন।
(2) জীবাণুনাশক রূপে: জীবাণুনাশক, যেমন- ডেটল, লাইসল ইত্যাদি জলের সঙ্গে মেশালে জলে তেল জাতীয় ইমালসন তৈরি হয়।
(3) জামাকাপড় পরিষ্কারে সাবানের ভূমিকা: সাবান ও জলের মিশ্রণে নোংরা জামাকাপড় ডোবালে ইমালসন গঠনের মাধ্যমে নোংরাগুলি জামাকাপড় থেকে পৃথক হয়।
উত্তর পেতে সদস্যপদ প্রয়োজন
Paid Answer Link (Membership User)