Chapter 1
কে বাঁচায়, কে বাঁচে

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

MCQ


১. "...নিখিল চুপ করে থাকে।”-নিখিলের এই চুপ করে থাকার কারণ-

(ক) সে তার ভুল বুঝতে পেরেছে 
(খ) মৃত্যুঞ্জয় তাকে চুপ করতে বলেছে 
(গ) সে নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে 
(ঘ) মৃত্যুঞ্জয়ের চোখ ছলছল করে উঠেছে 

২. "অন্নের বদলে বরং সমিধে পরিণত হয়ে যাবে।"-'সমিধ' শব্দের অর্থ-

(ক) ক্ষুধার আগুন 
(খ) সমাধি 
(গ) হোমের কাঠ
(ঘ) অগ্নি


৩. "...সেটা হয় অনিয়ম।”-এই অনিয়মটি হল-

(ক) বাস্তব নিয়ম উলটে মধুর আধ্যাত্মিক নীতিতে পরিণত করা  

(খ) নিজের কাজকর্ম ছেড়ে রিলিফে অংশ নেওয়া 

(গ) দুস্থ অনাহারী মানুষদের কথা ভাবা 

(ঘ) ভিন্ন মতাদর্শের মানুষের সঙ্গে কথা চালিয়ে যাওয়া


৪. "বিক্ষুদ্ধ চিত্তে এই সব কথা ভাবতে ভাবতে"-

(ক) মৃত্যুঞ্জয় টাকাগুলো টেবিলে রাখল 

(খ) টুনুর মা বিছানা নিল 

(গ) নিখিল সংবাদপত্রটি তুলে নিল   

(ঘ) মৃত্যুঞ্জয় ঘরে এসে বসল


৫. "নিখিল সংবাদপত্রটি তুলে নিল।"-সংবাদপত্রে যে বিষয়ে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, তা হল-

(ক) প্রবল অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে 

(খ) শহরের পথেঘাটে বহু অনাহারী মানুষের মৃত্যু ঘটেছে 

(গ) সরকারের পক্ষ থেকে অনাহারী মানুষদের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

(ঘ)  গোটা কুড়ি মৃতদেহের ভালোভাবে সঙ্গতির ব্যবস্থা করা হয়নি   


৬. "নিখিল ভাবছিল বন্ধুকে বুঝিয়ে বলবে...।" বুঝিয়ে বলার কথাটি হল- 

(ক) নিজে কষ্ট করেই শুধু অন্যকে বাঁচানো যাবে না   

(খ) মাইনের পুরো টাকাটা ত্রাণে দেওয়া কোনো কাজের কথা নয় 

(গ) স্ত্রীর স্বাস্থ্যের প্রতি মৃত্যুঞ্জয়ের যত্ন নেওয়া উচিত 

(ঘ) নিজে না খেয়ে পরকে খাইয়ে সান্ত্বনা পাওয়ার কোনো কারণ নেই


 ৭. "...না খেয়ে মরাটা উচিত নয় ভাই।" কথাটি বলেছে-

(ক) মৃত্যুঞ্জয় 

(খ) নিখিল   

(গ) মৃত্যুঞ্জয়ের ছোটো ভাই 

(ঘ) টুনুর মা


৮. "ওটা পাশবিক স্বার্থপরতা।" মৃত্যুঞ্জয় যে বিষয়টিকে 'পাশবিক স্বার্থপরতা' বলেছে, তা হল-

(ক) বেঁচে থাকার জন্য উপযুক্ত আহার গ্রহণের মানসিকতাকে  

(খ)  অনাহারী মানুষের কথা একেবারেই চিন্তা না করাকে 

(গ) স্ত্রীর স্বাস্থ্যকে উপেক্ষা করাকে 

(ঘ) ত্রাণকার্যে বন্ধুর চরম উদাসীনতাকে


৯. "নিখিলকে প্রতি মাসে... কিছু কিছু টাকা পাঠাতে হয়।" কত জায়গায়

(ক) দুই জায়গায় 

(খ) তিন জায়গায়  

(গ)  চার জায়গায় 

(ঘ) পাঁচ জায়গায়


১০. "দশজনকে খুন করার চেয়ে নিজেকে না খাইয়ে মারা বড়ো পাপ।" -এই কথাটি নিখিল বলেছিল- 

ক) নীতিধর্মের বিচারেখ 

(খ)  রাজধর্মের বিচারে 

(গ) সমাজধর্মের বিচারে  

(ঘ) হিন্দুধর্মের বিচারে


১১. নিখিল অর্থসাহায্য কত টাকা করে কমানোর কথা ভেবেছিল

ক) দু-টাকা 

খ) পাঁচ টাকা  

গ)  আট টাকা 

ঘ) দশ টাকা


১২. মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িতে থাকে কতজন লোক

ক) আটজন 

খ) পাঁচজন 

গ) সাতজন   

ঘ) নয়জন


 ১৩. "ওটা পাশবিক স্বার্থপরতা।" -বক্তা হলেন-

(ক) নিখিল 

(খ) মৃত্যুঞ্জয়   

(গ) টুনুর মা 

(ঘ) টুনু


১৪. নিখিলের স্বার্থপরতাকে মৃত্যুঞ্জয় কোন্ বিশেষণে ভূষিত করেছিল

(ক) অমানবিক  

(খ) অমানুষিক 

(গ) নীচ 

(ঘ) পাশবিক


১৫. "এ ভাবে দেশের লোককে বাঁচানো যায় না।"-এই ভাবনাটি কার

(ক) মৃত্যুঞ্জয়ের 

(খ) টুনুর মার 

(গ) নিখিলের  

(ঘ) মৃত্যুঞ্জয়ের ভাইয়ের


১৬ "টুনুর মার যা স্বাস্থ্য,”- তাতে একবেলা খেয়ে বাঁচতে পারবে-

(ক) ১৫-২০ দিন  

(খ) ১২-১৫ দিন 

(গ)১০ দিন 

(ঘ) ৭-৯ দিন


১৭. "মরে তো মরবে না খেয়ে।"-যার সম্পর্কে এই উক্তি তিনি হলেন-

(ক) মৃত্যুঞ্জয় 

(খ) নিখিল 

(গ) টুনুর মা  

(ঘ) দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষ


 ১৮. "মৃত্যুঞ্জয় একতাড়া নোট নিখিলের সামনে রাখল।"- টাকাটা- 

(ক) নিখিলকে ধার দেবে 

(খ) রিলিফ ফান্ডে দেবে  

(গ) নিখিলকে ঘুস দেবে 

(ঘ) অফিসের সকলকে ভূরিভোজ করাবে


 ১৯. মৃত্যুঞ্জয় নিখিলকে রিলিফ ফান্ডে দিতে বলেছিল-

(ক) সমস্ত মাইনেটা  

(খ) মাইনের  অর্ধেক 

(গ) মাইনের এক-চতুর্থাংশ 

(ঘ) মাইনের দুই-তৃতীয়াংশ 


২০. নিখিল চুপ করে থাকে কেন

(ক) ফুটপাথের অনাহার-মৃত্যুর কথা শুনে 

(খ) খবরের কাগজে মৃত্যুর খবর পড়ে 

(গ) মৃত্যুঞ্জয়ের চোখ ছলছল করছে দেখে  

(ঘ) মৃত্যুঞ্জয় জল খাচ্ছিল দেখে


 Short Question Answer


১."তারপর দিন দিন কেমন যেন হয়ে যেতে লাগল মৃত্যুঞ্জয়।” -কবে থেকে?

অফিসে মাইনের দিনে সহকর্মী নিখিলের সঙ্গে আদর্শগত মতবিরোধের পর থেকে মৃত্যুঞ্জয় দিন দিন কেমন যেন হয়ে যেতে লাগল


২.মাইনের দিনের পর থেকে মৃত্যুঞ্জয়ের পেশাজীবনে কী পরিবর্তন এসেছিল?

মাইনের দিনের পর থেকে মৃত্যুঞ্জয় অফিসে দেরি করে আসত এবং নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বেরিয়ে যেত, কাজে ভুল করত, আর প্রায়সময়েই অফিসে বসে বসে ভাবত


৩. অনাহারীরা সারাদিন কোথায় কোথায় পড়ে থাকত?

অনাহারীরা সারাদিন খোলা ফুটপাথে, বড়ো কোনো গাছের তলায়, ডাস্টবিনের ধারে পড়ে থাকত


৪. অনাহারীরা শহরের দোকানপাট বন্ধ হলে রাতে কী করত?

আশ্রয়হীন অনাহারীরা অনেক রাতে শহরের দোকানপাট বন্ধ হলে হামাগুড়ি দিয়ে নিকটবর্তী রোয়াকে উঠে আশ্রয় গ্রহণ করত


৫. অনাহারীরা ভোর চারটে থেকে কী করত?

অনাহারীরা ভোর চারটে থেকে লঙ্গরখানায় অন্নের প্রত্যাশায় লাইন দিত


৬."নিখিলকে বার বার আসতে হয়।" - নিখিলকে বার বার আসতে হয় কেন?

পথে পথে ঘুরে বেড়ানো বন্ধু মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ির লোকেদের খোঁজখবর নিতে নিখিলকে মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িতে বার বার আসতে হয়


৭."টুনুর মা তাকে সকাতরে অনুরোধ জানায়,...।"-কী অনুরোধ?

টুনুর মা নিখিলকে সকাতরে অনুরোধ জানায় যে, নিখিল যেন মৃত্যুঞ্জয়ের দিকে খেয়াল রাখে, সে যেন একটু মৃত্যুঞ্জয়ের সঙ্গে থাকে


৮. টুনুর মা নিখিলকে মৃত্যুঞ্জয়ের দেখভাল করার অনুরোধ করলে নিখিল তাকে কী বলে?

টুনুর মার অনুরোধে নিখিল তাকে জানায় যে, সে যদি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠে পরিবারের বাকি সকলের দেখভাল করে তবেই সে মৃত্যুঞ্জয়ের সঙ্গে থাকবে


9. "এই ভাবনাতেই ওঁর মাথাটা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।"-কোন্ ভাবনায়?

টুনুর মার মতে অনাহারীদের জন্য কিছুই কি করা যায় না- সেই ভাবনাতেই মৃত্যুঞ্জয়ের মাথাটা খারাপ হয়ে যাচ্ছে


১০.“কেমন একটা ধারণা জন্মেছে,...।"- কার, কোন্ ধারণার কথা বলা হয়েছে?

যথাসর্বস্ব দান করেও সে অনাহারীদের কিছুমাত্র ভালো করতে পারবে না-মৃত্যুঞ্জয়ের এই ধারণার কথাই এখানে বলা হয়েছে


১১. মৃত্যুঞ্জয় দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষগুলির সঙ্গে কথা বলে তাদের হৃদয়ে কোন্ কোন্ বৈশিষ্ট্যের অনুপস্থিতি লক্ষ করে?

মৃত্যুঞ্জয় দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষগুলির সঙ্গে কথা বলে তাদের হৃদয়ে অভিযোগ ও প্রতিবাদের অনুপস্থিতি লক্ষ করে


১২. ফুটপাথবাসী হয়ে যাওয়ার আগে মৃত্যুঞ্জয় কী পরত?

ফুটপাথবাসী হয়ে যাওয়ার আগে মৃত্যুঞ্জয় ধুতি এবং সিল্কের জামা পরত


১৩.ফুটপাথে পাকাপাকিভাবে থাকার পর মৃত্যুঞ্জয়ের সাজসজ্জার কী পরিবর্তন হয়েছিল?

পাকাপাকিভাবে ফুটপাথবাসী হলে মৃত্যুঞ্জয়ের ধুতির বদলে ছেঁড়া কাপড় জোটে, গা থেকে সিল্কের জামা অদৃশ্য হয়ে যায়, গায়ে মাটি জমা হয়, তার মুখ দাড়িগোঁফে ভরে যায়


১৪. ফুটপাথবাসী হয়ে যাওয়ার পর মৃত্যুঞ্জয়ের চেহারার কী পরিবর্তন হয়েছিল?

ফুটপাথবাসী হয়ে যাওয়ার পর খালি গায়ে ঘুরে বেড়ানোর ফলে মৃত্যুঞ্জয়ের সারা গায়ে মাটির স্তর পড়ে যায় এবং তার মুখ গোঁফদাড়িতে ভরে যায়


১৫. মৃত্যুঞ্জয় অনাহারী মানুষগুলির সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করে দিয়েছিল কেন?

অনাহারী মানুষগুলি ছিল প্রতিবাদহীন। তাদের সবার বক্তব্য, ভাষা এবং বাচনভঙ্গি একইরকম বিরক্তিকর হওয়ায় মৃত্যুঞ্জয় তাদের সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করে দিয়েছিল

 

Long Question Answer

প্রশ্ন ১ "...তার অভিজ্ঞতার কাছে কথার মারপ্যাঁচ অর্থহীন হয়ে গেছে।”- কার অভিজ্ঞতা? এমন বলার কারণ কী?  


উত্তর: উদ্দিষ্ট ব্যক্ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'কে বাঁচায়, কে বাঁচে' গল্পের উল্লিখিত মন্তব্যটিতে গল্পের মূল চরিত্র মৃত্যুঞ্জয়ের কথা বলা হয়েছে

বলার কারণ: ফুটপাথবাসী দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষদের সহমর্মী মৃত্যুঞ্জয় তাদের দুঃখকষ্ট, জীবনযাপনকে একেবারে কাছ থেকে দেখতে দেখতে নিজেও ফুটপাথের বাসিন্দা হয়ে যায়। সে অফিস যাওয়া বন্ধ করে, এমনকি নিশ্চিন্ত গৃহকোণও ত্যাগ করে। প্রথমদিকে শহরের আদি-অন্তহীন ফুটপাথ ধরে ঘুরে |

বেড়ালেও কালক্রমে সে ফুটপাথেরই বাসিন্দা হয়ে যায়। তার মধ্যে এইসময় চেতনাগত পরিবর্তন ঘটে, মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রীর মন্তব্যের মধ্যে যার আভাস মেলে। সে বলে "কেমন একটা ধারণা জন্মেছে, যথাসর্বস্ব দান করলেও কিছুই ভাল করতে পারবেন না। দারুণ একটা হতাশা জেগেছে ওর মনে। একেবারে মুষড়ে যাচ্ছেন দিনকে দিন।” দুর্ভিক্ষের রূঢ় বাস্তবতা মৃত্যুঞ্জয়ের মানসিক শৃঙ্খলাকে সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত করে দেয়। এর কোনো যথাযথ সমাধান বা প্রতিকারের উপায় তার কাছে না থাকায় সে হতাশ হয়ে পড়ে। নিখিল চেষ্টা করে মৃত্যুঞ্জয়কে বুঝিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে, কিন্তু তার চোখ দেখলেই বোঝা যায় যে, তার কথার অর্থ মৃত্যুঞ্জয় বুঝছে না। এ-কদিন ফুটপাথবাসী বুভুক্ষু মানুষদের সাথে কাটিয়ে যে বিপুল অভিজ্ঞতা সে সঞ্চয় করেছে সেখানে মানসিক শৃঙ্খলা বজায়

রেখে চলা সম্ভব হয় না। কোনো তত্ত্বকথাই তার সেই ভয়ংকর বাস্তব | অভিজ্ঞতাকে ভুলিয়ে দিতে পারে না। আর তার ফলেই নিখিলের বলা কথাগুলি মৃত্যুঞ্জয়ের কাছে অর্থহীন হয়ে যায়


প্রশ্ন 2 "কারো বুকে নালিশ নেই, কারো মনে প্রতিবাদ নেই।"-'কারো' বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে? কার, কীভাবে এ কথা মনে হয়েছে? এই নালিশ ও প্রতিবাদ না থাকার কারণ কী?


উত্তর: উদ্দিষ্ট ব্যক্তিবর্গ: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'কে বাঁচায়, কে বাঁচে' গল্পের উল্লিখিত অংশে ফুটপাথবাসী দুর্ভিক্ষপীড়িত নিরন্ন মানুষদের কথা বলা হয়েছে। 

এরকম মনে হওয়ার কারণ: মৃত্যুঞ্জয়ের একথা মনে হয়েছে। ফুটপাথের একটি মৃত্যুদৃশ্য মৃত্যুঞ্জয়কে এতটাই প্রভাবিত করেছিল যে, তারপর থেকে ফুটপাথের মানুষেরা হয়ে উঠেছিল তার নিবিড় পর্যবেক্ষণের বিষয়। পাড়ায় পাড়ায় লঙ্গরখানা খুঁজে নিয়ে মৃত্যুঞ্জয় অন্নপ্রার্থীদের ভিড় দেখত। ডাস্টবিনের ধারে, গাছের নীচে বা খোলা ফুটপাথে যারা পড়ে থাকত, হামাগুড়ি দিয়ে গভীর রাত্রে বন্ধ দোকানের রোয়াকে উঠে যারা আশ্রয় খুঁজত কিংবা ভোর চারটে থেকে যারা লাইন দিত খাবারের জন্য, তারাই মৃত্যুঞ্জয়ের মনোযোগের কেন্দ্রে ছিল। কিন্তু প্রথম দিকে তাদের সঙ্গে আলাপের চেষ্টা করলেও পরে তা মৃত্যুঞ্জয় বন্ধ করে দেয়। কারণ একই ভঙ্গিতে তারা সকলেই একই দুঃখের কাহিনি বলে যেত। তাদের কোনো নালিশ কিংবা প্রতিবাদ ছিল না

নালিশহীনতা ও প্রতিবাদহীনতার কারণ: দুর্ভিক্ষে উদ্বাস্তু হয়ে যাওয়া মানুষগুলি ফুটপাথের জীবনকেই তাদের ভবিষ্যৎ মেনে নিয়েছে। নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকেই তারা বুঝেছে যে, তারা আসলে ক্ষমতাবান মানুষদের শোষণের শিকার। এই সমাজে তাদের জীবনযাপনের অধিকার, মর্যাদা কোনোটাই স্থায়ী নয়। তাই তারা মেনে নিয়ে চলতে অভ্যস্ত হয়ে যায়। ফলে তারা নালিশ ও প্রতিবাদহীন হয়ে যায়


 👉Online MCQs Test

👉Download Books PDF


EDITING BY--Liza Mahanta