Chapter--3

  ভারতবর্ষ

সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ

-------------------------------------------------------


MCQ


1. বাজারে জমাটিভাব থাকে-

ক) সন্ধ্যা সাতটা অবধি 

খ) রাত আটটা অবধি 

গ) রাত নটা অবধি

ঘ) রাত দশটা অবধি


2. শীতের বৃষ্টিকে ভদ্রলোকে বলে- 

ক) ডাওর 

খ) ডাক 

গ) ফাঁপি 

ঘ) পউষে বাদলা 


3. "এমনিতেই খুব জাঁকানো" যার কথা বলা হয়েছে- 

ক) রাঢ়বাংলার গরম 

খ) রাঢ়বাংলার বর্ষা 

গ) রাঢ়বাংলার শীত 

ঘ) রাঢ়বাংলার কুয়াশা


4. রাঢ় বাংলার শীতে ধারালো বৃষ্টিপাতকে ছোটোলোকে বলে- 

ক) শীতবৃষ্টি 

খ) ডাওর 

গ) বৃষ্টির ধারাপাত 

ঘ) পউষে বাদলা 


5. "... বৃষ্টির সঙ্গে বাতাস জোরালো হলে তারা বলে"-

ক) পউষে বাদলা 

খ) ডাওর 

গ) ফাঁপি 

ঘ) ঝড়-বৃষ্টি


6. 'ডাওর' কথাটির অর্থ-

ক) ভদ্রলোক

খ) ছোটোলোক 

গ) শহরের লোক 

ঘ) গ্রামের লোক


7. চাষাভুষো মানুষ চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে-দিতে প্রতীক্ষা করছিল-

ক) গরম চায়ের 

খ) রোদ ঝলমল একটা দিনের

গ) নীল উর্দিপরা চৌকিদারের

ঘ) শহরে যাওয়ার বাসের 


8. চায়ের দোকানের আড্ডাবাজরা বুড়ির সঙ্গে তুলনা করেছিল-

ক) ঘোড়ার 

খ) টাট্টুর

গ) হরিণের 

ঘ) খরগোশের


9. ডাকের মতে পৌষমাসে শনিবার বৃষ্টি শুরু হলে তা থাকবে- 

ক) একদিন 

খ) তিনদিন 

গ) পাঁচদিন 

ঘ) সাতদিন 


10. ডাকপুরুষের বচন অনুযায়ী পৌষমাসে মঙ্গলবার বৃষ্টি শুরু হলে থাকবে-

ক) একদিন 

খ) তিনদিন 

গ) পাঁচদিন

ঘ) সাতদিন


11. ডাক তার বচনে বলেছেন যে, পৌষমাসে বুধবার বৃষ্টি শুরু হলে থাকবে-

ক)একদিন 

খ) তিনদিন 

গ)পাঁচদিন 

ঘ)সাতদিন


 12. ডাক তার বচনে বলেছেন যে, পৌষমাসে বৃহস্পতিবার বৃষ্টি শুরু হলে থাকবে-

ক) একদিন

খ) তিনদিন 

গ) পাঁচদিন 

ঘ) সাতদিন


13. 'ভারতবর্ষ' গল্পে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল-

ক) সোমবার 

খ) মঙ্গলবার 

গ) বুধবার 

ঘ) বৃহস্পতিবার


14. 'ভারতবর্ষ' গল্পের বৃক্ষবাসিনী বুড়ি কোথায় আশ্রয় নিলে ভালো করত বলে কয়েকজন গ্রামবাসী মনে করেছিল

ক) বটতলায় 

খ) চায়ের দোকানে 

গ) বারোয়ারিতলায়

ঘ) আড়তে


15. চায়ের দোকানে হঠাৎ আসা বুড়ির হাতে ছিল- 

ক) মোটা লাঠি

খ) বেঁটে লাঠি 

গ) ন্যাকড়ার থলে 

ঘ) তুলোর কম্বল


 16. বাজারে মুদিখানার সংখ্যা-

ক) এক 

খ) দুই 

গ) তিন 

ঘ) চার


17. বাজারে হাস্কিং মেশিনের পিছনে কী ছিল

ক) মন্দির 

খ) ইটভাটা 

গ) জলের কল

ঘ) স্কুল


18. 'রাঢ়বাংলা' বলতে বোঝায়-

ক) গঙ্গার পূর্ববর্তী অঞ্চল

খ) গঙ্গার পশ্চিম তীরবর্তী অঞ্চল  

গ) দামোদরের দক্ষিণ অঞ্চল

ঘ) অজয় নদের উত্তর অঞ্চল


Short Question Answer


1. 'ভারতবর্ষ' গল্পে বাজারটির পিছনে কী কী ছিল

'ভারতবর্ষ' গল্পে বাজারটির পিছনে ছিল ঘন বাঁশবনে ঢাকা একটি গ্রাম এবং ইটভাটা।


2. বাজারটিতে রাতের বেলায় কী কী দেখা যেত?

 বাজারটিতে রাত্রিবেলায় দূরে শহরের দিকে চলে যাওয়া দু-একটা চলমান ট্রাক এবং নেড়িকুত্তাকে দেখা যেত


3. বাজারটিতে রাত্রিবেলায় কী শোনা যেত?

▶ নিস্তব্ধ বাজারটিতে রাত্রিবেলায় মাঝে মাঝে শহরের দিকে যাওয়া চলমান ট্রাকের শব্দ এবং বটগাছে পেঁচার ডাক শোনা যেত।


4. বাজার-পার্শ্ববর্তী গ্রামটির বৈশিষ্ট্য কী ছিল?

বাজার-পার্শ্ববর্তী গ্রামটি ছিল ঘন বাঁশবনে ঢাকা এবং সেই গ্রামে বিদ্যুৎ- সংযোগ ছিল না।


5. বাজারটি কোথায় গড়ে উঠেছিল?

পিচের সড়ক আদ্যিকালের একটি বটগাছের পাশে যেখানে বাঁক নিয়েছিল, সেখানেই বাজারটি গড়ে উঠেছিল।


6. বাজারে কোন্ কোন্ দোকান ছিল?

বাজারটিতে তিনটি চায়ের দোকান, দুটো সন্দেশের দোকান, তিনটে পোশাকের দোকান, একটা মনোহারির দোকান এবং দুটি মুদিখানা ছিল।


7. 'ভারতবর্ষ' গল্পে কোন্ বাংলা মাস এবং কোন্ বাংলা ঋতুর কাহিনি বর্ণনা করা হয়েছে?

গল্পটিতে পৌষ মাস এবং ঋতু হিসেবে শীতকালের কাহিনি বর্ণনা করা হয়েছে।


8. রাঢ়বাংলার শীতের চরিত্র কেমন?

▶ রাঢ়বাংলার শীত খুব জাঁকালো প্রকৃতির, বৃষ্টি হলে তা হয় ধারালো।


9. "তাই লোকের মেজাজ গেল বিগড়ে।"- লোকের মেজাজ বিগড়ে গিয়েছিল কেন?

পৌষের শীতে বৃষ্টির সঙ্গে জোরালো বাতাস বইতে শুরু করায় ধানের প্রচণ্ড ক্ষতি হয়ে যাবে বলে লোকের মেজাজ বিগড়ে গিয়েছিল।


10. "চাষাভুষো মানুষ চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে-দিতে”-কীসের প্রতীক্ষা করছিল?

▶ চাষাভুসো মানুষ চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দিতে রোদ ঝলমলে দিনের প্রতীক্ষা করছিল।


11. "চাষাভুষো মানুষ চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে-দিতে”-কার মুণ্ডুপাত করছিল?

চাষাভুসো মানুষ চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দিতে আল্লা তথা ভগবানের মুণ্ডুপাত করছিল।


12. শীতের অকাল বৃষ্টিতে রাঢ়বাংলায় কীসের ক্ষতি হয়?

শীতের অকাল বৃষ্টিতে রাঢ়বাংলায় ধানের ক্ষতি হয়।


13 . পৌষমাসের বৃষ্টি গ্রামবাংলায় কী কী নামে পরিচিত?

পৌষমাসের বৃষ্টি গ্রামবাংলায় ভদ্রলোকের কাছে 'পউষে বাদলা' অভিধায় এবং ছোটোলোকের কাছে 'ডাওর' নামে পরিচিত।


14. 'ফাঁপি' কাকে বলে? [উচ্চমাধ্যমিক, ২০১৯] [এবিটিএ ইনটার স্কুল টেস্ট]

শীতকালে বৃষ্টির সঙ্গে জোরালো বাতাস বইলে রাঢ়বাংলার গ্রাম্য, তথাকথিত 'ছোটোলোকের' ভাষায় সেই আবহাওয়াকে 'ফাঁপি' বলে।


15. চায়ের দোকানের আড্ডায় কোন্ কোন্ বিষয়ে গল্পগুজব চলছিল?

 চায়ের দোকানের আড্ডায় 'বোমবাইয়ের' অভিনেতা-অভিনেত্রী, গায়ক, ইন্দিরা গান্ধি, মুখ্যমন্ত্রী, বিধায়ক থেকে শুরু করে স্থানীয় লোকজনকে নিয়েও গল্পগুজব চলছিল।


16. "এইটুকুই যা সুখ তখন।”- কোন্ সুখের কথা বলা হয়েছে?

পৌষমাসের অকাল-দুর্যোগে ঘরে বসে গ্রামের মানুষদের সময় না কাটায় বাজারে এসে সেখানকার সভ্যতার ছোট্ট উনোনের পাশে হাত-পা সেঁকে নেওয়াই ছিল তাদের 'সুখ'


17. 'ভারতবর্ষ' গল্পের বুড়ির চেহারা কেমন ছিল?

'ভারতবর্ষ' গল্পের বুড়িটি ছিল রাক্ষুসী চেহারার, কুঁজো এক সাদাচুলের থুথুড়ে বুড়ি। তার ক্ষয়ে-যাওয়া, ছোট্ট মুখমণ্ডলের বলিরেখাগুলি স্পষ্টভাবে তার দীর্ঘ আয়ু প্রকাশ করছিল।


18. বৃদ্ধার পরনে কী ছিল?

বৃদ্ধা নোংরা একটা কাপড় পরেছিল এবং তার গায়ে জড়ানো ছিল তুলোর চিটচিটে একটা কম্বল।


19. বৃদ্ধার হাতে কী ছিল?

বৃদ্ধার হাতে ছিল বেঁটে একটা লাঠি।


২০. বৃদ্ধার মুখমণ্ডল কেমন ছিল?

বৃদ্ধার মুখমণ্ডল ছিল ছোটো, ক্ষয়াটে এবং স্পষ্ট বলিরেখাযুক্ত।


Long Question Answer


প্রশ্ন.1 "আবার জমে গেল।"-প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আড্ডা কীভাবে আবার জমে গেল তা লেখো।

 উত্তর. প্রসঙ্গ-সহ আড্ডার বিবরণ: কথামুখ: সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের 'ভারতবর্ষ' ছোটোগল্পে আমরা দেখি যে, পৌষমাসের অকাল দুর্যোগের মধ্যে রাঢ়বাংলার এক ছোট্ট বাজারের এক চায়ের দোকানে বসে কয়েকজন অলস কর্মহীন গ্রামবাসী জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছিল। বুড়ির আগমন: এমন সময় এক থুথুড়ে ভিখিরি বুড়ি ভিজতে ভিজতে সেখানে এসে উপস্থিত হলে সে আড্ডায় ছেদ পড়ে। আরাম করে চা খাওয়ার পর বৃদ্ধা বসে-থাকা সকলের মুখের দিকে নিঃশব্দে চায়। একজন জিজ্ঞাসা করে যে, সে কোথা থেকে এসেছে। বুড়ি মেজাজের সঙ্গে জানায়-"সে-কথায় তোমাদের কাজ কী বাছারা?” এ কথা শুনে সবাই একসঙ্গে হেসে ওঠে এবং একজন গ্রামবাসী বুড়িকে ব্যঙ্গ করে টাট্টু ঘোড়ার সঙ্গে তুলনা করে। বৃদ্ধা তীক্ষ্ণ ভাষায় পালটা উত্তর দেয়। এরপর সে চায়ের দাম মিটিয়ে দিয়ে নড়বড় করে হাঁটতে হাঁটতে রাস্তায় নেমে যায়। আড্ডাধারীদের চিৎকার: চায়ের দোকানের আড্ডাধারীরা তখন তাকে উদ্দেশ্য করে চিৎকার করে জানায় যে, সে নির্ঘাত মরবে। এ কথা শুনে ঘুরে দাঁড়িয়ে বুড়ি তাদের এবং তাদের শতগুষ্টির মৃত্যু কামনা করে। তারপর সে বৃষ্টি- বাদলের মধ্যে বটতলায় গিয়ে আশ্রয় নিলে তা নিয়েও আলোচনা চলতে থাকে। কয়েকজন গ্রামবাসী বলে, বটগাছতলার পরিবর্তে বারোয়ারিতলায় আশ্রয় নিলেই বুড়ি ভালো করত।ইতিকথা: এইভাবে বুড়িকে নিয়ে 'অনেক কথা' এসে পড়ায় আড্ডা আবার জমে ওঠে।


প্রশ্ন.2 "সেখানেই গড়ে উঠেছে একটা ছোট্ট বাজার।”-বাজারটি কোথায় অবস্থিত ছিল? এই বাজারটির বর্ণনা দাও।

উত্তর.বাজারটির অবস্থান: সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের 'ভারতবর্ষ' গল্পটি গড়ে উঠেছে রাঢ়বাংলার একটি ছোট্ট গ্রাম্য বাজারকে কেন্দ্র করে। পিচের সড়ক আদ্যিকালের এক বটগাছের পাশে যেখানে বাঁক নিয়েছে, সেখানেই গড়ে উঠেছিল বাজারটি।

  বাজারটির বর্ণনা: বাজারটিতে সবমিলিয়ে ছিল তিনটি চায়ের দোকান, দুটো সন্দেশের দোকান, তিনটি পোশাকের দোকান, একটা মনোহারির দোকান এবং দুটি মুদিখানা। এ ছাড়াও একটি আড়ত এবং একটি হাস্কিং মেশিনেরও দোকান ছিল সেখানে। বাজারটির উত্তরে ছিল বিরাট একটি মাঠ এবং পেছনে ছিল বাঁশবন। চারপাশের গ্রামের মানুষ প্রতিদিন এখানেই কেনাকাটা করতে আসত।

 মানুষদের কাছে এটা তাই একটা আড্ডার জায়গাও ছিল। 'সভ্যতার ছোট্ট উনোনের পাশে হাত-পা সেঁকে নিতে' তারা প্রায়শই বাজারে আসত, বিশেষত

 পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলিতে বিদ্যুৎ-সংযোগ না থাকলেও বাজারে বিদ্যুৎ ছিল। সকাল থেকে শুরু করে রাত ন-টা পর্যন্ত এই বাজার খোলা থাকত। চারপাশের গ্রামের সন্ধ্যায়, যখন গ্রামগুলি প্রায় অন্ধকার থাকত। রাত নটায় বাজার ফাঁকা হয়ে। গেলে জনহীন বাজারের বৈদ্যুতিক আলোয় দু-একটা নেড়িকুত্তাকে ঘুরে বেড়াতে দেখা যেত। একটা-দুটো ট্রাক কখনো-সখনো রাস্তা দিয়ে শহরের দিকে চলে যেত। রাতে নিস্তব্ধ বাজারের পাশের বটগাছ থেকে প্যাঁচার ডাক শোনা যেত।


প্রশ্ন.3 'ভারতবর্ষ' গল্প অবলম্বনে বাজারের চায়ের দোকানে বসে- থাকা গ্রামবাসীদের আড্ডার পরিচয় দাও।

উত্তর.বাজারের চায়ের দোকানে বসে-থাকা গ্রামবাসীদের আড্ডার পরিচয়: সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের 'ভারতবর্ষ'গল্পেবৈচিত্র্যহীন গ্রাম্যজীবনে অলস সময় উদ্যাপনে গ্রামের মানুষেরা প্রায়শই আসত, বাজারের চায়ের দোকানে।

অকাল দুর্যোগ: পৌষমাসের অকাল-দুর্যোগের শেষ দিনটিতে তেমনিভাবেইবাজারের চায়ের দোকানে এসে বসেছিল কয়েকজন অলস গ্রামবাসী। অসময়ের দুর্যোগে ধানের প্রভূত ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কায় তাদের মেজাজ তিরিক্ষে হয়েছিল। চায়ের দোকানে বসে গল্পচ্ছলে তাই তারা রৌদ্রোজ্জ্বল দিনের অপেক্ষা করছিল। ঈশ্বরের উদ্দেশে বক্তব্য: কেউ কেউ হতাশ হয়ে ঈশ্বর বা আল্লার মুণ্ডুপাতও করছিল। একজন যুবক চাষি তো চরম ক্ষোভ ও হতাশায় চিৎকার করে বলতে শুরু করল যে, তাদের মাথার ওপর ঈশ্বর বা আল্লা নামধারী কোনো নিয়ন্ত্রক নেই-কেউই নেই। আড্ডার নানান ধরন: আড্ডার কোনো নির্দিষ্ট প্রসঙ্গ ছিল না। বোম্বাইয়ের চলচ্চিত্র-জগতের গায়ক ও অভিনেতা-অভিনেত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি, মুখ্যমন্ত্রী এবং বিধায়ক থেকে পাড়ার সরা বাউরির প্রসঙ্গ চলে আসে আলোচনায়। ইতিকথা: এইভাবে আড্ডা যখন জমে ওঠে, তখনই সবাইকে বিস্মিত করে দিয়ে সেখানে এক বৃদ্ধার আগমন ঘটে।

👉Online MCQs Test

👉Download Books PDF

👉Paid Answer (For Membership User) 


EDITING BY--Liza Mahanta