Chapter--5
শিকার
জীবনানন্দ দাশ
--------------------------------------------------------
[MCQ]
1. সারারাত হরিণ নিজেকে কার হাত থেকে বাঁচিয়েছিল?
ক)শিকারির
খ)চিতাবাঘিনির ✔
গ)হৃদয়হীনের
ঘ)রাতের হিংস্র পশুদের
2. সারারাত হরিণটি ঘুরেছিল-
ক)শাল-পিয়ালের বনে
খ) অর্জুন-সুন্দরীর বনে ✔
গ) মেহগনি-অর্জুনের বনে
ঘ) মেহগনি-সুন্দরীর বনে
3. 'সুন্দরীর
বন থেকে অর্জুনের বনে' কীসের মতো অন্ধকার ছিল?
ক) মেহগনির মতো ✔
খ) অশ্বত্থের মতো
গ) অর্জুনের মতো
ঘ) সুন্দরীর মতো
4. চিতাবাঘিনির তাড়া খাওয়া হরিণটি ছিল-
ক) সজীব সতেজ
খ) সতেজ বাদামি
গ) সুন্দর বাদামি ✔
ঘ) সুন্দর সতেজ
5. সুন্দর বাদামি হরিণ যার জন্য অপেক্ষা করেছিল-
ক) অন্ধকারের জন্য
খ) সবুজ ঘাসের জন্য
গ) ঝরনার জলের জন্য
ঘ) ভোরের জন্য ✔
6.
"সুন্দর বাদামি হরিণ এই ভোরের জন্য অপেক্ষা করছিল।"-কারণ-
ক) রাত তার ভালো লাগছিল না
খ) সে তার সঙ্গীদের খুঁজে পাচ্ছিল না
গ) রাতে খাবারের খোঁজ করা অসম্ভব
ঘ) চিতাবাঘিনির হাত থেকে বাঁচার জন্য ✔
7. "এসেছে সে ভোরের আলোয় নেমে;"-কে?
ক) ঘাসফড়িং
খ) চিতাবাঘিনি
গ) শিকারি
ঘ) হরিণ ✔
8. "এসেছে সে ভোরের আলোয় নেমে;"-এর কারণ কী?
ক) জল খাওয়া
খ) বিশ্রাম নেওয়া
গ) ঘাস খাওয়া ✔
ঘ) খেলা করা
9. 'শিকার' কবিতায়
কচি বাতাবিলেবুর মতো ছিল-
ক) ভোরের সুবাস
খ) সবুজ সুগন্ধি ঘাস ✔
গ) হরিণের হৃদয়
ঘ) ময়ূরের ডানার রং
10. সবুজ সুগন্ধি ঘাসকে কবি যার সঙ্গে তুলনা করেছেন-
ক) নতুন ধান
খ) শরতের সকাল
গ) কচি বাতাবিলেবু ✔
ঘ) রূপসি মেয়ে
11. হরিণ কী 'ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছে'?
ক) দুর্বাঘাস
খ) বাতাবিলেবুর পাতা
গ) সুগন্ধি ঘাস ✔
ঘ) পেয়ারা পাতা
12. হরিণটি ভোরের আলোয় যেখানে নেমেছিল-
ক) ঝরনার জলে
খ) নদীর জলে ✔
গ) অন্ধকারের সমুদ্রে
ঘ) অর্জুন-সুন্দরীর বনে
13. "নদীর তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে সে নামল…"-কে?
ক) চিতাবাঘিনি
খ) শিকারি
গ) বাদামি হরিণ ✔
ঘ) একটি সিংহ
14. নদীর জলে নামা হরিণের শরীর ছিল-
ক) ঘুমহীন ক্লান্ত বিহ্বল ✔
খ) বিহ্বল ক্লান্ত ঘুমহীন
গ) ঘুমহীন বিহ্বল ক্লান্ত
ঘ) ক্লান্ড ঘুমহীন বিহ্বল
15. নদীর ঢেউয়ে হরিণটি নেমেছিল-
ক) তৃয়া মেটানোর জন্য
খ) আত্মরক্ষার জন্য
গ) স্রোতের মতো আবেশ পাওয়ার জন্য ✔
ঘ) হরিণীর খোঁজে
16. "একটা আবেশ দেওয়ার জন্য;" -এই আবেশের সঙ্গে কার তুলনা করা হয়েছে?
ক) স্রোতের ✔
খ) বৃষ্টির
গ) জলপ্রপাতের
ঘ) ঝড়ের
17. হরিণটি যে উল্লাস খুঁজে নিতে চেয়েছিল তা ছিল-
ক) বিবর্ণ ইচ্ছার মতো
খ) ভোরের রৌদ্রের মতো ✔
গ) সূর্যের সোনার বর্শার মতো
ঘ) ময়ূরের সবুজ-নীল ডানার মতো
18.
"এই নীল আকাশের নীচে সূর্যের বর্শার মতো জেগে উঠে.."-
ক) আলোর
খ) রঙের
গ) সোনার ✔
ঘ) তীক্ষ্ণ
19. হরিণটি জেগে উঠতে চেয়েছিল-
ক) তীক্ষ্ণ ধনুকের মতো
খ) সূর্যের রশ্মির মতো
গ) ময়ূরের ডানার মতো
ঘ) সূর্যের সোনার বর্শার মতো ✔
20. 'হরিণীর পর হরিণীকে' হরিণটি চমকে দিতে চেয়েছিল-
ক) সাধে সাহসে সৌন্দর্যে
খ) সাহসে সাধে সৌন্দর্যে ✔
গ) সৌন্দর্যে সাধে সাহসে
ঘ) সাধে সৌন্দর্যে সাহসে
Short Question Answer
1. জীবনানন্দ দাশের 'শিকার' কবিতায় সারারাত হরিণটি কীসের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করেছিল?
▶ জীবনানন্দ দাশের 'শিকার' কবিতায় সারারাত হরিণটি চিতাবাঘিনির হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করেছিল।
2. সুন্দর বাদামি হরিণ চিতাবাঘিনির হাত থেকে বাঁচতে কোন্ কোন্ বনে ঘুরেছিল?
▶ জীবনানন্দ দাশের 'শিকার' কবিতায় চিতাবাঘিনির হাত থেকে বাঁচতে সুন্দর বাদামি হরিণটি সারারাত সুন্দরী বন থেকে অর্জুনের বনে ঘুরেছিল।
▶ জীবনানন্দ দাশের 'শিকার' কবিতায় চিতাবাঘিনির হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে সুন্দর বাদামি হরিণটি ভোরের জন্য অপেক্ষা করছিল।
▶ জীবনানন্দ দাশের 'শিকার' কবিতায় চিতাবাঘিনির হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে হরিণটি নদীর জলে নেমেছিল তার ঘুমহীন ক্লান্ত শরীরে স্রোতের আবেশ দেওয়ার জন্য।
▶ জীবনানন্দ দাশের 'শিকার' কবিতায় হরিণটি চিতাবাঘিনির হাত থেকে বাঁচলেও শিকারির গুলি শেষপর্যন্ত তাকে বাঁচতে দেয়নি।
▶ জীবনানন্দ দাশের 'শিকার' কবিতায় 'মেহগনির মতো অন্ধকারে' বলতে গভীর অন্ধকারকে বোঝানো হয়েছে।
▶
▶ সুন্দর বাদামি হরিণটি সুন্দরীর বন থেকে অর্জুনের বনে ঘুরেছিল চিতাবাঘিনির হাত থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য।
▶ এখানে কচি বাতাবিলেবুর মতো সবুজ, সুগন্ধি ঘাস ছিঁড়ে খাওয়ার জন্য সুন্দর বাদামি হরিণের নেমে আসার কথা বলা হয়েছে।
▶ জীবনানন্দ দাশের 'শিকার' কবিতায়
'কচি
বাতাবিলেবুর মতো' সবুজ সুগন্দি ঘাসের কথা বলা হয়েছে।
11. "কচি বাতাবিলেবুর মতো…"-কাকে বাতাবিলেবুর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে এবং কেন?
▶ জীবনানন্দ দাশের 'শিকার' কবিতায় কচি বাতাবিলেবুর সঙ্গে ঘাসের তুলনা করা হয়েছে তার সবুজ রং ও সুগন্ধের জন্য।
12. হরিণটি 'কচি বাতাবিলেবুর মতো সবুজ, সুগন্ধি ঘাস ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছিল কেন?
▶ চিতাবাঘিনির হাত থেকে রক্ষা পেতে সারারাত ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত ও ক্ষুধার্ত হয়ে পড়ায় হরিণটি ভোরে সবুজ, সুগন্ধি ঘাস ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছিল।
13. 'শিকার' কবিতায় সুন্দর বাদামি হরিণটি কী খাচ্ছিল?
▶ জীবনানন্দ দাশের 'শিকার' কবিতায় সুন্দর বাদামি হরিণটি কচি বাতাবিলেবুর মতো সবুজ, সুগন্ধি ঘাস ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছিল।
14. 'শিকার' কবিতায় হরিণটি তার ক্লান্তি কাটানোর জন্য কী করেছিল?
▶ 'শিকার' কবিতায় হরিণটি তার ক্লান্তি কাটানোর জন্য নদীর কনকনে ঠান্ডা জলে গা ডুবিয়েছিল।
▶ জীবনানন্দ দাশের 'শিকার' কবিতায় নদীর 'তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে' হরিণটি নেমেছিল তার সারারাত জেগে থাকার ক্লান্তি দূর করে শরীরকে আবেশ দেওয়ার জন্য।
16. "নদীর তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে…"- তীক্ষ্ণ শীতলতা কীসের ইঙ্গিত দেয়?
▶ জীবনানন্দ দাশের 'শিকার' কবিতায় তীক্ষ্ণ শীতলতা ঠান্ডার তীব্রতাকে নির্দেশ করে।
17. "ঘুমহীন ক্লান্ত বিহ্বল শরীরটাকে…"-কার ঘুমহীন শরীরের কথা বলা হয়েছে?
▶ জীবনানন্দ দাশের 'শিকার' কবিতায় সুন্দর বাদামি হরিণের ঘুমহীন শরীরের কথা বলা হয়েছে।
18. "ঘুমহীন ক্লান্ত বিহ্বল শরীরটাকে…"-কেন তার শরীর ঘুমহীন ও ক্লান্ত?
▶ জীবনানন্দ দাশের 'শিকার' কবিতায় সারারাত জেগে চিতাবাঘিনির হাত থেকে নিজেকে বাঁচানোর কারণে সুন্দর বাদামি হরিণের শরীর ঘুমহীন এবং ক্লান্ত।
19. "ঘুমহীন ক্লান্ত বিহ্বল শরীরটাকে…"-ঘুমহীন ক্লান্ত শরীর নিয়ে হরিণটি কী করল?
▶ জীবনানন্দ দাশের 'শিকার' কবিতায় ঘুমহীন ক্লান্ত শরীর নিয়ে হরিণটি নদীর তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে নেমে গিয়েছিল।
▶ জীবনানন্দ দাশের 'শিকার' কবিতায় সুন্দর বাদামি হরিণের ক্লান্ত, ঘুমহীন শরীরে স্রোতের মতো আবেশ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
Long Question Answer
প্রশ্ন.1 "একটি তারা এখন আকাশে রয়েছে;"-'এখন' বলতে কোন্ সময়ের কথা বোঝানো হয়েছে? আকাশের তারাকে কেন্দ্র করে কবির ভাবনার যে বিশিষ্টতা প্রকাশিত হয়েছে তা নিজের ভাষায় আলোচনা করো।
উত্তর. উদ্দিষ্ট সময়: রাত্রিশেষে ভোরের আকাশ যখন ঘাস ফড়িংয়ের শরীরের মতো কোমল নীল হয়ে ওঠে, 'এখন' বলতে কবি সেই সময়টির কথা বলতে চেয়েছেন।
▶ কবিভাবনার বিশিষ্টতা: কথামুখ: জীবনানন্দ দাশের মহাপৃথিবী কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত 'শিকার' কবিতাটি রচিত হয়েছে একটি 'ভোর'-এর পটভূমিতে। আকাশে তারার উপস্থিতি: অন্ধকারের জরায়ু থেকে জন্ম নেওয়া ভোরে যখন আকাশের রং পালটে যায়, পেয়ারা এবং নোনার গাছের সবুজ ফুটে ওঠে-তখনই আকাশে দেখা যায় একটি তারাকে। যেন রাতের বিদায়ী অস্তিত্বকে সে ধারণ করে রাখে। ভোরের এই তারাকে কবি তুলনা করেন 'পাড়াগাঁর বাসরঘরে সব চেয়ে গোধূলিমদির' মেয়েটির সঙ্গে। অর্থাৎ, তারাটির উপস্থিতির সঙ্গে কবি গ্রামবাংলার বাসরঘরের মেয়েটির মতো লজ্জা আর কুণ্ঠাকে তুলনা করেছেন। 'বাসরঘরে' আর 'মদির' শব্দের ব্যবহারে কবি সেই সলজ্জ স্বভাবকে আরও গভীর করে তোলেন। তারাটির উপস্থিতির সঙ্গে তুলনা: এরপরেই তারাটির উপস্থিতিকে কবি তুলনা করেন 'মিশরের মানুষী'- র সঙ্গে, যে হাজার হাজার বছর আগে এক রাতে তার বুকের থেকে মুক্তা নিয়ে রেখেছিল কবির নীল মদের গেলাসে। একটু আগে গ্রাম্য মেয়ের সঙ্গে তুলনায় যে সহজতা ছিল তা ভেঙে যায় ঐতিহাসিক আড়ম্বরে। নীল আকাশের ক্যানভাসে রাত-জাগা তারা আর নীল মদের পাত্রে রাখা মুক্তা যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। 'মিশরের মানুষী' আর 'হাজার হাজার বছর' মিলে ছবিটি দেশকালের সীমা অতিক্রম করে চিরকালীন বিস্তৃতি পায়। ইতিকথা: ভোরের আকাশের তারা কবির চেতনায় অসামান্য শিল্পরূপ লাভ করে। প্রকৃতির যে স্নিগ্ধ, অমলিন পটভূমি তৈরি করা এখানে কবির লক্ষ্য ছিল, ভোরের তারা তাতে যেন এক নতুন মাত্রা যোগ করে।
প্রশ্ন.2 'শিকার' কবিতাটির প্রথম স্তবকে ব্যবহৃত উপমাগুলি ব্যাখ্যা- সহ আলোচনা করো।
উত্তর ঃ ভূমিকা: চিত্ররূপময় কবি জীবনানন্দ দাশের 'শিকার' কবিতাটির সূচনা হয়েছে একটি ভোরের দৃশ্যকে পটভূমি করে। সেই সূত্র ধরেই কবি উপমার জগতে প্রবেশ করেছেন। প্রথম উপমা: প্রথমেই কবি জীবনানন্দ ভোরবেলায় আকাশের রংকে ঘাসফড়িঙের শরীরের মতো কোমল নীল বলে মনে করেছেন। ঘাসফড়িঙের সঙ্গে ভোরের আকাশকে তুলনা করায় প্রকৃতির মধ্যে প্রাণের একটি চাঞ্চল্য স্পষ্টভাবে অনুভব করা যায়। দ্বিতীয় উপমা: তারপরেই তিনি এই ভোরবেলায় চারদিকের পেয়ারা আর নোনার গাছকে টিয়ার পালকের মতো সবুজ বলেছেন। গাছের পাতাকে পাখির পালকের সঙ্গে তুলনা করার মধ্য দিয়ে প্রকৃতিরাজ্যে প্রাণের স্পর্শ এবং গতিশীলতাকে তুলে ধরা হয়েছে। একটি তারা তখনও আকাশে জেগে রয়ে গেছে-যেন সে রাতের বিদায়ী অস্তিত্বকে নিজের মধ্যে ধারণ করে রেখেছে। তৃতীয় উপমা: ভোরের এই তারাকে কবি তুলনা করেছেন পাড়াগাঁর বাসরঘরে 'সব চেয়ে গোধূলিমদির মেয়েটির' সঙ্গে। অর্থাৎ তার উপস্থিতির মধ্যে কবি লক্ষ করেন গ্রামবাংলার মেয়েদের মতো লজ্জা এবং কুণ্ঠাকে। 'বাসরঘরে' আর 'মদির' শব্দের ব্যবহারে কবি সেই লজ্জাকে আরও গভীর ও জীবন্ত করে তুলতে চান। চতুর্থ উপমা: এরপরে তারাটির উপস্থিতিকে কবি তুলনা করেছেন সেই 'মিশরের মানুষী'র সঙ্গে, যে হাজার হাজার বছর আগে এক রাতে তার বুকের থেকে মুক্তা নিয়ে রেখেছিল কবির নীল মদের গেলাসে। একটু আগে গ্রাম্য মেয়ের সঙ্গে তুলনায় প্রকৃতির যে সহজতা ছিল, তাও ভেঙে যায় মিশরের এই মানুষীর ঐতিহাসিক আড়ম্বরে। ইতিকথা: 'মিশরের মানুষী' আর 'হাজার হাজার বছর' মিলে ছবিটি এভাবেই দেশের সীমা অতিক্রম করে এক চিরকালীন বিস্তৃতি পায়।
👉Online MCQs Test
👉Download Books PDF
👉Paid Answer (For Membership User)
EDITING BY--Liza Mahanta