Chapter--8
ক্রন্দনরতা জননীর পাশে
------------------------------------------------------------------------
ক) জলপাইকাঠের এসরাজ ✔
খ) ঝরাপালক
গ) সোনার তরী
ঘ) সোনার মাছি খুন করেছি
2. 'ক্রন্দনরতা জননীর পাশে' কবিতাটি কোন্ কাব্যগ্রন্থ থেকে গৃহীত?
ক) আমপাতা জামপাতা
খ) সরষেক্ষেত
গ) ধানক্ষেত থেকে ✔
ঘ) জলপাইকাঠের এসরাজ
3. কবি যে জননীর পাশে দাঁড়াতে চেয়েছেন তিনি-
ক ) ক্রন্দনরতা ✔
খ) স্নেহময়ী
গ) সুজলা-সুফলা
ঘ) জরাজীর্ণা
4. 'কুন্দনরতা জননীর পাশে' কবিতায় জননী বলতে কবি বুঝিয়েছেন-
ক) জন্মদাত্রী মাকে
খ) বিপন্ন স্বদেশকে ✔
গ) নারীজাতিকে
ঘ) সমাজকে
5. কবি যার পাশে থাকতে চেয়েছেন-
ক দরিদ্র মানুষের
খ) ক্রন্দনরতা জননীর ✔
গ) অত্যাচারিতের
ঘ) সমস্ত পৃথিবীবাসীর
6."এখন যদি না-থাকি”-এখন বলতে কবি কোন্ সময়ের কথা বলেছেন?
ক) প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়
খ) উৎসবের সময়
গ) অসুস্থতার সময়
ঘ) নিপীড়িত, অত্যাচারিত হওয়ার সময় ✔
7. ক্রন্দনরতা জননীর পাশে না থাকলে কবির অর্থহীন মনে হয়েছে-
ক) লেখালেখিকে
খ) বেঁচে থাকাকে
গ) নাগরিক হওয়াকে
ঘ) রাজনীতিকে ✔
8. “কেন তবে লেখা, কেন গান গাওয়া।"-পঙ্ক্তিটির মধ্য দিয়ে বলা হয়েছে-
ক) ভালো সাহিত্য সৃষ্টি করা প্রয়োজন
খ) ভালো গান প্রস্তুত করা প্রয়োজন
গ) ভালো চিত্রশিল্পী হয়ে ওঠা দরকার
ঘ) বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ানো দরকার ✔
9. "কেন গান গাওয়া”- কথাটির অর্থ হল-
ক) গান থামানো দরকার
খ) গান গাওয়ার তবে প্রয়োজন নেই ✔
গ গান শেষ করা দরকার
ঘ) গান গাওয়ার অভিজ্ঞতা প্রয়োজন
10. “কেন তবে আঁকাআঁকি?" কথাটির অর্থ হল-
ক) না আঁকাই শ্রেয়
খ) আঁকাআঁকির অর্থ না বোঝা
গ) আঁকার অর্থ সময়ের অপচয়
ঘ) আঁকাআঁকি করাটাই অর্থহীন ✔
11. নিহত ভাইয়ের শবদেহ দেখে কবির ক্রোধের কারণ-
ক) হিংসা
খ সামাজিকতা
গ) কর্তব্যবোধ
ঘ ভালোবাসা ও মূল্যবোধ ✔
12. নিহত ভাইয়ের শবদেহ দেখে কবির মনে জাগে-
ক) করুণা
খ) হতাশা
গ) ক্রোধ ✔
ঘ) আতঙ্ক
13. "নিহত ভাইয়ের শবদেহ দেখে/না-ই যদি হয়"-
ক) রোষ
খ) ক্ষোভ
গ) রাগ
ঘ) ক্রোধ ✔
14. "না-ই যদি হয় ক্রোধ..."-যা দেখে ক্রোধের জাগরণ ঘটা প্রত্যাশিত-
ঘ) কবিতার না জাগা ✔
ক) নিহত ভাইয়ের শবদেহ
খ) ক্রন্দনরতা জননী
গ) নিখোঁজ মেয়ে
15. কবিতায় নিখোঁজ মেয়েটির ছিন্নভিন্ন দেহ পাওয়া গিয়েছিল-
ক) পুলের নীচে
খ) মাঠের ধারে
গ) জঙ্গলে ✔
ঘ) নদীর ধারে
16. ছিন্নভিন্ন দেহ পাওয়া গিয়েছে যে মেয়েটির, সে-
ক) পথ হারিয়েছিল
খ) নিখোঁজ ছিল ✔
গ) খেলতে গিয়েছিল
ঘ) পালিয়ে গিয়েছিল
17. “যে-মেয়ে নিখোঁজ, ছিন্নভিন্ন", - তার জন্য কবি কী করবেন না?
ক) বিধির বিচার চাইবেন না ✔
খ) কবিতার মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাবেন না
গ) জনতার দরবারে যাবেন না
ঘ) প্রতিহিংসা চরিতার্থ করবেন না
18. “যে-মেয়ে নিখোঁজ, ছিন্নভিন্ন”-মেয়েটি ছিন্নভিন্ন, কারণ-
ক) সে ছিন্নভিন্ন পোশাক পরিহিতা
খ) সে অত্যাচারিতা ✔
গ সে সমাজ থেকে বহিষ্কৃতা
ঘ) সে ধর্মত্যাগিনী
19. আকাশের দিকে তাকিয়ে চাওয়া হয়-
ক) বৃষ্টি
খ) বিধির বিচার ✔
গ) ঈশ্বরের শুভেচ্ছা
ঘ) চাঁদের টিপ
20. ছিন্নভিন্ন মেয়েটিকে দেখে কবি তাকাতে চান না-
ক) পৃথিবীর দিকে
খ) সমাজের দিকে
গ) জঙ্গলের দিকে
ঘ) আকাশের দিকে ✔
উত্তব়ঃ কবি মৃদুল দাশগুপ্তের ধানক্ষেত থেকে নামক কবিতাগ্রন্থ থেকে 'ক্রন্দনরতা জননীর পাশে' কবিতাটি নেওয়া হয়েছে।
2. 'ক্রন্দনরতা জননীর পাশে' কবিতাটি কোন্ পটভূমিতে লেখা?
উত্তব়ঃ 'ক্রন্দনরতা জননীর পাশে' কবিতাটি ২০০৬ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গে সিঙ্গুরের জমি আন্দোলনের পটভূমিতে লেখা।
3. 'ক্রন্দনরতা জননীর পাশে'-এই কবিতায় কী ধ্বনিত হয়েছে?
উত্তব়ঃ আলোচ্য কবিতাটি একটি প্রতিবাদী কবিতা। এখানে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বঞ্চনার বিরুদ্ধে মানুষের প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছে।
5. “কেন তবে… গান গাওয়া”-এই দ্বিধার কারণ কী?
উত্তব়ঃ দেশের মানুষ আক্রান্ত হলে কোনো শিল্পী প্রতিবাদ করতে না পারলে নিজের শিল্পীসত্তা নিয়ে তাঁর মনেই দ্বিধা সৃষ্টি হয়। কবির মনেও সেই দ্বিধাই সৃষ্টি হয়েছে।
6. "নিহত ভাইয়ের শবদেহ দেখে”-কে এই 'নিহত ভাই'?
উত্তব়ঃ মৃদুল দাশগুপ্তের 'ক্রন্দনরতা জননীর পাশে' কবিতায় উল্লেখিত 'নিহত ভাই' হলেন গণ-আন্দোলনের শহিদ ও কবির সহনাগরিক।
7. 'নিহত ভাইয়ের শবদেহ দেখে' কবির কী মনে হয়?
উত্তব়ঃ নিহত ভাইয়ের শবদেহ দেখে কবির মনে হয় দেশমায়ের প্রতি ভালোবাসা, সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা বা মূল্যবোধের জন্যই ক্রোধের জন্ম হওয়া আবশ্যিক।
8. "না-ই যদি হয় ক্রোধ”-কোন্ ক্রোধের কথা বলা হয়েছে?
উত্তব়ঃ মৃদুল দাশগুপ্তের 'ক্রন্দনরতা জননীর পাশে' কবিতায় নিহত ভাইয়ের শবদেহ দেখে কবির মনে ক্রোধের সঞ্চার হওয়ার কথা বলা হয়েছে।
9. "না-ই যদি হয় ক্রোধ”-তাহলে কী হবে?
উত্তব়ঃ মৃদুল দাশগুপ্তের 'ক্রন্দনরতা জননীর পাশে' কবিতায় কবি বলেছেন নিহত ভাইয়ের শবদেহ দেখে ক্রোধ না জন্মালে দেশমায়ের প্রতি ভালোবাসা, সমাজ, মূল্যবোধ সবই অর্থহীন হয়ে যাবে।
10. “কেন ভালোবাসা, কেন-বা সমাজ/কীসের মানসিক যন্ত্রণা থেকে কবি এ কথা বলেছেন? মূল্যবোধ!”-কোন্
উত্তব়ঃ 'কুন্দনরতা জননীর পাশে' কবিতায় কবি মৃদুল দাশগুপ্ত নিহত দেশবাসী ভাইয়ের মৃতদেহ দেখে তীব্র ক্রোধ মানসিক যন্ত্রণা থেকে প্রশ্নোদ্ভূত মন্তব্যটি করেছেন।
11. 'যে-মেয়ে নিখোঁজ' তাকে কোথায় কীভাবে পাওয়া গিয়েছিল?
উত্তব়ঃ মৃদুল দাশগুপ্তের 'ক্রন্দনরতা জননীর পাশে' কবিতায় নিখোঁজ মেয়েটিকে জঙ্গলে ছিন্নভিন্ন অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল।
12. "জঙ্গলে তাকে পেয়ে”-এই অবস্থায় কী করা উচিত নয় বলে কবি মনে করেছেন?
উত্তব়ঃ নিখোঁজ মেয়েটিকে জঙ্গলে ছিন্নভিন্ন অবস্থায় পেয়েও এই নৃশংতার প্রতিবাদ না জানিয়ে ঈশ্বরের বিচারের আশায় বসে থাকা উচিত নয় বলে কবি মনে করেছেন।
13. "আমি কি তাকাব আকাশের দিকে"-কবি কখন এই প্রশ্ন করেছেন?
উত্তব়ঃ মৃদুল দাশগুপ্তের 'ক্রন্দনরতা জননীর পাশে' কবিতায় নিখোঁজ মেয়ের ছিন্নভিন্ন শরীর জঙ্গলে পেয়ে আকাশের দিকে বিধির বিচার চেয়ে তাকানো উচিত কিনা সে বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করতেই প্রশ্নটি করেছেন।
14. "আমি কি তাকাব আকাশের দিকে"-কবি কার কাছে এই প্রশ্ন করেছেন?
উত্তব়ঃ মৃদুল দাশগুপ্তের 'ক্রন্দনরতা জননীর পাশে' কবিতা থেকে উদ্ধৃত অংশটিতে কবি প্রশ্নটি করেছেন নিজের কাছেই।
15. "আমি কি তাকাব আকাশের দিকে"-কবির এই জিজ্ঞাসার উত্তর কী?
উত্তব়ঃ প্রশ্নোদ্ভূত জিজ্ঞাসার উত্তরে কবি জানিয়েছেন যে, তিনি আকাশের দিকে তাকিয়ে বিধাতার বিচারের ভরসায় না থেকে কবিতার মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাবেন।
16. "আমি তা পারি না।" কবি কী পারেন না?
উত্তব়ঃ মৃদুল দাশগুপ্তের 'ক্রন্দনরতা জননীর পাশে' কবিতায় কবি বলেছেন নিখোঁজ ছিন্নভিন্ন মেয়েটিকে জঙ্গলে পেয়ে কবি বিধির বিচার চেয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে পারেন না।
17. "যা পারি কেবল"-কে, কী পারেন?
উত্তব়ঃ মৃদুল দাশগুপ্তের 'ক্রন্দনরতা জননীর পাশে' কবিতায় জঙ্গলে ছিন্নভিন্ন মেয়েটিকে দেখে কবি প্রতিবাদী কবিতার মাধ্যমে তাঁর বিবেককে জাগিয়ে রাখতে পারেন।
18. "সে-ই কবিতায় জাগে"-কী, কেন কবিতায় জাগে?
উত্তব়ঃ মৃদুল দাশগুপ্তের 'ক্রন্দনরতা জননীর পাশে' কবিতায় কবির বিবেক জাগে জঙ্গলে পাওয়া নিখোঁজ মেয়েটির ছিন্নভিন্ন করুণ অবস্থার প্রতিবাদে ফেটে পড়ার জন্য।
19. "সে-ই কবিতায় জাগে/আমার বিবেক,”-বিবেককে কার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে?
উত্তব়ঃ মৃদুল দাশগুপ্তের 'ক্রন্দনরতা জননীর পাশে' কবিতায় বিবেককে বিস্ফোরণের বারুদের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
20. "আমার বিবেক, আমার বারুদ"-কবির বিবেক কী করে?
উত্তব়ঃ মৃদুল দাশগুপ্তের 'ক্রন্দনরতা জননীর পাশে' কবিতায় কবির বিবেক জেগে ওঠে প্রতিবাদে ফেটে পড়ার জন্য। এই অবস্থাটি বিস্ফোরণের আগে বারুদের সঙ্গেই তুলনীয়।
Long Question Answer
প্রশ্ন.1 “কেন তবে লেখা, কেন গান গাওয়া/কেন তবে আঁকাআঁকি?”-এই মন্তব্যটির মধ্য দিয়ে কবির কোন্ বিশেষ মনোভাবের প্রকাশ ঘটেছে আলোচনা করো।
উত্তর.. কবির মনোভাব: কবি মৃদুল দাশগুপ্তের 'ক্রন্দনরতা জননীর পাশে' কবিতাটি সামাজিক অবক্ষয়ের জ্বলন্ত স্বরূপ।
দায়বদ্ধতা ও মূল্যবোধ: সমাজে ঘটে যাওয়া অজস্র ঘটনার প্রবাহকে নিজের মতো করে কবিতায় রূপ দেন কবি। কিন্তু তা শুধু ঘটনাকে তুলে ধরার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না, সঙ্গে যুক্ত হয় কবির নিজস্ব প্রতিক্রিয়াও। সেই প্রতিক্রিয়ায় ক্রোধ আর ঘৃণাও প্রায়ই মিশে যায়। নিহত ভাইয়ের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে তাঁর মধ্যে জন্ম নেয় ক্রোধ। মানুষের প্রতি ভালোবাসা, দায়বদ্ধতা আর মূল্যবোধই তাঁর এই ক্রোধের উৎস।
প্রতিবাদী সত্তা: নিখোঁজ মেয়ের ছিন্নভিন্ন শরীর যখন জঙ্গলে পাওয়া যায়, তখন প্রতিবাদী কবিতার মাধ্যমেই নিজের বিবেককে জাগিয়ে রাখেন কবি।
যে অনুভূতি থেকে নজরুল লিখেছিলেন, "রক্ত ঝরাতে পারি না তো একা/তাই লিখে যাই এ রক্ত লেখা”, কবি সেই একই প্রেরণা থেকেই লিখে চলেন প্রতিবাদী কবিতা, যার মধ্যে মজুত থাকে বিক্ষোভের বারুদ, সামান্য আগুনের ছোঁয়াতেই যা থেকে নিশ্চিতভাবে ঘটে যাবে প্রতিবাদের বিস্ফোরণ।
কর্তব্যবোধ: এই মৃত্যু, এই নারকীয় অত্যাচার কবির দেশমাতাকে করে তোলে 'ক্রন্দনরতা'। কবির বিশ্বাস-"সমস্ত কবিতাই জীবন ও জীবনযাপনের, তাই জীবন লাঞ্ছিত এবং রক্তাক্ত হলে দেশজননীর পাশে দাঁড়ানোই কবির ধর্ম।
প্রশ্ন.2 "নিহত ভাইয়ের শবদেহ দেখে না-ই যদি হয় ক্রোধ…" কবি কাকে 'ভাই' বলে সম্বোধন করেছেন? কবির প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ করো।
উত্তর.. 'ভাই'-এর পরিচয়: মানবিক এবং সামাজিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী কবি মৃদুল দাশগুপ্ত তাঁর 'ক্রন্দনরতা জননীর পাশে' কবিতায় 'ভাই' বলতে কৃষিজমি রক্ষার গণ-আন্দোলনে শহিদ মানুষদের কথা বুঝিয়েছেন।
উত্তব়ঃকবির প্রতিক্রিয়া: 'নিহত ভাইয়ের শবদেহ' কবির মনে জন্ম দিয়েছে তীব্র ক্রোধের। এই অমানবিক করি হত্যা আর মানবিক লাঞ্ছনায় ব্যথিত হয়ে তিনি নিজের দেশমাতাকে কাঁদতে দেখেছেন। কবির মনে হয়েছে, এই দুঃসময়ে ক্রন্দনরতা জননীর পাশে সর্বশক্তি দিয়ে দাঁড়ানো উচিত। এখন লেখা, গান বা আঁকাআঁকি সব কিছুরই বিষয় হওয়া উচিত এই লাঞ্ছনার প্রতিবাদ। মনের মধ্যে যদি দেশমায়ের প্রতি ভালোবাসা থাকে, সামাজিক চেতনা থাকে, মূল্যবোধের অস্তিত্ব থাকে তাহলে ক্রোধ আর প্রতিবাদই হওয়া উচিত একমাত্র অস্ত্র। এভাবেই মৃদুল দাশগুপ্ত তৈরি করে নেন তাঁর নিজস্ব কবিধর্ম, যেখানে কবিতাই হয়ে ওঠে প্রতিবাদে জাগ্রত বিবেকের আত্মপ্রকাশ। সমাজের ঘটনাপ্রবাহকে অনুধাবন করে নিবিড়ভাবে তার সঙ্গে একাত্ম হয়েছেন কবি। সেগুলিকে বিশ্লেষণ করে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তাঁর কবিতায়। বাস্তব থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকা নয়, এমনকি বাস্তবকে নিজের মতো করে ব্যাখ্যা করাও নয়, পরিবর্তে সংকটের মধ্যে দাঁড়িয়ে তার মোকাবিলা করা-মৃদুল দাশগুপ্তের প্রতিক্রিয়ার এই ধরনই স্পষ্ট হয় 'ক্রন্দনরতা জননীর পাশে' কবিতায়।
প্রশ্ন.3 'ক্রন্দনরতা জননীর পাশে' কবিতা অবলম্বনে কবির রচনাশৈলীর বিশিষ্টতা আলোচনা করো।
উত্তর… কবির রচনাশৈলীর বিশিষ্টতা: মৃদুল দাশগুপ্তের কবিতা মূলত বিষয়মুখী। কবি হিসেবে তিনি বিশ্বাস করেন-"কাঠ খোদাই-এর সঙ্গে কবিতার তফাত আছে সর্বদাই।" এবং "আঙ্গিক কিছুটা আকাশ থেকেই নেমে -আসে।" স্তবকের গঠন: 'ক্রন্দনরতা জননীর পাশে' কবিতাটিতে চারটি স্তবক আছে। প্রতি স্তবকে রয়েছে চারটি পঙ্ক্তি, দ্বিতীয় আর চতুর্থ পঙ্ক্তিতে রয়েছে
অন্ত্যমিল। শোষণ আর রক্তাক্ততা কবির মধ্যে যে আবেগের জন্ম দিয়েছে, অন্ত্যমিলের নমনীয়তায় তা-ই আন্তরিকভাবে তুলে ধরতে চেয়েছেন কবি। কবিতার জবানি: সমগ্র কবিতাটি উত্তমপুরুষের জবানিতে লেখা। অশান্ত সময়ের মাঝখানে কবি নিজেকে দাঁড় করিয়ে প্রতিবাদকে প্রত্যক্ষ ও জীবন্ত করতে চেয়েছেন। 'আমি' এবং 'আমার' শব্দগুলি তাই ঘুরে-ফিরে আসে কবিতায়। কবিতার ধারা: কবিতাটির আর-একটি লক্ষণীয় গঠনগত বৈশিষ্ট্য হল প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্তবক শেষ হচ্ছে প্রশ্ন বা বিস্ময়চিহ্ন দিয়ে। যেন কবি চারপাশে উত্তর খুঁজছেন। আর তা খুঁজতে খুঁজতেই শেষ স্তবকে পৌঁছে যাচ্ছেন সিদ্ধান্তে। সেখানে ঘোষণা করে দিচ্ছেন কবিতায় বিবেক জাগিয়ে রাখার অঙ্গীকার। শব্দচয়ন: অন্যদিকে, প্রতিবাদের কবিতা হলেও শব্দ ব্যবহারের মুনশিয়ানায় অদ্ভুত একটি গীতিকাব্যিক মেজাজও আলোচ্য কবিতায় নিয়ে এসেছেন কবি। কবিতার নামই তার নিদর্শন। তাই বলা যায়, বোধের সঙ্গে, অনুভূতির সঙ্গে মিলে প্রতিবাদের ভাষা বিশিষ্ট হয়ে উঠেছে 'ক্রন্দনরতা জননীর পাশে' কবিতায়।
👉Online MCQs Test
👉Download Books PDF
👉Paid Answer (For Membership User)
EDITING BY--Liza Mahanta