অধ্যায়.5
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন,
--------------------------------------------------------------------
MCQ
(i) 1946 খ্রিস্টাব্দে
(ii) 1947 খ্রিস্টাব্দে
(iii) 1948 খ্রিস্টাব্দে
(iv) 1949 খ্রিস্টাব্দে
উত্তর: (iii) 1948 খ্রিস্টাব্দে
2. বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের সভাপতি কে ছিলেন?
(i) ড. লক্ষ্মণস্বামী মুদালিয়র
(ii) ড. ডি এস কোঠারি
(iii) ড. সর্বপল্লি রাধাকৃয়ণ
(iv) ড. জাকির হোসেন
উত্তর: (iii) ড. সর্বপল্লি রাধাকৃয়ণ
3. নিম্নলিখিতদের মধ্যে কে স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষা কমিশনের সদস্য ছিলেন না?
(i) ড. জেমস এম ডাফ
(ii) ড. আর্থার ই মরগ্যান
(iii) ড. টি গার্ট
(iv) ড. টি স্মিথ
উত্তর: (iv) ড. টি স্মিথ
4. বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের সম্পাদক ছিলেন-
(i) ড. এস রাধাকৃয়ণ
(ii) ড. জাকির হোসেন
(iii) ড. তারা চাঁদ
(iv) ড. এন কে সিদ্ধান্ত
উত্তর: (iv) ড. এন কে সিদ্ধান্ত
5. রাধাকুরণ কমিশনের মোট সদস্যসংখ্যা কত ছিল?
(i) 5
(ii) 10
(iii) 15
(iv) 20
উত্তর: (ii) 10
6.- বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের ভারতীয় সদস্যসংখ্যা কত?
(i) 5
(ii) 7
(iii) 10
(iv) 15
উত্তর: (ii) 7
7. স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষা কমিশনের বিদেশি সদস্যের সংখ্যা কত ছিল?
(i) 3
(ii) 5
(iii) 7
(iv) 10
উত্তর: (i) 3
৪. নীচের কোন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন এবং মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশনের সদস্য ছিলেন?
(i) ড. সর্বপল্লি রাধাকৃয়ণ
(ii) ড. ডি এস কোঠারি
(iii) ড. লক্ষ্মণস্বামী মুদালিয়র
(iv) ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ
উত্তর: (ii) ড. ডি এস কোঠারি
9. রাধাকৃয়ণ কমিশনের প্রতিবেদনের পৃষ্ঠা সংখ্যা কত ছিল?
(i) 636
(ii) 747
(iii) 858
(iv) 969
উত্তর: (ii) 747
10. কত খ্রিস্টাব্দে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের রিপোর্ট সরকারের কাছে পেশ করা হয়?
(i) 1948 খ্রিস্টাব্দে
(ii) 1949 খ্রিস্টাব্দে
(iii) 1950 খ্রিস্টাব্দে
(iv) 1952 খ্রিস্টাব্দে
উত্তর: (ii) 1949 খ্রিস্টাব্দে
11. নীচের কোন্ শিক্ষাবিদ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের সদস্য ছিলেন?
(i) ড. ডি এস কোঠারি
(ii) ড. জেমস্ এম ডাফ
(iii) ড. গোপী চাঁদ
(iv) ড. এল থর্নডাইক
উত্তর: (ii) ড. জেমস্ এম ডাফ
12. ড. টি গার্ট নীচের কোন্ শিক্ষা কমিশনের সদস্য ছিলেন?
(i) হান্টার কমিশন
(ii) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন
(iii) মুদালিয়র কমিশন
(iv) কোঠারি কমিশন
উত্তর: (ii) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন
13. ভারত সরকার কবে এক বিশেষ আদেশবলে, ডক্টর সর্বপল্লি রাধাকৃয়ণের সভাপতিত্বে 'বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন' গঠনের কথা ঘোষণা করে?
(i) 1948 খ্রিস্টাব্দের 2 নভেম্বর
(ii) 1948 খ্রিস্টাব্দের 5 নভেম্বর
(iii) 1948 খ্রিস্টাব্দের 9 নভেম্বর
(iv) 1948 খ্রিস্টাব্দের 22 নভেম্বর
উত্তর: (ii) 1948 খ্রিস্টাব্দের 5 নভেম্বর
14. গণতান্ত্রিক সমাজাদর্শের মূলভিত্তি কী?
(i) সামাজিক ন্যায়বিচার, স্বাধীনতা, সম-অধিকার ও সৌভ্রাতৃত্ব
(ii) অর্থনৈতিক সুবিধা, স্বাধীনতা, সম-অধিকার ও সৌভ্রাতৃত্ব
(iii) শিক্ষা, স্বাধীনতা, মৈত্রী ও সৌভ্রাতৃত্ব
(iv) স্বাধীনতা, মৈত্রী, বিনোদন ও সৌভ্রাতৃত্ব
উত্তর: (i) সামাজিক ন্যায়বিচার, স্বাধীনতা, সম-অধিকার ও সৌভ্রাতৃত্ব
15. বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন কত খ্রিস্টাব্দে তাদের প্রতিবেদন সরকারের কাছে পেশ করে?
(i) 1948 খ্রিস্টাব্দে
(ii) 1949 খ্রিস্টাব্দে
(iii) 1950 খ্রিস্টাব্দে
(iv) 1951 খ্রিস্টাব্দে
উত্তর: (ii) 1949 খ্রিস্টাব্দে
16. 1948 খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর ভারত সরকার এক বিশেষ আদেশ বলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন গঠনের কথা ঘোষণা করেন।
(i) 5
(ii) 7
(iii) 8
(iv) 9
উত্তর: (i) 5
17. জাতীয় শিক্ষা আন্দোলনের বিশেষ পটভূমিতে সাম্প্রদায়িক কারণে স্বাধীনতার পূর্বে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ও স্থাপিত হয়েছিল।
(i) আন্নামালাই
(ii) জওহরলাল নেহরু
(iii) আলিগড় মুসলিম
(iv) যাদবপুর
উত্তর: (iii) আলিগড় মুসলিম
18. কোন্ বিদেশি শিক্ষাবিদ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের সদস্য ছিলেন?
(i) ড. জে এম ডাফ
(ii) কে আর উইলিয়ামস্
(iii) ৪ জন ক্রিস্টি
(iv) ডি এস কোঠারি
উত্তর: (i) ড. জে এম ডাফ
19. ভারতের সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থার পর্যালোচনার জন্য সরকার যে কমিশন নিয়োগ করে, তার সভাপতি ছিলেন-
(i) ড. রাধাকৃয়ণ
(ii) ড. কোঠারি
(iii) ড. মুদালিয়র
(iv) ড. জে রেড্ডি
উত্তর: (ii) ড. কোঠারি
20. স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষা কমিশন হল-
(i) হান্টার কমিশন
(ii) স্যাডলার কমিশন
(iii) জাতীয় শিক্ষানীতি
(iv) রাধাকৃয়ণ কমিশন
উত্তর: (iv) রাধাকৃয়ণ কমিশন
21. কোন্ শিক্ষা কমিশন UGC গঠনের প্রস্তাব দেয়?
(i) রাধাকৃয়ণ কমিশন
(ii) কোঠারি কমিশন
(iii) মুদালিয়র কমিশন
(iv) রামমূর্তি কমিটি
উত্তর: (i) রাধাকৃয়ণ কমিশন
22. স্বাধীন ভারতে গঠিত প্রথম শিক্ষা কমিশনের অপর নাম-
(i) হান্টার কমিশন
(ii) স্যাডলার কমিশন
(iii) জাতীয় শিক্ষানীতি
(iv) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন
উত্তর: (iv) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন
23. রাধাকৃয়ণ কমিশন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে কাজের দিন হিসেবে কত দিন ধার্য করেছে?
(i) 216
(ii) 220
(iii) 243
(iv) 234
উত্তর: (iii) 243
24. স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষা কমিশন ছিল-
(i) হান্টার কমিশন
(ii) স্যাডলার কমিশন
(iii) জাতীয় শিক্ষানীতি, 1968
(iv) রাধাকৃয়ণ কমিশন
উত্তর: (iv) রাধাকৃয়ণ কমিশন
25. রাধাকৃয়ণ কমিশন গঠিত হয়েছিল-
(i) উচ্চশিক্ষার জন্য
(ii) মাধ্যমিক শিক্ষার জন্য
(iii) শিক্ষক-শিক্ষণের জন্য
(iv) প্রাথমিক শিক্ষার জন্য
উত্তর: (i) উচ্চশিক্ষার জন্য
Short Question Answer
1. ভারত সরকার কত সালের কোন্ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন গঠন করেন?
উত্তর: ভারত সরকার 1948 খ্রিস্টাব্দের 5 নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন গঠন করে।
2. বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের মোট সদস্যসংখ্যা কত ছিল?
উত্তর: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের মোট সদস্যসংখ্যা ছিল 10 জন।
3. বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনে কতজন বিদেশি সদস্য ছিলেন?
উত্তর: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনে 3 জন বিদেশি সদস্য ছিলেন।
4. বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের বিদেশি সদস্যদের নাম কী?
উত্তর: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের বিদেশি সদস্যরা হলেন-ড. জেমস্ এম ডাফ্, ড. আর্থার ই মরগ্যান এবং ড টি গার্ট।
5. বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের সভাপতি কে ছিলেন?
উত্তর: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের সভাপতি ছিলেন ড. সর্বপল্লি রাধাকৃয়ণ।
6. বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের সদস্য-সম্পাদক কে ছিলেন?
উত্তর: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের সদস্য-সম্পাদক ছিলেন ড. নির্মল কুমার সিদ্ধান্ত।
7. বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন সরকারের কাছে কত পৃষ্ঠার প্রতিবেদন পেশ করে?
উত্তর: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন সরকারের কাছে 747 পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন পেশ করে।
৪. বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন গঠিত হয় কত সালে?
উত্তর: 1948 সালের নভেম্বর মাসে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন গঠিত হয়।
9. কোন্ সালে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন তাদের রিপোর্ট জমা দেয়?
উত্তর: 1949 সালে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন তাঁদের রিপোর্ট জমা দেয়।
10. UGC-এর পূর্ণ রূপ কী?
উত্তর: UGC-এর পূর্ণ রূপ হল University Grants Commission |
11. প্রথম কোন্ কমিশন বিদ্যালয়ে মনীষীদের জীবনীপাঠের সুপারিশ করেছিল?
উত্তর: রাধাকৃয়ণ কমিশন প্রথম বিদ্যালয়ে মনীষীদের জীবনী পাঠের সুপারিশ করেছিল।
12. কোন্ কমিশন গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের সুপারিশ করে?
উত্তর: রাধাকৃয়ণ কমিশন গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের সুপারিশ করেছিল।
13. বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনে উল্লিখিত যে-কোনো দুই ধরনের পেশাগত শিক্ষার নাম লেখো।
উত্তর: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনে উল্লিখিত দুটি পেশাগত শিক্ষা হল আইন এবং চিকিৎসাশাস্ত্র।
14. UGC কবে স্থাপিত হয়?
উত্তর: 1956 সালের নভেম্বর মাসে UGC স্থাপিত হয়।
15. বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন সুপারিশকৃত দুটি পেশাদারি শিক্ষাক্রমের নাম লেখো।
উত্তর: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন সুপারিশকৃত দুটি পেশাদারি শিক্ষাক্রমের নাম হল- গ্রামসেবা বিজ্ঞানে ডিপ্লোমা কোর্স, ② কৃষিবিজ্ঞানে সার্টিফিকেট কোর্স।
16. রাধাকৃয়ণ কমিশনের একজন বিদেশি সদস্যের নাম লেখো।
উত্তর: ড. টি গার্ট হলেন রাধাকৃষুণ কমিশনের একজন বিদেশি সদস্য।
17. বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী মাধ্যমিক শিক্ষাস্তরে যে ত্রি-ভাষার কথা বলা হয়েছে, সেই ত্রি-ভাষা কী কী?
উত্তর: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী মাধ্যমিক শিক্ষাস্তরে যে ত্রি-ভাষার কথা বলা হয়েছে, সেই ত্রি-ভাষা হল-① মাতৃভাষা বা আঞ্চলিক ভাষা, ② সর্বভারতীয় ভাষা এবং ও ইংরেজি।
18. রাধাকৃয়ণ কমিশন বিশ্ববিদ্যালয়ে যে চার ধরনের শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করে, তা উল্লেখ করো।
উত্তর: রাধাকৃষুণ কমিশন বিশ্ববিদ্যালয়ে যে চার ধরনের শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করে, তা হল-অধ্যাপক, রিডার, লেকচারার এবং ইনস্ট্রাকটর।
19. রাধাকৃয়ণ কমিশন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে দিনের কাজ শুরু করার আগে শিক্ষার্থীদের কোন্ কাজ করার সুপারিশ করে?
উত্তর: রাধাকৃয়ণ কমিশন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে দিনের কাজ শুরু করার আগে শিক্ষার্থীদের কয়েক মিনিট নীরব প্রার্থনা বা ধ্যান করার সুপারিশ করে।
20. রাধাকৃয়ণ কমিশন স্নাতক স্তরে ধর্ম ও নীতি শিক্ষা বিষয়ে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য কী সুপারিশ করে?
উত্তর: রাধাকৃয়ণ কমিশন স্নাতক স্তরে ধর্ম ও নীতি শিক্ষা বিষয়ে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য গৌতম বুদ্ধ, কনফুসিয়াস, সক্রেটিস, জিশুখ্রিস্ট, মহম্মদ, কবীর, মহাত্মা গান্ধি প্রভৃতি মহাপুরুষের জীবনীপাঠের ব্যবস্থা করার সুপারিশ করে।
21. রাধাকৃয়ণ কমিশন ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষার জন্য স্নাতক স্তরের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য কী সুপারিশ করেন?
উত্তর: রাধাকৃয়ণ কমিশন ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষার জন্য স্নাতক স্তরের দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ থেকে বিশ্বজনীন আবেদনযুক্ত কিছু কিছু নির্বাচিত অংশ পাঠের উদ্যোগগ্রহণের সুপারিশ করেন।
22. স্নাতক স্তরের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের ধর্ম ও নীতি শিক্ষা সম্পর্কে রাধাকৃয়ণ কমিশনের সুপারিশ কী ছিল?
উত্তর: স্নাতক স্তরের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের ধর্ম ও নীতি শিক্ষা সম্পর্কে রাধাকৃয়ণ কমিশনের সুপারিশ হল ধর্মীয় দর্শনের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলি আলোচনার বিষয়টি বিবেচনা করা।
23. গণতন্ত্রের মূল বক্তব্য কী?
উত্তর: গণতন্ত্রের মূল বক্তব্য হল ন্যায়বিচার, স্বাধীনতা, সাম্য এবং ভ্রাতৃত্ব।
24. জাতীয় উন্নয়ন বলতে কী বোঝ?
উত্তর: জাতীয় উন্নয়ন হল এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে জাতির অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিল্প, বাণিজ্য, যোগাযোগ প্রভৃতি ক্ষেত্রে সামগ্রিক ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটে। কোন্ কমিশন বারাণসী ও আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবিধা ও অসুবিধা
25. বিচার করে এদের সাম্প্রদায়িক সনদ বাতিল করার সুপারিশ করে?
উত্তর: রাধাকৃয়ণ কমিশন বারাণসী ও আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবিধা ও অসুবিধা বিচার করে, এদের সাম্প্রদায়িক সনদ বাতিল করার সুপারিশ করে।
1. স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষা কমিশনটি কী নামে পরিচিত? এই কমিশনের বিভিন্ন সুপারিশগুলি আলোচনা করো।
অথবা,
স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষা কমিশন কোন্টি? কমিশনের উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত সুপারিশগুলি আলোচনা করো।
উত্তর: স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষা কমিশন:
স্বাধীন ভারতের স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষাকমিশন প্রথম শিক্ষার কমিশনটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন বা রাধাকৃয়ণ কমিশন নামে পরিচিত।
বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন বা রাধাকৃরণ কমিশনের সুপারিশ:
1948 সালে ভারত সরকার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার প্রয়োজনীয় সংস্কার ও উন্নতিসাধনের উদ্দেশ্যে এক কমিশন গঠন করে। ওই কমিশনের সভাপতি ছিলেন ড. সর্বপল্লি রাধাকৃয়ণ। তাঁর নাম অনুসারে ওই কমিশনের নাম হয় রাধাকৃয়ণ কমিশন। 1949 সালে কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। ওই কমিশনের মূল সুপারিশগুলি নীচে উল্লেখ করা হল-
[1] শিক্ষার উদ্দেশ্য: রাধাকৃয়ণ কমিশনের মতে, উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্য হল-
1. সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্বদানের উপযোগী ব্যক্তি গড়ে তোলা, ii. শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন iii. শিক্ষার্থীর কাছে জগৎ ও জীবন সম্পর্কে একটি সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি গঠন, iv. উন্নত ধরনের কলা, বিজ্ঞান, কারিগরি, চিকিৎসা ও কৃষিবিদ্যার প্রসারসাধন, v. মানব চরিত্রের উন্নতিসাধন, vi. ভারতীয় সংস্কৃতির ঐতিহ্য বজায় রাখা, vii. আন্তর্জাতিকতাবাদ ও বিশ্বনাগরিকতা অর্জনের শিক্ষাদান, viii. গবেষণার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ, ix. অর্থনৈতিক বিকাশসাধন, x. গণতন্ত্রের সার্থক রূপায়ণ, xi. প্রজ্ঞার যথার্থ বিকাশসাধন ইত্যাদি।
[2] পাঠক্রম: কমিশনের মতে, কলা ও বিজ্ঞান বিভাগের সাধারণ পাঠক্রমের পাশাপাশি পেশাগত শিক্ষার পাঠক্রম প্রণয়ন করতে হবে। শিক্ষার্থীরা দ্বাদশ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ার পর স্নাতক স্তরে তিন বছরের পাস বা অনার্স কোর্সে ভরতি হতে পারবে। শিক্ষার্থীদের পছন্দমতো বিষয়ে পাঠগ্রহণ এবং ডিগ্রি লাভের জন্য উপযুক্ত পাঠক্রম প্রণয়ন করতে হবে। পেশাগত শিক্ষার ক্ষেত্রে কমিশন কৃষি, বাণিজ্য, শিক্ষাবিজ্ঞান, কারিগরি ও প্রযুক্তিবিদ্যা, আইন ও চিকিৎসাশাস্ত্র- এই ছয়টি বিষয়ের সুপারিশ করে।
[3] শিক্ষক: কমিশনের মতে, যোগ্য ও প্রতিভাবান শিক্ষকের ওপর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার মান নির্ভর করে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কার ও পুনর্বিন্যাসের উদ্দেশ্যে যোগ্য সুশিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। যোগ্য শিক্ষকের গুরুত্ব ও তাঁর দায়িত্বকে স্বীকৃতি দিতে হবে।
[4] শিক্ষার মাধ্যম: প্রাথমিকভাবে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষাই শিক্ষার মাধ্যম হবে। কেন-না ইংরেজি ভাষা আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের বাহন। তবে আঞ্চলিক ভাষায় বিষয় পরিবেশন করা যাবে। রাষ্ট্রভাষার ব্যবহারেও স্বীকৃতি থাকবে।
[5] শিক্ষার মান:। উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য কমিশন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষার্থীসংখ্যা নির্দিষ্ট রাখার সুপারিশ করেন। কলেজের সর্বোচ্চ শিক্ষার্থীসংখ্যা হবে 1500 জন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ শিক্ষার্থীসংখ্যা হবে 3000 জন। ii. কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজের দিনের সংখ্যা হবে বছরে কমপক্ষে 180 দিন। ।।।. শিক্ষার্থীর কাছে পাঠদানকে হৃদয়গ্রাহী
[6] ধর্মশিক্ষা ও নৈতিক শিক্ষা: কমিশনের সুপারিশ, শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধর্মীয় চেতনা ও নৈতিকতার বিকাশের জন্য স্নাতক পর্যায়ের প্রথম বর্ষে ধর্মগুরুদের জীবনীপাঠ, দ্বিতীয় বর্ষে ধর্মগ্রন্থগুলির বাণী পর্যালোচনা ও তৃতীয় বর্ষে ধর্মতত্ত্বের মূল সমস্যা সম্পর্কে পঠনপাঠনের ব্যবস্থা করতে হবে।
[7] নারীশিক্ষা: কমিশন নারীশিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধির বিষয়ে অভিমত প্রকাশ করে। সহশিক্ষা সমন্বিত মহাবিদ্যালয়ে নারীদের জন্য অতিরিক্ত কতকগুলি বিষয় যেমন গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, গৃহ প্রশাসন, গার্হস্থ্য অর্থনীতি ইত্যাদির পাঠদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
[৪] ছাত্রকল্যাণ ও শরীরচর্চা: বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রকল্যাণ কর্মসূচি পরিচালনার জন্য উপদেষ্টা কমিটি গঠন করতে হবে। এ ছাড়া বছরে কমপক্ষে একদিন বিনা খরচে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যপরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষার্থীরা যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শরীরচর্চার সুযোগ পায়, তার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
[9] পরীক্ষাব্যবস্থা: কমিশন পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে রচনাধর্মীর সঙ্গে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন সংযোজনের পক্ষে মতামত দেয়। শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের জন্য বহিঃ- পরীক্ষার সাথে অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার বিষয়টিকেও অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করে।
[10] কৃষি ও কারিগরি শিক্ষা: কৃষিবিদ্যা শিক্ষার জন্য গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয়ে
কৃষিগবেষণাগার এবং কৃষিখামার গড়ে তোলার পক্ষে কমিশন মূল্যবান সুপারিশ নথিভুক্ত করে। কৃষিক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে কারিগরি শিক্ষারও সুপারিশ করা হয়।
[11] প্রশাসন: কমিশন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ব্যবস্থার আমূল সংস্কারসাধনের কথা বলে। অর্থবরাদ্দ, সুযোগসুবিধা ও সমন্বয়, জাতীয় নীতি নির্ধারণ ইত্যাদি ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সম্পর্কস্থাপনের প্রসঙ্গেও কমিশন সুপারিশ করে। অর্থবরাদ্দের সুবিধার জন্য পৃথক ইউজিসি গঠনের ব্যাপারে অভিমত প্রকাশ করে।
[12] গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয়: কমিশনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য একটি সুপারিশ হল গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা। গ্রামপ্রধান ভারতে গ্রামীণ মানুষেরা যাতে শহরের লোকেদের মতো শিক্ষাগত সুযোগসুবিধা সমানভাবে পেতে পারে, তার জন্য স্বয়ংসম্পূর্ণ গ্রামীণ শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা বলে।
[13] রিপোর্টের মূল্যায়ন: উচ্চশিক্ষার লক্ষ্যে রাধাকৃয়ণ কমিশনের সুপারিশগুলি খুবই সময়োপযোগী ও প্রগতিশীল। কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে ভারতীয় শিক্ষার সামাগ্রিক পুনর্গঠন সম্ভব না হলেও সুপারিশগুলিকে আংশিকভাবে কার্যকারী করার চেষ্টা করা হয়। যেমন-।. দেশে বহু সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হয়। ii. বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার মানোন্নয়নে 1956 খ্রিস্টাব্দে UGC স্থাপন করা হয়। iii. বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকুরির শর্ত ও বেতনের সুযোগসুবিধা বৃদ্ধি করা হয়। iv. কয়েকটি গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়।
2. বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের বিচার্য বিষয়সমূহ আলোচনা করো। উচ্চশিক্ষার মাধ্যম সম্পর্কে ওই কমিশনের সুপারিশ কী ছিল?
অথবা,
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের কয়েকটি লক্ষ্য উল্লেখ করো।
উত্তর: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের বিচার্য বিষয়সমূহ
1947 খ্রিস্টাব্দে স্বাধীনতা লাভের পর, জাতীয় সরকার ভারতে উচ্চশিক্ষার সংস্কার ও অগ্রগতির লক্ষ্যে ভারতের প্রথম শিক্ষা কমিশন তথা বিশ্ববিদ্যালয়
শিক্ষা কমিশন গঠন করে। ওই কমিশনের বিচার্য বিষয়সমূহ নীচে সংক্ষেপে আলোচনা করা হল-
[1] লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ: ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা এবং গবেষণার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ।
[2] বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবর্তনসাধন: বিশ্ববিদ্যালয়গুলির গঠনতন্ত্র (constitution), নিয়ন্ত্রণ, কর্মপদ্ধতি (function) এবং সীমা (jurisdiction)-এর প্রয়োজনীয় পরিবর্তনসাধন এবং কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সম্পর্ক নির্ধারণ।
[3] নীতি নির্ধারণ: আর্থিক সংগতি বা অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে নীতি নির্ধারণ।
[4] শিক্ষার মান বজায় রাখা: বিশ্ববিদ্যালয় এবং তার অধীনস্থ মহাবিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষার উপযুক্ত মান বজায় রাখা।
[5] পাঠক্রম প্রণয়ন ও সময় নির্ধারণ: কলা ও মানবিক বিষয়, বিজ্ঞান বিষয় এবং পেশাগত ও কারিগরি শিক্ষার সমতা রক্ষার মাধ্যমে পাঠক্রম প্রণয়ন এবং পাঠক্রম সমাপ্তির সময় নির্ধারণ।
[6] প্রবেশের মান নির্ধারণ: বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে শিক্ষাগ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রবেশের মান নির্ধারণ।
[7] শিক্ষাদানের মাধ্যম সম্পর্কে নীতি নির্ধারণ: বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন্ মাধ্যমে পঠনপাঠনের ব্যবস্থা হবে, সেই সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট নীতি নির্ধারণ।
[৪] বিভিন্ন ভারতীয় বিষয়ে শিক্ষার ব্যবস্থা: ভারতের ঐতিহ্য, ইতিহাস, সাহিত্য, দর্শন, ভাষা, চারুকলা সম্পর্কে উন্নততর শিক্ষার ব্যবস্থাগ্রহণ।
[9] অধিক সংখ্যক বিদ্যালয় স্থাপন: আঞ্চলিক বা অন্য কোনো ভিত্তিতে অধিক সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ব্যবস্থাগ্রহণ।
[10] উচ্চতর গবেষণার ব্যবস্থা: বিশ্ববিদ্যালয়ে বা সমতুল্য কোনো প্রতিষ্ঠানে বিভিন্নমুখী জ্ঞানের উচ্চতর গবেষণার ব্যবস্থাগ্রহণ।
[11] ধর্মশিক্ষা: বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মশিক্ষা প্রসঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ।
[12] সমস্যা পর্যালোচনা: দিল্লি, আলিগড় ও বেনারস বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাগুলির পর্যালোচনা।
[13] বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষকদের উৎসাহদানের ব্যবস্থা: মহাবিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যোগ্যতা, চাকুরির অবস্থা, বেতন, বিভিন্ন সুযোগসুবিধা ও মৌলিক গবেষণার বিষয়ে উৎসাহদানের ব্যবস্থাগ্রহণ।
[14] ছাত্রছাত্রীদের জন্য নিয়মশৃঙ্খলা এবং সুযোগসুবিধা বিষয়ে আলোচনা: ছাত্রছাত্রীদের নিয়মশৃঙ্খলা মেনে চলা, টিউটোরিয়াল ক্লাস এবং হোস্টেলের ব্যবস্থাগ্রহণ প্রসঙ্গে আলোচনা।
[15] শিক্ষার মানোন্নয়ন: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ। উচ্চশিক্ষার মাধ্যম সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের সুপারিশ উচ্চশিক্ষার মাধ্যম সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন বা রাধাকৃয়ণ কমিশনের অভিমত হল, উচ্চশিক্ষার মাধ্যম হবে আঞ্চলিক ভাষা। তবে কোনো কোনো বিষয়ে সর্বভারতীয় ভাষাকে (হিন্দি) মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে।
3. স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষা কমিশন কবে গঠিত হয়? ওই কমিশনের সদস্য কারা ছিলেন? ওই কমিশন নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের উদ্দেশ্যে যেসব উপায় অবলম্বন করেছিল তা উল্লেখ করো।
উত্তর: স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষা কমিশন গঠন:
স্বাধীন ভারতে প্রথম শিক্ষা কমিশন তথা রাধাকৃষ্ণণ কমিশন 1948 খ্রিস্টাব্দের 5 [ নভেম্বর গঠিত হয়।
কমিশনের সদস্য:
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের মোট সদস্যসংখ্যা ছিল 10। এঁরা হলেন-
কমিশনের কর্ম-পরিচালন নীতি বা পন্থা
রাধাকৃষ্ণণ কমিশন নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের উদ্দেশ্যে যেসব উপায় অবলম্বন করেছিল, সেগুলি হল-
[1] প্রশ্নপত্র রচনা ও প্রেরণ: কমিশন দায়িত্বগ্রহণের পর তথ্যসংগ্রহের উদ্দেশ্যে ব্যাপক মাত্রায় প্রশ্নগুচ্ছ (questionnaire) প্রস্তুত করে। এরপর, নির্ধারিত সময়ের আগেই উত্তর:দানের অনুরোধ জানিয়ে ওই প্রশ্নগুচ্ছ দেশের প্রতিটি রাজ্যে পাঠানো হয়। প্রশ্নগুচ্ছ যাঁদের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা হয়, তাঁরা হলেন-।. প্রতিটি রাজ্য সরকারের বিধানমন্ডলীর সভ্য, ii. প্রতিটি রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী, iii. প্রতিটি রাজ্যের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী, iv. দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, v. প্রতিটি রাজ্য সরকারের শিক্ষা অধিকর্তা, vi. দেশের প্রতিটি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ, vii. দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় প্রধান।
[2] সংখ্যাতত্ত্ব বিভাগের সঙ্গে সংযোগসাধন: প্রশ্নগুচ্ছের উত্তর: সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন বিভাগে পত্রালাপের পাশাপাশি দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাশিবিজ্ঞান বা সংখ্যাতত্ত্ব বিভাগ এবং স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইন্সটিটিউটের সঙ্গে সংযোগসাধনের ব্যবস্থা করা হয়। এই সংযোগসাধনের মূল উদ্দেশ্য ছিল
তথ্যসংগ্রহ এবং তথ্য বিশ্লেষণে প্রয়োজনীয় সাহায্যগ্রহণ।
[3] মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় সমীক্ষা: পত্রের মাধ্যমে প্রশ্নগুচ্ছ পাঠিয়ে তথ্যসংগ্রহের পর কমিশনের সভ্যরা দেশের বিভিন্ন মহাবিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজির হয়ে সমীক্ষা চালানোর ব্যবস্থা করেন। এর ফলে মহাবিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন অবস্থা সম্পর্কে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ ঘটে।
[4] তথ্য বিশ্লেষণ ও প্রতিবেদন পেশ: কমিশন পরোক্ষ এবং প্রত্যক্ষভাবে সংগৃহীত তথ্যগুলি পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করে। 1949 খ্রিস্টাব্দে কমিশন সেই প্রতিবেদনটি সরকারের নিকট পেশ করে।
4. রাধাকৃয়ণ কমিশনের প্রতিবেদনকে 'ভারতীয় শিক্ষার ইতিহাসে একটি মূল্যবান দলিল' বলা হয় কেন-তা লেখো।
উত্তর: রাধাকৃরণ কমিশন: ভারতীয় শিক্ষার ইতিহাসে একটি মূল্যবান দলিল স্বাধীনতার পর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন তথা রাধাকৃয়ণ কমিশনের প্রতিবেদনটি ছিল ভারতীয় শিক্ষার ইতিহাসে একটি মূল্যবান দলিল। এই দলিলটিতে উচ্চশিক্ষা প্রসঙ্গে প্রয়োজনীয় প্রায় সব ধরনের সুপারিশ লিপিবদ্ধ ছিল। সেগুলি নীচে সংক্ষেপে আলোচনা করা হল-
[1] জাতীয় লক্ষ্য: কমিশন উচ্চশিক্ষার লক্ষ্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে গণতন্ত্র ন্যায়পরায়ণতা, স্বাধীনতা, সাম্য, ভ্রাতৃত্ববোধ, ভারতীয় সংস্কৃতির অবিচ্ছিন্ন প্রবাহ
ও ঐতিহ্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে। এগুলির মধ্য দিয়ে জাতীয় লক্ষ্যে উপনীত হওয়ার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর অর্পণ করা হয়েছে।
[2] নতুন ভারত: কমিশন অতি দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করেছে, দেশের উচ্চশিক্ষার সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান হল বিশ্ববিদ্যালয়। তাই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে এগিয়ে আসতে হবে নতুন ভারত গঠনের মৌলিক দায়িত্বগ্রহণের উদ্দেশ্যে।
[3] নেতৃত্ব সরবরাহ: বিশ্ববিদ্যালয়গুলি দেশের জন্য প্রয়োজনীয় দায়িত্বশীল নেতৃত্ব সরবরাহ করবে।
[4] স্তর সৃষ্টি: এ ছাড়া কমিশনের প্রতিবেদনে সদ্য স্বাধীন দেশের প্রয়োজন মেটাতে সাহিত্য, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, পেশাগত দিক ইত্যাদির ক্ষেত্রে বিভিন্ন শ্রেণির উচ্চশিক্ষার স্তর সৃষ্টিতে এগিয়ে আসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
[5] পাশ্চাত্যশিক্ষার সংযোজন: গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা এবং কৃষিশিক্ষার উন্নতিসাধনের পাশাপাশি পাশ্চাত্যের শিল্প, বাণিজ্য ও বিজ্ঞান শিক্ষা থেকে গ্রহণযোগ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিকে ভারতীয় শিক্ষায় সংযোজনের কথাও কমিশন উল্লেখ করেছে।
[6] ত্রুটি দূরীকরণ: কমিশন ভারতের প্রচলিত শিক্ষার বিভিন্ন ত্রুটি তুলে ধরেছে। যেমন-নিম্নমুখী শিক্ষার মান, অবহেলিত গ্রামীণ শিক্ষা, প্রশাসনিক ব্যর্থতা ইত্যাদি। কমিশন এইসব ত্রুটি দূরীকরণের জন্যও কয়েকটি সুপরামর্শ দিয়েছে।
[7] প্রয়োজনীয় সুপারিশ: অর্থ বণ্টনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন গঠন এবং গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক সুপারিশ-এই দুটি নিঃসন্দেহে প্রয়োজনীয় এবং প্রশংসনীয়।
[৪] বিভিন্ন বিষয়ে প্রয়াস: স্নাতকোত্তর শিক্ষা স্তরের উন্নয়নের প্রসঙ্গে গ্রন্থাগারের উন্নতিবিধান, বিজ্ঞান ও বীক্ষণাগারের উন্নয়নসাধন, গবেষণায় উন্নতিবিধান, শিক্ষকদের কোয়ার্টার নির্মাণ, ছাত্রাবাস নির্মাণ, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের জন্য উন্নত বেতন কাঠামো, সিনিয়র ও জুনিয়র ফেলোশিপ-এর ব্যবস্থা, সরকার অনুমোদিত মহাবিদ্যালয়গুলির উন্নতিসাধন প্রভৃতি নানা বিষয়ে প্রয়াস গ্রহণ করা হয়।
[9] নারীশিক্ষা: কমিশন নারীশিক্ষা সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন, তারই প্রতিধ্বিনি আমরা নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে (1986) পাই।
[10] গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয়: কমিশন গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে যে সুপারিশগুলি করেছে, সেগুলিকে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি (1986)-তে মেনে নেওয়া হয়েছে।
[11] ধারাবাহিক মূল্যায়ন: কমিশন পরীক্ষাব্যবস্থার যেসব ত্রুটিগুলির কথা উল্লেখ করেছিল, তার সংস্কারের জন্য এই কমিশন বর্তমানে কয়েকটি ধারাবাহিক মূল্যায়ন ব্যবস্থার প্রবর্তন করেছে। সুতরাং, সবদিক থেকে বিচার-বিশ্লেষণ করে বলা যায় যে, রাধাকৃয়ণ কমিশনের সুপারিশগুলি এতই সর্বজনীন যে সেগুলি কোনো দেশের যে-কোনো কালের শিক্ষাব্যবস্থার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
প্রশ্ন 5. বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের সভাপতি কে ছিলেন? ওই কমিশনের রিপোর্টটি কত খ্রিস্টাব্দে সরকারের কাছে পেশ করা হয়? ওই কমিশন উচ্চশিক্ষার যেসব লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, তা আলোচনা করো।
অথবা,
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন 1948-49 খ্রিস্টাবউচ্চশিক্ষার লক্ষ্য সম্পর্কে যে সুপারিশ করে, সেগুলি আলোচনা করো।
উত্তর: কমিশনের সভাপতি
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের সভাপতি ছিলেন ড. সর্বপল্লি রাধাকৃয়ণ।
কমিশনের রিপোর্ট পেশ
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন 1949 খ্রিস্টাব্দে সরকারের কাছে তাঁদের রিপোর্টটি পেশ করে।
উচ্চশিক্ষার লক্ষ্য সম্পর্কে কমিশনের অভিমত
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন উচ্চশিক্ষা তথা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার যেসব লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, সেগুলি হল-
[1] বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায় গড়ে তোলার দায়িত্বগ্রহণ: বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে সমাজের নানান ক্ষেত্রে নেতৃত্বদানের উপযুক্ত ব্যক্তিদের গড়ে তোলার দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে। দেশকে অগ্রগতির পথে পরিচালিত করতে হলে প্রয়োজন উপযুক্ত বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়ের। আলোর দিশারি এই সকল বুদ্ধিজীবীদের গড়ে তোলার দায়িত্ব নিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে।
[2] জাতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা: শিক্ষার মান
উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষণপ্রাপ্ত প্রতিটি শিক্ষার্থী জাতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির যোগ্য ধারক ও বাহক হয়ে উঠতে পারে।
[3] জগৎ ও মানবজীবন সম্পর্কে সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলার শিক্ষা: বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে শিক্ষার্থীদের সামনে সমগ্র জগৎ এবং মানবজীবন
সম্পর্কে একটি সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলার ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষার্থীদের মন থেকে অবিশ্বাস এবং উদ্দেশ্যহীনতা দূর করে তাদের জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন ঘটাতে হবে।
[4] গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের উপযোগী শিক্ষার ব্যবস্থা: গণতন্ত্রের মূল বক্তব্য হল ন্যায়বিচার, স্বাধীনতা, সাম্য এবং ভ্রাতৃত্ব। এই বিষয়গুলি মনে রেখে সকলে যাতে শিক্ষার সমান সুযোগ লাভ করে, ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ যাতে স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশ করতে পারে এবং অনুন্নত শ্রেণির শিক্ষার্থীদের চাহিদা যাতে পূর্ণ হয়, তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে উপযুক্ত ব্যৰস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ওপর সরকারি। কর্তৃত্ব ফলানোর প্রবণতা দূর হয়ে যাতে স্বায়ত্ত্বশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়-সে-বিষয়েও সচেষ্ট হতে হবে।
[5] মানবিক গুণাবলির বিকাশসাধনের শিক্ষা: উচ্চশিক্ষার লক্ষ্য হবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের মানবিক গুণাবলির বিকাশ সাধন করা। এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে মানববিদ্যা চর্চার জন্য এমন ধরনের পাঠক্রম প্রণয়ন করতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানবতাবোধের বিকাশ ত্বরান্বিত হয়।
[6] মানবসভ্যতা সম্পর্কে ধারণা গঠনের শিক্ষা: উচ্চশিক্ষার অপর একটি লক্ষ্য হল শিক্ষার্থীর মধ্যে মানবসভ্যতা সম্পর্কে সঠিক ধারণা গড়ে তোলা। এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে এমন ধরনের শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে যাতে শিক্ষার্থীরা মানবসভ্যতার বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অবহিত হতে পারে।
[7] মানব চরিত্রের উন্নতিবিধানের শিক্ষা: যে-কোনো শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হল চরিত্র গঠন। শিক্ষার্থীরা যাতে চারিত্রিক উন্নতির জন্য বিশ্বসাহিত্যে লিপিবদ্ধ মানব অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পায়, তাদের মধ্যে যাতে নৈতিক মূল্যবোধ গড়ে ওঠে এবং তারা যাতে মনুষ্যত্ব ও ন্যায়ের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে পারে, তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপযুক্ত শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
[৪] জাতীয় সংহতি ও আন্তর্জাতিকতা বোধের শিক্ষা: উচ্চশিক্ষার লক্ষ্য হবে ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে, মহাবিদ্যালয়- বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঐক্যবোধ গড়ে তোলা। প্রাচীন ভারতীয় আদর্শে আবাসিক বিদ্যালয়ের মধ্য দিয়ে ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে উঠবে। এই সৌভ্রাতৃত্ববোধ বা জাতীয় সংহতি থেকে বিশ্বভ্রাতৃত্ববোধ বা আন্তর্জাতিকতা বোধের বিকাশ ঘটবে। এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
[9] বিজ্ঞান, কারিগরিবিদ্যা, কৃষিবিদ্যা ও চিকিৎসাবিদ্যার প্রসার ঘটানোর শিক্ষা: বিজ্ঞান, কারিগরিবিদ্যা, কৃষিবিদ্যা ও চিকিৎসাবিদ্যার প্রসার ঘটানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে। বিজ্ঞান ও কারিগরিবিদ্যার কল্যাণে মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ঘটবে। গ্রামীণ উন্নতির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে কৃষিবিদ্যা চর্চার ব্যবস্থা করতে হবে এবং স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য চিকিৎসাবিদ্যার প্রসার ঘটাতে হবে।
[10] প্রাকৃতিক সম্পদ ও মানবশক্তির প্রকৃত সদ্ব্যবহারের শিক্ষা: ভারত প্রাকৃতিক সম্পদে যথেষ্ট সমৃদ্ধিশালী দেশ এবং ভারতবাসীদের মধ্যে যথেষ্ট উদ্দীপনা ও কর্মশক্তি রয়েছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে এমনভাবে শিক্ষা ও জ্ঞানচর্চার ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে প্রাকৃতিক সম্পদ ও মানবশক্তির প্রকৃত সদ্ব্যবহার করা যেতে পারে।