Chapter- 2

বচন

----------

 

 MCQ

  

1. 'মানুষ কদাচিৎ সুখী'-বাক্যটির তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ হল-

a) সকল মানুষ হয় সুখী 

B) কোনো মানুষ নয় সুখী 

C) কোনো কোনো মানুষ হয় সুখী 

D)  কোনো কোনো মানুষ নয় সুখী 


উত্তর: D)  কোনো কোনো মানুষ নয় সুখী 


2. 'মানুষ কদাচিৎ সুখী নয়' বাক্যটির তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ হল-

a)  সকল মানুষ হয় সুখী 

b) কোনো মানুষ নয় সুখী 

c) কোনো কোনো মানুষ হয় সুখী 

d) কোনো কোনো মানুষ নয় সুখী


উত্তর: b) কোনো মানুষ নয় সুখী 


3. বাক্য মাত্রেই বচন নয়-বাক্যটির L. F. (Logical Form) হবে-

a) A বচন 

b) E অথবা 

c) O বচন

d) I বচন বচন


উত্তর: a) A বচন 


4. প্রাকল্পিক বাক্যকে তর্কবিজ্ঞানসম্মতভাবে যে বচনে পরিণত করা যায়-

a) A বচন 

b) E বচন 

c) O বচন 

d) বচন


উত্তর: a) A বচন 


5. নির্দিষ্ট একটি বাদে সব বললে বাক্যটি যে বচনে রূপান্তরিত হয়-

a) E বচনে 

b) A বচনে 

c) O বচনে 

d) I বচনে


উত্তর: b) A বচনে 


6. 'ব্যাপ্যতা' শব্দটি জড়িত হল-

A)  শব্দের সঙ্গে 

B) পদের সঙ্গে  

C) বাক্যের সঙ্গে 

D) সংযোজকের সঙ্গে


উত্তর: B) পদের সঙ্গে  


7. কেবল উদ্দেশ্যপদ ব্যাপ্য হয়-

a) A বচন 

b) E বচন 

c) I বচন 

d) O বচন


উত্তর: a) A বচন 


8. উদ্দেশ্যকে ব্যাপ্য করে যে বচন-

a)  A বচন 

b) E বচন 

C) A এবং E বচন  

D) এবং I বচন


উত্তর: C) A এবং E বচন  


9. ব্যাপ্যতার অর্থ হল- 

a) পরিপূর্ণ ব্যক্তর্থের উল্লেখ 

b) আংশিক ব্যক্তর্থের উল্লেখ

c) গুণের উল্লেখ 

d)  আকারের উল্লেখ


উত্তর: a) পরিপূর্ণ ব্যক্তর্থের উল্লেখ 


10. বিধেয়কে ব্যাপ্য করে যে বচন-

a) E এবং O বচন   

b) E এবং A বচন

c)  A এবং I বচন

d)  I এবং O বচন


উত্তর:a) E এবং O বচন   


11. শুধুমাত্র বিধেয়কে ব্যাপ্য করে যে বচন-

a) A বচন 

b) E বচন

c) I বচন 

d) O বচন 


 উত্তর: d) O বচন 


12. যে বচনে উভয় পদই ব্যাপ্য, তা হল- 

a) সার্বিক সদর্থক বচন 

b)  সার্বিক নঞর্থক বচন 

c) বিশেষ সদর্থক বচন

d)  বিশেষ নঞর্থক বচন


উত্তর:b)  সার্বিক নঞর্থক বচন 


13. যে বচনের বিধেয় পদ অব্যাপ্য-

a) A বচনের 

b) E বচনের

c) O বচনের 

d) A এবং I বচনের 


উত্তর:d) A এবং I বচনের 


14. যে বচনে ব্যাপ্যতার বিষয়টি অনুপস্থিত -

a) I বচনে অনুপস্থিত 

b) E বচনে অনুপস্থিত

c) A বচনে অনুপস্থিত 

d) O বচনে অনুপস্থিত


উত্তর:a) I বচনে অনুপস্থিত 


15. Ο বচনের যে পদটি ব্যাপ্য হয়, তা হল-

a) উদ্দেশ্য পদ 

b) বিধেয় পদ

c) উভয় পদ 

d) কোনো পদ ব্যাপ্য নয়


উত্তর:b) বিধেয় পদ 

 

16. আদর্শ নিরপেক্ষ বচনের অংশ হল-

a) দুটি  

b) তিনটি 

c) চারটি  

d) পাঁচটি


উত্তর: c) চারটি 


17. A বচনের যে পদটি ব্যাপ্য হয়, তা হল-

a) উদ্দেশ্য পদ 

b) বিধেয় পদ 

c) উভয় পদ 

d) কোনো পদ ব্যাপ্য নয়


উত্তর:a) উদ্দেশ্য পদ 

 

18. উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদ ব্যাপ্য হয়-

a) A বচনে 

b) E বচনে   

c) I বচনে 

d) O বচনে


উত্তর:b) E বচনে   

 

19. বচনে কেবল বিধেয় পদ ব্যাপ্য হয়।-

a) A

b) E

c) I

d) O


উত্তর:d) O


20. উদ্দেশ্য এবং বিধেয় উভয় পদই অব্যাপ্য হয়-

a) O বচনে 

b) I বচনে 

c) E বচনে

d) A বচনে


উত্তর: b) I বচনে 


21. একটি বচন সর্বদা-

a) বৈধ/অবৈধ 

b) সত্য/মিথ্যা

c)  নিশ্চিত সম্ভাব্য 

d) ব্যাপ্য/অব্যাপ্য


উত্তর:b) সত্য/মিথ্যা


22. একটি আদর্শ নিরপেক্ষ বচনের অংশ হল- 

a) দুটি

b) তিনটি 

c) চারটি 

b) ছয়টি


উত্তর: c) চারটি 

 

23. যে বচনে কেবল বিধেয় পদ ব্যাপ্য হয় তা হল-

 a) A

b) E

c) I

d) O


উত্তর: d) O


24. উদ্দেশ্য পদ অব্যাপ্য হয়-

a) সামান্য বচনের 

b) বিশেষ বচনের 

c) সদর্থক বচনের 

d) নঞর্থক বচনের


উত্তর: b) বিশেষ বচনের 


25. প্রতিটি নঞর্থক বচনের পদটি অবশ্যই ব্যাপ্য হয়। 

a) উদ্দেশ্য

b) বিধেয় 

c) উদ্দেশ্য ও বিধেয় 

d) এদের কোনোটিই নয়


উত্তর: b) বিধেয় 

 

দীর্ঘ উত্তরভিত্তিক প্রশ্নাবলি


প্রশ্ন 1 বচন ও বচনাকার কাকে বলে? নিরপেক্ষ ও সাপেক্ষ বচনের আকারগুলিকে

উদাহরণ-সহ উল্লেখ করো। 


উত্তর:  বচন : মনের ভাবকে যখন ভাষার মাধ্যমে ব্যক্ত করা হয়, তখন তাকে বলে বাক্য। এই বাক্যকে যখন

 তর্কবিজ্ঞানসম্মত আকারে উপস্থাপিত করা হয়, তখন তাকেই বলা হয় বচন। যেমন-মানুষ মরণশীল-এটি হল

একটি বাক্য। কিন্তু এর তর্কবিজ্ঞানসম্মত রূপ হিসেবে যে বচনের কথা বলা হয়, তা হল-সকল মানুষ হয় মরণশীল। এই বচনই হল তর্কবিজ্ঞানের মূলভিত্তি। কারণ, তর্কবিজ্ঞানের মূল আলোচ্য বিষয় হল যুক্তি। আর এই যুক্তি গঠিত হয় বচন দিয়ে


বচনাকার: তর্কবিদ্যায় বচনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হলেও, আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় বচনের আকারের ওপর।

বচনের আকার (proposition form) হল বচনের

একটি নির্দিষ্ট কাঠামো, যার দ্বারা বচনটিকে একটি নির্দিষ্ট আকারে প্রকাশ করা যায়। বচনের এই আকারের

একটি নির্দিষ্ট ও সর্বজনীনতা আছে। সেই কারণেই বচনের আকারের সত্যমূল্যের ক্ষেত্রে আমাদের একপ্রকার

 নিশ্চয়তা থেকে যায়। বচনগুলির বক্তব্যবিষয়ের পরিবর্তন হলেও তার আকারের কোনো পরিবর্তন হয় না

 যেমন-সকল মানুষ হয় মরণশীল-এই বচনটির উদ্দেশ্য ও বিধেয় পরিবর্তিত হয়ে অন্য একটি বচনে পরিণত

হতে পারে। অর্থাৎ, সকল মানুষ হয় মরণশীল না বলে, আমরা এটাও বলতে পারি যে, সকল কবি হয় দার্শনিক। কিন্তু এদের আকারটি হল সকল S হয় P এবং এর কোনো পরিবর্তন নেই। সেই কারণেই বলা যায় যে, বচনের আকার নির্দিষ্ট ও অপরিবর্তনীয়রূপে গণ্য


নিরপেক্ষ বচনের আকার

তর্কবিদ্যায় বচন হল মূলত দু-প্রকারের- [1] নিরপেক্ষ বচন এবং [2] সাপেক্ষ বচন। সুতরাং, নিরপেক্ষ ও সাপেক্ষ-এই দু-প্রকার বচনেরই আকার পাওয়া যায়। নিরপেক্ষ বচন হিসেবে মোট চারপ্রকার বচনের উল্লেখ করা হয়। এই চারপ্রকার বচন হল যথাক্রমে-[i] সামান্য সদর্থক বা সার্বিক হ্যাঁ-বাচক বচন, যাকে

সাংকেতিকভাবে বলা হয় A বচন। [ii] সামান্য নঞর্থক বা সার্বিক না-বাচক বচন, যাকে সাংকেতিকভাবে বলা হয় E বচন। [iii] বিশেষ সদর্থক বা বিশেষ হ্যাঁ-বাচক বচন, যাকে সাংকেতিকভাবে। বচন রূপে উল্লেখ করা হয় এবং [iv] বিশেষ নঞর্থক বা বিশেষ না-বাচক বচন, যাকে সাংকেতিকভাবে বলা হয় ০ বচন। এখন এই চারটি নিরপেক্ষ বচন বা তাদের আকারগুলিকে উল্লেখ করা হল-


[1] সামান্য সদর্থক বা সার্বিক হ্যাঁ-বাচক বচন ও তার আকার:

সকল মানুষ হয় মরণশীল। —- A বচন

এর আকার হল: সকল S হয় P


[2] সামান্য নঞর্থক বা সার্বিক না-বাচক বচন ও তার আকার:

কোনো মানুষ নয় পূর্ণ। —- E বচন

এর আকার হল: কোনো S নয় P


[3] বিশেষ সদর্থক বা বিশেষ হ্যাঁ-বাচক বচন ও তার আকার:

কোনো কোনো মানুষ হয় সৎ। I বচন

এর আকার হল: কোনো কোনো S হয় P


[4] বিশেষ নঞর্থক বা বিশেষ না-বাচক বচন ও তার আকার:

কোনো কোনো মানুষ নয় শিক্ষিত।  →   O বচন

এর আকার হল: কোনো কোনো S নয় P


সাপেক্ষ বচনের আকার


নিরপেক্ষ বচনে কোনো শর্ত না থাকলেও, সাপেক্ষ বচনে কিন্তু একটি শর্ত থাকে। এই সাপেক্ষ বচন আবার দু-প্রকারের- [1] প্রাকল্পিক বচন এবং [2] বৈকল্পিক বচন। 'যদি... তবে' দিয়ে গঠিত বচনকে বলা হয় প্রাকল্পিক বচন। আর 'হয়...অথবা' দিয়ে গঠিত বচনকে বলা হয় বৈকল্পিক বচন। এখন এই প্রাকল্পিক ও বৈকল্পিক বচন দুটি ও তাদের আকারগুলিকে পরপর উল্লেখ করা হল-

যদি মেঘ করে তবে বৃষ্টি পড়ে। প্রাকল্পিক বচন

এর আকার হল: যদি P তবে Q

হয় রাম কলকাতা যাবে অথবা দিল্লি যাবে। বৈকল্পিক বচন

এর আকার হল: হয় P অথবা Q


 3. নিরপেক্ষ বচনের স্বরূপ আলোচনা করো। বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে নিরপেক্ষ বচনের শ্রেণিবিভাগ করো। 4+4 অথবা, নিরপেক্ষ বচন কী? গুণ ও পরিমাণ অনুসারে নিরপেক্ষ বচনের শ্রেণিবিভাগ করো।  


উত্তর: নিরপেক্ষ বচনের স্বরূপ

প্রত্যেকটি বচনেই একটি উদ্দেশ্য পদ এবং একটি বিধেয় পদ থাকে। এই দুটি পদের মধ্যে আবার একপ্রকার সম্বন্ধও দেখা যায়। উদ্দেশ্য ও বিধেয়র সম্বন্ধ কখনো-কখনো কোনো শর্তের উপর নির্ভর করে, আবার কখনো-কখনো তা শর্তনিরপেক্ষভাবেও উপস্থাপিত হয়। যে বচনে উদ্দেশ্য এবং বিধেয়র সম্বন্ধ কোনো শর্তের ওপর নির্ভর করে না, সেই বচনকেই বলা হয় নিরপেক্ষ বচন (categorical proposition)উদাহরণস্বরূপ উল্লেখ করা যায়-সকল মানুষ হয় বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন জীব। এরূপ বচনটি একটি নিরপেক্ষ বচনরূপেই গণ্য। কারণ, এক্ষেত্রে উদ্দেশ্যপদ তথা মানুষ এবং বিধেয় তথা বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন জীব-এই উভয়ের মধ্যে যে সম্বন্ধ ঘোষিত হয়েছে, তা কোনো শর্তের উপর নির্ভরশীল নয়। সেই কারণেই বলা যায় যে, এটি হল, একটি শর্তহীন বা নিরপেক্ষ বচন


বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে নিরপেক্ষ বচনের শ্রেণিবিভাগ

 

বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে নিরপেক্ষ বচনের বিভাজন করা হয়েছে। এই ধরনের দৃষ্টিকোণগুলি হল যথাক্রমে-[1] গুণের দৃষ্টিকোণ, [2] পরিমাণের দৃষ্টিকোণ এবং [3] গুণ ও পরিমাণের সংযুক্ত দৃষ্টিকোণ


[1] গুণের দৃষ্টিকোণের বিভাজন: গুণের দৃষ্টিকোণের দিক থেকে নিরপেক্ষ বচনকে সদর্থক বা হ্যাঁ-বাচক এবং নঞর্থক বা না-বাচক রূপে বিভাজন করা হয়। যে বচনে উদ্দেশ্য ও বিধেয়র সম্বন্ধ হল স্বীকৃতিসূচক, তাকে বলা হয় সদর্থক বা হ্যাঁ-বাচক বচন। যেমন-সকল পাখি হয় পাখাযুক্ত, কোনো কোনো মানুষ হয় অসৎ ইত্যাদি। আবার যে বচনে উদ্দেশ্য ও বিধেয়র সম্বন্ধটি হল অস্বীকৃতিমূলক, সেই বচনকেই বলা হয় নঞর্থক বচন। যেমন-কোনো মানুষ নয় সুখী, কোনো কোনো মানুষ নয় ধার্মিক, ইত্যাদি


[2] পরিমাণের দৃষ্টিকোণের বিভাজন: পরিমাণের দৃষ্টিকোণের দিক থেকে নিরপেক্ষ বচনকে সামান্য বা সার্বিক এবং বিশেষরূপে উল্লেখ করা হয়।  যে বচনে বিধেয়র বক্তব্যবিষয়টি উদ্দেশ্য পদ বা শ্রেণির সকল সদস্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়, তাকে বলে সামান্য বা সার্বিক বচন। যেমন-সকল রাজনীতিক হয় ধান্দাবাজ, কোনো ছাত্র নয় অসৎ ইত্যাদি। অন্যদিকে, যে বচনে বিধেয়ের বক্তব্যবিষয়টি উদ্দেশ্য পদ বা শ্রেণির অন্তর্গত সদস্যদের ক্ষেত্রে প্রযুক্ত না হয়ে, বিশেষ বিশেষ কিছু সদস্যের ক্ষেত্রে প্রযুক্ত হয়, তাকেই বলা হয় বিশেষ বচন, যেমন-কোনো কোনো মানুষ হয় ধান্দাবাজ, কোনো কোনো মানুষ নয় সৎ ইত্যাদি


[3] গুণ ও পরিমাণের সংযুক্ত দৃষ্টিকোণের বিভাজন: তর্কবিদ অ্যারিস্টট্ল গুণ ও পরিমাণের যৌথ ভিত্তিতে নিরপেক্ষ বচনসমূহকে চার ভাগে বিভক্ত করেছেন। একেই বলা হয় নিরপেক্ষ বচনের চতুর্বর্গ পরিকল্পনা। এই চার প্রকারের নিরপেক্ষ বচন হল যথাক্রমে-[i] সামান্য বা সার্বিক সদর্থক বচন (universal affirmative proposition) বা A বচন, [ii] সামান্য বা সার্বিক নঞর্থক বচন (universal negative proposition) বা E বচন, [iii] বিশেষ সদর্থক বচন (particular affirmative propostion) বা I বচন এবং [iv] বিশেষ নঞর্থক বচন (particular negative propositon) বা O০ বচন



 

👉Paid Answer (For membership User)


Editing by- Rita Moni Bora