Chapter 8
A সঠিক উত্তর বেছে নিয়ে লেখো
1. সূর্য থেকে আগত ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মিকে শোষণ করে—-
1. অক্সিজেন স্তর
2. হাইড্রোজেন স্তর
3.ওজোন স্তর ✔
2. দাবানলের ফলে প্রচুর পরিমাণে বায়ুতে মেশে-
1. কার্বন মনোক্সাইড ✔
2.সোডিয়াম ক্লোরাইড
3.মিথেন
3. ধোঁয়াশা বেশি দেখা যায়-
1.গ্রীষ্মকালে
2.শীতকালে ✔
3.শরৎকালে
4. দিল্লিতে ধোঁয়াশা সৃষ্টির কারণ—----
1. বায়ুদূষণ ✔
2. শব্দদূষণ
3. মাটিদূষণ
5. ফ্রিজ ও এসি থেকে নির্গত ক্ষতিকারক গ্যাসটি হল-
1. CO2
2.CFC ✔
3.NO2
6. গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর জন্য দায়ী করা হয়-
1. নিষ্ক্রিয় গ্যাস-কে
2. গ্রিনহাউস গ্যাস-কে ✔
3. হাইড্রোজেন গ্যাস-কে
7. দূষকরূপে হাইড্রোকার্বনের উৎস হল-
1. পারমাণবিক কেন্দ্র
2. তৈল খনি
3. কলকারখানার ধোঁয়া ✔
৪. বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ হল-
1. কৃষিকাজ
2. শিল্প ✔
3. পশুচারণ
9. পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা হল-
1. 20 ডিগ্রি সেলসিয়াস
2. 15 ডিগ্রি সেলসিয়াস ✔
3.25 ডিগ্রি সেলসিয়াস
10. ওজোন গ্যাসের স্তর রয়েছে—---
1. ট্রপোস্ফিয়ারে
2. স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে ✔
3.আয়নোস্ফিয়ারে
11. শহরাঞ্চলে ধোঁয়াশা সৃষ্টির প্রধান উপাদানটি হল-
1. নাইট্রোজেন অক্সাইড ✔
2. কার্বন ডাইঅক্সাইড
3.সালফার ডাইঅক্সাইড
12. যানবাহনের ধোঁয়া থেকে সৃষ্ট ধাতু জাতীয় ক্ষতিকারক পদার্থটি
হল-
1. পারদ
2.সিসা
3. ক্যাডমিয়াম
13. গ্রিনহাউস গ্যাসগুলির মধ্যে প্রধান গ্যাস হল-
1. নাইট্রোজেন
2. অক্সিজেন ✔
3.কার্বন ডাইঅক্সাইড
14. বায়ুদূষণের ফলে বেশি ক্ষতি হয়-
1. শিশুদের ✔
2. বৃদ্ধদের
3. যুবকদের
15. বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে-
1. প্রচলিত শক্তি ব্যবহার করে
2. অপ্রচলিত শক্তি ব্যবহার করে ✔
3.পরিবেশ দিবস পালন করে
16.তাজমহলের মারবেল ক্যানসারের কারণ-
1. অম্লবৃষ্টি ✔
2.অতিবৃষ্টি
3.খরা
B শুদ্ধ
অথবা অশুদ্ধ লেখো
1.উদ্ভিদের
ক্লোরোসিস রোগ হয় বায়ুদূষণের ফলে।
উত্তর:শুদ্ধ
2. অ্যান্টার্কটিকা
মহাদেশের বায়ুমণ্ডলে ওজোন গহ্বর সৃষ্টি হয়েছে।
উত্তর:শুদ্ধ
3. আমাদের রক্ষাকবচ বলা হয় অক্সিজেন স্তরকে।
উত্তর:অশুদ্ধ
4. কার্বন ডাইঅক্সাইড একটি বিষাক্ত গ্যাস।
উত্তর:শুদ্ধ
5. ফুসফুসের
সাহায্যে আমরা শ্বাস নিই।
উত্তর:শুদ্ধ
6. সূর্য
থেকে আগত ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মির ফলে পৃথিবী থেকে বহু উদ্ভিদ ও প্রাণী বিলুপ্ত
হওয়ার
সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।
উত্তর:শুদ্ধ
7. ওজোনস্তরের অবক্ষয় প্রধানত ক্লোরিন দূষণের ফলে হয়।
উত্তর:শুদ্ধ
8. 1985 খ্রিস্টাব্দে ড. জে সি ফারমেন কুমেরু অঞ্চলে ওজোন গহ্বর
শনাক্ত করেন।
উত্তর:অশুদ্ধ
9. ধূলিঝড়
বায়ুদূষণের কারণ নয়।
উত্তর:অশুদ্ধ
10. যে-সমস্ত পদার্থ বায়ুদূষণ করে, তাদের
বায়ুদূষক বলে।
উত্তর:শুদ্ধ
শূন্যস্থান পূরণ কর
1. 2011 খ্রিস্টাব্দে জাপানের —----------------পারমাণবিক শক্তি
উৎপাদন কেন্দ্রে বিস্ফোরণ ঘটে
উত্তর: . ফুকুসিমা
3. বায়ুমণ্ডলের —------------- -কে প্রাকৃতিক 'সৌর
পর্দা' বলা হয়
উত্তর: ওজোন স্তর
4. সুগন্ধি স্প্রে থেকে নির্গত হয়—----------------কার্বন।
উত্তর:. ক্লোরোফ্লুয়োরো
5. প্রধান গ্রিনহাউস গ্যাসটি হল—---------------
উত্তর:কার্বন ডাইঅক্সাইড
6.------------এর ধোঁয়া আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর।
উত্তর: সিগারেট
7. ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে গাছের পাতার
—-----------------নষ্ট হচ্ছে।
উত্তর: ক্লোরোফিল
৪. বায়ুতে ভাসমান কণিকাকার
পদার্থসমূহকে—------------------- বলে।
উত্তর: এরোসল
9. ইউরেনিয়াম—---------------- পদার্থের উদাহরণ প্রদান করে।
উত্তর: তেজস্ক্রিয়
10. বায়ুমণ্ডলে ভাসমান একটি জৈব কণিকা—------------ হল 1
উত্তর: পরাগরেণু
11. তাজমহলের ক্ষতি করছে—-------------
উত্তর: অ্যাসিড বৃষ্টি
12. CFC-এর পুরো কথা হল—--------------
উত্তর: ক্লোরোফ্লুয়োরোকার্বন
13. ফ্রিজ ও এসি থেকে নির্গত ক্ষয় করে—--------------- গ্যাস
ওজোনস্তরক
উত্তর:. ক্লোরোফ্লুয়োরোকার্বন
14. ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয় —----------------------দূষণের ফলে।
উত্তর: বায়ু
15.
2007-এর 31 মার্চ
অস্ট্রেলিয়ার —-------------------শহরের মানুষ রাত সাড়ে ৪টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত
শহরের সমস্ত আলো নিভিয়ে রেখেছিল।
উত্তর:সিডনি
দু-এককথায় উত্তর দাও :
1. আমাদের শ্বাস নিতে কোন্ গ্যাস সাহায্য করে?
উত্তর: অক্সিজেন।
2. একটি বিষাক্ত গ্যাসের নাম লেখো।
উত্তর: কার্বন মনোক্সাইড।
3. আমাদের দেশের পাঁচটি বড়ো শহর থেকে কত ধোঁয় বাতাসে মেশে?
উত্তর: প্রায় 10 লক্ষ কিলোগ্রাম।
4. ঘরের দেয়ালে রং-এর গন্ধে কী রোগ হয়?
উত্তর: মাথা ঝিমঝিম করে।
5. ধূমপানের ফলে কী রোগ হয়?
উত্তর: ক্যানসার।
6. কোথায় পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটেছিল?
উত্তর: জাপানের ফুকুসিমায়।
7. হাঁচির সময় আমাদের কী করা উচিত?
উত্তর: মুখে রুমাল দেওয়া উচিত।
৪. যেসব জৈব ও অজৈব উপাদান বাতাসকে দূষিত করে, তাদের এককথায় কী বলে?
উত্তর: বায়ুদূষক।
9. ওজনস্তর ধ্বংস করে কোন গ্যাস?
উত্তর: ক্লোরোফ্লুয়োরোকার্বন।
10. একটি গ্রিনহাউস গ্যাসের নাম লেখো।
উত্তর: কার্বন ডাইঅক্সাইড।
11.
'Earth Hour' কবে চালু হয়?
উত্তর: 2007 খ্রিস্টাব্দের 31 মার্চ।
12.
'Earth Hour' প্রথম কোথায় পালিত হয়?
উত্তর: অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে।
13. কোন্ গ্যাসের ফলে অ্যাসিড বৃষ্টি হয়?
উত্তর: সালফার ডাইঅক্সাইড।
14. বিশ্ব উন্নায়নে দায়ী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গ্যাস কোন্টি?
উত্তর: কার্বন ডাইঅক্সাইড।
15. ওজোন গহ্বর প্রথম কোথায় আবিষ্কৃত হয়?
উত্তর: অ্যান্টার্কটিকাতে।
16. ওজোন গ্যাসের ঘনত্ব কোন এককে মাপা হয়?
উত্তর: ডবসন।
17. বিশ্ব উন্নায়ন কমাতে ক-টি দেশের মানুষ 1 ঘণ্টার জন্য আলো বন্ধ করে রাখে?
উত্তর: ৪১টি।
18. জীবাশ্ম জ্বালানির দহনে বায়ুমণ্ডলে কোন্ গ্যাস বৃদ্ধি পায়?
উত্তর: কার্বন ডাইঅক্সাইড।
19. পারমাণবিক বিস্ফোরণ থেকে কোন গ্যাস নির্গত হয়?
উত্তর: নাইট্রোজেন অক্সাইড।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর :
1. বায়ুদূষণ কাকে বলে?
উত্তর বায়ুদূষণ সম্পর্কে বিভিন্ন বিজ্ঞানী বিভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন। 1961 খ্রিস্টাব্দে বিশ্ব-স্বাস্থ্য WHO
(World Health Organisation)-এর মতে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্যে ক্ষতিকর পদার্থের সমাবেশ যখন মানুষ ও তার পরিবেশের ক্ষতিসাধন করতে থাকে, তখন সেই অবস্থাকে বায়ুদূষণ বলে।
2. বায়ুদূষণের প্রাকৃতিক উৎসগুলি লেখো।
উত্তর : প্রাকৃতিক উৎস থেকে যে সকল পদার্থ
বায়ুকে দূষিত করে তাদের বায়ুদূষণের প্রাকৃতিক উৎস বলা হয়। এগুলি হল-① আগ্নেয়গিরির
অগ্ন্যুৎপাত থেকে নির্গত ছাই ও বিভিন্ন গ্যাস, দাবানল, জীবন্ত
ও মৃত পচনশীল উদ্ভিদ, মৃত্তিকা, ধূলিকণা, ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক, ⑤ সমুদ্র (লবণকণা), ভূমিকম্পের
ফলে নির্গত বিভিন্ন গ্যাস প্রভৃতি।
3. বায়ুদূষণের কৃত্রিম বা মনুষ্যসৃষ্ট উৎসগুলি লেখো।
উত্তর : মানুষ প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে বায়ুকে দূষিত করে। মানুষের দ্বারা বায়ুদূষিত হলে তাকে মনুষ্যসৃষ্ট বা কৃত্রিম বায়ুদূষণ বলে। এই দূষণের উৎসগুলি হল-① জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও নগরায়ণ, শিল্পায়ন, কৃষিক্ষেত্রে কীটনাশকের ব্যবহার,④ যানবাহনের ধোঁয়া, গৃহস্থালির বর্জ্য, ⑥ তেজস্ক্রিয় বিস্ফোরণ, তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র, ফ্রিজের ব্যবহার, বৃক্ষচ্ছেদন প্রভৃতি।
4. ধোঁয়াশা কী?
উত্তর : প্রধানত শীতকালে ধোঁয়া ও কুয়াশা একত্রে মিশে যে আলো-আঁধারের পরিবেশ সৃষ্টি হয়, তাকে ধোঁয়াশা বলে। কলকারখানা সমৃদ্ধ শহরাঞ্চলে যানবাহনের ধোঁয়া ও কলকারখানার ধোঁয়া প্রভৃতি উৎস থেকে নির্গত হয় নাইট্রোজেন অক্সাইড ও হাইড্রোকার্বন গ্যাস। এই গ্যাসগুলি সূর্যরশ্মির সঙ্গে বিক্রিয়া করে ধোঁয়াটে পরিবেশ সৃষ্টি করে, যাকে ধোঁয়াশা বলে। এটি প্রধানত শীতকালে বেশি দেখা যায়।
5. ধোঁয়াশা মানুষের ওপর কী প্রভাব ফেলে?
উত্তর :কলকারখানা ও যানবাহনসমৃদ্ধ জনবহুল শহরাঞ্চলে যে ধোঁয়াটে পরিবেশের সৃষ্টি হয়, তাকে এককথায় ধোঁয়াশা বলে। মানুষের ওপর এর প্রভাবগুলি হল-① চোখ ও নাক জ্বালা করে, ও হাঁচি ও কাশির সৃষ্টি হয়, ও শ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্ট বা বুকের সমস্যা দেখা দেয় প্রভৃতি।
6. ধোঁয়াশা উদ্ভিদের ওপর কীরূপ প্রভাব বিস্তার করে?
উত্তর :উদ্ভিদের ওপর ধোঁয়াশার প্রভাব: উদ্ভিদের ওপর ধোঁয়াশার প্রভাবগুলি হল-① শাকসবজির ক্ষতিসাধন হয়। ② গাছের পাতার ওপর সাদা রঙের দাগ সৃষ্টি হয়। পাতা কুঁকড়ে যায়। গাছের সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। ⑤ সরলবর্গীয় বনভূমির ক্ষতি হয়।
7. বায়ুদূষণ ঘটায় এমন কয়েকটি গ্যাসের নাম লেখো।
উত্তর :বায়ুদূষণ করে এমন কয়েকটি গ্যাস হল-কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO₂), ② কার্বন মনোক্সাইড (CO), ③ হাইড্রোকার্বন (HC), ④ নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড (NO₂), সালফার ডাইঅক্সাইড (SO₂), (CH₁) প্রভৃতি। মিথেন
৪. ওজোন স্তর সম্পর্কে লেখো।
উত্তর :বায়ুমণ্ডলে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরের ওপরের অংশে ওজোন স্তর অবস্থান করে। ওজোন গ্যাস (O₃) বায়ুমণ্ডলে • খুব কম পরিমাণে রয়েছে। এই স্তরটি সূর্য থেকে আগত ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মিকে শোষণ করে জীবকুলকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করে। এই জন্য ওজোনস্তরকে 'প্রাকৃতিক সৌরপর্দা' বলে।
9. অ্যাসিড বৃষ্টি কী?
উত্তর :যানবাহন, কলকারখানার ধোঁয়ায় থাকা কার্বন মনোক্সাইড, কার্বন ডাইঅক্সাইড, সালফার ডাইঅক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড বাতাসের জলীয় বাষ্প ও অক্সিজেনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে অ্যাসিড তৈরি করে। এই অ্যাসিড বৃষ্টির মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠে পতিত হলে তাকে অ্যাসিড বৃষ্টি বা অম্লবৃষ্টি বলে।
10. গ্রিনহাউস কী?
উত্তর :শীতপ্রধান দেশে তীব্র শীত থেকে উদ্ভিদকে বাঁচানোর জন্য একপ্রকার কাচের ঘর তৈরি করা হয়। এই কাচের ঘরেসূর্য থেকে আগত সৌরকিরণ ক্ষুদ্রতরঙ্গরূপে সহজেই প্রবেশ করলেও ঘরের ভিতর থেকে দীর্ঘতরঙ্গ রূপে সৌরকিরণ সহজে বেরিয়ে আসতে পারে না। এর ফলে কাচের ঘরটি নির্দিষ্ট উন্নতা প্রাপ্ত হয় এবং উদ্ভিদরা বেঁচে থাকতে পারে। এই কাচের ঘরকে গ্রিনহাউস বা সবুজ ঘর বলে।
11. বিশ্বউন্নায়ন কাকে বলে?
উত্তর :সারা পৃথিবীব্যাপী বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসগুলি, যেমন-কার্বন ডাইঅক্সাইড, ক্লোরোফ্লুয়োরোকার্বন, নাইট্রাস অক্সাইড, মিথেন, জলীয় বাষ্প প্রভৃতির পরিমাণ বৃদ্ধির ফলে পৃথিবীর গড় উন্নতা (15°C) বৃদ্ধি পাচ্ছে। ক্রমাগত পৃথিবীর উন্নতা বৃদ্ধিকে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বিশ্বউন্নায়ন বলে।
12. বায়ুদূষক কাকে বলে?
উত্তর :যে সমস্ত জৈব ও অজৈব উপাদান বাতাসকে দূষিত করে, সেই সকল উপাদানকে বায়ুদূষক বলে।
13. প্রকৃতিতে মিথেন গ্যাসের উৎস কী?
উত্তর :মৃত উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহাবশেষ, গোরু-মহিষের মলমূত্র, ধানখেত, জলাভূমি থেকে মিথেন গ্যাসের উৎপত্তি হয়। এই মিথেন গ্যাসের উপস্থিতিতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে।
14. পরিবেশে কার্বন মনোক্সাইড কীভাবে উৎপন্ন হয়?
উত্তর :যানবাহনের ধোঁয়া, দাবানল, কৃষিজ বর্জ্যপদার্থের দহন, বিভিন্ন কারখানা ও তৈল শোধনাগারগুলি থেকে কার্বন মনোক্সাইড উৎপন্ন হয়।
15. CFC গ্যাস কী কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়?
উত্তর :CFC বা ক্লোরোফ্লুয়োরোকার্বন গ্যাস প্রধানত হিমায়ন যন্ত্র (ফ্রিজ), শীতাতাপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র, স্প্রে ক্যান, নমনীয় ফোম, পিচ্ছিলকারক তেল প্রভৃতি কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়।
16. অ্যাসিড বৃষ্টির প্রভাবে কী হয়?
উত্তর :অ্যাসিড বৃষ্টি উদ্ভিদ ও প্রাণীকুলের ওপর নানাভাবে প্রভাব বিস্তার করে। যেমন-① অম্লবৃষ্টি জলাশয়কে দূষিত করে, এর ফলে জলজ প্রাণীর মৃত্যু ঘটে। ② মানুষের চর্মরোগ দেখা দেয়।③ মাটিকে দূষিত করে এবং মাটির উর্বরতা হ্রাস পায়। ④ মারবেল পাথরে তৈরি মূর্তি, সৌধ (তাজমহল, ভিক্টোরিয়া), ইস্পাতের তৈরি ব্রিজের ক্ষতি হয়।
👉Paid Answer (For
Membership User)
বায়ুদূষণ
----------------------
1. সূর্য থেকে আগত ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মিকে শোষণ করে—-
2. হাইড্রোজেন স্তর
3.ওজোন স্তর ✔
2.সোডিয়াম ক্লোরাইড
3.মিথেন
2.শীতকালে ✔
3.শরৎকালে
2. শব্দদূষণ
3. মাটিদূষণ
2.CFC ✔
3.NO2
2. গ্রিনহাউস গ্যাস-কে ✔
3. হাইড্রোজেন গ্যাস-কে
2. তৈল খনি
3. কলকারখানার ধোঁয়া ✔
2. শিল্প ✔
3. পশুচারণ
2. 15 ডিগ্রি সেলসিয়াস ✔
3.25 ডিগ্রি সেলসিয়াস
2. স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে ✔
3.আয়নোস্ফিয়ারে
2. কার্বন ডাইঅক্সাইড
3.সালফার ডাইঅক্সাইড
2.সিসা
3. ক্যাডমিয়াম
2. অক্সিজেন ✔
3.কার্বন ডাইঅক্সাইড
2. বৃদ্ধদের
3. যুবকদের
2. অপ্রচলিত শক্তি ব্যবহার করে ✔
3.পরিবেশ দিবস পালন করে
2.অতিবৃষ্টি
3.খরা
উত্তর:শুদ্ধ
উত্তর:শুদ্ধ
উত্তর:অশুদ্ধ
উত্তর:শুদ্ধ
উত্তর:শুদ্ধ
সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।
উত্তর:শুদ্ধ
উত্তর:শুদ্ধ
উত্তর:অশুদ্ধ
উত্তর:অশুদ্ধ
উত্তর:শুদ্ধ
উত্তর: . ফুকুসিমা
উত্তর: ওজোন স্তর
উত্তর:. ক্লোরোফ্লুয়োরো
উত্তর:কার্বন ডাইঅক্সাইড
উত্তর: সিগারেট
উত্তর: ক্লোরোফিল
উত্তর: এরোসল
উত্তর: তেজস্ক্রিয়
উত্তর: পরাগরেণু
উত্তর: অ্যাসিড বৃষ্টি
উত্তর: ক্লোরোফ্লুয়োরোকার্বন
উত্তর:. ক্লোরোফ্লুয়োরোকার্বন
উত্তর: বায়ু
উত্তর:সিডনি
উত্তর: অক্সিজেন।
উত্তর: কার্বন মনোক্সাইড।
উত্তর: প্রায় 10 লক্ষ কিলোগ্রাম।
উত্তর: মাথা ঝিমঝিম করে।
উত্তর: ক্যানসার।
উত্তর: জাপানের ফুকুসিমায়।
উত্তর: মুখে রুমাল দেওয়া উচিত।
উত্তর: বায়ুদূষক।
উত্তর: ক্লোরোফ্লুয়োরোকার্বন।
উত্তর: কার্বন ডাইঅক্সাইড।
উত্তর: 2007 খ্রিস্টাব্দের 31 মার্চ।
উত্তর: অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে।
উত্তর: সালফার ডাইঅক্সাইড।
উত্তর: কার্বন ডাইঅক্সাইড।
উত্তর: অ্যান্টার্কটিকাতে।
উত্তর: ডবসন।
উত্তর: ৪১টি।
উত্তর: কার্বন ডাইঅক্সাইড।
উত্তর: নাইট্রোজেন অক্সাইড।
উত্তর বায়ুদূষণ সম্পর্কে বিভিন্ন বিজ্ঞানী বিভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন। 1961 খ্রিস্টাব্দে বিশ্ব-স্বাস্থ্য WHO
(World Health Organisation)-এর মতে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্যে ক্ষতিকর পদার্থের সমাবেশ যখন মানুষ ও তার পরিবেশের ক্ষতিসাধন করতে থাকে, তখন সেই অবস্থাকে বায়ুদূষণ বলে।
উত্তর : মানুষ প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে বায়ুকে দূষিত করে। মানুষের দ্বারা বায়ুদূষিত হলে তাকে মনুষ্যসৃষ্ট বা কৃত্রিম বায়ুদূষণ বলে। এই দূষণের উৎসগুলি হল-① জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও নগরায়ণ, শিল্পায়ন, কৃষিক্ষেত্রে কীটনাশকের ব্যবহার,④ যানবাহনের ধোঁয়া, গৃহস্থালির বর্জ্য, ⑥ তেজস্ক্রিয় বিস্ফোরণ, তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র, ফ্রিজের ব্যবহার, বৃক্ষচ্ছেদন প্রভৃতি।
উত্তর : প্রধানত শীতকালে ধোঁয়া ও কুয়াশা একত্রে মিশে যে আলো-আঁধারের পরিবেশ সৃষ্টি হয়, তাকে ধোঁয়াশা বলে। কলকারখানা সমৃদ্ধ শহরাঞ্চলে যানবাহনের ধোঁয়া ও কলকারখানার ধোঁয়া প্রভৃতি উৎস থেকে নির্গত হয় নাইট্রোজেন অক্সাইড ও হাইড্রোকার্বন গ্যাস। এই গ্যাসগুলি সূর্যরশ্মির সঙ্গে বিক্রিয়া করে ধোঁয়াটে পরিবেশ সৃষ্টি করে, যাকে ধোঁয়াশা বলে। এটি প্রধানত শীতকালে বেশি দেখা যায়।
উত্তর :কলকারখানা ও যানবাহনসমৃদ্ধ জনবহুল শহরাঞ্চলে যে ধোঁয়াটে পরিবেশের সৃষ্টি হয়, তাকে এককথায় ধোঁয়াশা বলে। মানুষের ওপর এর প্রভাবগুলি হল-① চোখ ও নাক জ্বালা করে, ও হাঁচি ও কাশির সৃষ্টি হয়, ও শ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্ট বা বুকের সমস্যা দেখা দেয় প্রভৃতি।
উত্তর :উদ্ভিদের ওপর ধোঁয়াশার প্রভাব: উদ্ভিদের ওপর ধোঁয়াশার প্রভাবগুলি হল-① শাকসবজির ক্ষতিসাধন হয়। ② গাছের পাতার ওপর সাদা রঙের দাগ সৃষ্টি হয়। পাতা কুঁকড়ে যায়। গাছের সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। ⑤ সরলবর্গীয় বনভূমির ক্ষতি হয়।
উত্তর :বায়ুদূষণ করে এমন কয়েকটি গ্যাস হল-কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO₂), ② কার্বন মনোক্সাইড (CO), ③ হাইড্রোকার্বন (HC), ④ নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড (NO₂), সালফার ডাইঅক্সাইড (SO₂), (CH₁) প্রভৃতি। মিথেন
উত্তর :বায়ুমণ্ডলে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরের ওপরের অংশে ওজোন স্তর অবস্থান করে। ওজোন গ্যাস (O₃) বায়ুমণ্ডলে • খুব কম পরিমাণে রয়েছে। এই স্তরটি সূর্য থেকে আগত ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মিকে শোষণ করে জীবকুলকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করে। এই জন্য ওজোনস্তরকে 'প্রাকৃতিক সৌরপর্দা' বলে।
উত্তর :যানবাহন, কলকারখানার ধোঁয়ায় থাকা কার্বন মনোক্সাইড, কার্বন ডাইঅক্সাইড, সালফার ডাইঅক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড বাতাসের জলীয় বাষ্প ও অক্সিজেনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে অ্যাসিড তৈরি করে। এই অ্যাসিড বৃষ্টির মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠে পতিত হলে তাকে অ্যাসিড বৃষ্টি বা অম্লবৃষ্টি বলে।
উত্তর :শীতপ্রধান দেশে তীব্র শীত থেকে উদ্ভিদকে বাঁচানোর জন্য একপ্রকার কাচের ঘর তৈরি করা হয়। এই কাচের ঘরেসূর্য থেকে আগত সৌরকিরণ ক্ষুদ্রতরঙ্গরূপে সহজেই প্রবেশ করলেও ঘরের ভিতর থেকে দীর্ঘতরঙ্গ রূপে সৌরকিরণ সহজে বেরিয়ে আসতে পারে না। এর ফলে কাচের ঘরটি নির্দিষ্ট উন্নতা প্রাপ্ত হয় এবং উদ্ভিদরা বেঁচে থাকতে পারে। এই কাচের ঘরকে গ্রিনহাউস বা সবুজ ঘর বলে।
উত্তর :সারা পৃথিবীব্যাপী বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসগুলি, যেমন-কার্বন ডাইঅক্সাইড, ক্লোরোফ্লুয়োরোকার্বন, নাইট্রাস অক্সাইড, মিথেন, জলীয় বাষ্প প্রভৃতির পরিমাণ বৃদ্ধির ফলে পৃথিবীর গড় উন্নতা (15°C) বৃদ্ধি পাচ্ছে। ক্রমাগত পৃথিবীর উন্নতা বৃদ্ধিকে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বিশ্বউন্নায়ন বলে।
উত্তর :যে সমস্ত জৈব ও অজৈব উপাদান বাতাসকে দূষিত করে, সেই সকল উপাদানকে বায়ুদূষক বলে।
উত্তর :মৃত উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহাবশেষ, গোরু-মহিষের মলমূত্র, ধানখেত, জলাভূমি থেকে মিথেন গ্যাসের উৎপত্তি হয়। এই মিথেন গ্যাসের উপস্থিতিতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে।
উত্তর :যানবাহনের ধোঁয়া, দাবানল, কৃষিজ বর্জ্যপদার্থের দহন, বিভিন্ন কারখানা ও তৈল শোধনাগারগুলি থেকে কার্বন মনোক্সাইড উৎপন্ন হয়।
উত্তর :CFC বা ক্লোরোফ্লুয়োরোকার্বন গ্যাস প্রধানত হিমায়ন যন্ত্র (ফ্রিজ), শীতাতাপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র, স্প্রে ক্যান, নমনীয় ফোম, পিচ্ছিলকারক তেল প্রভৃতি কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়।
উত্তর :অ্যাসিড বৃষ্টি উদ্ভিদ ও প্রাণীকুলের ওপর নানাভাবে প্রভাব বিস্তার করে। যেমন-① অম্লবৃষ্টি জলাশয়কে দূষিত করে, এর ফলে জলজ প্রাণীর মৃত্যু ঘটে। ② মানুষের চর্মরোগ দেখা দেয়।③ মাটিকে দূষিত করে এবং মাটির উর্বরতা হ্রাস পায়। ④ মারবেল পাথরে তৈরি মূর্তি, সৌধ (তাজমহল, ভিক্টোরিয়া), ইস্পাতের তৈরি ব্রিজের ক্ষতি হয়।