Chapter 11
মিলের পরীক্ষণমূলক পদ্ধতি
-----------------------------
MCQs
1. প্রথম অপনয় সূত্রের ওপর কোন পদ্ধতি প্রতিষ্ঠিত।
(a) অন্বয়ী পদ্ধতি
(b) ব্যতিরেকী পদ্ধতি
(c) মিশ্র পদ্ধতি
(d) সহপরিবর্তন পদ্ধতি
উত্তর : (a) অন্বয়ী পদ্ধতি
2. দ্বিতীয় অপনয় সূত্রের ওপর কোন্ পদ্ধতি প্রতিষ্ঠিত।
(a) অন্বয়ী পদ্ধতি
(b) ব্যতিরেকী পদ্ধতি c
(c) অন্বয়-বাতিরেকী পদ্ধতি
(d) পরিশেষ পদ্ধতি
উত্তর :
3. তৃতীয় অপনয় সূত্রের ওপর কোন্ পদ্ধতি প্রতিষ্ঠিত।
(a) অন্বয়ী পদ্ধতি
(b) ব্যতিরেকী পদ্ধতি
(c) সহপরিবর্তন পদ্ধতি
(d) পরিশেষ পদ্ধতি
উত্তর : (c) সহপরিবর্তন পদ্ধতি
4 চতুর্থ অপনয় সূত্রের ওপর কোন পদ্ধতি প্রতিষ্ঠিত।
(a) অন্বয়-ব্যতিরেকী পদ্মতি
(b) ব্যতিরেকী পদ্ধতি
(c) পরিশেষ পদ্ধতি
(d) অন্বয়ী পদ্ধতি
উত্তর : (c) পরিশেষ পদ্ধতি
5. অপসারণ সূত্রগুলির ভিত্তি কী?
(a) কারণের নিয়ম
(b) কার্যের নিয়ম
(c) কার্যকারণ নিয়ম
(d) পরীক্ষণের নিয়ম
উত্তর : (c) কার্যকারণ নিয়ম
6. পদ্ধতিগুলিকে আবিষ্কারের জন্য মিল কার কাছে ঋণী।
(a) বেকনের কাছে
(b) বেনের কাছে
(c) জোসেফের কাছে
(d) হোয়েলের কাছে
উত্তর : (a) বেকনের কাছে
8. আরোহ পদ্ধতিগুলি কোন্ সূত্রের ওপর প্রতিষ্ঠিত?
(a) অপনয়
(b) উপনয়
(c) নিগমন
(d) অনুগমন
উত্তর : (a) অপনয়
9. পাঁচটি পদ্ধতির মধ্যে মৌল পদ্ধতি হল সংখ্যায়-
(a) তিনটি
(b) চারটি
(c) দুটি
(d) একটি
উত্তর : (c) দুটি
10. অপনয় সূত্রগুলি সংখ্যায় মোট–
(a) দুটি
(b) চারটি
(c) তিনটি
(d) পাঁচটি
উত্তর : (b) চারটি
11. মিলের পাঁচটি পদ্ধতির মধ্যে মৌল পদ্ধতি হল–
(a) অন্বয়ী ও ব্যতিরেকী
(b) ব্যতিরেকী ও মিশ্র
(c) মিশ্র ও সহপরিবর্তন
(d) সহপরিবর্তন ও পরিশেষ
উত্তর : (a) অন্বয়ী ও ব্যতিরেকী
12. যে যুক্তিবিজ্ঞানী পরীক্ষণমূলক আরোহ পদ্ধতির প্রবর্তন করেন, তিনি হলেন ।
(a) বেন
(b) কোয়াইন
(c) মিল
(d) জোসেফ
উত্তর : (c) মিল
13. আবিষ্কারের পদ্ধতিরূপে কোন্ পদ্ধতি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
(a) অন্বয়ী পদ্ধতি
(b) ব্যতিরেকী পদ্ধতি
(c) সহপরিবর্তন পদ্ধতি
(d) অন্বয়-ব্যতিরেকী পদ্ধতি
উত্তর : (a) অন্বয়ী পদ্ধতি
14. অন্বয়ী পদ্ধতিকে কেন পর্যবেক্ষণমূলক পদ্ধতি বলা হয়।
(a) হয় বলে অনুমানকে পর্যবেক্ষণ করা হয় বলে
(b) পর্যবেক্ষণের সাহায্যে দৃষ্টান্তগুলি সংগৃহীত হয় বলে
(c) কার্যকারণ সম্বন্ধকে পর্যবেক্ষণ করা
(d) পর্যবেক্ষণকে নিশ্চিত ধরা হয় বলে
উত্তর : (a) হয় বলে অনুমানকে পর্যবেক্ষণ করা হয় বলে
15. অন্বয়ী পদ্ধতির প্রকৃতিগত অসম্পূর্ণতা কী?
(a) অন্বয়ী পদ্ধতির দৃষ্টান্ত অসংখ্য হল অন্বয়ী পদ্ধতির প্রকৃতিগত অসম্পূর্ণতা
(b) অন্বয়ী পদ্ধতির প্রকৃতিতে বহুকারণবাদের বীজ লুক্কায়িতই হল তার প্রকৃতিগত অসম্পূর্ণতা
(c) অন্বয়ী পদ্ধতির প্রকৃতিতে নিশ্চয়তার অভাবই হল তার অসম্পূর্ণতা
(d) অন্বয়ী পদ্ধতির প্রকৃতিতে সম্ভাব্যতার বিষয়টিই হল তার অসম্পূর্ণতা
উত্তর : (b) অন্বয়ী পদ্ধতির প্রকৃতিতে বহুকারণবাদের বীজ লুক্কায়িতই হল তার প্রকৃতিগত অসম্পূর্ণতা
16. অন্বয়ী পদ্ধতির ব্যাবহারিক অসম্পূর্ণতা কী?
(a) প্রকৃত কারণের অপর্যবেক্ষণের সম্ভাবনা
(b) সমস্ত দৃষ্টান্তের অপর্যবেক্ষণের সম্ভাবনা
(c) কার্যকারণ সম্বৎ অপ্রমাণের সম্ভাবনা
(d) কার্যকারণ সম্বন্ধে মিথ্যা অনুমানের সম্ভাবনা
উত্তর : (a) প্রকৃত কারণের অপর্যবেক্ষণের সম্ভাবনা
17. কারণ থেকে কার্য ও কার্য থেকে কারণ অনুমান করা যায় মিলের যে আরোহমূলক পদ্ধতিতে সেটি হল-
(a) অন্বয়ী পদ্ধতি
(b) ব্যতিরেকী পদ্ধতি
(c) সহপরিবর্তন পদ্ধতি
(d) পরিশেষ পদ্ধতি
উত্তর : (a) অন্বয়ী পদ্ধতি
18. মিল যে পদ্ধতিকে 'প্রধানত আবিষ্কারের পদ্ধতি, প্রমাণের পদ্ধতি নয়' বলেছেন তা হল-
(a) অন্বয়ী পদ্ধতি
(b) ব্যতিরেকী পদ্ধতি
(c) সহপরিবর্তন পদ্ধতি
(d) পরিশেষ পদ্ধতি
উত্তর : (a) অন্বয়ী পদ্ধতি
19. মিলের অন্বয়ী পদ্ধতির অপপ্রয়োগ ঘটলে যে দোষটি হয়, সেটি হল-
(a) কাকতালীয় দোষ
(b) অবৈধ সামান্যীকরণ দোষ
(c) সহকার্যকে কারণ বলার দোষ
(d) মন্দ উপমা দোষ
উত্তর : (b) অবৈধ সামান্যীকরণ দোষ
20. মিলের অন্বয়ী পদ্ধতির অপপ্রয়োগ ঘটলে যে দোষটি হয়, সেটি হল-
(a) কাকতালীয় দোষ
(b) অবৈধ সামান্যীকরণ দোষ
(c) সহকার্যকে কারণ বলার দোষ
(d) মন্দ উপমা দোষ
উত্তর : (b) অবৈধ সামান্যীকরণ দোষ
1.ব্যতিরেকী পদ্ধতির সুবিধাগুলি লেখো।
উত্তর: ব্যতিরেকী পদ্ধতির সুবিধা
ব্যতিরেকী পদ্ধতি প্রমাণমূলক পদ্ধতি বলে তার কতকগুলি সুবিধা রয়েছে। এই সমস্ত সুবিধাগুলি হল-
[1] পরীক্ষণযোগ্যতার সুবিধা: ব্যতিরেকী পদ্ধতি মূলত পরীক্ষণমূলক পদ্ধতি। সেজন্যই এই পদ্ধতিতে পরীক্ষণের সুযোগসুবিধাগুলি আছে। সেজন্য এই পদ্ধতির সাহায্যে যে সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠা করা হয়, তা কখনোই সম্ভাব্য নয়, তা সুনিশ্চিত। এই পদ্ধতিটি তাই সঠিকভাবেই কার্যকারণ সম্বন্ধ প্রতিষ্ঠা করতে পারে।
[2] সহজ ও সরল পদ্ধতির সুবিধা: ব্যতিরেকী পদ্ধতি হল একটি অত্যন্ত সহজ ও সরল পদ্ধতি। সেইজন্যই এই পদ্ধতি প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে কোনো ঝামেলা থাকে না। কারণ, এখানে মাত্র দুটি দৃষ্টান্ডের প্রয়োজন হয়। এই ণর দুটি দৃষ্টান্তের একটি হল সদর্থক দৃষ্টান্ত এবং অন্যটি হল নঞর্থক দৃষ্টান্ত। এদের মধ্যে যে বিষয়ে ব্যতিরেক বা অমিল, তাকেই আলোচ্য ঘটনার কারণ বা কার্য রূপে অভিহিত করা হয়। এই পদ্ধতিটিকে তাই সাধারণ মানুষ অত্যন্ত সহজেই প্রয়োগ করতে পারে।
[3] প্রমাণযোগ্যতার সুবিধা: তর্কবিদ মিল (Mill) ব্যতিরেকী পদ্ধতিকে প্রমাণের পদ্ধতি (method of proof) রূপে অভিহিত করেছেন। অন্বয়ী পদ্ধতি অথবা অন্যান্য পদ্ধতি প্রয়োগ করে যে সমস্ত সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়, অনেক সময় সেই সমস্ত সিদ্ধান্তকে প্রমাণ বা যাচাই করতে হলে ব্যতিরেকী পদ্ধতির ওপরই নির্ভর করতে হয়। সেই কারণেই প্রমাণের পদ্ধতি হিসেবে ব্যতিরেকী পদ্ধতির মূল্যটিকে কখনোই অস্বীকার করা যায় না।
[4] বহুকারণবাদ থেকে মুক্ত হওয়ার সুবিধা: অন্যান্য পদ্ধতির ক্ষেত্রে, বিশেষ করে অন্বয়ী পদ্ধতির ক্ষেত্রে প্রাপ্ত সিদ্ধান্তটি অনেক সময় বহুকারণবাদের দোষে দুষ্ট হতে পারে। কিন্তু ব্যতিরেকী পদ্ধতির মাধ্যমে প্রাপ্ত সিদ্ধান্ত কখনোই বহুকারণবাদের পথটিকে প্রশস্ত করে না। এরূপ পদ্ধতি সবসময়ই একটি নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠা করে এবং যথাযথভাবে কার্যকারণ সম্বন্ধটিকে নির্দেশ করে। ব্যতিরেকী পদ্ধতিটি তাই বহুকারণের সম্ভাবনা থেকে মুক্ত।
[5] সর্বশ্রেষ্ঠ প্রমাণ পদ্ধতির সুবিধা: সর্বশ্রেষ্ঠ প্রমাণ পদ্ধতি রূপে ব্যতিরেকী পদ্ধতিকেই উল্লেখ করেছেন তর্কবিদ মিল (Mill)। কারণ, অন্যান্য পদ্ধতির মাধ্যমে সিদ্ধান্তে যে কার্যকারণ সম্বন্ধ প্রতিষ্ঠা করা হয়, তাকে পরীক্ষণের সাহায্যে প্রমাণ করে ব্যতিরেকী পদ্ধতিই। সেকারণে এরূপ পদ্ধতিটিকেই সর্বশ্রেষ্ঠ প্রমাণ পদ্ধতি বলা হয়।
2.ব্যতিরেকী পদ্ধতির অসুবিধাগুলি লেখো।
উত্তর: ব্যতিরেকী পদ্ধতির অসুবিধা
ব্যতিরেকী পদ্ধতির ক্ষেত্রে উপরিউক্ত সুবিধাগুলি থাকলেও তার কতকগুলি দোষ বা ত্রুটি আছে। ব্যতিরেকী পদ্ধতির এই সমস্ত দোষ বা ত্রুটির পরিপ্রেক্ষিতে যে সমস্ত অসুবিধার সৃষ্টি হয় সেগুলিকে নীচে উল্লেখ করা হল:
[1] সীমিত প্রয়োগের অসুবিধা: ব্যতিরেকী পদ্ধতি মূলত পরীক্ষণমূলক পদ্ধতি। সেকারণেই পরীক্ষণমূলক পদ্ধতির যাবতীয় সীমাবদ্ধতা এই পদ্ধতির মধ্যে দেখা যায়। আমরা জানি, পরীক্ষণের ক্ষেত্র অত্যন্ত সংকীর্ণ। সুতরাং, যে সমস্ত ক্ষেত্রে পরীক্ষণ সম্ভব নয়, সেই সমস্ত ক্ষেত্রে কার্যকারণ সম্পর্ক নির্ণয়ের জন্য পরীক্ষণমূলক পদ্ধতি হিসেবে ব্যতিরেকী পদ্ধতির প্রয়োগও সম্ভব নয়। অতএব দেখা যায় যে, অন্যান্য পদ্ধতিগুলির তুলনায় ব্যতিরেকী পদ্ধতির প্রয়োগক্ষেত্রও অত্যন্ত সীমিত।
[2] একমুখী পদ্ধতির অসুবিধা: ব্যতিরেকী পদ্ধতি পরীক্ষণ নির্ভর হওয়ায় আমরা কারণ থেকে কার্যে যেতে পারি; কিন্তু কার্য থেকে কখনোই কারণে আসতে পারি না। আমরা সম্ভাব্য কারণের সাথে কিছু যোগ বা বিয়োগ করে আলোচ্য ঘটনার কারণ নির্ণয় করতে পারি। কিন্তু কার্যের সঙ্গে কিছু যোগ বা বিয়োগ করতে পারি না। ব্যতিরেকী পদ্ধতি অনুসারে কোনো কার্যের কারণ আবিষ্কার করতে হলে সেই কার্যের কিছু কল্পিত কারণকে গ্রহণ করতে হয়। কিন্তু এরূপ কল্পিত কারণ দ্বারা কার্যটি সম্পন্ন হয় কি না-তা পরীক্ষণের মাধ্যমে দেখতে হয়। কিন্তু এ ধরনের কারণ কল্পনা করা কোনো প্রমাণ পদ্ধতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
[3] কারণ ও শর্তের পার্থক্যহীনতার অসুবিধা: ব্যতিরেকী পদ্ধতির মাধ্যমে আমরা কারণ এবং শর্তের মধ্যে পার্থক্য করতে ব্যর্থ হই। কারণ, এই পদ্ধতি প্রমাণ করার চেষ্টা করে যে, অগ্রবর্তী কোনো ঘটনা হল অনুবর্তী কোনো ঘটনার কারণ। কিন্তু অভিজ্ঞতার মাধ্যমে দেখা গেছে যে, অনেক সময় অগ্রবর্তী ঘটনাটি কারণ না হয়ে কারণের একটি অংশ বা শর্তরূপে গণ্য হয়। উদাহরণস্বরূপ, মশলামুড়ির ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম মশলা লবণবিহীন মুড়িতে দিলে তা কখনোই সুস্বাদু হয় না। কিন্তু লবণ দিলেই তা সুস্বাদু হয়ে ওঠে। তাহলে সেক্ষেত্রে যদি ব্যতিরেকী পদ্ধতি প্রয়োগ করে বলা হয় যে, লবণই হল মশলামুড়ি সুস্বাদু হওয়ার কারণ-তাহলে তা ভুল হবে। কারণ, সেক্ষেত্রে একটি শর্তকে কারণরূপে উল্লেখ করা হয়, যা আদৌ যুক্তিসংগত নয়।
[4] কাকতালীয় পদ্ধতি: অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে0 যদি প্রয়োগ না করা যায়, তাহলে ব্যতিরেকী পদ্ধতির প্রয়োগের ফলে কাকতালীয় দোষের উদ্ভব ঘটে। এই কাকতালীয় দোষের ফলে অবান্তর কোনো পূর্ববর্তী ঘটনাকে কারণরূপে উল্লেখ করা হয়-যা একটি পরীক্ষণমূলক পদ্ধতি হিসেবে ব্যতিরেকী পদ্ধতির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়।
3.ব্যতিরেকী পদ্ধতিটি অপসারণের কোন্ নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত? ব্যতিরেকী পদ্ধতির সূত্রটিকে উল্লেখ করো।
উত্তর: অপসারণের দ্বিতীয় সূত্রের ওপর প্রতিষ্ঠিত ব্যতিরেকী পদ্ধতি
ব্যতিরেকী পদ্ধতিটি অপসারণের দ্বিতীয় সূত্রের ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত। অর্থাৎ, কোনো ঘটনাকে অপসারণ বা বর্জন করলে যদি কার্যটি ঘটার ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা হয়, তাহলে সেই ঘটনাটি কারণ বা কারণের অংশরূপে বিবেচিত। দুটি দৃষ্টান্তের মধ্যে একটি মাত্র বিষয়ের অমিল বা ব্যতিরেকের ওপর নির্ভর করেই এরূপ পদ্ধতিটির সাহায্যে কার্যকারণ সম্পর্কটিকে প্রতিষ্ঠা করা হয়। অর্থাৎ, একটি মাত্র বিষয়ের ব্যতিরেকের মাধ্যমে কার্যকারণ সম্পর্কটিকে নির্ণয় করার চেষ্টা করা হয় বলে এরূপ পদ্ধতিটিকে বলা হয় ব্যতিরেকী পদ্ধতি।
কতকগুলি পরিপ্রেক্ষিতে
তর্কবিদ মিল (J.S. Mill) ব্যতিরেকী পদ্ধতির সূত্রটি যেভাবে উল্লেখ করেছেন, তা হল: যে দৃষ্টান্তে বিচার্য ঘটনাটি উপস্থিত আছে এবং যে দৃষ্টান্তে ওই ঘটনাটি উপস্থিত নেই, তাদের মধ্যে একটি ছাড়া আর সব ব্যাপারেই যদি মিল থাকে, তাহলে যে ব্যাপার প্রথম দৃষ্টান্তে উপস্থিত আছে এবং দ্বিতীয় দৃষ্টান্তে অনুপস্থিত আছে, সেটি বিচার্য ঘটনার কারণ অথবা কার্য অথবা কারণের অপরিহার্য অংশরূপে বিবেচিত।
অর্থাৎ, পারিপার্শ্বিক অবস্থাসমূহ একরকম থাকলেও, যদি কোনো ঘটনাকে সরিয়ে নিলে অন্য একটি ঘটনাও সরে যায় এবং সেটি হাজির করলে ওই ঘটনাটিও আবার এসে হাজির হয়, তাহলে বুঝতে হবে যে, ওই দুটি ঘটনার মধ্যে একপ্রকার কার্যকারণ সম্বন্ধ আছে।
ব্যতিরেকী পদ্ধতির দুটি রূপ
ব্যতিরেকী পদ্ধতির দুটি রূপ
দেখা যায়। [1] অগ্রবর্তী বা পূর্ববর্তী ঘটনাগুলি থেকে কোনো ঘটনা বাদ দিলে, অনুবর্তী
ঘটনার ক্ষেত্রেও কিছু বাদ পড়ে যায়। [2] পূর্ববর্তী ঘটনার সঙ্গে কিছু নতুন ঘটনা যুক্ত করার ফলে লক্ষ
করা যায় যে, অনুবর্তী ঘটনার ক্ষেত্রেও সঙ্গে সঙ্গে নতুন কোনো বিষয় যুক্ত
হয়ে যায়।
সাংকেতিক উদাহরণ 1 |
.:
A হল a-এর কারণ। |
ব্যাখ্যা: এখানে
সদর্থক ও নঞর্থক দুটি দৃষ্টান্ত আছে। সদর্থক দৃষ্টান্তে পূর্ববর্তী ঘটনাতে A আছে এবং
সঙ্গে সঙ্গে অনুবর্তী ঘটনাতেও এ আছে। আবার দেখা যায় যে, নঞর্থক
দৃষ্টান্তে পূর্ববর্তী ঘটনাতে A নেই, সঙ্গে সঙ্গে অনুবর্তী ঘটনাতেও এ নেই। অথচ অন্যান্য
পারিপার্শ্বিক ঘটনাগুলি একই আছে। সুতরাং, বলা যায় যে, এ হল a -এর কারণ।
সাংকেতিক উদাহরণ 2 |
.:
A হল -এর
কারণ। |
ব্যাখ্যা: এখানে নঞর্থক ও সদর্থক দুটি দৃষ্টান্ত আছে। নঞর্থক দৃষ্টান্তের পূর্ববর্তী ঘটনায় A নেই এবং সঙ্গে সঙ্গে অনুবর্তী ঘটনাতেও a নেই। কিন্তু সদর্থক দৃষ্টান্তের পূর্ববর্তী ঘটনাতে A আছে এবং সঙ্গে সঙ্গে অনুবর্তী ঘটনাতেও a আছে। অথচ অন্যান্য পারিপার্শ্বিক অবস্থাগুলি একই আছে। সুতরাং, বলা যায় যে, A হল a -এর কারণ।4 অন্বয়-ব্যতিরেকী পদ্ধতির অসুবিধা বা দোষগুলি লেখো।
অন্বয়-ব্যতিরেকী পদ্ধতির অসুবিধা বা দোষ
অন্বয়-ব্যতিরেকী পদ্ধতিটি কখনও একটি নির্দোষ পদ্ধতিরূপে গণ্য নয়। পর্যবেক্ষণলব্ধ পদ্ধতিরূপে গণ্য হওয়ায় এর মধ্যে কতকগুলি পর্যবেক্ষণমূলক দোষ দেখা যায়। অন্বয়-ব্যতিরেকী পদ্ধতির এই সমস্ত দোষগুলিকে নীচে উল্লেখ করা হল:
[1] অনিশ্চিত পদ্ধতি: পর্যবেক্ষণলব্ধ পদ্ধতি বলে এই পদ্ধতির মধ্যে পর্যবেক্ষণের যেসমস্ত অসুবিধা আছে, সেগুলি যথারীতি উপস্থিত। এই পদ্ধতিটিকে আমরা কখনোই সুনিশ্চিত বলে প্রমাণ করতে পারি না। এই পদ্ধতির মধ্যে প্রাপ্ত সিদ্ধান্তটি তাই সবসময়ই সম্ভাব্য বলে বিবেচিত, কখনোই নিশ্চিতরূপে গণ্য নয়।
[2] পর্যবেক্ষণ পর্যবেক্ষণের অভাব: অন্বয়-ব্যতিরেকী পদ্ধতির মাধ্যমে প্রাপ্ত সিদ্ধান্তটি অনেক সময় ব্যাবহারিক দোষে দুষ্ট হতে পারে। কারণ, এই পদ্ধতির ক্ষেত্রেও আলোচ্য ঘটনার কারণ অন্বেষণ করার সময় যেসমস্ত পূর্ববর্তী ঘটনাসমূহকে পর্যবেক্ষণ করা উচিত ছিল বলে মনে হয়, তার সবগুলিকেই যে পর্যবেক্ষণ করা গেছে-এমন দাবি কখনোই করা যায় না। ফলত এক্ষেত্রেও অপর্যবেক্ষণমূলক দোষের সম্ভাবনাও থেকে যায়।
[3] সহকার্যের সম্পর্ক থেকে পৃথক করার অসুবিধা: এই পদ্ধতিটি কার্যকারণকে সহাবস্থানের সম্পর্ক থেকে পরিষ্কারভাবে পৃথক করতে পারে না। কারণ, এক্ষেত্রে এমন কোনো সূত্র বা নিয়ম দেখা যায় না যার মাধ্যমে এরূপ পৃথকীকরণ করা সম্ভব। যে দুটি ঘটনা একসঙ্গে ঘটে, তাদের মধ্যে কার্যকারণ সম্পর্ক যে থাকবেই-এমন বলা যায় না। কারণ, তাদের সম্পর্কটি সহকার্যের সম্পর্কযুক্ত হতেও পারে। একই কারণ থেকে সৃষ্ট দুটি কার্যকে সহকার্য রূপে উল্লেখ করা হয়। আর যে বিষয় দুটি সহকার্যের সম্পর্কে আবদ্ধ, তাদের মধ্যে কার্যকারণ সম্পর্ক নির্ণয় করা একেবারেই অযৌক্তিক।
[4] ধৈর্যচ্যুতির সম্ভাবনা: অন্বয়-ব্যতিরেকী পদ্ধতির ক্ষেত্রে সদর্থক এবং নঞর্থক
দৃষ্টান্তগুচ্ছের প্রয়োজন হয় বলে তার প্রয়োগের ক্ষেত্রে অনেক ধৈর্য ও একনিষ্ঠতার
প্রয়োজন হয়। একাগ্রতাপূর্ণ চিত্তে যদি ধৈর্য ধরে দৃষ্টান্তগুচ্ছকে সংগ্রহ না করা
যায়, তাহলে তার মাধ্যমে প্রাপ্ত
সিদ্ধান্তটি অবশ্যই ভ্রান্তির নির্দেশকরূপে গণ্য হয়।
[5] নামগত অসুবিধা: তিরেকী পদ্ধতিটির ক্ষেত্রে এক ধরনের নামগত অসুবিধা দেখা দেয়। কারণ, এরূপ পদ্ধতিটির নাম থেকে মনে হতে পারে যে, এই পদ্ধতিটি অন্বয়ী পদ্ধতি ও ব্যতিরেকী পদ্ধতির এক যুগ্ম বা মিশ্র ফল, এবং সে কারণেই একে মিশ্র পদ্ধতি (joint method) রূপে মনে করা হয়। কিন্তু এরূপ ধারণাটি অন্বয়-ব্যতিরেকী পদ্ধতির ক্ষেত্রে এক ভ্রান্ত ধারণাই নিয়ে আসে। কারণ, অন্বয় (মিল)-ব্যতিরেক (অমিল)-এর অর্থ হল দৃষ্টান্তগুচ্ছের মধ্যে মিল ও অমিল (agreement and difference) এবং এদের সমাহাররূপেই এই পদ্ধতি। এখানে ব্যতিরেকী পদ্ধতির কোনো ভূমিকাই নেই।
6.অগ্ন্যা-ব্যতিরেকীর সঙ্গে অন্বয়ী পদ্ধতির পার্থক্য লেখো।
উত্তর: দুটি স্বতন্ত্র পণতিরূপে গণ্য। সসুতরাং, অথর ব্যতিরেকী পদ্ধতি এবং অন্ধয়ী পদ্ধতির এর পার্থক্য থাকাটাই স্বাভাবিক। উভয়ের মধ্যে পার্থক্যের বিষয়গুলিকে নীচে উল্লেখ করা হল:
বিষয় |
অন্বয়-ব্যতিরেকী পদ্ধতি |
অন্বয়ী পদ্ধতি |
1.গল্পতিগত |
অন্বয়-ব্যতিরেকী পদ্ধতিটি মিলের পঞ্চ পরীক্ষণমূলক
পদ্ধতির অন্যতম কোনো মৌল পদ্ধতি নয়। এই পদ্ধতিটি হল একটি অমৌল বা গৌণ পদ্ধতি। |
তর্কবিদ মিল যে পাঁচটি পরীক্ষণমূলক পদ্ধতির উল্লেখ
করেছেন, তাদের মধ্যে মৌল পদ্ধতি
হল দুটি অন্বয়ী পদ্ধতি এবং ব্যতিরেকী পদ্ধতি। অন্বয়ী পদ্ধতি তাই
অন্যতম একটি মৌল পদ্ধতিরূপে গণ্য। |
2.পৃষ্টান্তগুচ্ছের
সংখ্যাগত |
অন্বয় ব্যতিরেকী পদ্ধতির ক্ষেত্রে আমরা দুই ধরনের
দৃষ্টান্তগুচ্ছের সাহায্য নিয়ে থাকি। এই দুই ধরনের দৃষ্টান্তগুচ্ছের একটি হল সদর্থক দৃষ্টান্তগুচ্ছ এবং অপরটি হল নঞর্থক দৃষ্টান্তগুচ্ছ। |
কিন্তু অন্বয়ী পদ্ধতির ক্ষেত্রে আমরা শুধুমাত্র এক
ধরনের দৃষ্টান্তগুচ্ছের সাহায্য নিয়ে থাকি। এই ধরনের দৃষ্টান্তগুচ্ছ হল
শুধুমাত্র সদর্থক দৃষ্টান্তগুচ্ছ। |
3.সম্ভাব্যতার
মাত্রাগত |
অন্বয়-ব্যতিরেকী পদ্ধতির ক্ষেত্রে যে সিদ্ধান্তটি
প্রতিষ্ঠা করা হয়, তা কার্যকারণ সম্পর্কের অধিকতর সম্ভাব্যতাকেই সূচিত করে।
অর্থাৎ, এর সম্ভাব্যতার মাত্রা
অন্বয়ী পদ্ধতির তুলনায় অনেক বেশি। |
অন্বয়ী পদ্ধতির ক্ষেত্রে যে সিদ্ধান্তটি প্রতিষ্ঠা
করা হয়, তার সম্ভাব্যতা
অন্বয়-ব্যতিরেকী পদ্ধতির তুলনায় অনেক কম। অর্থাৎ, এর সম্ভাব্যতার মাত্রা তুলনামূলকভাবে কম। |
4.দৃষ্টান্তের
অগ্রবর্তী ও অনুবর্তী ঘটনার মধ্যে উপস্থিতিও অনুপস্থিতিগত |
অন্বয়-ব্যতিরেকী পদ্ধতির ক্ষেত্রে দুই বা দুইয়ের
অধিক সংখ্যক দৃষ্টান্ত সংগ্রহ করতে হয়। এই দু-ধরনের দৃষ্টান্ডগুচ্ছের ক্ষেত্রে
একবার মিল এবং একবার অমিল দেখতে হয়। |
অন্বয়ী পদ্ধতির ক্ষেত্রে এক ধরনের দৃষ্টান্তগুচ্ছ
সংগ্রহ করা হয়, সেগুলির মধ্যে শুধুমাত্র একটি বিষয়ে মিল দেখাতে হয়। |
5.পরীক্ষণের ভূমিকাগত |
অন্বয়-ব্যতিরেকী পদ্ধতি পর্যবেক্ষণমূলক পদ্ধতিরূপে
গণ্য হলেও, সেক্ষেত্রে পরীক্ষণের
কিছুটা সুযোগ আছেই। কারণ, এখানে দুই ধরনের দৃষ্টান্তগুচ্ছের মধ্যে আমরা সামান্য
হলেও পরীক্ষানিরীক্ষামূলক আলোচনা করতেই পারি। |
অন্বয়ী পদ্ধতি পর্যবেক্ষণমূলক পদ্ধতিরূপে গণ্য এবং
সেক্ষেত্রে পরীক্ষণের কোনো সুযোগই নেই। পরীক্ষণের বিষয়টি এখানে একেবারেই
অনুপস্থিত। |
6.বহুকারণবাদের
দৃষ্টিকোণগত |
অন্বয়-ব্যতিরেকী পদ্ধতিতে বহুকারণবাদের সম্ভাবনা
অনেক অনেক কম। অর্থাৎ, এরূপ পদ্ধতিটি বহুকারণবাদ থেকে বহুলাংশে মুক্ত। |
অন্বয়ী পদ্ধতির ক্ষেত্রে গৃহীত সিদ্ধান্তটিতে
বহুকারণবাদের সম্ভাবনা থাকে। অর্থাৎ, এরূপ পদ্ধতিটি কখনোই বহুকারণবাদ থেকে মুক্ত নয়। |
7.মিলের
যুগ্ম পদ্ধতি বা অন্বয়-ব্যতিরেকী পদ্মাতি আলোচনা করো। [সংজ্ঞা, আকার, দৃষ্টান্ত, সুবিধা (২টি), অসুবিধা (২টি)]
সংজা |
অন্বয়-ব্যতিরেকী পদ্ধতির সূত্রটিকে তর্কবিদ মিল (Mill) নিম্নোক্তভাবে উপস্থাপিত
করেছেন- 'আলোচ্য বা বিচার্য
ঘটনাটি যেসব দৃষ্টান্তে উপস্থিত আছে, তাদের ঠিক পূর্বগামী বা অনুগামী ঘটনাগুলির মধ্যে যদি একটি
ঘটনা সবসময় উপস্থিত থাকে এবং বিচার্য ঘটনাটি যেসব দৃষ্টান্তে অনুপস্থিত, তাদের পূর্বগামী বা
অনুগামী ঘটনাগুলির মধ্যে যদি ওই ঘটনাটি সর্বদাই অনুপস্থিত থাকে, তাহলে বুঝতে হবে যে, সেটি বিচার্য ঘটনার
কার্য অথবা কারণ অথবা কারণের অপরিহার্য অংশরূপে বিবেচিত'। |
||||||||||||||||||||
আকার |
.. A হল -এর কারণ।
বাস্তব দৃষ্টান্ত: পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে
দেখা গেল যে, যেসব অঞ্চলে অ্যানোফিলিস নামক মশার কামড় আছে, সেইসব অঞ্চলে
ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব আছে। আবার যেসব অঞ্চলে অ্যানোফিলিস নামক মশার কামড় নেই, সেইসব অঞ্চলে
ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাবও নেই। সুতরাং, সিদ্ধান্ত করা যায় যে, অ্যানোফিলিস মশার কামড়ই হল ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাবের
কারণ। |
||||||||||||||||||||
সুবিধা |
i. অন্বয়-ব্যতিরেকী পদ্ধতির
প্রয়োগক্ষেত্র অত্যন্ত ব্যাপক বা বিস্তৃত। কারণ, এই পদ্ধতিকে অন্বয়ী পদ্ধতির দ্বৈত প্রয়োগরূপে অভিহিত করা
হয়। সুতরাং, অন্বয়ী পদ্ধতির ন্যায় এই
পদ্ধতিটিও পর্যবেক্ষণ নির্ভর বলে, কার্যকারণ সম্পর্ক নির্ণয়ের ক্ষেত্রে একে ব্যাপকভাবে
প্রয়োগ করা যায়। আবার যেসমস্ত ক্ষেত্রে ব্যতিরেকী পদ্ধতির প্রয়োগ সম্ভব নয়, সেই সমস্ত ক্ষেত্রেও এই
অন্বয়-ব্যতিরেকী পদ্ধতিকে প্রয়োগ করা যায়। ii অন্বয়-ব্যতিরেকী পদ্ধতির
ক্ষেত্রে আমরা একদিকে যেমন কারণ থেকে কার্যে উপনীত হতে পারি, অপরদিকে তেমনি আবার
কার্য থেকে কারণেও যেতে পারি। এর ফলে কার্যকারণ সম্পর্কিত ধারণাটিকে বিস্তৃত ও
যথাযথভাবে বিশ্লেষণ করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে সিদ্ধান্তটি সুনিশ্চিত না হলেও, সিদ্ধান্তের সম্ভাবনাটি
অনেক বেশি বেড়ে যায়। এই পদ্ধতিটিকে তাই অন্যান্য পর্যবেক্ষণলব্ধ পদ্ধতির এক
উন্নতরূপ হিসেবে স্বীকার করা হয়। |
||||||||||||||||||||
অসুবিধা |
i. পর্যবেক্ষণলল পদ্ধতি বলে
এই পদ্ধতির মধ্যে পর্যবেক্ষণের যেসমস্ত অসুবিধা আছে, সেগুলি যথারীতি উপস্থিত।
এই পদ্ধতিটিকে আমরা কখনোই সুনিশ্চিত বলে প্রমাণ করতে পারি না। এই পদ্ধতির মধ্যে
প্রাপ্ত সিদ্ধান্তটি তাই সবসময়ই সম্ভাব্য বলে বিবেচিত, কখনোই নিশ্চিতরূপে গণ্য
নয়। ii. অন্বয়-ব্যতিরেকী পদ্ধতির
মাধ্যমে প্রাপ্ত সিদ্ধান্তটি অনেক সময় ব্যাবহারিক দোষে দুষ্ট হতে পারে। কারণ, এই পদ্ধতির ক্ষেত্রেও
আলোচ্য ঘটনার কারণ অন্বেষণ করার সময় যেসমস্ত পূর্ববর্তী ঘটনাসমূহকে পর্যবেক্ষণ
করা উচিত ছিল বলে মনে হয়, তার সবগুলিকেই যে পর্যবেক্ষণ করা গেছে-এমন দাবি কখনোই করা
যায় না। ফলত এক্ষেত্রেও অপর্যবেক্ষণমূলক দোষের সম্ভাবনাও থেকে যায়। |
👉Paid Answer (For Membership User)
Editing by- Rita Moni Bora