Chapter 1 - 

বংশীনাদে

অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ 

 প্রশ্ন ১। ‘বংশীনাদে’ কবিতাটির কবির নাম কী?

উত্তর:-‘বংশীনাদে’ কবিতার কবি বড়ু চণ্ডীদাস

প্রশ্ন ২। ‘বংশীনাদে’ কবিতাটি কোন্ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?

উত্তর:-বংশীনাদে’ কবিতাটি ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।

প্রশ্ন ৩। ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যে মোট কয়টি খণ্ড আছে?

উত্তর:- ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যে মোট ১৩টি খণ্ড আছে।

প্রশ্ন ৪। বড়ু চণ্ডীদাস কোথাকার অধিবাসী ছিলেন?

উত্তর:- বড়ু চণ্ডীদাস ছিলেন বর্ধমান জেলার অধিবাসী

প্রশ্ন ৫। ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যটি কে আবিষ্কার করেছিলেন?

উত্তর:- ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যটি আবিষ্কার করেছিলেন বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ

প্রশ্ন ৬। ‘বংশীনাদে’ কবিতাটির ব্যবহৃত ভাষা কোন সময়কার?

উত্তর:- বংশীনাদে’ কবিতাটির ভাষা ১৪শ শতকের মধ্যযুগের বাংলা ভাষা

প্রশ্ন ৭। ‘বংশীনাদে’ কবিতাটি ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যের কোন্ খণ্ডের অন্তর্গত?

উত্তর:- ‘বংশীনাদে’ কবিতাটি ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যের রাধাকৃষ্ণ পর্বের অন্তর্গত

প্রশ্ন ৮। ‘বংশীনাদে’ কবিতাংশে কোন জায়গার কথা বর্ণিত হয়েছে?

উত্তর:- বংশীনাদে’ কবিতাংশে ব্রজধামের কথা বর্ণিত হয়েছে।

প্রশ্ন ৯। ‘‘কেনা বাঁশী বাএ বড়ায়ি সে না কোনজনা দাসী হআঁ তার পাত্র নিশিবোঁ আপনা।” – বড়ায়ি কে?

উত্তর:- বড়ায়ি হলেন রাধা

প্রশ্ন ১০। ‘‘কেনা বাঁশি বাএ বড়ায়ি কালিনী নই কূলে।” – কালিন্দী নদীর কূলে কে বাঁশি বাজাচ্ছিল?

উত্তর:- কালিন্দী নদীর কূলে শ্রীকৃষ্ণ বাঁশি বাজাচ্ছিলেন।

প্রশ্ন ১১। ‘“বাঁশীর শবদে মোঁ আউলাইলোঁ রান্ধন” – আউলাইলোঁ শব্দের অর্থ কী?

উত্তর:- আউলাইলোঁ’ শব্দের অর্থ বিহ্বল বা অস্থির হয়ে পড়া

প্রশ্ন ১২। ‘‘কেনা বাঁশি বাএ বড়ায়ি সে না কোনজনা, দাসী হআঁ তার পাএ নিশিবোঁ আপনা।” – নিশিবোঁ শব্দের অর্থ কী?

উত্তর:- ‘নিশিবোঁ’ শব্দের অর্থ নিবাস করবো বা থাকবো

প্রশ্ন ১৩। ‘‘অঝর ঝরএ মোর নয়নের পাণী, বাঁশির শবদে বড়ায়ি হারায়িলোঁ পরাণী।” – এই উক্তিটি কার?

উত্তর:- এই উক্তিটি বড়ায়ি (রাধার) উক্তি

প্রশ্ন ১৪। ‘‘মেদনী বিদার দেউ পসিআঁ লুকাওঁ” – মেদনী শব্দের অর্থ লেখো।

উত্তর:- ‘মেদনী’ শব্দের অর্থ পৃথিবী বা ভূমি

প্রশ্ন ১৫। ‘‘অঝর ঝরএ মোর নয়নের পাণী। বাঁশীর শবদে বড়ায়ি হারায়িলোঁ পরাণী॥” – অঝর ঝরএ কার নয়নের পাণী?প্রশ্ন 

উত্তর:- রাধার নয়ন অঝর ধারায় জল ঝরছিল

১৬। “আন্তর সুখাএ মোর কাহ্ন অভিলাসে। বাসলী শিরে বন্দী গাইল চণ্ডীদাসে ৷ ”– এখানে ‘বাসলী’ শব্দে কাকে নির্দেশ করা হয়েছে?

উত্তর:- ‘বাসলী’ শব্দে বাঁশিকে (বাঁশী) নির্দেশ করা হয়েছে

প্রশ্ন ১৭। ‘বংশীনাদে’ কবিতার ভণিতায় কবি বড়ু চণ্ডীদাস কোন্ দেবীকে বন্দনা করেছেন?

উত্তর:- বড়ু চণ্ডীদাস ভণিতায় দেবী দুর্গার বন্দনা করেছেন।

প্রশ্ন ১৮। নান্দের নন্দন কে?

উত্তর:- নান্দের নন্দন হলেন শ্রীকৃষ্ণ

প্রশ্ন ১৯। “মোর নয়ন পোড়ে জেহ্ন _______ পণী। (শূন্যস্থান পূর্ণ) করো।

উত্তর:- “মোর নয়ন পোড়ে জেহ্ন অঝর ঝরএ পাণী ।”

প্রশ্ন ২০। “বাঁশীর শব্দে মোঁ আউলাইলোঁ রান্ধন” – কার বাঁশীর শব্দে রাধার রান্না এলোমেলো হয়ে পড়েছিল?

উত্তর:- শ্রীকৃষ্ণের বাঁশির শব্দে রাধার রান্না এলোমেলো হয়ে পড়েছিল

সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ 

 প্রশ্ন ১। “পাখি নহোঁ তার ঠাঞি উড়ী পড়ি জাও।”– পাখির সঙ্গে কে নিজেকে তুলনা করেছেন। এখানে ‘তার’ বলতে কার কথা বলা হয়েছে? পংক্তিটি কোন্ কবিতার অন্তর্গত?

উত্তর:- রাধা নিজেকে পাখির সঙ্গে তুলনা করেছেন। এখানে ‘তার’ বলতে কৃষ্ণের কথা বলা হয়েছে। পংক্তিটি ‘বংশীনাদে’ কবিতার অন্তর্গত

প্রশ্ন ২। “বন পোড়ে আগ বড়ায়ি জগজন জাণী। মোর মন পোড়ে জেহ্ন কুম্ভারের পণী॥” – এখানে কার মনের কথা বলা হয়েছে? ‘কুম্ভারের পণী’ কী?

উত্তর:- এখানে রাধার মনের কথা বলা হয়েছে‘কুম্ভারের পণী’ বলতে কুম্ভকারের বানানো মাটির পাত্র বোঝানো হয়েছে, যা আগুনে পোড়ে

প্রশ্ন ৩। “আকুল করিতেঁ কিবা আহ্মার মন। বাজাএ সুসর বাঁশী নান্দের নন্দন৷” – এখানে ‘আহ্মার মন’ বলতে কার কথা বলা হয়েছে? ‘নান্দের নন্দন’ কে ছিলেন?

উত্তর:- ‘আহ্মার মন’ বলতে রাধার কথা বলা হয়েছে‘নান্দের নন্দন’ হলেন শ্রীকৃষ্ণ

প্রশ্ন ৪। “পাখি নহোঁ তার ঠাঞি উড়ী পড়ি জাওঁ। মেদনী বিদার দেউ পসিআঁ লুকাওঁ ॥” – পংক্তিটি কোন কবিতার অন্তর্গত? ‘তার’ বলতে কার কথা বলা হয়েছে? ‘ঠাঞি’ শব্দের অর্থ কী?

উত্তর:- পংক্তিটি ‘বংশীনাদে’ কবিতার অন্তর্গত‘তার’ বলতে কৃষ্ণের কথা বলা হয়েছে‘ঠাঞি’ শব্দের অর্থ আশ্রয়স্থল বা বসার জায়গা

প্রশ্ন ৫। “বন পোড়ে আগ বড়ায়ি জগজনে জাণী। মোর মন পোড়ে জেহ্ন কুম্ভারের পণী॥”– ‘বড়ায়ি’ সম্বন্ধে টীকা লেখো।

উত্তর:- ‘বড়ায়ি’ বলতে রাধাকে বোঝানো হয়েছে। এটি একটি স্নেহপূর্ণ সম্বোধন যা কৃষ্ণকে কেন্দ্র করে ব্যবহৃত হয়েছে।

প্রশ্ন ৬। “আঝর ঝরএ মোর নয়নের পাণী॥” – কার নয়নের পাণী ঝরছে এবং কেন?

উত্তর:- রাধার নয়ন থেকে জল ঝরছে। কারণ শ্রীকৃষ্ণের বাঁশির সুরে তিনি মুগ্ধ ও ব্যাকুল হয়ে পড়েছেন

প্রশ্ন ৭।‘‘বাজাএ সুসর বাঁশী নান্দের নন্দন॥” – বক্তা কে? নান্দের নন্দন কে?

উত্তর:- বক্তা হলেন রাধা‘নান্দের নন্দন’ হলেন শ্রীকৃষ্ণ

প্রশ্ন ৮। “আন্তর সুখাএ মোর কাহ্ন অভিলাসে।” – উক্তিটি কার? কাহ্ন কে?

উত্তর:- উক্তিটি রাধার‘কাহ্ন’ বলতে শ্রীকৃষ্ণকে বোঝানো হয়েছে

প্রশ্ন ৯। “দাসী হয়্যা তাঁর পায়ে নিশিৰোঁ আপনা।” – কে বলেছে? তাঁর বলতে কার?

উত্তর:- রাধা বলেছেন‘তাঁর’ বলতে শ্রীকৃষ্ণকে বোঝানো হয়েছে

প্রশ্ন ১০। শ্রীকৃষ্ণের আসল পিতা ও মাতার নাম কী?

উত্তর:- শ্রীকৃষ্ণের আসল পিতা ও মাতার নাম হল বসুদেব ও দেবকী

প্রশ্ন ১১। ‘বংশীনাদে’ কবিতাংশে কৃষ্ণের নামের পরিবর্তে কী কী নাম ব্যবহৃত হয়েছে?

উত্তর:- ‘বংশীনাদে’ কবিতাংশে কৃষ্ণের নামের পরিবর্তেনান্দের নন্দন, কাহ্ন, মুরারি, বাসুদেব, গোপাল ইত্যাদি নাম ব্যবহৃত হয়েছে

প্রশ্ন ১২। ‘বাজাএ সুসর বাঁশী নান্দের নন্দন’ – ‘নান্দের নন্দন’ কে? সে কী বাজায়?

উত্তর:- ‘নান্দের নন্দন’ হলেন কৃষ্ণ। তিনি বাঁশি বাজাচ্ছেন

প্রশ্ন ১৩। ‘বাঁশির শব্দে বড়ায়ি হারায়িলো পরাণী॥’- কে, কার বাঁশির শব্দে মন হারিয়েছে?

উত্তর:- রাধা, কৃষ্ণের বাঁশির শব্দে মন হারিয়েছেন

প্রশ্ন ১৪। “কে না বাঁশি বাএ বড়ায়ি কালিনী নই কূলে”। – কে, কোথায় বাঁশি বাজাচ্ছিলেন?

উত্তর:- শ্রীকৃষ্ণ, কালিন্দী নদীর কূলে বাঁশি বাজাচ্ছিলেন

দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ 

 প্রশ্ন ১। “পাখি নহোঁ তার ঠাঞি উড়ী পড়ি জাওঁ। মেদনী বিদার দেউ পসিআঁ লুকাও ॥” – তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো। অথবা, কে, কাকে, কোন প্রসঙ্গে উক্তিটি করেছিলেন?

উত্তর:- তাৎপর্য বিশ্লেষণ:

এই পংক্তিতে কবি বড়ু চণ্ডীদাস রাধার গভীর আবেগ ও হতাশা ব্যক্ত করেছেন। এখানে রাধা কৃষ্ণের বিচ্ছেদজনিত যন্ত্রণায় ব্যাকুল হয়ে পড়েছেন এবং নিজেকে পাখির সঙ্গে তুলনা করেছেন, যে তার আশ্রয় হারিয়ে ফেলেছে। তিনি বলতে চান যে, কৃষ্ণ ছাড়া তিনি অসহায়, তাই তিনি পৃথিবী ফাটিয়ে তাতেই লুকিয়ে থাকতে চান। এই পংক্তির মাধ্যমে কবি রাধার প্রেমজনিত অতৃপ্তি ও মানসিক অবস্থার চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন।

প্রশ্ন ২। ‘‘বনপোড়ে আগ বড়ায়ি জগজনে জাণী। মোর মন পোড়ে জেহ্ন কুম্ভারের পণী॥” – অন্তর্নিহিত ভাব ব্যক্ত করো।

উত্তর:- অন্তর্নিহিত ভাব:

এই লাইনগুলির মাধ্যমে কবি রাধার হৃদয়যন্ত্রণা প্রকাশ করেছেন। এখানে বন পোড়ানোর আগুনের সাথে রাধার মনের যন্ত্রণার তুলনা করা হয়েছে। যেমন আগুনে বন পুড়ে যায়, তেমনি কৃষ্ণ-বিচ্ছেদে রাধার হৃদয়ও জ্বলে-পুড়ে যাচ্ছে। 'কুম্ভারের পণী' বলতে মাটির তৈরি পাত্র বোঝানো হয়েছে, যা সহজেই আগুনে পুড়ে যায়। কবি বোঝাতে চেয়েছেন যে, কৃষ্ণের বিরহে রাধার মনও পাত্রের মতোই জ্বলেপুড়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে।

প্রশ্ন ৩। ‘‘কে না বাঁশি বাএ বড়ায়ি কালিনী নইকূলে।” – বক্তা কে? তার চরিত্রের কী পরিচয় পাওয়া যায়?

উত্তর:- বক্তা ও তার চরিত্র:

এই পংক্তির বক্তা হলেন রাধা। এখানে তিনি শ্রীকৃষ্ণের বাঁশির মধুর সুর শুনে ব্যাকুল হয়ে পড়েছেন। 'কালিনী নই কূলে' বলতে কালিন্দী নদীর তীর বোঝানো হয়েছে। কৃষ্ণ সেখানে বসে বাঁশি বাজাচ্ছেন এবং তার সুর রাধার মনে প্রবল আবেগ সৃষ্টি করছে। এই পংক্তির মাধ্যমে রাধার গভীর প্রেম, অভিমান ও আকুলতা প্রকাশিত হয়েছে।

প্রশ্ন ৪। “আকুল শরীর মোর বে আকুল মন” বাঁশীর শব্দে মোঁ আউলাইলোঁ রান্ধন।” – কার বাঁশির শব্দে রান্নাতে ব্যাঘাত ঘটছে। উদ্ধৃতাংশের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

উত্তর:- তাৎপর্য বিশ্লেষণ:

এই লাইনগুলিতে কবি রাধার মানসিক অবস্থার চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন। শ্রীকৃষ্ণের বাঁশির সুর রাধার মনোযোগ বিঘ্নিত করেছে, ফলে তিনি রান্নার কাজও ভুলে গিয়েছেন। এটি রাধার প্রেমের গভীরতার পরিচয় দেয়। শ্রীকৃষ্ণের বাঁশির ধ্বনি শুধুমাত্র তার কানে নয়, বরং তার হৃদয় ও আত্মাকে আলোড়িত করেছে।

প্রশ্ন ৫। “দাসী হয়্যা তাঁর পাত্র নিশিবোঁ আপনা।” – ‘নিশিবোঁ’ শব্দের অর্থ কী? কে, কার কাছে নিজেকে সমর্পণ করতে চান? এবং কেন?

উত্তর:- ‘নিশিবোঁ’ শব্দের অর্থ, বক্তা ও প্রসঙ্গ:

'নিশিবোঁ' শব্দের অর্থ সমর্পণ করা বা আত্মনিবেদন করা। এখানে রাধা নিজেকে কৃষ্ণের দাসীরূপে নিবেদন করতে চান। তার একমাত্র আকাঙ্ক্ষা হল শ্রীকৃষ্ণের চরণে নিজেকে সঁপে দেওয়া। এটি রাধার প্রেমের বিনয়, আত্মসমর্পণ ও নিবেদনবোধ প্রকাশ করে।

প্রশ্ন ৬। ‘‘আঝর ঝরএ মোর নয়নের পাণী। বাঁশির শবদে বড়ায়ি হারায়িলোঁ পরাণী ৷” – বড়ায়ি কে। কার প্রাণ হারিয়েছে? প্রসঙ্গটি বুঝিয়ে দাও। অথবা, উদ্ধৃতাংশের অন্তর্নিহিত ভাব পরিস্ফুট করো।

উত্তর:- অন্তর্নিহিত ভাব:

এখানে ‘বড়ায়ি’ বলতে রাধাকে বোঝানো হয়েছে। শ্রীকৃষ্ণের বাঁশির সুরে রাধার প্রাণ কেঁদে উঠেছে এবং তিনি মূর্ছিতপ্রায় হয়ে পড়েছেন। তার নয়ন থেকে অবিরাম অশ্রু ঝরছে, যা তার অন্তরের গভীর ব্যথা ও প্রেমের বহিঃপ্রকাশ।

প্রশ্ন ৭। “কে না বাঁশি বাএ বড়ায়ি চিত্তের হরিষে। তাঁর পাত্র বড়ায়ি মোঁ কৈলো কোন দোষে৷” – তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

উত্তর:- তাৎপর্য বিশ্লেষণ:

রাধা এখানে প্রশ্ন করছেন কৃষ্ণ কেন বাঁশি বাজিয়ে তার মন চুরি করলেন? তিনি কৃষ্ণকে তার একমাত্র প্রেমাস্পদ মনে করেন এবং তার অভিমান হচ্ছে যে, কৃষ্ণ বাঁশির সুরে তার মন কেড়ে নিয়েছেন, কিন্তু তিনি নিজে রাধার প্রতি নিষ্ঠুর হয়ে উঠেছেন। এই পংক্তিতে প্রেমের আকুলতা ও অভিমানের এক অপূর্ব সমন্বয় রয়েছে।

প্রশ্ন ৮। “আন্তর সুখাএ মোর কাহ্ন অভিলাসে। বাসলী শিরে বন্দি গাইল চণ্ডীদাসে ৷” – তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

উত্তর:- তাৎপর্য বিশ্লেষণ:

এই পংক্তিতে কবি বোঝাতে চেয়েছেন যে রাধার একমাত্র সুখ কৃষ্ণের মাঝে নিহিত। 'কাহ্ন' বলতে কৃষ্ণকেই বোঝানো হয়েছে। তিনি চান কৃষ্ণের বাঁশি যেন তার অন্তরের ব্যথা প্রকাশ করে। কবি বড়ু চণ্ডীদাস এই প্রেমকথাকে কাব্যরূপে বন্দি করেছেন।

প্রশ্ন ৯। ‘বংশীনাদে’ কবিতাংশটির উৎস সংক্ষেপে আলোচনা করো।

উত্তর:- ‘বংশীনাদে’ কবিতাংশটি বড়ু চণ্ডীদাসের ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যের অন্তর্গত। এটি মধ্যযুগের অন্যতম জনপ্রিয় বৈষ্ণব পদাবলী, যেখানে রাধাকৃষ্ণের প্রেমের গল্প চিত্রিত হয়েছে।

প্রশ্ন ১০। ‘বংশীনাদে’ কবিতাংশটি যে কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত সেই কাব্যগ্রন্থের কয়টি খণ্ড এবং খণ্ডগুলির নাম কী?

উত্তর:- ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যগ্রন্থের খণ্ড সংখ্যা ও নাম কী?

এই কাব্যগ্রন্থে তিনটি খণ্ড রয়েছে:

  1. বাল্যকাণ্ড

  2. নাগরিকাণ্ড

  3. বিবাহকাণ্ড

‘বংশীনাদে’ কবিতাংশটি ‘নাগরিকাণ্ড’-এর অন্তর্গত।

দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ 

 প্রশ্ন ১। ‘বংশীনাদে’ কবিতাটি কোন্ কবির কোন্ কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে? কবিতাটির সারমর্ম নিজের ভাষায় লেখো। অথবা, ‘বংশীনাদে’ কবিতাটির বিষয়বস্তু সংক্ষেপে আলোচনা করো।

উত্তর:- ‘বংশীনাদে’ কবিতার নামকরণের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

‘বংশীনাদে’ শব্দের অর্থ কৃষ্ণের বাঁশির ধ্বনি। এই কবিতায় শ্রীকৃষ্ণের বাঁশির সুরের প্রভাব এবং রাধার মানসিক অবস্থার পরিবর্তন ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তাই এই নামকরণ যথার্থ।

 প্রশ্ন ১। ‘বংশীনাদে’ কবিতাটির নামকরণের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

উত্তর:- ‘বংশীনাদে’ কবিতার নামকরণের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

‘বংশীনাদে’ শব্দের অর্থ কৃষ্ণের বাঁশির ধ্বনি। এই কবিতায় শ্রীকৃষ্ণের বাঁশির সুরের প্রভাব এবং রাধার মানসিক অবস্থার পরিবর্তন ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তাই এই নামকরণ যথার্থ।

প্রশ্ন ২। শ্রীকৃষ্ণের বংশীনাদ শুনে রাধার অন্তরে যে ব্যাকুলতা দেখা দেয় তার পরিচয় দাও। অথবা, ‘বংশীনাদে’ কবিতা অবলম্বনে রাধার চিত্ত ব্যাকুলতার পরিচয় দাও। অথবা, ‘বংশীনাদে’ কবিতাটির মধ্য দিয়ে রাধার মানসিক অবস্থার যে পরিচয় পাওয়া যায় তা লিপিবদ্ধ করো।

উত্তর:- শ্রীকৃষ্ণের বংশীনাদ শুনে রাধার অন্তরে যে ব্যাকুলতা দেখা দেয় তার পরিচয় দাও।

রাধা কৃষ্ণের বাঁশির সুর শুনে আবেগে বিভোর হয়ে পড়েন। তিনি নিজেকে তার দাসী রূপে নিবেদন করতে চান এবং বিচ্ছেদের যন্ত্রণায় কাতর হন। তার প্রেম গভীর, আকুলতায় পূর্ণ এবং আত্মসমর্পণের প্রতীক।