Chapter 3 - 

কপোতাক্ষ নদ

অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ 

প্রশ্ন ১। ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতাটির কবি কে? 

উত্তর:- মাইকেল মধুসূদন দত্ত।

 প্রশ্ন ২। ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?

উত্তর:- এটি কোনো নির্দিষ্ট কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত নয়, এটি স্বতন্ত্র কবিতা।

প্রশ্ন ৩। ‘কপোতাক্ষ নদ’ কী জাতীয় কবিতা?

উত্তর:- এটি একটি দেশপ্রেমমূলক ও আত্মজৈবনিক কবিতা।

প্রশ্ন ৪। “সতত তোমার কথা ভাবি এ বিরলে।”‘বিরলে’ শব্দের অর্থ কী?

উত্তর:- নির্জনে বা একাকী অবস্থায়।

প্রশ্ন ৫। “বহুদেশে দেখিয়াছি বহু পদ-দলে”, কিন্তু এ স্নেহের ______ মিটে কার জলে? (শূন্যস্থান পূর্ণ করো)

উত্তর:- তৃষ্ণা

প্রশ্ন ৬। “সতত, হে নদ তুমি পড় মোর মনে।” – কোন নদের কথা বলা হয়েছে?

উত্তর:-  কপোতাক্ষ নদ।

প্রশ্ন ৭। ‘বঙ্গজ’ শব্দের অর্থ লেখো।

উত্তর:- বঙ্গদেশে জন্মগ্রহণকারী।

প্রশ্ন ৮। মধুসূদন দত্ত তাঁর কবিতায় কোন নদের বন্দনা গীতি গেয়েছেন?

উত্তর:- কপোতাক্ষ নদ।

প্রশ্ন ৯। কবি প্রবাসে থেকে সর্বদাই কার কথা ভাবেন?

উত্তর:- তাঁর মাতৃভূমি এবং কপোতাক্ষ নদের কথা।

প্রশ্ন ১০। ‘কপোতাক্ষ নদের সহিত কবির সম্পর্ক কীরূপ?

উত্তর:- এটি কবির জন্মস্থান ও শৈশবের স্মৃতিবাহী নদ।

প্রশ্ন ১১। ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতাটি কবি কোথায় বসে রচনা করেন?

উত্তর:-  ফ্রান্সে বসে।

প্রশ্ন ১২। ‘কপোতাক্ষ নদ’ কোথায় রয়েছে?

উত্তর:- বাংলাদেশে, যশোর জেলার নিকট।

প্রশ্ন ১৩। মধুসূদন দত্ত কোন প্রকার ছন্দের স্রষ্টা?

উত্তর:- অমিত্রাক্ষর ছন্দের।

প্রশ্ন ১৪। “কপোতাক্ষনদ’ কবিতাটিতে মোট কয়টি পংক্তি রয়েছে?

উত্তর:- ১৪টি।

প্রশ্ন ১৫। “সতত, হে নদ তুমি পড় মোর মনে।” – সতত শব্দের অর্থ কী?

উত্তর:- সর্বদা বা সবসময়।

প্রশ্ন ১৬। “দুগ্ধ স্রোতোরূপী তুমি জন্মভূমি-স্তনে”- ‘তুমি’ বলতে কার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর:- কপোতাক্ষ নদের।

প্রশ্ন ১৭। “দুগ্ধ স্রোতোরূপী তুমি জন্মভূমি-স্তনে”- এখানে কোন্ জন্মভূমির কথা বলা হয়েছে?

উত্তর:- কবির মাতৃভূমি, যশোর।

প্রশ্ন ১৮। ‘সতত যেমতি লোক নিশার স্বপনে, শোনো মায়া _____।’ (শূন্যস্থান পূর্ণ করো।)

উত্তর:- কল্লোল

প্রশ্ন ১৯। কবি মধুসূদন দত্তের লেখা শ্রেষ্ঠ কাব্য কোনটি?

উত্তর:- মেঘনাদবধ কাব্য।

প্রশ্ন ২০। কবি মধুসূদন দত্তের রচিত একটি নাটকের নাম লেখো।

উত্তর:- শর্মিষ্ঠা।

প্রশ্ন ২১। বাংলা সাহিত্যে কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত কী কবি নামে পরিচিত?

উত্তর:- অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক।

প্রশ্ন ২২। মধুসূদনের একটি বিখ্যাত নাটকের নাম লেখো।

উত্তর:-  কৃষ্ণকুমারী।

প্রশ্ন ২৩। কবি মধুসূদন রচিত শ্রেষ্ঠ কাব্য কোনটি?

উত্তর:- মেঘনাদবধ কাব্য।

প্রশ্ন ২৪। কবি মধুসূদন দত্ত রচিত মহাকাব্যের নাম লেখো।

উত্তর:- মেঘনাদবধ কাব্য।

সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ 

 প্ৰশ্ন ১। ‘‘বারি রূপ কর তুমি, এ মিনতি গাবে, বঙ্গজ জনের কানে, সখে, সখারীতে।” – সখা বলে কবি কাকে সম্বোধন করেছেন? উদ্ধৃতিটির তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও।

উত্তর:- এখানে ‘সখা’ বলতে কবি কপোতাক্ষ নদকে সম্বোধন করেছেন।

→ উদ্ধৃতিটির তাৎপর্য: কবি তাঁর প্রিয় কপোতাক্ষ নদকে অনুরোধ করছেন, যেন সে বাঙালিদের কাছে তাঁর ভালোবাসার বার্তা পৌঁছে দেয়।

প্রশ্ন ২। “তৰ কলকলে জুড়াই এ কান আমি ভ্রান্তির ছলনে!”এখানে কার কলধ্বনির কথা বলা হয়েছে? ‘ভ্রান্তির ছলনে’ বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?

উত্তর:- এখানে কপোতাক্ষ নদের প্রবাহের কলধ্বনির কথা বলা হয়েছে।

→ ‘ভ্রান্তির ছলনে’ বলতে বোঝানো হয়েছে, কবি এই শব্দ শুনে ক্ষণিকের জন্য মনে করেন, যেন তিনি তাঁর জন্মভূমির নদীর ধ্বনি শুনছেন।

প্রশ্ন ৩। “সতত, হে নদ তুমি পড় মোর মনে। সতত তোমার কথা ভাবি এ বিরলে;” – কবির নাম কী? এখানে কবি কোন্ নদীর কথা বলেছেন?

উত্তর:- কবির নাম মাইকেল মধুসূদন দত্ত

→ এখানে কবি কপোতাক্ষ নদ-এর কথা বলেছেন।

প্রশ্ন ৪। “লইছে যে তব নাম বঙ্গের সঙ্গীতে।”- বাক্যটি কোন্ কবিতার অন্তর্গত?bকার নামের কথা বলা হয়েছে?

উত্তর:- এটি ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার অন্তর্গত।

→ এখানে কপোতাক্ষ নদ-এর নামের কথা বলা হয়েছে।

প্রশ্ন ৫।“ বারিরূপ কর তুমি, এ মিনতি গাবে, বঙ্গজ জনের কানে, সখে সখারীতে, নাম তার।” ‘সখা’ বলে কবি কাকে সম্বোধন করেছেন? উদ্ধৃতিটি কোন্ কবিতার অংশ?

উত্তর:- এখানে ‘সখা’ বলতে কবি কপোতাক্ষ নদকে সম্বোধন করেছেন।

→ উদ্ধৃতিটি ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার অংশ।

প্রশ্ন ৬। মাইকেল মধুসূদনের ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতাটি কোন শ্রেণীর রচনা? কবি উক্ত কবিতাটি কোন দেশে বসবাস কালে রচনা করেছিলেন?

উত্তর:- এটি একটি আত্মজৈবনিক ও দেশপ্রেমমূলক কবিতা

→ কবি ফ্রান্সে বসবাসকালে কবিতাটি রচনা করেন।

প্রশ্ন ৭। “সতত হে নদ তুমি পড় মোর মনে” – কে বলেছে ? ‘সতত’ শব্দের অর্থ কী?

উত্তর:- এটি বলেছেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত

→ ‘সতত’ শব্দের অর্থ সর্বদা বা সবসময়

প্রশ্ন ৮। “বহু দেশে দেখিয়াছি বহু পদ-দলে কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে ?” – কে বহু দেশ দেখেছেন? কার জলে স্নেহের তৃষ্ণা মিটে?

উত্তর:- বহু দেশ দেখেছেন কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত

কপোতাক্ষ নদের জলে তাঁর স্নেহের তৃষ্ণা মিটে।

প্রশ্ন ৯। “দুগ্ধ স্রোতরূপী তুমি জন্মভূমি স্তনে।” তুমি কে? এখানে কোন জন্মভূমির কথা বলা হয়েছে?

উত্তর:- এখানে ‘তুমি’ বলতে কপোতাক্ষ নদের কথা বলা হয়েছে

→ এখানে বাংলাদেশের যশোর অঞ্চলের জন্মভূমির কথা বলা হয়েছে।

প্রশ্ন ১০। “দুগ্ধ স্রোতরূপী তুমি জন্মভূমি স্তনে।” – এখানে ‘জন্মভূমি’ এবং ‘স্তন’এর অর্থ কী?

উত্তর:- জন্মভূমি বলতে কবির মাতৃভূমি বোঝানো হয়েছে।

স্তন বলতে মাতৃস্নেহ বোঝানো হয়েছে, যেখান থেকে নদীর প্রবাহ দুধের মতো পুষ্টি প্রদান করে।

প্রশ্ন ১১। “প্রজারূপে রাজরূপ সাগরেরে দিতে” – এখানে প্রজা ও রাজা কে?

উত্তর:- প্রজা হলো কপোতাক্ষ নদ।

রাজা হলো সাগর।

প্রশ্ন ১২। মাইকেল মধুসূদন দত্ত কপোতাক্ষ নদকে মাতৃস্তনে দুগ্ধ স্রোতরূপী হিসেবে কল্পনা করেছেন কেন?

 উত্তর:-  কারণ, তিনি কপোতাক্ষ নদকে তাঁর জন্মভূমির মতো স্নেহপূর্ণ এবং পুষ্টিদায়ক বলে মনে করেন।

প্রশ্ন ১৩। ‘কপোতাক্ষ নদ’ কোন ধরনের কবিতা?

উত্তর:-  এটি একটি দেশপ্রেমমূলক ও আত্মজৈবনিক কবিতা

প্রশ্ন ১৪। কবি মধুসূদন দত্তের দুটি কাব্যের নাম লেখো।

উত্তর:-  (১) মেঘনাদবধ কাব্য

→ (২) ব্রজাঙ্গনা কাব্য

প্রশ্ন ১৫। মধুসূদন দত্তের লেখা দুখানি নাটকের নাম লেখো।

উত্তর:-  (১) শর্মিষ্ঠা

→ (২) কৃষ্ণকুমারী

প্রশ্ন ১৬। মধুসূদন দত্তের লেখা দুখানি প্রহসনের নাম লেখো।

উত্তর:- ) একেই বলে সভ্যতা

→ (২) বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ

দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ 

 প্রশ্ন ১। “বহু দেশে দেখিয়াছি বহু পদ-দলে, কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে?” এখানে বক্তা কে? বক্তার বক্তব্য বিশদ করো। অথবা, কবির নাম উল্লেখ করো। কবি কোন্ প্রসঙ্গে একথা বলেছেন? 

উত্তর:- এখানে বক্তা কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত। তিনি প্রবাসে অবস্থানকালে স্বদেশের প্রতি গভীর ভালোবাসা অনুভব করেছেন এবং মাতৃভূমির স্মৃতিচারণ করেছেন। কবি বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করলেও তার মনের স্নেহ-তৃষ্ণা শুধুমাত্র কপোতাক্ষ নদের জলেই মিটতে পারে, কারণ এই নদ তার শৈশব-কৈশোরের অমূল্য স্মৃতির সাক্ষী।

২। “_____এ মিনতি গাবে, বঙ্গজ-জনের কানে, সখে, সখারীতে নাম তার,” – ‘সখা’ বলে কবি কাকে সম্বোধন করেছেন ? কবির বক্তব্য বুঝিয়ে দাও।

উত্তর:- এখানে ‘সখা’ বলে কবি তার প্রিয় কপোতাক্ষ নদকে সম্বোধন করেছেন। কবি মনে করেন, এই নদ বাংলা দেশের প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবে এবং তারা সর্বদা এই নদকে ভালোবাসবে।

প্রশ্ন ৩। “সতত, হে নদ তুমি পড় মোর মনে।” – কোন নদের কথা এখানে বলা হয়েছে? কবির এ নদের কথা মনে পড়ার কারণ কী?

উত্তর:- এখানে কবি কপোতাক্ষ নদের কথা বলেছেন। কবি বিদেশে থাকলেও তার হৃদয়ে সর্বদা এই নদীর স্মৃতি জাগরূক থাকে।

প্রশ্ন ৪। “বহু দেশে দেখিয়াছি বহু পদ-দলে, কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে?” – কবির নাম উল্লেখ করো। কবি কোন্ প্রসঙ্গে একথা বলেছেন? 

উত্তর:- কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত এই উক্তিটি করেছেন। তিনি বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করলেও তার মাতৃভূমির নদীর জলই তার প্রকৃত প্রশান্তি এনে দিতে পারে।

প্রশ্ন ৫। “____যতদিন যাবে, প্রজারূপে রাজরূপ সাগরের দিতে বারি রূপ কর তুমি; এ মিনতি গাবে বঙ্গজ জনের কানে, সখে, সখারীতে নাম, তার, _______।” – কবির নাম লেখো। পংক্তিগুলোর অন্তর্নিহিত ভাবটি স্পষ্ট করো।

উত্তর:- কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত এখানে তার প্রিয় কপোতাক্ষ নদের কথা বলেছেন। তিনি আশা করেন, যতদিন পৃথিবী থাকবে, ততদিন কপোতাক্ষ নদ তার স্বাভাবিক প্রবাহ বজায় রাখবে এবং মানুষের মনে চিরকাল জায়গা করে নেবে।

প্রশ্ন ৬। সপ্রসঙ্গ ব্যাখ্যা করো – ‘বঙ্গ দেশে দেখিয়াছি বহু পদ-দলে, কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে? দুগ্ধ-স্রোতোরূপী তুমি জন্মভূমি-স্তনে।’ 

উত্তর:- এই অংশটিতে কবি তার মাতৃভূমি ও প্রিয় কপোতাক্ষ নদের প্রতি গভীর আবেগ ও ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন। তিনি এই নদকে মাতৃস্তনের দুধের সঙ্গে তুলনা করেছেন, যা তার জন্য অপরিহার্য।

প্রশ্ন ৭। ‘‘আর কি হে হবে দেখা?” – কে, কার সঙ্গে দেখা করতে চান? কবির কণ্ঠে এইরূপ অনিশ্চয়তা ফুটে উঠেছে কেন?

উত্তর:- এখানে কবি কপোতাক্ষ নদের সঙ্গে নিজের পুনর্মিলনের অনিশ্চয়তা প্রকাশ করেছেন।

প্রশ্ন ৮। ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতায় কবির কোন্ মানসিকতা ধরা পড়েছে?

উত্তর:- এই কবিতায় কবির স্বদেশপ্রেম, শৈশবস্মৃতি, মাতৃভূমির প্রতি টান, প্রবাস জীবনের হতাশা ও আক্ষেপ ফুটে উঠেছে।

প্রশ্ন ৯। “যেমতি লোক নিশার স্বপনে শোনে মায়া – মন্ত্রধ্বনি- কোন্ কবির কোন্ কবিতার অংশ? নিশার স্বপন কী? মায়া-মন্ত্রধ্বনি কথাটির তাৎপর্য কী?

উত্তর:- এটি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার অংশ। নিশার স্বপন বলতে স্বপ্নে দেখা কিছু আবেগঘন স্মৃতি বোঝানো হয়েছে। মায়া-মন্ত্রধ্বনি বলতে কবির মাতৃভূমির প্রতি অনুভূতিশীল আকর্ষণ বোঝানো হয়েছে।