Chapter 11 -
আমার জীবনস্মৃতি
১। অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন:
(ক) ‘মোর জীবন সোঁয়রণ’ গ্রন্থটির অনুবাদক কে?
উত্তরঃ ‘মোর জীবন সোঁয়রণ’ গ্রন্থটির অনুবাদক আরতি ঠাকুর।
(খ) তখন অসমের রাজধানী কোথায় ছিল?
উত্তরঃ তখন অসমের রাজধানী ছিল রংপুর বা শিবসাগর।
২। সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন:
(ক) শিবসাগরকে ‘মাছধরা জায়গা’ বলা হত কেন?
উত্তরঃ শিবসাগরের দিচাং ও দিখৌ নদীর সংযোগে প্রচুর মাছ ও কচ্ছপ পাওয়া যেত। ব্রহ্মপুত্র থেকে মাছ এই নদীগুলোর মাধ্যমে শিবসাগরে প্রবেশ করত, ফলে এটি ‘মাছধরা জায়গা’ নামে পরিচিত ছিল।
(খ) শিবসাগরকে শেষ পর্যন্ত লেখকের পছন্দ হয়েছিল কেন?
উত্তরঃ প্রথমে লেখকের শিবসাগর সম্পর্কে বিরূপ ধারণা ছিল, কিন্তু পরে তিনি এর ঐতিহ্য ও সৌন্দর্য উপলব্ধি করেন। বিশাল বরপুখুরী, বিষ্ণুদেউল, শিবদেউল, দেবীদেউল, রংঘর, কারেং ঘর ও জয়সাগরের প্রাকৃতিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব লেখকের মনে শিবসাগরের প্রতি অনুরাগ সৃষ্টি করে।
(গ) পাঠে উল্লিখিত তিনটি দেউলের নাম লেখো।
উত্তরঃ বিষ্ণুদেউল, শিবদেউল, দেবীদেউল।
৩। দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্ন:
(ক) ‘আমার জীবনস্মৃতি’ পাঠ্যাংশের শুরুতে গুয়াহাটীর যে রূপ বর্ণিত হয়েছে তা তোমার নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তরঃ গুয়াহাটী শহরটি পাহাড় ও নদীবেষ্টিত একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর স্থান। এখানে দেবী কামাখ্যা, ভুবনেশ্বরী ও বশিষ্ঠ মন্দিরের মতো ধর্মীয় স্থান রয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদ ও উমানন্দ মন্দির এর সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তোলে। নদের বুকে ভাসমান নৌকা ও জাহাজ এই শহরের বৈচিত্র্যময় পরিবেশকে মনোমুগ্ধকর করে তোলে।
(খ) লেখকের অনুসরণে তাঁর বাল্যবয়সের ‘কবিতা যুদ্ধ’ এর বর্ণনা দাও।
উত্তরঃ শিবসাগরে লেখকের ভাইপোদের সঙ্গে তাঁর কবিতা আবৃত্তির প্রতিযোগিতা চলত। প্রথমদিকে লেখক বাংলা ভাষায় তাদের তুলনায় দুর্বল ছিলেন, কিন্তু পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি বাংলা শেখেন ও ভালো আবৃত্তিকার হয়ে ওঠেন। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে লেখকের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়।
(গ) লেখকের অনুসরণে তৎকালীন যাত্রাগান সম্বন্ধে একটি আলোচনা কর।
উত্তরঃ লেখক শিবসাগরে থাকাকালীন তিথিরাম বায়নের যাত্রাগানের দল দেখে মুগ্ধ হন। সে সময় বাংলা ভাষায় যাত্রাগান প্রচলিত ছিল এবং এতে দর্শকদের আনন্দ দেওয়া হত। উনিশ শতকের শেষের দিকে অসমীয়াতেও নাটক রচনা শুরু হয়।
৪। অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর:
১। ‘আমার জীবন স্মৃতি’ পাঠটির রচয়িতা কে?
উত্তরঃ লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়া।
২। লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়া কবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন?
উত্তরঃ ১৮৬৪ সালে।
৩। লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়ার পিতার নাম কি?
উত্তরঃ দীননাথ বেজবরুয়া।
৪। ‘আমার জীবনস্মৃতি’ কোন গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?
উত্তরঃ ‘মোর জীবন সোঁয়রণ’ গ্রন্থ থেকে।
৫। লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়া রচিত কবিতা পুথির নাম কি?
উত্তরঃ কদমকলি।
৬। লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়ার একমাত্র উপন্যাসটির নাম কি?
উত্তরঃ পদ্ম কুঁৱৰী।
৭। পূর্বে অসমের রাজধানী কোথায় ছিল?
উত্তরঃ রংপুর বা শিবসাগর।
৮। উমানন্দ কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ ব্রহ্মপুত্র নদের একটি দ্বীপে।
৯। লেখক গুয়াহাটী থেকে শিবসাগর কীভাবে গিয়েছিলেন?
উত্তরঃ নৌকায়।
১০। ভারতের অন্যান্য স্থানের সঙ্গে তুলনা করে অসমকে কি বলা হত?
উত্তরঃ ‘মাছধরা’ জায়গা।
১১। শিবসাগরে লেখকের খেলার সাথী কে ছিল?
উত্তরঃ তাঁর দুই ভাইপো।
১২। লেখকের আনন্দ কেন রংপুর পৌঁছানোর পর বীতরাগে পরিণত হল?
উত্তরঃ লেখক শিবসাগর নিয়ে উচ্চ অসম ও নিম্ন অসমের বিদ্রূপমূলক মন্তব্য শুনে বীতরাগ হন।
১৩। লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়ার সময় অসমের রাজধানী কোথায় ছিল? পাঠে উল্লিখিত শিবসাগরের তিনটি দেউলের নাম উল্লেখ করো।
উত্তরঃ রংপুর বা শিবসাগর। তিনটি দেউল হল – বিষ্ণুদেউল, শিবদেউল, দেবীদেউল।