Chapter 14 - 

দিবসের শেষে

১। অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:

(ক) ‘দিবসের শেষে’ গল্পের লেখক কে?
উত্তর:দিবসের শেষে’ গল্পের লেখক জগদীশ গুপ্ত।

(খ) ‘দিবসের শেষে’ গল্পটি লেখকের কোন গল্প সংকলনের অন্তর্গত?
উত্তর: গল্পটি লেখকের ‘বিনোদিনী’ নামক গল্প সংকলনের অন্তর্গত।

(গ) রতি নাপিতের ঘরের পূর্বদিকে কোন নদী প্রবাহিত?
উত্তর: রতি নাপিতের ঘরের পূর্বদিকে কামদা নদী প্রবাহিত।

(ঘ) রতি নাপিতের ছেলের নাম কী?
উত্তর: রতি নাপিতের ছেলের নাম পাঁচু

(ঙ) নারাণী কে?
উত্তর: নারাণী রতি নাপিতের স্ত্রী এবং পাঁচুর মা।

২। সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:

(ক) পাঁচুর অসংলগ্ন কথার দুটি উদাহরণ দাও।
উত্তর: ১. পাঁচু সন্ধ্যার সময়ে ঘরের ছাদের উপর একটি পেঁচাকে হাসতে দেখেছিল।
2. সে দেখেছিল, একটি বড় কচ্ছপ তার বাচ্চাদের সঙ্গে উঠোনে নৃত্য করছে

(খ) “বহু আরাধনার ধন এই পাঁচু” বাক্যটির অর্থ কী?
উত্তর: পাঁচুর মা নারাণী বহুদিন প্রার্থনা করে পাঁচুকে পুত্ররূপে পেয়েছিলেন। তার আগের তিনটি সন্তান জন্ম নিয়ে বাঁচেনি। তাই সে পাঁচুকে "বহু আরাধনার ধন" বলে উল্লেখ করেছে।

(গ) অধর বকুশি ঘটনার সংক্ষেপ বিবরণ দাও।
উত্তর: একদিন অধর বকুশি চাঁদের আলোয় নিজের ছায়াকে দেখে ভয় পেয়ে চিৎকার করেছিল। পরের দিন সে নৌকায় উঠেছিল, কিন্তু আর কখনো ফিরে আসেনি

(ঘ) “সেই দিন বিকেলে পাঁচুর সমবয়সী ছেলেমেয়ারা বিদ্যুতের বেগে অদৃশ্য হয়ে গেল” – তার কারণ কী?
উত্তর: পাঁচু ও তার বন্ধুরা কাঁঠাল চুরি করে খেয়েছিল। পাঁচুর শরীরে কাঁঠালের আঠা লেগে থাকায় তার মা নারাণী যখন তাকে দেখতে পেল, তখন ভয় পেয়ে তার বন্ধুরা দ্রুত পালিয়ে গেল

(ঙ) পাঁচুর মা কেন বলেছিল – “ছেলেটার মুখে হাসি ফুটেছে”?
উত্তর: পাঁচু স্নান করতে ভয় পাচ্ছিল, কিন্তু রতি তাকে জোর করে নদীতে নামায়। পরে পাঁচু স্নান করে শান্ত মনে ভাত খাওয়ায়, তার মা নারাণী খুশি হয়ে এই কথা বলে।

৩। দীর্ঘ প্রশ্নোত্তর:

(ক) “নিয়তি অমোঘ, তার সামনে মানুষ অসহায়” – বাক্যটির সত্যতা ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: গল্পে পাঁচুর আগাম মৃত্যুর সংকেত পাওয়া যায়। সে নিজেই বলে – "আজ আমাকে কুমিরে নেবে"। যদিও তার বাবা-মা এটাকে গুরুত্ব দেয়নি, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে সত্যিই কুমিরের খাদ্য হয়ে যায়। এই ঘটনাই প্রমাণ করে যে নিয়তির বিরুদ্ধে মানুষ অসহায়

(খ) “ছেলেটার সর্বনাশের কথা শুনে নারাণী প্রথমে ভয় পেল, কিন্তু পরে বুক হালকা হয়ে গেল” – কেন?
উত্তর: পাঁচু যখন বলে যে "আজ আমাকে কুমিরে নেবে", তখন তার মা নারাণী প্রথমে ভয় পেয়ে যায়। কিন্তু সে আগেও পেঁচা হাসতে দেখা ও কচ্ছপ নাচতে দেখা ইত্যাদি অবাস্তব কথা বলেছিল। তাই নারাণী ভাবে যে পাঁচুর এই কথাও কল্পনাপ্রসূত এবং সে ভয় কাটিয়ে ফেলে।

(গ) “শুধু পাঁচুর মা সেই দৃশ্য দেখল না” – কেন?
উত্তর: যখন পাঁচুকে কুমির টেনে নিয়ে যায়, তখন নারাণী ভয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তাই সে এই ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখতে পায়নি।

(ঘ) “রতিই বলেছিল, ‘না, ওর ভুলটা ভাঙা দরকার’।” – পাঁচুর ‘ভুল’ কী ছিল?
উত্তর: পাঁচু বারবার বলছিল "আজ আমাকে কুমিরে নেবে"। তার বাবা রতি ভাবল, এটা শুধু ভয় থেকেই আসা ভুল ধারণা। তাই সে পাঁচুর ভয় কাটানোর জন্য জোর করে নদীতে নামায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাঁচুর কথা সত্য হয় এবং কুমির তাকে টেনে নিয়ে যায়

৪। প্রসঙ্গ ব্যাখ্যা:

(ক) “এই ক্ষুদ্র ঘটনাই আর একটি হাসির মাধ্যমে রতির ভয় কাটিয়ে দিল” – ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: পাঁচু একবার তার বাবাকে জিজ্ঞাসা করেছিল, "শুশুক জলের নিচে মাছ কীভাবে ধরে?"
এই শিশুসম প্রশ্ন শুনে রতি হেসে ফেলে এবং তার ভয় কিছুটা কমে যায়

(খ) “সূর্যকে ভক্ষ্য নিবেদন করে কুম্ভীর পুনরায় অদৃশ্য হলো” – ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: গল্পের শেষে, যখন কুমির পাঁচুকে জলের গভীরে টেনে নিয়ে যায়, তখন সূর্যও অস্ত যাচ্ছিল। কুমিরের এই আচরণ যেন সূর্যকে বলি দেওয়ার দৃশ্য বলে মনে হয়েছিল।