Chapter 15 -

গণেশ জননী

( ক ) ‘ গণেশ জননী ‘ গল্পের লেখকের জীবিকা কী ? 

উত্তৰঃ ‘গণেশ জননী’ গল্পৰ লেখক ড° বীৰেশ্বৰ সেন দত্ত এজন পশু চিকিৎসক আছিল।

( খ ) ‘গণেশ জননী’ গল্পৰ লেখক পশু চিকিৎসা বিভাগত চাকৰি কৰিছিল।

উত্তৰ:‘ গণেশ জননী’ গল্পৰ লেখক পশু সম্পদ বিভাগত চাকৰি কৰিছিল।

( গ ) ‘ সেদিন এমনি একটি অপ্রত্যাশিত ____ ছুটিল । ‘ ( শূণ্যস্থান পূর্ণ কর )

 উত্তৰ:‘‘ সেদিন এমনি একটি অপ্রত্যাশিত বজ্রপাত ছুটিল । ‘

 ( ঘ ) ‘ গণেশ জননী ’ গল্পের লেখক সেকেণ্ড ক্লাসের রেলের টিকিট কিনেছিলেন কেন ?

 উত্তৰ: গণেশ জননী ’ গল্পের লেখক সেকেণ্ড ক্লাসের রেলের টিকিট কিনেছিলেন কারণ তাঁর কাছে তৃতীয় শ্রেণির জন্য খুচরা পয়সা ছিল না

( ঙ ) হাতির বাচ্চাটির নাম কে রেখেছিলেন ? 

 উত্তৰ:‘হাতির বাচ্চাটির নাম গণেশের প্রতিপালক ভদ্রলোকই রেখেছিলেন।

( চ ) গণেশ কত ঘণ্টা খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে রেখেছিল ? 

 উত্তৰ:‘গণেশ ২৪ ঘণ্টা খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে রেখেছিল।

( ছ ) গণেশ কোথায় বসেছিল ?

 উত্তৰ:‘গণেশ গোলাঘরে বসেছিল

( জ ) প্রতিপালক এবং প্রতিপালক গিন্নির অনুপস্থিতিতে গণেশ কী খেয়েছিল ?

উত্তর: প্রতিপালক এবং প্রতিপালক গিন্নির অনুপস্থিতিতে গণেশ কলা এবং মুড়ি খেয়েছিল।

( ঝ ) গণেশের প্রতিপালক ভদ্রলোকের কত বিঘা জমি ছিল ? 

উত্তর: গণেশের প্রতিপালক ভদ্রলোকের ৩০ বিঘা জমি ছিল।

( ঞ ) গণেশ জননী গণেশের জন্য কী বানিয়ে দিয়েছিলেন ? 

উত্তর: গণেশ জননী গণেশের জন্য পিঁঠা (পিঠা) বানিয়ে দিয়েছিলেন।

২। সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নঃ 

( ক ) ‘ হাতীর বাচ্চাটি দেখতে চমৎকার ’ – হাতির বাচ্চাটির বর্ণনা দাও।  

উত্তর: হাতির বাচ্চাটি দেখতে অত্যন্ত চমৎকার ছিল। তার ছোট্ট গোলাকার শরীর, মসৃণ ধূসর চামড়া, ছোট চোখ আর সরু লেজ ছিল। সে খেলার ছলে ছোটখাট দুষ্টুমিও করত এবং সবাইকে আনন্দ দিত। তার ছোট্ট শুঁড়টি কৌতূহলীভাবে এদিক-ওদিক নড়াচড়া করত, যা তাকে আরও মিষ্টি করে তুলেছিল।

( খ ) গণেশ তার পালক – গিন্নির বিভিন্ন কাজে কীভাবে সাহায্য করত , তার বর্ণনা দাও ।

উত্তর: গণেশ তার পালক-গিন্নির বিভিন্ন কাজে খুব সাহায্য করত। সে গিন্নির নির্দেশে ঘর থেকে জল আনত, ভারী জিনিস বহন করত এবং মাঝে মাঝে কাঠ কেটে এনে দিত। গণেশ নিজের শুঁড় দিয়ে রান্নাঘরের কাজে সাহায্য করত, এমনকি গিন্নির সঙ্গে বাজারে গিয়েও জিনিসপত্র আনতে সহায়তা করত। তার বুদ্ধিমত্তা ও অনুগত স্বভাবের জন্য গিন্নিও তাকে খুব ভালোবাসতেন।

( গ ) গণেশের প্রতিপালক পশু চিকিৎসককে ডেকেছিলেন কেন ? হাতীটির কী অসুখ
 হয়েছিল ?

উত্তর: গণেশের প্রতিপালক পশু চিকিৎসককে ডেকেছিলেন কারণ গণেশ হঠাৎ করে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল এবং দুর্বল হয়ে পড়েছিল। প্রতিপালক দুশ্চিন্তায় পড়ে যান ও চিকিৎসকের সাহায্য চান।

হাতীটির পেটের সমস্যা হয়েছিল। সে কোনো খাবার খেতে চাইছিল না, আর খুব দুর্বল দেখাচ্ছিল। চিকিৎসক এসে গণেশের চিকিৎসা করেন এবং তার শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করে দেখেন।

( ঘ ) গণেশ কেন খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল ?

উত্তর: গণেশ খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল কারণ তার পালক-গিন্নি কিছুদিনের জন্য বাড়ির বাইরে গিয়েছিলেন। তাদের অনুপস্থিতিতে গণেশ দুঃখী হয়ে পড়ে এবং কিছুই খেতে চাইছিল না। সে তাদের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও অভ্যাসের কারণে মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে গিয়েছিল, যার ফলে তার খাবার গ্রহণের ইচ্ছাও নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।

( ঙ ) প্রতিপালকের গিন্নি গণেশের খাওয়ার জন্য কী তৈরি করেছিলেন এবং সেই খাদ্য কোথায় রেখেছিলেন ?

উত্তর: গণেশের প্রতিপালকের গিন্নি তার জন্য বিশেষভাবে রুটি এবং গুড় তৈরি করেছিলেন। সেই খাদ্য তিনি গামলায় (বড় পাত্রে) করে রান্নাঘরের এক কোণে রেখে দিয়েছিলেন, যাতে গণেশ এসে খেতে পারে।

( চ ) বাড়িতে গণেশের অবাধ বিচরণের জন্য গনেশের প্রতিপালক ভদ্রলোক কী করেছিলেন ?

উত্তর: গণেশের অবাধ বিচরণের জন্য তার প্রতিপালক ভদ্রলোক বাড়ির আঙিনার চারদিকে উঁচু বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে দিয়েছিলেন, যাতে গণেশ নিরাপদে বাড়ির ভেতরেই চলাফেরা করতে পারে এবং বাইরে চলে না যায়।

৩। দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নঃ

 ( ক ) ‘ গণেশ জননী ’ গল্পের লেখককে স্টেশন থেকে নিয়ে যাবার জন্য যে ব্যক্তি উপস্থিত হয়েছিলেন , তাঁর চেহারা এবং পোশাক – পরিচ্ছদ বর্ণনা দাও ।

উত্তর: ‘গণেশ জননী’ গল্পের লেখককে স্টেশন থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে ব্যক্তি উপস্থিত হয়েছিলেন, তিনি ছিলেন একজন সাধারণ গ্রাম্য ভদ্রলোক। তার চেহারা ছিল মলিন কিন্তু আন্তরিকতার ছাপ স্পষ্ট ছিল। পোশাক হিসেবে তিনি পরেছিলেন সাধারণ ধুতি ও পাঞ্জাবি, যা বেশ পুরানো ও ধুলো-মলিন ছিল। মাথায় একটি গামছা জড়ানো ছিল, যা তিনি ঘাম মুছতে ব্যবহার করছিলেন। তার মুখে ছিল বিনয়ের অভিব্যক্তি এবং কথা বলার ধরন ছিল অত্যন্ত ভদ্র ও অতিথিপরায়ণ। এই সাধারণ অথচ আন্তরিক মানুষটির মধ্যে গ্রাম্য সরলতা ও অতিথিসেবার প্রবৃত্তি লক্ষ্য করা গিয়েছিল।

( খ ) ‘ গণেশ জননী ‘ গল্পের লেখককে স্টেশন থেকে নিয়ে যাবার জন্য যে ব্যক্তি উপস্থিত হয়েছিলেন , তাঁর চেহারা এবং পোশাক – পরিচ্ছদ বর্ণনা দাও ?

উত্তর: ‘গণেশ জননী’ গল্পের লেখককে স্টেশন থেকে নিয়ে যেতে যে ব্যক্তি উপস্থিত হয়েছিলেন, তিনি ছিলেন এক সাধারণ গ্রাম্য ভদ্রলোক। তার গায়ের রং শ্যামলা, শরীর ছিল পাতলা কিন্তু শক্তসমর্থ। তার মুখে ছিল সরলতার ছাপ, যা তাকে অত্যন্ত আন্তরিক ও অতিথিপরায়ণ করে তুলেছিল।

পোশাক হিসেবে তিনি পরেছিলেন একটি মলিন সাদা ধুতি ও একটি হালকা রঙের পাঞ্জাবি, যা অনেকবার ধোয়ার ফলে কিছুটা বিবর্ণ হয়ে গিয়েছিল। মাথায় ছিল একটি গামছা, যা তিনি প্রয়োজন অনুযায়ী ঘাম মুছতে ব্যবহার করছিলেন। পায়ে ছিল সাধারণ চটি, যা দীর্ঘ পথ চলার ক্লান্তির চিহ্ন বহন করছিল।

তার সামগ্রিক চেহারা ও পোশাক-পরিচ্ছদ থেকে বোঝা গিয়েছিল যে তিনি ছিলেন এক সাধারণ কিন্তু দায়িত্ববান ব্যক্তি, যিনি লেখককে যথাযথভাবে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এসেছিলেন।

( গ ) ‘ গণেশ জননী ‘ গল্পের ভদ্রলোক হাতি কীভাবে পেয়েছিলেন ?

উত্তর: ‘গণেশ জননী’ গল্পের ভদ্রলোক হাতিটি এক বিশেষ পরিস্থিতিতে পেয়েছিলেন। একদিন, বন বিভাগের কিছু লোক একটি হাতির বাচ্চাকে গ্রামের কাছে রেখে যায়, কারণ সেই বাচ্চাটি দলছুট হয়ে পড়েছিল এবং তার মায়ের খোঁজ পাওয়া যায়নি।

গ্রামের কেউ সেই হাতির বাচ্চাটিকে নিজেদের দায়িত্বে নিতে চাইছিল না, কিন্তু ভদ্রলোক দয়া পরবশ হয়ে তাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন। তিনি এবং তার স্ত্রী সন্তানের মতো ভালোবাসা ও যত্নে হাতির বাচ্চাটিকে লালন-পালন করতে থাকেন। ধীরে ধীরে, হাতিটি তাদের পরিবারের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠে, এবং তারা স্নেহভরে তার নাম রাখেন গণেশ

( ঘ ) “ আরে মশাই আমাদের ঘর কি আর মানুষের ঘর আছে , হাতীর ঘর হয়ে গেছে । ” — এই উক্তটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো ।

উত্তর: এই উক্তিটি ‘গণেশ জননী’ গল্পে গণেশের প্রতিপালক ভদ্রলোকের স্ত্রী অর্থাৎ গিন্নির মুখ থেকে বলা হয়েছে। এটি তাদের বাড়িতে গণেশের অবাধ বিচরণ এবং তার প্রতি তাদের গভীর স্নেহ ও যত্নের প্রতিফলন।

উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ:

এই বাক্য দ্বারা বোঝানো হয়েছে যে, তাদের বাড়ি সাধারণ মানুষের বাড়ির মতো নেই, বরং গণেশের কারণে সেটি এখন অনেকটাই হাতির ঘরে পরিণত হয়েছে।

  1. গণেশের প্রাধান্য: গণেশকে তারা শুধুমাত্র একটি পোষ্য প্রাণী হিসেবে দেখেননি, বরং পরিবারের একজন সদস্যের মতো ভালোবাসা ও যত্ন দিয়েছেন। ফলে সে পুরো বাড়িতে অবাধে ঘোরাফেরা করত, এমনকি তাদের দৈনন্দিন কাজে প্রভাব ফেলত।

  2. পরিবর্তিত পরিবেশ: একটি হাতিকে লালন-পালন করা সহজ কাজ নয়। তার বিশাল শরীর, খাবারের পরিমাণ, চলাফেরার ধরন—এসব কারণে বাড়ির সাধারণ পরিবেশ বদলে গিয়েছিল। ভদ্রলোকের গিন্নির এই কথার মাধ্যমে বোঝা যায়, তারা গণেশকে এতটাই আপন করে নিয়েছিলেন যে তাদের ঘরকেও হাতির থাকার উপযোগী করে তুলতে হয়েছিল।

  3. স্নেহ ও দায়িত্ববোধ: যদিও কথাটি একটু মজার ছলে বলা হয়েছে, তবে এর গভীরে ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ লুকিয়ে আছে। তারা গণেশকে কখনোই একটি সাধারণ প্রাণীর মতো দূরে ঠেলে দেননি, বরং তার জন্য নিজেদের জীবনযাত্রার ধরন বদলেছেন।

উপসংহার:

এই উক্তিটি গল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা গণেশ ও তার প্রতিপালকের পরিবারের সম্পর্ককে তুলে ধরে। এটি দেখায় কিভাবে এক দয়ালু মানুষ ও তার স্ত্রী গণেশকে স্নেহ দিয়ে বড় করেছেন এবং তার জন্য নিজেদের জীবনযাত্রা পর্যন্ত বদলে ফেলেছেন।

( ঙ ) গণেশ জননী গল্পে ‘ গণেশ জননী ’ বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে ? কেন ?

উত্তর: গণেশ জননী গল্পে ‘গণেশ জননী’ বলতে গণেশের প্রতিপালক ভদ্রলোকের স্ত্রী অর্থাৎ গিন্নিকে বোঝানো হয়েছে।

কারণ:

  1. মাতৃসুলভ স্নেহ ও যত্ন: গল্পে দেখা যায়, ভদ্রলোকের স্ত্রী গণেশকে নিজের সন্তানের মতো যত্ন ও স্নেহ দিয়ে বড় করেছেন। গণেশ যখন ছোট ছিল, তখন তিনি তাকে নিজের হাতে খাওয়াতেন, তার জন্য বিশেষ খাবার তৈরি করতেন, এমনকি অসুস্থ হলে সেবা করতেন।

  2. গভীর মায়া ও ভালোবাসা: গিন্নির মনে গণেশের প্রতি তীব্র মায়া জন্মেছিল। গণেশও তাকে মা বলে মনে করত এবং তার স্নেহের জন্য তার কাছাকাছি থাকতে চাইত।

  3. গণেশের ওপর প্রভাব: গিন্নির স্নেহ গণেশকে মানুষের মতো অনুভূতিপ্রবণ করে তুলেছিল। গল্পের শেষে দেখা যায়, গিন্নির অনুপস্থিতিতে গণেশ দুঃখে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয়, যা তার মায়ের প্রতি তার গভীর ভালোবাসার পরিচয় বহন করে।

উপসংহার:

গল্পে গিন্নি গণেশকে ঠিক যেমন একজন মা তার সন্তানকে বড় করে তোলেন, তেমনই স্নেহ-মমতা দিয়ে লালন-পালন করেছেন। তাই গল্পের নাম ‘গণেশ জননী’, যেখানে ‘জননী’ অর্থ মা এবং গণেশের জন্য সেই মায়ের ভূমিকা পালন করেছেন তার প্রতিপালক গিন্নি।

( চ ) ‘ গণেশ জননী ‘ গল্পের নামকরণের সার্থকতা বিচার করো।

উত্তর: ‘গণেশ জননী’ গল্পের নামকরণের সার্থকতা

গল্পের নাম ‘গণেশ জননী’ অত্যন্ত সার্থক এবং যথার্থ। নামটির মাধ্যমে গল্পের মূল ভাব ও প্রেক্ষাপট ফুটে উঠেছে। এটি দুটি প্রধান বিষয়কে তুলে ধরে— গণেশ নামের হাতিটি এবং তার প্রতিপালক গিন্নির মাতৃসুলভ স্নেহ

১. জননী শব্দের অর্থ ও তাৎপর্য

‘জননী’ শব্দের অর্থ মা বা জন্মদাত্রী। যদিও গিন্নি গণেশের জৈবিক মা নয়, তবুও তিনি গণেশকে মাতৃস্নেহে বড় করেছেন, ঠিক যেন এক জননী তার সন্তানকে লালন-পালন করেন।

২. গিন্নির মাতৃসুলভ যত্ন ও ভালোবাসা

গল্পে দেখা যায়, গণেশ যখন ছোট ছিল, তখন গিন্নি তাকে নিজের সন্তানের মতো লালন-পালন করেছেন। তিনি গণেশের খাবারের বিশেষ যত্ন নিতেন, তাকে ভালোবেসে বিভিন্ন খাবার বানিয়ে দিতেন, অসুস্থ হলে সেবা করতেন।

৩. গণেশের ভালোবাসা ও অনুভূতি

গিন্নির প্রতি গণেশের ভালোবাসাও মাতৃসুলভ সম্পর্ককে প্রতিফলিত করে। গিন্নি যখন বাড়ি ছেড়ে চলে যান, তখন গণেশ দুঃখে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয়। এটি বোঝায় যে সে গিন্নিকে তার মা বলেই মনে করত।

৪. গল্পের মূল বার্তা

এই গল্প শুধু একটি হাতি ও তার প্রতিপালকের সম্পর্কের কাহিনি নয়, বরং প্রকৃতি ও প্রাণীর মধ্যে ভালোবাসার এক অনন্য উদাহরণ। এটি দেখায়, কেবল রক্তের সম্পর্কই গুরুত্বপূর্ণ নয়, ভালোবাসা, যত্ন ও মমতাও এক শক্তিশালী বন্ধন তৈরি করতে পারে।

উপসংহার

‘গণেশ জননী’ নামটি গল্পের সারমর্মকে নিখুঁতভাবে প্রকাশ করে। গল্পটি মাতৃত্ব, ভালোবাসা, স্নেহ ও ত্যাগের এক অসাধারণ উদাহরণ তুলে ধরে। তাই, গল্পের নাম সম্পূর্ণ সার্থক ও যথাযথ

( ছ ) ‘ গণেশ জননী ’ গল্পে গণেশের প্রতিপালক ভদ্রলোকের চরিত্র বিশ্লেষণ করো ।

উত্তর: ‘গণেশ জননী’ গল্পে গণেশের প্রতিপালক ভদ্রলোকের চরিত্র বিশ্লেষণ

গল্পের প্রতিপালক ভদ্রলোক একজন সহৃদয়, প্রাণীপ্রেমী এবং দয়ালু ব্যক্তি। তার চরিত্র গল্পের মূল কাহিনিকে এগিয়ে নিয়ে যায় এবং গণেশের প্রতি তার ব্যবহার গল্পের আবেগকে আরও গভীর করে তোলে।

১. প্রাণীপ্রেমী ও দয়ালু

ভদ্রলোক ছিলেন একজন প্রাণীপ্রেমী। তিনি গণেশকে ছোটবেলায় বাড়িতে নিয়ে আসেন এবং তার লালন-পালনের দায়িত্ব নেন। সাধারণত হাতি পালা সহজ কাজ নয়, তবে তিনি ধৈর্য সহকারে গণেশকে বড় করেন।

২. পিতৃসুলভ আচরণ

যেমন একজন বাবা তার সন্তানের দেখভাল করেন, তেমনই ভদ্রলোক গণেশকে সন্তানের মতো ভালোবেসে লালন-পালন করেন। গণেশ বড় হয়ে যাওয়ার পরও তিনি তাকে ত্যাগ করেননি, বরং বাড়িতে তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছিলেন।

৩. স্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল

গল্পে দেখা যায়, তার স্ত্রী গণেশকে অত্যন্ত ভালোবাসতেন এবং তার যত্ন নিতেন। ভদ্রলোকও স্ত্রীকে সম্মান করতেন এবং তার মতামতকে গুরুত্ব দিতেন।

৪. সহানুভূতিশীল ও দায়িত্বশীল

ভদ্রলোক শুধু গণেশের প্রতিপালক ছিলেন না, তিনি তার পরিবারের প্রতিও দায়িত্বশীল ছিলেন। গণেশ বড় হওয়ার পর বাড়িতে সমস্যা সৃষ্টি করলেও তিনি কখনো গণেশকে তাড়িয়ে দেননি। বরং, তার দেখভালের ব্যবস্থা করেন।

৫. বাস্তববাদী চিন্তাভাবনা

যদিও গণেশ তার বাড়ির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছিল, তবুও ভদ্রলোক বুঝতে পেরেছিলেন যে বাড়িতে একটি বড় হাতি রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই, তিনি গণেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করতেন এবং তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা করার চেষ্টা করতেন।

( জ ) ‘ গণেশ জননী ‘ গল্পের পশু চিকিৎসক রোগী দেখার ‘ ফি ’ নেননি কেন ?

উত্তর: গল্পে দেখা যায় যে গণেশের প্রতিপালক ভদ্রলোক একজন প্রাণীপ্রেমী ও দয়ালু ব্যক্তি, যিনি গণেশকে সন্তানের মতো লালন-পালন করেছেন। যখন গণেশ অসুস্থ হয়ে পড়ে, তখন তিনি একজন পশু চিকিৎসককে ডাকেন।

পশু চিকিৎসক রোগী দেখার জন্য ‘ফি’ নেননি কারণ—

  1. ভদ্রলোকের প্রাণীপ্রেম ও ভালোবাসার প্রতি সম্মান দেখানো – চিকিৎসক বুঝতে পেরেছিলেন যে ভদ্রলোক শুধু এক সাধারণ পশুপালক নন, বরং গণেশকে নিজের পরিবারের সদস্যের মতো ভালোবাসেন। এই নিঃস্বার্থ ভালোবাসার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি কোনো ফি নেননি।

  2. মানবিকতা ও সহানুভূতি – পশু চিকিৎসক ছিলেন একজন সংবেদনশীল ও মানবিক ব্যক্তি। তিনি গণেশের অসুস্থতা দেখে সহানুভূতিশীল হন এবং অর্থের বিনিময়ে সেবা দেওয়ার পরিবর্তে নিঃস্বার্থভাবে চিকিৎসা করেন।

  3. গণেশের প্রতি ভালোবাসা – গণেশ ছিল অত্যন্ত চতুর ও স্নেহশীল হাতি। তার প্রতি সবার ভালোবাসা ছিল। চিকিৎসকও গণেশকে দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন এবং এজন্য তিনি তার চিকিৎসার বিনিময়ে কোনো টাকা নেননি।

  4. নৈতিক দায়িত্ববোধ – একজন পশু চিকিৎসক হিসেবে তিনি শুধুমাত্র পেশাগত কাজ করেননি, বরং প্রাণীর প্রতি দায়িত্ববোধ ও সহানুভূতি দেখিয়েছেন। তিনি মনে করেছিলেন, অর্থের চেয়ে প্রাণ বাঁচানোই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

 ( ঝ ) ‘ গণেশ জননী ‘ গল্পে মানুষ এবং জীব জগতের যে সম্প্রীতি এবং বাৎসল্যের ছবি প্রকাশিত হয়েছে , তা পরিস্ফুট করো ।

উত্তর: ‘গণেশ জননী’ গল্পে মানুষ ও জীবজগতের সম্প্রীতি ও বাৎসল্যের চিত্র

‘গণেশ জননী’ গল্পে মানুষের সঙ্গে পশুর এক গভীর সম্পর্কের চিত্র ফুটে উঠেছে। এখানে শুধু মালিক ও পশুর সম্পর্ক নয়, বরং একটি মাতৃসুলভ স্নেহ ও ভালোবাসার বন্ধন প্রকাশিত হয়েছে, যা মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

১. গণেশ ও তার প্রতিপালকের সম্পর্ক

গণেশের প্রতিপালক ভদ্রলোক শুধু তার মালিক নন, বরং একজন দয়ালু ও স্নেহশীল অভিভাবকের মতো গণেশকে লালন-পালন করেন। তিনি গণেশকে সন্তানের মতো যত্ন করেন, তাকে ভালো খাবার দেন এবং তার আরামের ব্যবস্থা করেন। এটি দেখায় যে মানুষ ও পশুর মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্কও গড়ে উঠতে পারে

২. গণেশ ও প্রতিপালকের স্ত্রীর সম্পর্ক

গণেশ প্রতিপালকের স্ত্রীকেও মায়ের মতো ভাবত। গৃহকর্ত্রীও তাকে সন্তানের মতোই দেখতেন। তিনি গণেশের জন্য নিজ হাতে খাবার তৈরি করতেন এবং আদর করতেন। গল্পে দেখা যায়, তিনি গণেশের জন্য বিশেষ খাবার বানিয়ে রাখেন, যা তার ভালোবাসার প্রকাশ। এটি মানুষের স্নেহশীলতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত।

৩. গণেশের প্রতিক্রিয়া ও আবেগ

গণেশও কেবল একটি সাধারণ হাতি ছিল না, বরং সে মানুষের ভালোবাসা ও অনুভূতি বুঝতে পারত। যখন তার প্রতিপালক দেরি করে বাড়ি ফেরেন, তখন গণেশ অভিমান করে খাওয়া বন্ধ করে দেয়। এতে বোঝা যায় যে, প্রাণীরাও মানুষের মতোই অনুভূতিপ্রবণ হয় এবং স্নেহ-ভালোবাসার প্রতিদান দিতে জানে।

৪. পশু চিকিৎসকের মানবিকতা

গল্পের পশু চিকিৎসকও অর্থের বিনিময়ে নয়, ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ থেকে গণেশের চিকিৎসা করেন। তিনি ফি নেন না, কারণ তিনি বোঝেন যে গণেশ তার পরিবারের একজন সদস্যের মতো। এটি দেখায় যে মানুষ শুধু স্বার্থপর নয়, বরং পশুদের প্রতিও তাদের ভালোবাসা ও দয়া থাকতে পারে।

৫. গল্পের সারমর্ম ও বার্তা

‘গণেশ জননী’ গল্পটি আমাদের শেখায় যে মানুষ ও প্রাণীর মধ্যে ভালোবাসা, মমতা ও সম্প্রীতির সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে। এখানে প্রতিপালক ও তার স্ত্রী গণেশকে যেভাবে স্নেহ করেন, তেমনই গণেশও তাদের প্রতি অনুগত ও আবেগপ্রবণ ছিল।

( ঞ ) ব্যাখ্যা করোঃ “ তাহলে আর টাকার দরকার হবে না পোদ্দার । গয়নাগুলো তুমি ফেরত দিয়া যাও । ” 

উত্তর: ব্যাখ্যা:

উক্তিটি ‘গণেশ জননী’ গল্পের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের প্রতিফলন, যেখানে মানবিকতা, আত্মত্যাগ ও স্নেহের গভীরতা প্রকাশ পেয়েছে।

গল্পে দেখা যায়, গণেশের প্রতিপালক ভদ্রলোকের আর্থিক অবস্থা খুব ভালো ছিল না। গণেশের চিকিৎসার জন্য পশু চিকিৎসককে টাকা দিতে হবে ভেবে তার স্ত্রী নিজের গয়না বন্ধক রেখে টাকা জোগাড় করার চেষ্টা করেন। কিন্তু পশু চিকিৎসক, যিনি শুধুমাত্র অর্থের জন্য কাজ করেন না, তিনি গণেশের চিকিৎসার জন্য কোনো ফি নেননি

যখন চিকিৎসক জানান যে তিনি কোনো পারিশ্রমিক নেবেন না, তখন প্রতিপালক তার স্ত্রীকে বলেন,

উক্তিটির তাৎপর্য:

১. ভালোবাসার মূল্য টাকার চেয়ে বেশি:
– প্রতিপালক এবং তার স্ত্রী গণেশকে এতটাই ভালোবাসতেন যে তার চিকিৎসার জন্য গয়নাও বন্ধক রাখতে প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু চিকিৎসকের মহানুভবতায় সেটির আর প্রয়োজন পড়েনি।

২. মানবিকতা ও উদারতার প্রতিফলন:
– পশু চিকিৎসক শুধুমাত্র পেশাদার নন, বরং তিনি একজন সহানুভূতিশীল মানুষ। তিনি দেখিয়েছেন যে সবকিছু টাকার বিনিময়ে হয় না, বরং ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধও গুরুত্বপূর্ণ

৩. গল্পের মূল বার্তা:
– উক্তিটি গল্পের সম্প্রীতি ও আত্মত্যাগের মূল শিক্ষা তুলে ধরে।
– এতে বোঝা যায়, মানুষ ও পশুর মধ্যে সম্পর্ক শুধু স্বার্থের নয়, বরং স্নেহ-ভালোবাসার উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

১। বনফুল কার ছদ্মনাম ?

উত্তর: বনফুল হল বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়-এর ছদ্মনাম। তিনি একজন প্রখ্যাত বাঙালি সাহিত্যিক, চিকিৎসক ও কবি ছিলেন।

২। ‘ গণেশ জননী ‘ গল্পের গণেশ কে ?

উত্তর: ‘ গণেশ জননী ‘ গল্পের গণেশ হল একটি হাতির বাচ্চা। এটি এক দয়ালু ভদ্রলোকের পালিত হাতি, যাকে তিনি নিজের সন্তানের মতো লালন-পালন করেন।

৩। এই পরাধীন দরিদ্র দেশে কী থাকবার কথা নয় ?

উত্তর: "এই পরাধীন দরিদ্র দেশে হাতির মতো বিলাসিতা থাকবার কথা নয়।" অর্থাৎ, গল্পে বলা হয়েছে যে দারিদ্র্য ও পরাধীনতার মধ্যে থাকা দেশবাসীর জন্য হাতি পালা একপ্রকার বিলাসিতা, যা স্বাভাবিকভাবে তাদের জীবনে থাকার কথা নয়।

৪। পশু চিকিৎসক ট্রেনে কত সময় সফর করেছিলেন ?

উত্তর: পশু চিকিৎসক সারা রাত ট্রেনে সফর করেছিলেন।

৫। যিনি কথককে স্টেশনে নিতে এসেছিলেন তিনি কী প্রশ্ন করেছিলেন ?

উত্তর: যিনি কথককে স্টেশনে নিতে এসেছিলেন, তিনি প্রশ্ন করেছিলেন—
"আপনি কি ডাক্তারবাবু?"

৬। ভদ্রলোককে দেখে চিকিৎসকের কী মনে হয়েছিল ?

উত্তর: ভদ্রলোককে দেখে চিকিৎসকের মনে হয়েছিল যে তিনি একজন গ্রামের সহজ-সরল, সৎ ও পরোপকারী ব্যক্তি, যিনি প্রাণীদের প্রতি গভীর ভালোবাসা অনুভব করেন। তাঁর পোশাক-পরিচ্ছদ ও আচরণ দেখে মনে হয়েছিল যে তিনি খুবই সাধারণ জীবনযাপন করেন।

৭। হাতির বাচ্চাটি ভদ্রলোকের ঘরে কত বছর আগে এসেছিল ?

উত্তর: হাতির বাচ্চাটি ভদ্রলোকের ঘরে প্রায় তিন বছর আগে এসেছিল।

৮। যে লোকটি মাঠের মাঝখানে পড়েছিল সে লোকটি কোথাকার লোক ?

উত্তর: যে লোকটি মাঠের মাঝখানে পড়েছিল, সে লোকটি ছিল পাশের গ্রামের।

৯। প্রতিপালকের কত বিঘা জমি ছিল ?

উত্তর: গণেশের প্রতিপালক ভদ্রলোকের ১৪ বিঘা জমি ছিল।

১০। গণেশ মানুষের মতো কী করে ?

উত্তর: গণেশ মানুষের মতো অনেক আচরণ করত। সে তার প্রতিপালক এবং প্রতিপালক গিন্নির কথাবার্তা বুঝতে পারত এবং তাঁদের কাজে সাহায্য করত। যেমন—গিন্নির কাজে সহায়তা করা, তার ভালো-মন্দ বুঝতে পারা, দুঃখ-কষ্ট অনুভব করা, এমনকি অভিমান করে খাওয়া দাওয়া বন্ধ রাখাও মানুষের মতো আচরণের উদাহরণ।

১১। ‘ আমার রুগী কোথায় ’ ? – বক্তা কে ?

উত্তর: ‘ আমার রুগী কোথায় ? ’—এই উক্তির বক্তা হলেন পশু চিকিৎসক, অর্থাৎ ‘গণেশ জননী’ গল্পের লেখক।

১২। “ এইখানেই আছে । আমারই হাতী ’ — কে কাকে বলেছে ?

উত্তর: “ এইখানেই আছে। আমারই হাতী।”—এই কথাটি গণেশের প্রতিপালক ভদ্রলোক পশু চিকিৎসককে বলেছেন, যখন চিকিৎসক তাঁর রুগীর (হাতির) সন্ধান করেছিলেন।

১৩। বিশেষ কিছু নয় , খাওয়া বন্ধ হয়েছে । ‘ — বক্তা কে ? কার খাওয়া বন্ধ হয়েছে এবং কেন ?

উত্তর: “বিশেষ কিছু নয়, খাওয়া বন্ধ হয়েছে।”—এই কথাটি গণেশের প্রতিপালক ভদ্রলোক পশু চিকিৎসককে বলেছেন।

কার খাওয়া বন্ধ হয়েছে?
হাতি গণেশের খাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

কেন খাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল?
গণেশের প্রতিপালক ভদ্রলোক এবং তাঁর স্ত্রী কিছুদিনের জন্য বাড়ির বাইরে ছিলেন। তাদের অনুপস্থিতিতে গণেশ মন খারাপ করে খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দেয়।

১৪। “ আপনাদের এইটুকু বাসায় একে রাখেন কোথায় ? ” – এখানে কার বাসার কথা বলা হয়েছে এবং কাকে রাখার কথা বলা হয়েছে ?

উত্তর: “আপনাদের এইটুকু বাসায় একে রাখেন কোথায়?”—এই উক্তিতে প্রতিপালক ভদ্রলোকের বাসার কথা বলা হয়েছে এবং হাতি গণেশকে রাখার কথা বলা হয়েছে।

চিকিৎসক বিস্মিত হয়ে জানতে চান, এত ছোট বাসায় কীভাবে এত বড় হাতিকে রাখা সম্ভব!

১৫। “ খাও লক্ষ্মী তো – লেবু দিয়ে কেমন সুন্দর বার্লি করে এনেছি । চেখেই দেখ না একটু ” — কে , কার উদ্দেশ্যে কথাটি বলেছে ?

উত্তর: “খাও লক্ষ্মী তো – লেবু দিয়ে কেমন সুন্দর বার্লি করে এনেছি। চেখেই দেখ না একটু।”

প্রতিপালকের গিন্নি এই কথাটি গণেশের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন। তিনি গণেশের জন্য বিশেষ যত্ন করে বার্লি তৈরি করেছিলেন, কিন্তু গণেশ কিছু খাচ্ছিল না, তাই তাকে খাওয়ানোর জন্য এভাবে আহ্বান জানান।