Chapter 18 - 

কৈশোরকাল ও তার উপযোগী শিক্ষা


১। অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নঃ 

( ক ) কৈশোরকাল ও তার উপযোগী শিক্ষা পাঠটির লেখক কে ?

উত্তর:- কৈশোরকাল ও তার উপযোগী শিক্ষা পাঠটির লেখক হলেন ডঃ বিনয় কোঠারি।

( খ ) কৈশোরকাল কোন শব্দ থেকে উদ্ভুত ? 

উত্তর:- কৈশোরকাল শব্দটি "কৈশোর" শব্দ থেকে উদ্ভূত।

( গ ) কৈশোরকাল শিশু বিকাশের কোন স্তর ? 

উত্তর:- কৈশোরকাল শিশু বিকাশের তৃতীয় স্তর

( ঘ ) কত সালে ভারত সরকার জাতীয় শিক্ষানীতিতে মাধ্যমিক শিক্ষাকে নতুন করে সাজাবার জন্য সুপারি করেছিল ? 

উত্তর:- ১৯৮৬ সালে ভারত সরকার জাতীয় শিক্ষানীতিতে মাধ্যমিক শিক্ষাকে নতুন করে সাজাবার জন্য সুপারিশ করেছিল।

( ঙ ) আন্তঃরাষ্ট্রীয় শিক্ষা আয়োগ কোন শিক্ষাকে ‘ জীবনের সন্ধিক্ষণ ’ বলে অভিহিত করেছে ? 

উত্তর:- আন্তঃরাষ্ট্রীয় শিক্ষা আয়োগ মাধ্যমিক শিক্ষাকে ‘জীবনের সন্ধিক্ষণ’ বলে অভিহিত করেছে।

২। সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নঃ 

 ( ক ) রুশো শিশু বিকাশের ধারাকে কয়টি ভাগে ভাগ করেছিলেন ? সেগুলো কী কী ? 

উত্তর:-  রুশো শিশু বিকাশের ধারাকে চারটি ভাগে ভাগ করেছিলেন। সেগুলো হলো—

  1. শৈশবকাল (জন্ম থেকে ৫ বছর)
  2. কৈশোরের পূর্বকাল (৬ থেকে ১২ বছর)
  3. কৈশোরকাল (১৩ থেকে ১৫ বছর)
  4. যৌবনকাল (১৬ থেকে পরবর্তী সময়)

( খ ) স্ট্যানলি হল কৈশোর কালকে জীবনের জটিলতম এবং সংকটপূর্ণ সময় বলে মনে করেন কেন ? 

 উত্তর:-  স্ট্যানলি হল কৈশোরকালকে জীবনের জটিলতম ও সংকটপূর্ণ সময় বলে মনে করেন কারণ—

  1. এই সময়ে শারীরিক, মানসিক ও আবেগিক পরিবর্তন ঘটে।
  2. ব্যক্তি আত্মপরিচয়ের সন্ধান করতে থাকে।
  3. মানসিক দ্বন্দ্ব, হতাশা ও উদ্বেগ দেখা দেয়।
  4. স্বাধীনতা ও দায়িত্বের মধ্যে টানাপোড়েন থাকে।
  5. সমাজ ও পরিবারের সঙ্গে নতুনভাবে সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

( গ ) মনোবিজ্ঞানীরা কৈশোরকালের সময়সীমা কীভাবে ভাগ করেছেন ? 

উত্তর:-   মনোবিজ্ঞানীরা কৈশোরকালের সময়সীমাকে সাধারণত তিন ভাগে বিভক্ত করেছেন—

  1. প্রাক্-কৈশোরকাল (১০-১২ বছর) → শৈশব থেকে কৈশোরের পরিবর্তন শুরু হয়।
  2. মধ্য কৈশোরকাল (১৩-১৭ বছর) → শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন তীব্র হয়।
  3. পরবর্তী কৈশোরকাল (১৮-১৯ বছর বা তদূর্ধ্ব) → আত্মপরিচয় ও পরিপক্বতা গঠিত হয়।

৩। দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নঃ 

( ক ) কৈশোরকালের যে কোনো দুটি বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করো । 

উত্তর:- কৈশোরকালের দুটি বৈশিষ্ট্য

কৈশোরকাল হলো জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়, যেখানে শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক পরিবর্তন ঘটে। এই পর্যায়ের দুটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো—

  1. শারীরিক পরিবর্তন → কৈশোরকালে শারীরিক বৃদ্ধি দ্রুত হয়। উচ্চতা ও ওজন বাড়ে, কণ্ঠস্বর পরিবর্তন হয় এবং হরমোনের কারণে বিভিন্ন যৌন বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায়। এই পরিবর্তনগুলো মানসিক ও আবেগিক অবস্থার ওপরও প্রভাব ফেলে।

  2. আবেগজনিত পরিবর্তন → কৈশোরে আবেগ তীব্র হয়ে ওঠে এবং আচরণে পরিবর্তন দেখা যায়। অল্পতেই রাগ, হতাশা বা আনন্দ অনুভূত হয়। আত্মপরিচয়ের সন্ধান করতে গিয়ে অনেক সময় কিশোর-কিশোরীরা বিদ্রোহী স্বভাবের হয়ে ওঠে।

( খ ) জীবনের কোন সময়কে কৈশোরকাল বলা হয় ? এই বয়সের সময়সীমা উল্লেখ করে বৈশিষ্ট্যগুলো লেখো ? 

উত্তর:- জীবনের কোন সময়কে কৈশোরকাল বলা হয়?

কৈশোরকাল হলো শৈশব ও প্রাপ্তবয়স্কতার মধ্যবর্তী পর্যায়, যেখানে ব্যক্তির শারীরিক, মানসিক, আবেগিক ও সামাজিক পরিবর্তন ঘটে।

কৈশোরকালের সময়সীমা বিভিন্ন মনোবিজ্ঞানী ও গবেষকদের মতে, কৈশোরকাল সাধারণত ১০-১৯ বছর বয়স পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এটি তিন ভাগে বিভক্ত—

  1. প্রাক্-কৈশোরকাল (১০-১২ বছর)
  2. মধ্য কৈশোরকাল (১৩-১৭ বছর)
  3. পরবর্তী কৈশোরকাল (১৮-১৯ বছর বা তদূর্ধ্ব)

কৈশোরকালের বৈশিষ্ট্য : 

  1. শারীরিক বৃদ্ধি ও পরিবর্তন
  2. মানসিক ও আবেগিক পরিবর্তন
  3. স্বাধীনতা ও দায়িত্ববোধের বিকাশ
  4. আত্মপরিচয়ের অনুসন্ধান
  5. সামাজিক সম্পর্কের পরিবর্তন

( গ ) কী ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা কৈশোরকালের উপযোগী ? উদাহরণ সহকারে বর্ণনা করো ? 

উত্তর:- কৈশোরকালের উপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা

কৈশোরকাল শিক্ষা গ্রহণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। এই পর্যায়ে শিক্ষাব্যবস্থা এমন হওয়া উচিত, যা কিশোর-কিশোরীদের বুদ্ধিবৃত্তিক, মানসিক ও সামাজিক বিকাশে সহায়তা করে

কৈশোরকালের উপযোগী শিক্ষার বৈশিষ্ট্য : 

  1. কৌতূহল ও অনুসন্ধানমূলক শিক্ষা → কিশোর-কিশোরীরা বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চায়, তাই পাঠ্যক্রম এমন হওয়া উচিত যাতে তারা বিজ্ঞান, ইতিহাস, সাহিত্য ও সমাজ সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে।
  2. নৈতিক ও চরিত্র গঠনের শিক্ষা → আত্মনির্ভরশীলতা ও আত্মসম্মানবোধ গঠনের জন্য নৈতিক শিক্ষার প্রয়োজন।
  3. প্রায়োগিক ও কর্মমুখী শিক্ষা → হাতে-কলমে শেখার ব্যবস্থা থাকা উচিত, যাতে তারা বাস্তব জীবনের সমস্যার সমাধান করতে শেখে।

উদাহরণ

  • প্রজেক্টভিত্তিক শিক্ষা → বিজ্ঞান মডেল তৈরি, সামাজিক সমস্যা নিয়ে গবেষণা ইত্যাদি।
  • নাটক ও বিতর্ক → আত্মবিশ্বাস ও নেতৃত্বের গুণাবলি তৈরি হয়।
  • শিল্প, সংগীত ও ক্রীড়া শিক্ষা → সৃজনশীলতা ও শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত হয়।

( ঘ ) “ আত্মনির্ভরশীলতা , আত্মসম্মানবোধ ও নিজস্বতার সংঘাত ” কৈশোরকালের অন্যতম বৈশিষ্ট্য –আলোচনা কর । 

উত্তর:-  “ আত্মনির্ভরশীলতা, আত্মসম্মানবোধ ও নিজস্বতার সংঘাত ” কৈশোরকালের অন্যতম বৈশিষ্ট্য – আলোচনা

কৈশোরকাল আত্মপরিচয়ের সন্ধানের সময়। এই সময়ে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে আত্মনির্ভরশীলতা, আত্মসম্মানবোধ ও নিজস্বতার সংঘাত দেখা যায়।

  1. আত্মনির্ভরশীলতা → এই সময়ে কিশোররা নিজের কাজ নিজে করতে চায়, স্বাধীন সিদ্ধান্ত নিতে আগ্রহী হয় এবং দায়িত্বশীলতা অর্জন করতে শুরু করে।
  2. আত্মসম্মানবোধ → আত্মসম্মান গঠনের জন্য এই বয়সে কিশোররা পরিবার, বন্ধু ও শিক্ষকদের কাছ থেকে স্বীকৃতি পেতে চায়। যদি তারা সমর্থন পায়, তবে আত্মবিশ্বাস বাড়ে, অন্যথায় হতাশা তৈরি হয়।
  3. নিজস্বতার সংঘাত → কৈশোরে নিজের পরিচিতি গঠনের প্রচেষ্টা চলে। পরিবার ও সমাজের নিয়মকানুনের সঙ্গে কিশোরদের নিজস্ব চিন্তাভাবনার সংঘাত সৃষ্টি হতে পারে, যার ফলে অনেক সময় বিদ্রোহী মনোভাব দেখা যায়।

উদাহরণ

  • কিশোর বয়সে কেউ যদি নিজের পছন্দের বিষয় বেছে নিতে চায়, কিন্তু পরিবার তা মেনে না নেয়, তাহলে নিজস্বতার সংঘাত তৈরি হয়।
  • পরিবারের অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ কিশোরদের আত্মনির্ভরশীলতা ও আত্মসম্মানবোধের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

উপসংহার

কৈশোরকাল জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্ব। এই সময়ে উপযুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা ও সঠিক দিকনির্দেশনা পেলে একজন কিশোর বা কিশোরী আত্মনির্ভরশীল, আত্মসম্মানবোধসম্পন্ন এবং আত্মপরিচয় গঠনে সক্ষম হয়ে ওঠে।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ 

 ১। কৈশোরকালে কিশোর – কিশোরীদের মধ্যে কী ধরণের আচরণ লক্ষ্য করা যায় ? 

উত্তর:-  কৈশোরকালে কিশোর – কিশোরীদের মধ্যে কী ধরণের আচরণ লক্ষ্য করা যায় ?

  • আবেগের দ্রুত পরিবর্তন (খুশি থেকে হঠাৎ দুঃখিত হওয়া)
  • আত্মনির্ভরশীল হওয়ার চেষ্টা
  • পরিবারের সঙ্গে মতবিরোধ সৃষ্টি হওয়া
  • বন্ধুবান্ধবের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হওয়া
  • ভবিষ্যৎ সম্পর্কে দুশ্চিন্তা করা
  • আত্মপরিচয়ের অনুসন্ধান

২। কৈশোরকালে ষ্টেনলি হল কীরকম কাল বলে মনে করেন ? 

উত্তর:-  কৈশোরকালে স্ট্যানলি হল কীরকম কাল বলে মনে করেন ?

স্ট্যানলি হল কৈশোরকালকে “ঝড় ও সংঘাতের কাল” (Storm and Stress Period) বলে মনে করেন। কারণ, এই সময়ে কিশোর-কিশোরীরা আবেগপ্রবণ ও অস্থির হয়ে ওঠে এবং শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের কারণে নানা সংকটের সম্মুখীন হয়।

৩। দিবা স্বপ্নের আর একটি নাম কি ? দিক স্বপ্নে ধনাত্মক না ঋণাত্মক দিক কোনটি প্রধান ? 

উত্তর:-  দিবা স্বপ্নের আর একটি নাম কি ? দিক স্বপ্নে ধনাত্মক না ঋণাত্মক দিক কোনটি প্রধান ?

  • দিবা স্বপ্নের আর একটি নাম → কল্পনাবিলাস বা Daydreaming
  • ধনাত্মক বা ঋণাত্মক দিক → দিবা স্বপ্নের উভয় দিকই আছে, তবে অতিরিক্ত দিবা স্বপ্ন দেখা ঋণাত্মক দিক হিসেবে বিবেচিত হয়, কারণ এটি বাস্তবতা থেকে দূরে সরিয়ে দেয়।

৪। দিবা স্বপ্নের ধনাত্মক দিকটি কি ? 

উত্তর:-  দিবা স্বপ্নের ধনাত্মক দিকটি কি ?

দিবা স্বপ্ন সৃজনশীলতা ও নতুন চিন্তাধারা বিকাশে সাহায্য করে। এটি কিশোর-কিশোরীদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা, লক্ষ্য নির্ধারণ এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে।

৫I শূন্যস্থান পূর্ণ করোঃ 

 ( ক ) কৈশোর হল শিশু বিকাশের ___স্তর । 

উত্তর:-  কৈশোর হল শিশু বিকাশের তৃতীয় স্তর।

( খ ) শিশুর জগত ও প্রাপ্ত বয়স্কের জগতের সন্ধিক্ষণকে ___কাল বা কৈশোর কাল বলা হয়েছে । 

উত্তর:-  শিশুর জগত ও প্রাপ্ত বয়স্কের জগতের সন্ধিক্ষণকে পরিবর্তনের কাল বা কৈশোর কাল বলা হয়েছে।

( গ ) বীর পজার ____ এই বয়সের একটি লক্ষণ বলা যেতে পারে ।

উত্তর:-  বীর পজার আদর্শ অনুসরণ এই বয়সের একটি লক্ষণ বলা যেতে পারে।

৬। মাধ্যমিক শিক্ষার লক্ষ্য তিনটি কি কি ? 

উত্তর:-   মাধ্যমিক শিক্ষার তিনটি প্রধান লক্ষ্য:

  1. বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ → শিক্ষার্থীদের বিশ্লেষণাত্মক চিন্তাভাবনা ও সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা বাড়ানো।
  2. নৈতিক ও মূল্যবোধ শিক্ষা → সামাজিক দায়বদ্ধতা ও মানবিক মূল্যবোধ তৈরি করা।
  3. ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি → কর্মসংস্থান, উচ্চশিক্ষা ও জীবনের বাস্তব চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত করা।

 ৭। নিজস্বতার সংঘাত কি এবং কিভাবে তা সৃষ্টি হয় ? 

উত্তর:-  নিজস্বতার সংঘাত বলতে কিশোর-কিশোরীদের ব্যক্তিগত পরিচয় ও আত্মপরিচয়ের সংকটকে বোঝায়।

  • এটি সৃষ্টি হয় যখন তারা নিজেদের স্বতন্ত্রতা গড়ে তুলতে চায়, কিন্তু পরিবার, সমাজ ও শিক্ষাব্যবস্থা তাদের উপর বিভিন্ন চাপ প্রয়োগ করে।
  • ৮। কৈশোর কালের জন্য প্রস্তুত করা মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যক্রমে থাকা চারটি প্রধান প্রাথমিক ও মৌলিক বিষয় কি কি ? 

    উত্তর:-  মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যক্রমে থাকা চারটি প্রধান মৌলিক বিষয়:

    1. মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য শিক্ষা
    2. নৈতিক ও মূল্যবোধ শিক্ষা
    3. প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান শিক্ষা
    4. সৃজনশীল ও দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষা

    ৯। কিশোর – কিশোরীদের মনে প্রতিযোগিতার মনোভাব কীভাবে গড়ে উঠে ? এর ফলে কী হয় ? 

    উত্তর:-  কিশোর বয়সে পরিবার, বিদ্যালয় ও সমাজের প্রত্যাশা প্রতিযোগিতার মনোভাব গড়ে তোলে।

  • এর ফলে আত্মবিশ্বাস বাড়তে পারে, তবে অতিরিক্ত প্রতিযোগিতা মানসিক চাপ ও হতাশার কারণ হতে পারে।
  • ১০। জীবনের কোন সময়কালকে মনোবৈজ্ঞানিকেরা কৈশোরকাল বলে চিহ্নিত করেছেন ? এই কালের ব্যতিক্রমও লক্ষ্য করা যায় কেন ? 

    উত্তর:-  সাধারণত ১২-১৯ বছর বয়সকে কৈশোরকাল বলা হয়।

  • ব্যতিক্রম হতে পারে কারণ শারীরিক ও মানসিক পরিপক্বতা সবার ক্ষেত্রে একভাবে আসে না।
  • ১১। কৈশোর কালে দৃষ্ট বৌদ্ধিক বিকাশ সম্বন্ধে লেখো । 

    উত্তর:-  যৌক্তিক ও বিশ্লেষণধর্মী চিন্তা করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

  • সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা বাড়ে, তবে আবেগ দ্বারা চালিত হতে পারে।
  • নীতি-নৈতিকতার প্রতি গভীর ভাবনা শুরু হয়।
  • ১২। কত সনে ভারত সরকার শিক্ষানীতিতে মাধ্যমিক শিক্ষার জন্য কিছু নতুন বিষয় সুপারিশ করেছিলেন ? সেগুলো কী কী সংক্ষেপে লেখো। 

    উত্তর:-  ১৯৮৬ সালে ভারতের জাতীয় শিক্ষানীতিতে মাধ্যমিক শিক্ষার জন্য নতুন সুপারিশ করা হয়।

  • প্রধান সুপারিশ:
    • কর্মমুখী শিক্ষা
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষা
    • নৈতিক মূল্যবোধ শিক্ষা
    • জীবনদক্ষতা ভিত্তিক শিক্ষা
  • ১৩। কিশোর – কিশোরীদের শিক্ষাস্তর বিশেষীকরণ পাঠ্যক্রম না থাকার কারণ কী ? সংক্ষেপে লেখো ।

    উত্তর:-  কৈশোরকালে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানার পর্যায়ে থাকে, তাই নির্দিষ্ট বিশেষায়িত বিষয় না দিয়ে সমন্বিত সাধারণ শিক্ষা দেওয়া হয়।

     ১৪। কৈশোর কাল ও তার উপযোগী শিক্ষা ‘ পাঠটি তোমাদের পাঠ্যক্রমে সন্নিবিষ্ট করা কতখানি যুক্তিযুক্ত বলে তুমি মনে করো , আলোচনা করে বুঝিয়ে দাও । 

    উত্তর:-  কৈশোরের শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক পরিবর্তন সম্পর্কে জানার জন্য এটি প্রয়োজনীয়।

  • শিক্ষার্থীরা নিজের পরিচয় ও দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হতে পারে।
  • ১৫। কৈশোর কালের উপযোগী শিক্ষার সঙ্গে মূল্যবোধ শিক্ষা ওতঃপ্রোতভাবে জড়িত । এই মন্তব্যের পক্ষে বা বিপক্ষে যুক্তিসহ আলোচনা করো । 

    উত্তর:-  পক্ষে:

    • কৈশোরে সঠিক মূল্যবোধ না পেলে দিকভ্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
    • সামাজিক ও নৈতিক উন্নতির জন্য শিক্ষার সঙ্গে মূল্যবোধ শিক্ষার সমন্বয় জরুরি।

    বিপক্ষে:

    • কিছু ক্ষেত্রে বেশি মাত্রায় মূল্যবোধ শিক্ষা চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
    • শুধুমাত্র মূল্যবোধের উপর জোর দিলে বাস্তবমুখী দক্ষতা অর্জন ব্যাহত হতে পারে।