Chapter 6 - 

কুলিমজুর

১। অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নঃ

(ক) বাবুসাব কাদের রেল থেকে ঠেলে ফেলে দিয়েছিলেন? 

উত্তরঃ বাবুসাব রেল থেকে এক কুলিকে ঠেলে ফেলে দিয়েছিলেন।

(খ) ‘কুলি-মজুর’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত? 

উত্তরঃ ‘কুলি-মজুর’ কবিতাটি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘সর্বহারা’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।

(গ) শকট শব্দের অর্থ কী? 

উত্তরঃ শকট শব্দের অর্থ গাড়ি।

(ঘ) কাজী নজরুল ইসলাম কোন পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন? 

উত্তরঃ কাজী নজরুল ইসলাম ‘ধূমকেতু’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।

(ঙ) কবিতায় উল্লেখিত শ্রমজীবী মানুষের তিনটি জীবিকার উল্লেখ করো। 

উত্তরঃ শ্রমজীবী মানুষের তিনটি জীবিকা হল — মুটে, মজুর ও কুলি।

২। সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নঃ

(ক) কবির মতে কাদের হাড় দিয়ে কোন যান চলে? 

উত্তরঃ কবির মতে কুলি-মজুরদের হাড় দিয়ে বাষ্প শকট অর্থাৎ রেলগাড়ি চলে।

(খ) পাহাড় ভাঙ্গার জন্য কোন কোন হাতিয়ার ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে? 

উত্তরঃ পাহাড় ভাঙ্গার জন্য কবি হাতুড়ি, শাবল ও গাঁইতি ব্যবহার করার কথা বলেছেন।

(গ) ‘গাহি তাহাদেরি গান’। কবি কাদের জয়গান করেছেন এবং কেন? 

উত্তরঃ কবি কাজী নজরুল ইসলাম সমাজের নিপীড়িত, নির্যাতিত শ্রমিক সম্প্রদায় কুলি-মজুরদের জয়গান করেছেন। কারণ তারা মানব-সভ্যতার ধারক এবং তাদের পরিশ্রমেই সভ্যতা এগিয়ে চলে।

(ঘ) কবির মতে প্রভাত সূর্য কোন রঙে রাঙা? 

উত্তরঃ কবির মতে প্রভাত সূর্য লাল রঙে রাঙা, কারণ এটি শ্রমিকদের রক্তের প্রতীক।

(ঙ) মহা-মানবের উত্থানে কে হাসছেন আর কে কাঁপছে? 

উত্তরঃ মহা-মানবের উত্থানে স্বর্গে ভগবান হাসছেন আর পৃথিবীর শয়তান কাঁপছে।

৩। দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নঃ

(ক) ‘কুলি-মজুর’ কবিতায় কবি দধিচী মুনির সঙ্গে কাদের তুলনা করেছেন এবং কেন? 

উত্তরঃ কবি দধিচী মুনির সঙ্গে কুলি-মজুরদের তুলনা করেছেন। দধিচী মুনি যেমন স্বর্গ রক্ষার্থে নিজের অস্থি দান করেছিলেন, তেমনি কুলি-মজুররা তাদের পরিশ্রমের মাধ্যমে সভ্যতার অগ্রগতি নিশ্চিত করেছে। অথচ তারা যথাযথ সম্মান ও পারিশ্রমিক পায় না।

(খ) নজরুলের সাম্যবাদী চেতনার আলোকে ‘কুলি-মজুর’ কবিতাটি বিশ্লেষণ করো। 

উত্তরঃ কাজী নজরুল ইসলাম সাম্যের জয়গান গেয়েছেন। তিনি ধনী-গরীব ভেদাভেদ মানতেন না এবং মানবধর্মকেই সর্বোচ্চ বলে মনে করতেন। ‘কুলি-মজুর’ কবিতায় তিনি নিম্নশ্রেণির শ্রমজীবীদের প্রতি হওয়া অত্যাচারের প্রতিবাদ করেছেন এবং আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, একদিন এই বৈষম্য দূর হবে।

(গ) সম্প্রসারিত ব্যাখ্যা করো: “তুমি শুয়ে রবে তেতালার পরে আমরা রহিব নিচে অথচ তোমারে দেবতা বলিব, সে ভরসা আজ মিছে।”

উত্তরঃ এখানে কবি সমাজের বৈষম্যের প্রতি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। শ্রমিকদের পরিশ্রমে তৈরি অট্টালিকায় ধনী শ্রেণি আরামে বসবাস করে, অথচ শ্রমিকরাই অবহেলিত থাকে। কবির মতে, দেবতা হতে গেলে মানবিক গুণ থাকতে হবে।

(ঘ) সম্প্রসারিত ব্যাখ্যা করো: ‘একের অসম্মান নিখিল মানব জাতির লজ্জা – সকলের অপমান।’

উত্তরঃ কবি এখানে মানবজাতির ঐক্যের কথা বলেছেন। এক ব্যক্তির অসম্মান পুরো মানবজাতির জন্য লজ্জার। সমাজে শ্রমিকরা নিপীড়িত হলেও তাদের সম্মান দেওয়া উচিত, কারণ তাদের পরিশ্রমেই সভ্যতা টিকে আছে।

৪। অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

১। ‘কুলি-মজুর’ কবিতাটির কবির নাম কী? 

উত্তরঃ কাজী নজরুল ইসলাম।

২। কাজী নজরুল কবে ও কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? 

উত্তরঃ ১৮৯৯ সালের ২৪ মে, পশ্চিমবঙ্গের চুরুলিয়া গ্রামে।

৩। নজরুলের ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থটি কবে প্রকাশ পায়? 

উত্তরঃ ১৯২২ সালে।

৪। কবিতাটিতে কে, কাকে কোথায় ঠেলে ফেলে দিয়েছিল? 

উত্তরঃ বাবুসাব এক কুলিকে রেল থেকে ঠেলে ফেলে দিয়েছিলেন।

৫। ঘটনাটি দেখে কবির মনের প্রতিক্রিয়া কী ছিল? 

উত্তরঃ কবির মনে প্রশ্ন জেগেছিল, “এমনি করে জগৎ জুড়ে মার খাবে দুর্বল?”

৬। কুলিরা কত বেতন পায়?

উত্তরঃ যৎসামান্য বেতন।

৭। ধনী শ্রেণির উপার্জন কত? 

উত্তরঃ কোটি কোটি টাকা।

৮। কুলি-মজুরদের শ্রমের দান কী? 

উত্তরঃ মোটর গাড়ি, জাহাজ, রেলগাড়ি, কল-কারখানা ইত্যাদি।

৯। ‘ঠুলি খুলে দেখ’ কথার অর্থ কী?

উত্তরঃ শ্রমিকদের অবদান বোঝার জন্য সমাজের চোখ খুলতে হবে।

১০। কবি কেমন দিন আসবে বলে আশাবাদী? 

উত্তরঃ শুভদিন আসবে বলে কবি আশাবাদী।

১১। ‘তারাই মানুষ, তারাই দেবতা’—এই উক্তিতে কবি কাদের বোঝাতে চেয়েছেন? 

উত্তরঃ সমাজের কুলি-মজুর, শ্রমিক, কৃষকদের।

১২। কবি কাদের জয়গান গেয়েছেন? 

উত্তরঃ কুলি-মজুরদের।

১৩। কবি অঞ্জলি করে মাথায় তুলে নেবেন? 

উত্তরঃ কুলি-মজুরদের পায়ের ধুলা।

১৪। নতুন দিনে কেমন সূর্য উদয়ের কথা বলেছেন? 

উত্তরঃ রক্তিম লাল সূর্য উদয়ের কথা বলেছেন।

১৫। কবি কাদের এগিয়ে আসার কথা বলেছেন? 

উত্তরঃ সকল কালের, সকল দেশের, সকল মানুষকে।

১৬। ‘দেখিনু সেদিন রেখে—’ বাক্যের মাধ্যমে কবি কী দেখেছেন? 

উত্তরঃ একজন বাবুসাব এক কুলিকে রেল থেকে ঠেলে ফেলে দিয়েছেন।

১৭। ‘যে দধীচিদের হাড় দিয়ে ঐ বাষ্প শকট চলে’—এই বাক্যে দধীচি বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে? উত্তরঃ শ্রমজীবী মানুষদের।

১৮। বাবুসাব কিভাবে দুর্বলদের উপর অত্যাচার করে? 

উত্তরঃ শ্রমিকদের অল্প পারিশ্রমিক দিয়ে, তাদের শোষণ ও নিপীড়ন করে।

১৯। কবির মতে সমাজে কিভাবে ‘নব-উত্থান’ আসে? 

উত্তরঃ শ্রমিকদের পরিশ্রমের মাধ্যমেই সমাজে নব-উত্থান আসে।

২০। কবি শ্রমিকদের কাছে কী করার জন্য আবেদন করেছেন? 

উত্তরঃ কবি শ্রমিকদের তাদের পুরাতন বন্ধ দরজা ভেঙে নতুন যুগের সূচনার জন্য এগিয়ে আসতে বলেছেন।