Chapter 12 -

বিদ্রোহ ও রাজ

পাঠ্যপুস্তক ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর (Textbook Question Answer)

প্রশ্ন ১: ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহ কোন ঘটনার মাধ্যমে সূচিত হয়?
উত্তর:
মঙ্গল পাণ্ডে নামক এক সিপাহির কার্তুজ ব্যবহারে আপত্তি জানিয়ে ব্রিটিশ অফিসারকে গুলি করার মাধ্যমে বিদ্রোহের সূচনা হয়।

প্রশ্ন ২: ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহের অন্যতম কারণ কী ছিল?
উত্তর: ধর্মীয় বিশ্বাসে হস্তক্ষেপ, সামরিক বৈষম্য, জমিদার ও তালুকদারদের উপর অবিচার, অর্থনৈতিক শোষণ প্রভৃতি।

প্রশ্ন ৩: বাহাদুর শাহ জাফর কে ছিলেন?
উত্তর:
তিনি মুঘল সম্রাট ছিলেন, যাকে ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহের সময় নেতা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

প্রশ্ন ৪: লক্ষ্মীবাই বিদ্রোহে কী ভূমিকা পালন করেন?
উত্তর: ঝাঁসির রানী লক্ষ্মীবাই সাহসিকতার সাথে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন এবং বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন।

প্রশ্ন ৫: বিদ্রোহের ফলাফল কী হয়েছিল?
উত্তর:
ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে, ভারতের শাসন ব্রিটিশ রাজদ্বারা পরিচালিত হয়, এবং সেনা সংগঠনের পরিবর্তন হয়।

প্রশ্ন ৬: ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহ কেন ব্যর্থ হয়?
উত্তর:
নেতৃত্বের অভাব, সমন্বয়হীনতা, আধুনিক অস্ত্রের অভাব এবং রাজাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল এর প্রধান কারণ।

প্রশ্ন ৭: ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহকে কেউ কেউ 'প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম' কেন বলেন?
উত্তর:
কারণ এতে দেশপ্রেম ও ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে এক যৌথ প্রতিরোধ দেখা গিয়েছিল।

প্রশ্ন ৮: বিদ্রোহে কোন কোন শহর প্রধান কেন্দ্র ছিল?
উত্তর: দিল্লি, কানপুর, লক্ষ্ণৌ, ঝাঁসি, গ্বালিয়র, বারাণসী প্রভৃতি।

প্রশ্ন ৯: ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহে নানাসাহেবের ভূমিকা কী ছিল?
উত্তর:
নানাসাহেব কানপুরে বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন এবং ব্রিটিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন।

প্রশ্ন ১০: ব্রিটিশ সরকার কীভাবে বিদ্রোহ দমন করেছিল?
উত্তর:
প্রচণ্ড সামরিক শক্তি, স্থানীয় রাজাদের সাহায্য এবং নৃশংস দমন-পীড়নের মাধ্যমে বিদ্রোহ দমন করা হয়।

 অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর (Additional Question Answer)

প্রশ্ন ১১: বিদ্রোহের সময় তান্তিয়া টোপের ভূমিকা কী ছিল?
উত্তর: তিনি নানাসাহেবের প্রধান সেনাপতি ছিলেন এবং বিদ্রোহকে সুসংগঠিত করার চেষ্টা করেন।

প্রশ্ন ১২: বিদ্রোহে কৃষকদের ভূমিকা কেমন ছিল?
উত্তর: কৃষকেরা বিদ্রোহীদের সমর্থন করলেও তাদের মধ্যে সংগঠিত নেতৃত্বের অভাব ছিল।

প্রশ্ন ১৩: ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহে মৌলভী আহমদুল্লাহর ভূমিকা কী ছিল?
উত্তর:
তিনি ফৈজাবাদের এক বিশিষ্ট মুসলিম ধর্মীয় নেতা ছিলেন এবং বিদ্রোহে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।

প্রশ্ন ১৪: ব্রিটিশ সরকার বিদ্রোহের পর সেনা বিভাগে কী পরিবর্তন আনে?
উত্তর:
ভারতীয় সৈনিকদের সংখ্যা হ্রাস ও ব্রিটিশ সৈনিকদের সংখ্যা বাড়ানো হয়, এবং জাতিগত বিভাজন ঘটানো হয়।

প্রশ্ন ১৫: ব্রিটিশদের ‘Divide and Rule’ নীতি কীভাবে বিদ্রোহের পরে জোরদার হয়?
উত্তর:
বিদ্রোহ প্রতিহত করার পর ব্রিটিশরা হিন্দু-মুসলিম বিভাজনকে ইন্ধন দিয়ে ‘বিভাজন ও শাসন’ নীতিকে শক্তিশালী করে।

প্রশ্ন ১৬: ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহের সাহিত্যিক প্রভাব কী হয়?
উত্তর:
বহু উপন্যাস, কবিতা ও ইতিহাস রচিত হয় – যেমন বঙ্কিমচন্দ্রের "আনন্দমঠ" এবং অন্যান্য জাতীয়তাবাদী সাহিত্য।

প্রশ্ন ১৭: বিদ্রোহের সময় বৃটিশদের রাজনৈতিক পরিবর্তনের ঘোষণাটি কী নামে পরিচিত?
উত্তর: রানীর ঘোষণা বা Queen’s Proclamation (১৮৫৮) নামে পরিচিত।

প্রশ্ন ১৮: রানীর ঘোষণায় কী বলা হয়েছিল?
উত্তর: ভারতীয়দের ধর্ম, জমি ও সামাজিক রীতিনীতি রক্ষা করা হবে এবং সকলের সমান আইনি অধিকার থাকবে বলা হয়।

প্রশ্ন ১৯: বিদ্রোহের পর ব্রিটিশ ভারতের শাসন কীভাবে পাল্টে যায়?
উত্তর:
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বিলুপ্ত হয় ও ভারতে ব্রিটিশ রাজের সূচনা হয়; ভারতের প্রথম ভাইসরয় নিয়োগ হয়।

প্রশ্ন ২০: কেন এই বিদ্রোহ সর্বভারতীয় রূপ নিতে পারেনি?
উত্তর:
দক্ষিণ ভারতে বিদ্রোহের কোনও ছোঁয়া পড়েনি, প্রাদেশিকতা ও নেতৃত্বহীনতার ফলে এটি সীমিত থাকে।