Chapter 3 -
জ্ঞাতিত্ব, বর্ণ ও শ্রেণি
পাঠ্যপুস্তকভিত্তিক প্রশ্নোত্তর (Textbook Questions):
প্রশ্ন ১: 'জ্ঞাতিত্ব' বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: 'জ্ঞাতিত্ব' বলতে বংশানুক্রমিক আত্মীয়তার ভিত্তিতে গঠিত সামাজিক গোষ্ঠীকে বোঝানো হয়, যা সাধারণত একটি পেশা বা কৃত্যকেন্দ্রিক হয়।
প্রশ্ন ২: বর্ণব্যবস্থা কী?
উত্তর: বর্ণব্যবস্থা হলো একটি সামাজিক স্তরীকরণ পদ্ধতি, যেখানে সমাজকে প্রধানত চারটি বর্ণে ভাগ করা হয়েছে — ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র।
প্রশ্ন ৩: শ্রেণিব্যবস্থা ও বর্ণব্যবস্থার মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর: বর্ণব্যবস্থা জন্মভিত্তিক এবং কঠোর; শ্রেণিব্যবস্থা আর্থ-সামাজিক ভিত্তিতে পরিবর্তনশীল ও অপেক্ষাকৃত নমনীয়।
প্রশ্ন ৪: ঋগ্বেদীয় সমাজে নারী-পুরুষের অবস্থান কেমন ছিল?
উত্তর: ঋগ্বেদীয় সমাজে নারীদের সম্মানজনক স্থান ছিল, তাঁরা শিক্ষা, ধর্ম ও সমাজজীবনে অংশগ্রহণ করতেন।
প্রশ্ন ৫: ঋগ্বেদীয় সমাজে 'রাজন্য' বলতে কাকে বোঝানো হয়?
উত্তর: 'রাজন্য' শব্দ দ্বারা যোদ্ধা শ্রেণি বা ক্ষত্রিয়দের বোঝানো হয়।
প্রশ্ন ৬: পূর্ব ঋগ্বেদীয় সমাজে জীবিকা কী ছিল?
উত্তর: প্রধানত পশুপালন ও কৃষিকাজ ছিল জীবিকার মূল উৎস।
প্রশ্ন ৭: বর্ণ পদ্ধতির উদ্ভব কীভাবে হয়েছিল?
উত্তর: বর্ণ পদ্ধতির ভিত্তি ছিল কর্ম ও গুণ, কিন্তু পরবর্তীতে এটি জন্মসূত্রে নির্ধারিত হয়ে যায়।
প্রশ্ন ৮: শূদ্রদের সামাজিক অবস্থান কেমন ছিল?
উত্তর: শূদ্রদের অবস্থান সমাজে নিচু ছিল এবং তাঁদের উপর নানা বিধিনিষেধ আরোপিত ছিল।
প্রশ্ন ৯: জাতি ও বর্ণের মধ্যে সম্পর্ক কী?
উত্তর: জাতি হলো একটি নির্দিষ্ট বর্ণভুক্ত গোষ্ঠী, যা নির্দিষ্ট কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকে।
প্রশ্ন ১০: ব্রাহ্মণদের সামাজিক ভূমিকা কী ছিল?
উত্তর: তাঁরা পুরোহিত, শিক্ষক ও জ্ঞানচর্চার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং সমাজে উচ্চ স্থান অধিকার করতেন।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর (Additional Questions):
প্রশ্ন ১১: ‘দাস’ ও ‘দাসী’ শব্দের প্রাচীন ব্যবহার কেমন ছিল?
উত্তর: প্রাচীন ভারতীয় সমাজে ‘দাস’ ও ‘দাসী’ শব্দগুলি দাসত্ব বা শ্রম নির্ভর ব্যক্তিদের বোঝাতে ব্যবহৃত হতো। অনেক সময় যুদ্ধবন্দীকেও দাস বানানো হতো।
প্রশ্ন ১২: সংস্কৃত সাহিত্যে বর্ণ ও জাতি সম্পর্কে কী বলা হয়েছে?
উত্তর: সংস্কৃত সাহিত্যে বর্ণ ও জাতিকে সমাজের শ্রেণি ও কর্ম অনুযায়ী বর্ণনা করা হয়েছে এবং একে ধর্মের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
প্রশ্ন ১৩: ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয়দের মধ্যে কখনও কখনও দ্বন্দ্ব কেন সৃষ্টি হতো?
উত্তর: ক্ষমতা ও শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে দ্বন্দ্ব হতো। ব্রাহ্মণরা ধর্মীয় প্রাধান্য, আর ক্ষত্রিয়রা রাজক্ষমতার দাবি করতেন।
প্রশ্ন ১৪: বৈশ্যরা কী কী পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন?
উত্তর: বৈশ্যরা কৃষিকাজ, পশুপালন, ব্যবসা ও শিল্পকর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
প্রশ্ন ১৫: ‘অশুচি’ ও ‘স্পৃশ্যতা’ কী?
উত্তর: ‘অশুচি’ বলা হতো সমাজে এমন কিছু গোষ্ঠীকে যাঁদের কাজ ‘অপবিত্র’ বলে বিবেচিত হতো এবং যাঁদের সঙ্গে ‘স্পর্শ’ করা নিষিদ্ধ ছিল — যা ‘অস্পৃশ্যতা’ নামে পরিচিত।
প্রশ্ন ১৬: উপনিষদে নারী শিক্ষার কী উল্লেখ আছে?
উত্তর: কিছু উপনিষদে নারী ঋষি ও জ্ঞানচর্চায় অংশগ্রহণকারী নারীদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যেমন গার্গী ও মৈত্রেয়ী।
প্রশ্ন ১৭: প্রাচীন ভারতে ভিক্ষুক ও ভবঘুরেদের অবস্থান কেমন ছিল?
উত্তর: সমাজে তাঁদের নিচু স্তরে দেখা হতো, যদিও অনেকে আধ্যাত্মিক সাধনার পথে গিয়েছিলেন।
প্রশ্ন ১৮: জাতপাতের কারণে সামাজিক বিভাজন কেমন হতো?
উত্তর: জাতপাতের কারণে সমাজে অনানুষ্ঠানিক ও কঠোর ভেদরেখা তৈরি হতো, যা সামাজিক অসাম্য সৃষ্টি করত।
প্রশ্ন ১৯: প্রাচীন ভারতীয় সমাজে আত্মপরিচয় কিসের উপর নির্ভর করত?
উত্তর: প্রধানত ব্যক্তি কোন জাতি বা বর্ণভুক্ত, সে অনুযায়ী আত্মপরিচয় নির্ধারিত হতো।
প্রশ্ন ২০: ‘মনুস্মৃতি’ গ্রন্থে জাতিভেদ সম্পর্কে কী বলা হয়েছে?
উত্তর: ‘মনুস্মৃতি’তে বর্ণ ও জাতি ভিত্তিক কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে এবং শূদ্রদের নিম্নস্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।