Chapter 7 -
ভক্তি ও সুফী পরম্পরা
পাঠ্যপুস্তকভিত্তিক প্রশ্নোত্তর (Textbook Question Answer)
প্রশ্ন ১: ভক্তি আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য কী ছিল?
উত্তর: ভক্তি আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য ছিল জাতপাত ও ধর্মীয় বিভাজন দূর করে ঈশ্বরপ্রেম ও মানবতাবাদের ভিত্তিতে সমাজে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা।
প্রশ্ন ২: সুফীবাদ কাকে বলে?
উত্তর: সুফীবাদ হলো ইসলামের একটি আধ্যাত্মিক শাখা, যেখানে প্রেম, ভক্তি ও ঈশ্বরের সঙ্গে আত্মিক সংযোগ স্থাপন করা হয়।
প্রশ্ন ৩: ভক্তি আন্দোলনের প্রধান প্রভাব কী ছিল?
উত্তর: এই আন্দোলন জাতিভেদ, ধর্মীয় গোঁড়ামি ও আচারবিচারের বিরোধিতা করে সমতার বাণী প্রচার করে।
প্রশ্ন ৪: সুফী সাধকেরা কিসের উপর জোর দিয়েছিলেন?
উত্তর: সুফী সাধকেরা আন্তরিকতা, প্রেম, সহানুভূতি ও দরিদ্রদের সেবা করার ওপর জোর দিয়েছিলেন।
প্রশ্ন ৫: দক্ষিণ ভারতের কোন সাধু ভক্তি আন্দোলনের অগ্রদূত ছিলেন?
উত্তর: দক্ষিণ ভারতের আল্বর ও নায়নার সাধুরা ভক্তি আন্দোলনের অগ্রদূত ছিলেন।
প্রশ্ন ৬: চৈতন্য মহাপ্রভুর ধর্মীয় দর্শন কী ছিল?
উত্তর: চৈতন্য মহাপ্রভু কৃষ্ণভক্তির মাধ্যমে প্রেম ও সংগীতের মাধ্যমে ঈশ্বরের আরাধনায় বিশ্বাস করতেন।
প্রশ্ন ৭: সুফী দরগাগুলির কী সামাজিক ভূমিকা ছিল?
উত্তর: সুফী দরগাগুলি জনসাধারণের মিলনস্থল হয়ে উঠেছিল, যেখানে মানুষ জাতপাত ও ধর্ম নির্বিশেষে সমভাবে আশ্রয় পেত।
প্রশ্ন ৮: নাথপন্থীরা কোন দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: নাথপন্থীরা শরীরচর্চা ও যোগসাধনার মাধ্যমে আত্মউন্নয়নের পথ দেখিয়েছেন।
প্রশ্ন ৯: কবীর কোন ধর্মের প্রবর্তক ছিলেন?
উত্তর: কবীর কোনো নির্দিষ্ট ধর্মের প্রবর্তক ছিলেন না; তিনি হিন্দু-মুসলমান উভয় ধর্মের কুসংস্কার ও গোঁড়ামির বিরোধিতা করেন।
প্রশ্ন ১০: ভক্তি আন্দোলনের দুটি গুরুত্বপূর্ণ দিক কী?
উত্তর: ঈশ্বরের প্রতি একনিষ্ঠ ভক্তি ও সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠা ভক্তি আন্দোলনের দুটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর (Additional Question Answer)
প্রশ্ন ১১: সুফী সাধকরা ধর্ম প্রচারের জন্য কী পদ্ধতি গ্রহণ করেছিলেন?
উত্তর: সুফী সাধকরা গান, কবিতা, দরগার মাধ্যমে এবং স্থানীয় ভাষায় ধর্ম প্রচার করেছিলেন।
প্রশ্ন ১২: রামানুজাচার্যের ধর্মীয় দর্শন কী ছিল?
উত্তর: রামানুজাচার্য বিশ্বাস করতেন ঈশ্বর ও আত্মা আলাদা, কিন্তু আত্মা ঈশ্বরের অংশমাত্র এবং ভক্তির মাধ্যমে মোক্ষ লাভ সম্ভব।
প্রশ্ন ১৩: সুফীবাদের প্রধান শাখা দুটি কী কী?
উত্তর: চিশতিয়া ও সুহরাওয়ার্দি — এই দুটি সুফী তরিকা বা শাখা ভারতে প্রসিদ্ধ ছিল।
প্রশ্ন ১৪: মীরাবাঈর জীবন ও দর্শনের মূল বাণী কী ছিল?
উত্তর: মীরাবাঈ একনিষ্ঠ কৃষ্ণভক্ত ছিলেন। তিনি জাতপাত, লিঙ্গভেদ ও সামাজিক রীতিনীতির ঊর্ধ্বে ঈশ্বরপ্রেমে বিশ্বাসী ছিলেন।
প্রশ্ন ১৫: ভক্তি ও সুফী আন্দোলন সমাজে কী পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছিল?
উত্তর: তারা সমাজে সাম্য, সহিষ্ণুতা, ধর্মীয় সহাবস্থান ও জাতিবিরোধিতার মতো গুণ প্রচার করেছিল।
প্রশ্ন ১৬: ভক্তি ও সুফী কবিতার ভাষা কেমন ছিল?
উত্তর: সাধারণত স্থানীয় ভাষায় রচিত ছিল যাতে সাধারণ মানুষ সহজেই বুঝতে পারে।
প্রশ্ন ১৭: বাবার ফারিদের নাম নিন এবং তার ভূমিকা বর্ণনা করুন।
উত্তর: বাবা ফারিদ একজন সুফী সাধক ছিলেন, যিনি প্রেম, সহানুভূতি ও ত্যাগের মাধ্যমে মানুষকে ঈশ্বরের পথে আহ্বান করতেন।
প্রশ্ন ১৮: গুরু নানক কিসের শিক্ষা দিয়েছিলেন?
উত্তর: গুরু নানক ঈশ্বরের একত্ব, সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে জীবনযাপন করার উপদেশ দিয়েছিলেন।
প্রশ্ন ১৯: সুফীবাদে 'সামা' কী?
উত্তর: ‘সামা’ হলো সুফীদের একটি আধ্যাত্মিক সংগীত ও নৃত্য অনুষ্ঠান, যা ঈশ্বরের সঙ্গে আত্মিক সংযোগ স্থাপন করে।
প্রশ্ন ২০: কবীর কোন ধরনের কবিতা রচনা করতেন?
উত্তর: কবীর 'দোহা' রচনা করতেন, যা সহজ ভাষায় জীবনের গভীর সত্য তুলে ধরত।