Chapter 17 -
আঞ্চলিক প্রত্যাশা
✦ পাঠ্যপুস্তকভিত্তিক প্রশ্নোত্তর:
প্রশ্ন ১: আঞ্চলিক প্রত্যাশা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলের জনগণের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকার বা স্বার্থের দাবি ও আকাঙ্ক্ষাকে আঞ্চলিক প্রত্যাশা বলা হয়।
প্রশ্ন ২: ভারতের কোন কোন রাজ্যে আঞ্চলিক প্রত্যাশার ভিত্তিতে আন্দোলন হয়েছে?
উত্তর: পাঞ্জাব, আসাম, তামিলনাড়ু, জম্মু ও কাশ্মীর, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, গোরখাল্যান্ড ইত্যাদি রাজ্যে আঞ্চলিক প্রত্যাশার ভিত্তিতে আন্দোলন হয়েছে।
প্রশ্ন ৩: আসামে 'অসম আন্দোলন' কেন শুরু হয়েছিল?
উত্তর: অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে এবং আসামিদের সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার রক্ষার দাবিতে অসম আন্দোলন শুরু হয়।
প্রশ্ন ৪: আঞ্চলিক প্রত্যাশা কীভাবে ভারতের জাতীয় ঐক্যকে প্রভাবিত করে?
উত্তর: আঞ্চলিক প্রত্যাশা কখনও কখনও জাতীয় ঐক্যের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করে, তবে সঠিক সমাধানের মাধ্যমে তা জাতীয় সংহতিকে শক্তিশালী করতেও সাহায্য করতে পারে।
প্রশ্ন ৫: শিখ সম্প্রদায়ের আলাদা রাষ্ট্র গঠনের দাবির নাম কী ছিল?
উত্তর: শিখ সম্প্রদায়ের একটি অংশের আলাদা রাষ্ট্র গঠনের দাবিকে "খালিস্তান" আন্দোলন বলা হয়।
প্রশ্ন ৬: ভারতীয় সংবিধান আঞ্চলিক প্রত্যাশা পূরণের কী কী ব্যবস্থা রেখেছে?
উত্তর: ভারতীয় সংবিধানে ভাষা, সংস্কৃতি, স্বায়ত্তশাসন, রাজ্যপুনর্গঠন ও ত্রৈমাসিক পরিকল্পনার মাধ্যমে আঞ্চলিক প্রত্যাশা পূরণের ব্যবস্থা রয়েছে।
প্রশ্ন ৭: মিজো আন্দোলনের ফলাফল কী হয়?
উত্তর: মিজো আন্দোলনের ফলাফলস্বরূপ ১৯৮৬ সালে মিজো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় এবং ১৯৮৭ সালে মিজোরাম পূর্ণাঙ্গ রাজ্যে পরিণত হয়।
প্রশ্ন ৮: গোরখাল্যান্ড আন্দোলনের মূল দাবি কী ছিল?
উত্তর: পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং এলাকায় বাসকারী গোর্খা জনগণ ‘গোরখাল্যান্ড’ নামে পৃথক রাজ্যের দাবি করেছিল।
প্রশ্ন ৯: নাগাল্যান্ড রাজ্য কবে গঠিত হয়?
উত্তর: নাগাল্যান্ড ১৯৬৩ সালে একটি পৃথক রাজ্য হিসাবে গঠিত হয়।
প্রশ্ন ১০: পাঞ্জাবে খালিস্তান আন্দোলনের প্রধান কারণ কী ছিল?
উত্তর: ধর্মীয় বিচ্ছিন্নতাবাদ, রাজনৈতিক বঞ্চনা, ভাষাগত ও অর্থনৈতিক সমস্যা খালিস্তান আন্দোলনের মূল কারণ ছিল।
✦ অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর (Additional Question Answer):
প্রশ্ন ১১: আঞ্চলিক প্রত্যাশার উৎস কী কী হতে পারে?
উত্তর: ভাষাগত বৈচিত্র্য, ধর্মীয় ভিন্নতা, অর্থনৈতিক বৈষম্য, সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্যবোধ, প্রশাসনিক অবহেলা ইত্যাদি আঞ্চলিক প্রত্যাশার উৎস হতে পারে।
প্রশ্ন ১২: ভারত সরকার কীভাবে আঞ্চলিক প্রত্যাশা মোকাবিলা করে?
উত্তর: ভারত সরকার সংলাপ, রাজ্যপুনর্গঠন, সাংবিধানিক স্বীকৃতি, উন্নয়নমূলক প্রকল্প এবং শান্তি চুক্তির মাধ্যমে আঞ্চলিক প্রত্যাশা মোকাবিলা করে।
প্রশ্ন ১৩: অসম চুক্তির (Assam Accord) প্রধান বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর: অসম চুক্তির প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো ১৯৭১-এর ২৪ মার্চের পরে আসা বিদেশিদের চিহ্নিত করে বহিষ্কার, আসামিদের সাংস্কৃতিক সুরক্ষা এবং উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি।
প্রশ্ন ১৪: রাজ্য পুনর্গঠনের মাধ্যমে কীভাবে আঞ্চলিক প্রত্যাশা পূরণ করা হয়েছে?
উত্তর: ভাষাভিত্তিক ও সাংস্কৃতিক স্বীকৃতির মাধ্যমে নতুন রাজ্য গঠন করে স্থানীয় জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করা হয়েছে, যেমন—ত্রিপুরা, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড ইত্যাদি।
প্রশ্ন ১৫: ভারতের গণতান্ত্রিক কাঠামো আঞ্চলিক প্রত্যাশা পূরণে কতটা সহায়ক?
উত্তর: ভারতের গণতান্ত্রিক কাঠামো জনগণকে দাবি জানানোর অধিকার দেয়, নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ দেয় এবং নীতিনির্ধারণে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে, যা আঞ্চলিক প্রত্যাশা পূরণে সহায়ক।