Chapter 4

 বিপর্যয় মোকাবিলায় শিক্ষা

------------------------



১. শূল্যাখান পুরণ করো :


(a) ঘূর্ণিঝড় একপ্রকার             বিপর্যয়


(b) ঘূর্ণিঝড় ঘণ্টায়                   থেকে                   কিমি/ ঘণ্টা বেগে চলতে পারে। 


(c)                    অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় বেশি দেখা যায়


(d) ঘূণিঝড়ের তীব্রতা কমাতে                   ভীষণ জরুরি


(e)             ও মে মাসে আরাকান উপকূল, অন্ধ্র, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ে


(f) ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা কমাতে দৃঢ়মূল ঘনসন্নিবিষ্ট              ভীষণ জরুরী


(g) আবহাওয়া বিষয়ক সতর্কতা ও পরামর্শ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশু, মহিলা, বৃদ্ধ ও অসুস্থ মানুষদের            স্থানে সরিয়ে নিয়ে যেতে হয়। 


উত্তর: (a) প্রাকৃতিক, (b) ৪৮, ৬৩, (c) ক্রান্তীয় ও নাতিশীতোয়, (d) দৃঢ়মূল ঘনসন্নিবিষ্ট বৃক্ষরোপণ, (e) এপ্রিল (f) বৃক্ষরোপণ, (g) নিরাপদ। 

 

সংক্ষেশে উত্তর দাও:

 

(a) ঘূর্ণিঝড়ের সময় কী কী সতর্কতা নেওয়া উচিত?

 

উত্তর: ঘূর্ণিঝড়ের সময় যেসকল সতর্কতা গ্রহণ করা উচিত, তা হল-

সর্বশেষ আবহাওয়া বিষয়ক সতর্কতা ও পরামর্শের জন্য রেডিয়ো/ টিভির তথ্য জানতে হবে ও অন্যদের জানিয়ে দিতে হবে, নিয়মিত খবর শুনতে হবে

শিশু, মহিলা, বৃদ্ধ ও অসুস্থ মানুষদের নিরাপদস্থানে সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে

সরকারি সূত্রের তথ্য অনুসরণ করতে হবে

 

(b) ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে চারটি পদক্ষেপ উল্লেখ করো

 

উত্তর: ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে গৃহীত পদক্ষেপগুলি হল-

 

(১) বৃক্ষরোপণ: ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা কমাতে দৃঢ়মূল ঘনসন্নিবিষ্ট বৃক্ষরোপণ ভীষণ জরুরী, বিপর্যয়ের মাত্রা কমাতে

 

(২) আগাম সতর্কতা: আবহাওয়া সংক্রান্ত নথি এবং হাওয়ার দিকনির্দেশ ও গতিবেগ থেকে সতর্কতা গ্রহণ করলে ক্ষয়ক্ষতি, জীবনহানির ঘটনা কম ঘটে

 

(৩) নির্দিষ্ট নীতি গ্রহণ: নির্মাণ কাজের জন্য স্থাপত্য বিদ্যার সঠিক পরামর্শ নিলে বিপদসংকুল এলাকার ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব

 

(৪) সাইক্লোন শেলটারঃ আশ্রয় নেওয়ার জন্য সাইক্লোন শেলটারে থাকা বাঞ্ছনীয়

 

(c) ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিকারক প্রভাবগুলি লেখো

 

উত্তর: ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিকর প্রভাব অনেক হতে পারে

ঘূর্ণিঝড়ের সময় উঁচু গাছ, বাড়ি, লাইটপোস্ট ইত্যাদি ভেঙে পড়তে পারে

উপকূল অঞ্চলে ঘরবাড়ি জলের স্রোতের সাথে ভেসে চলে যেতে পারে

ঝড়ের পরবর্তীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টতার মতো দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা থাকে

 

(d) ঘূর্ণিঝড়ের সময় কী করবে?

 

উত্তর: ঘূর্ণিঝড়ের সময়

 

খাদ্যশস্য/ কৃষিজাত সামগ্রী নিরাপদ প্লাস্টিকব্যাগে মজুত রাখতে হবে

 

আশ্রয় নেওয়ার জন্য সাইক্লোনশেলটার ও নিরাপদ বাড়ি দেখে রাখতে হবে, কর্তৃপক্ষের পরামর্শ পেলে পরিবারের সঙ্গে সাইক্লোন শেলটারে চলে যেতে হবে

 

জবুরীকালীন কিছু ফোননম্বর যেমন- স্থানীয় চিকিৎসক, পুলিশ প্রশাসন ইত্যাদি, হাতের কাছে রাখতে হবে

 

কাচের জানালা বন্ধ রাখতে হবে ও শাটার নামিয়ে রাখতে হবে

 

রচণাভিত্তিক প্রশ্ন :

 

(a) ঘূণিঝড়ের ক্ষতিকারক প্রভাবগুলি আলোচনা করো

 

উত্তর: ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিকারক প্রভাবগুলি হল-

 

(১) প্রবল ক্ষয়ক্ষতি, জীবনহানির ঘটনা ঘটার সম্ভবনা থাকে

 

(২) ঘূর্ণিঝড়ের প্রচন্ড বায়ুর দাপটে নগদ টাকা, মূল্যবান সামগ্রী, কাগজপত্র ও জরুরিকালীন সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে যেতে পারে

 

(৩) বিপদসংকুল এলাকায়-বিল্ডিং, অফিস ইত্যাদি ঝড়ের দাপটে ভেঙে পড়তে পারে

 

(৪) ঘূর্ণিঝড়ের সময় বিস্তীর্ণএলাকা জুড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে

 

(৫) ঝড়ের পরবর্তীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ক্ষতির সম্ভবনা থাকতে পারে

 

(৮) ঘূর্ণিঝড়ের বিপর্যয় কমানোর পদক্ষেপগুলি কী কী?

 

উত্তর: ঘূর্ণিঝড়ের বিপর্যয় কমানোর পদক্ষেপগুলি হল-

 

(১) বৃক্ষরোপণ: উপকূল অঞ্চলে গাছ লাগানো বিজ্ঞানভিত্তিক উপায়ে উপকূলরেখা বরাবর ছোটো থেকে বড়ো এই সারিতে গাছ লাগিয়ে সবুজায়ন করে বিপর্যয়ের মাত্রা ও প্রভাব কমানো যেতে পারে

 

(২) আগাম সতর্কতা: আবহাওয়া সংক্রান্ত নথি, যাতে হাওয়ার গতি বেগ ও দিকনির্দেশ করা থাকে তা থেকে কোনো অঞ্চলে ঝড়ের সম্ভবনা বোঝা যায়। ফলে, ঘূর্ণিঝড় আসার আগাম পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতর দিয়ে থাকে সেইমত সতর্কতা গ্রহণ করলে ক্ষয়ক্ষতি, জীবনহানির ঘটনা কম ঘটে

 

(৩) নির্দিষ্ট নীতি: জমির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নীতি থাকা দরকার এবং বিল্ডিং কোড যাতে ঠিকঠাক মানা হয় তা নিশ্চিত করা দরকার

 

(c) ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় ছাত্রছাত্রী ও জনগোষ্ঠীর ভূমিকা লেখো

 

উত্তর: তৃণমূলস্তরে গ্রামের যুবগোষ্ঠী, শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী ও জনপ্রতিনিদের নিয়ে প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য গোষ্ঠী গঠন করতে হয়। প্রতিটি এলাকার অধিবাসীদের সুবিধা অনুযায়ী পাঁচ থেকে দশজন সক্রিয় সদস্য নিয়ে এক একটি সক্রিয় গোষ্ঠী গঠন করতে হবে। ছাত্রছাত্রীদের সামর্থ্য অনুযায়ী এই জনগোষ্ঠীতে তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য বন্টন করে দেওয়া হবে

 

কোনো একটি এলাকার বিপর্যয়ের পূর্ববর্তীসময়, বিপর্যয়ের সময় ও বিপর্যয়ের পরবর্তী সময়ের জন্য সুসংহত দূর্যোগ নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনা প্রস্তুত করার জন্য ৯টি সক্রিয় গোষ্ঠী গঠন করা হয়, যথা - (১) জল ও শৌচাগার গোষ্ঠী, (২) প্রাথমিক শুশ্রষা ও চিকিৎসা গোষ্ঠী ইত্যাদি। এই সকল গোষ্ঠীর অন্তর্ভূক্ত হয়ে ছাত্রছাত্রী ও জনপ্রতিনিধিগণ নিজ নিজ ভূমিকা পালন করে। 

 


Editing By:- Lipi Medhi