Chapter 1 -
গৌরাঙ্গ – বিষয়ক পদ অধ্যায়ের
Multiple Choice Questions (MCQ)
পাঠ্যপুস্তক ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর (Textbook Question Answer)
প্রশ্ন ১: ‘গৌৰাঙ্গ – বিষয়ক পদ’ নামক অধ্যায়টি কোন ধারার সাহিত্য?
উত্তর: ‘গৌৰাঙ্গ – বিষয়ক পদ’ একটি ভক্তিমূলক সাহিত্য। এটি বৈষ্ণব পদাবলীর অন্তর্গত যা গৌৰাঙ্গ বা চৈতন্য মহাপ্রভুৰ গুণগান করে।
প্রশ্ন ২: গৌৰাঙ্গ কাকে বোঝানো হয়েছে এবং তাঁর বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর: গৌৰাঙ্গ মানে হল চৈতন্য মহাপ্রভু। তিনি বৈষ্ণব ধর্মের এক মহান প্রচারক ছিলেন। তাঁর বৈশিষ্ট্য হলো – দয়াময় হৃদয়, সকলের প্রতি প্রেম, হৰিনাম সংকীৰ্তনের মাধ্যমে ভক্তি প্রচার এবং ঈশ্বরের প্রেমে আত্মবিসর্জিত হওয়া।
প্রশ্ন ৩: এই পদগুলিতে কবির ভাবপ্রবণতা কেমন?
উত্তর: এই পদগুলিতে কবির ভাবপ্রবণতা অত্যন্ত গভীর ও আবেগময়। কবি ভগবান গৌৰাঙ্গৰ প্রতি অকুণ্ঠ ভক্তি, শ্রদ্ধা এবং প্রেমে মগ্ন। গৌৰাঙ্গৰ নাম, গুণ ও দয়ালু স্বভাব কবিকে আত্মবিস্মৃত করে তোলে।
প্রশ্ন ৪: গৌৰাঙ্গৰ কোন দিকটি পদগুলিতে বিশেষভাবে ফুটে উঠেছে?
উত্তর: পদগুলিতে গৌৰাঙ্গৰ দয়াময়তা, হরিনাম প্রচার, ভক্তির পথে সাধনা, সর্বজনীন প্রেমবোধ ইত্যাদি দিকগুলি বিশেষভাবে ফুটে উঠেছে।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর (Additional Question Answer)
প্রশ্ন ১: “গৌৰাঙ্গ নাম ললে পাপ দূৰ হয়”—এই কথাটির ব্যাখ্যা দাও।
উত্তর: এই কথাটির অর্থ হল – গৌৰাঙ্গৰ নাম জপ করলে মানুষের হৃদয়ের অপবিত্রতা ও পাপ দূর হয়। গৌৰাঙ্গৰ নাম স্মরণ করলে মন শান্ত হয় এবং আত্মিক উন্নতি ঘটে। এটি এক গভীর ভক্তির অভিব্যক্তি।
প্রশ্ন ২: গৌৰাঙ্গৰ প্রচার পদ্ধতি কেমন ছিল?
উত্তর: গৌৰাঙ্গৰ প্রচার পদ্ধতি ছিল সহজ এবং ভক্তিমূলক। তিনি হরিনাম সংকীৰ্তনের মাধ্যমে ভগবানের প্রেম সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিতেন। গান, নৃত্য এবং হরিনাম জপই ছিল তাঁর প্রধান উপায়।
প্রশ্ন ৩: চৈতন্য মহাপ্রভুর শিক্ষা আজকের সমাজে কতটা প্রাসঙ্গিক?
উত্তর: চৈতন্য মহাপ্রভুর শিক্ষা আজও খুবই প্রাসঙ্গিক। আজকের সমাজে যেখানে হিংসা, বিদ্বেষ ও বিভেদ দেখা যায়, সেখানে গৌৰাঙ্গৰ শিক্ষা – ভক্তি, প্রেম, সহানুভূতি এবং সর্বজনীনতা আমাদের সমাজকে শান্তিপূর্ণ করে তুলতে সাহায্য করতে পারে।