Chapter 15 - 

 বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস (প্রাচীন ও মধ্যযুগ) 

বহু নির্বাচনি প্রশ্ন (MCQ) – বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস (প্রাচীন ও মধ্যযুগ)

  1. বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন কোনটি?
    (a) চর্যাপদ
    (b) মঙ্গলকাব্য
    (c) বৈষ্ণবপদাবলী
    (d) শাক্তপদাবলী
    উত্তর: (a) চর্যাপদ

  2. হাইদ্ৰক্লৰিক এছিড লোৰ টুকুৰাত ঢালিলে কি হ'ব ?
    (a) ক্ল'ৰিন গেছ আৰু লোৰ হাইড্ৰক্সাইড প্ৰস্তুত হ'ব
    (b) লোৰ লৱণ আৰ্ পানী প্ৰস্তুত হ'ব
    (c) হাইড্ৰ'জেন গেছ আৰু লোৰ ক্ল'ৰাইড প্ৰস্তুত হ'ব ।
    (d) কোনো বিক্ৰিয়া নহয়
    উত্তর: (c) হাইড্ৰ'জেন গেছ আৰু লোৰ ক্ল'ৰাইড প্ৰস্তুত হ'ব ।

  3. মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্যের প্রধান বৈশিষ্ট্য কী ছিল?
    (a) মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি
    (b) ধর্মীয় ভাবাবেগ ও ভক্তি আন্দোলন
    (c) আধুনিক যুক্তিনির্ভরতা
    (d) সমাজবিজ্ঞান চর্চা
    উত্তর: (b) ধর্মীয় ভাবাবেগ ও ভক্তি আন্দোলন

  4. চর্যাপদের রচয়িতা কারা ছিলেন?
    (a) বৈষ্ণব কবি
    (b) সিদ্ধাচার্যগণ
    (c) বৌদ্ধ বিহারিক শিষ্যরা
    (d) শাক্ত সাধকরা
    উত্তর: (b) সিদ্ধাচার্যগণ

  5. মঙ্গলকাব্যের অন্তর্গত প্রধান উপাদান কোনটি?
    (a) শৃঙ্গার রস
    (b) নৈতিকতা ও ধর্মীয় উপদেশ
    (c) পৌরাণিক গাথা
    (d) ইতিহাসচর্চা
    উত্তর: (c) পৌরাণিক গাথা

Textbook Question Answer (পাঠ্যপুস্তকভিত্তিক প্রশ্নোত্তর)

প্রশ্ন ১: বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগ কাকে বলা হয় এবং তার সময়সীমা কী?

উত্তর: বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগ বলতে ১০০০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৩৫০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত সময়কাল বোঝানো হয়। এই সময়ে চর্যাপদই ছিল সাহিত্যের প্রধান নিদর্শন। এতে তান্ত্রিক বৌদ্ধধর্ম ও মনের ভাব প্রকাশ পেয়েছে।

প্রশ্ন ২: চর্যাপদের ভাষা ও বিষয়বস্তু সম্পর্কে সংক্ষেপে লিখ।

উত্তর: চর্যাপদের ভাষা ‘সন্ধ্যাকাপ’ অর্থাৎ রূপক ভাষায় রচিত। এতে আধ্যাত্মিক সাধনার ভাব, গোপন বাণী এবং দার্শনিক চিন্তাধারা প্রকাশ পেয়েছে। রচয়িতারা ছিলেন সিদ্ধাচার্যগণ, যারা বৌদ্ধ তান্ত্রিক সাধক।

প্রশ্ন ৩: মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের শ্রেণীবিভাগ কী কী?

উত্তর: মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যকে মূলত তিনটি ভাগে বিভক্ত করা যায়—

  1. মঙ্গলকাব্য,

  2. শক্তিপদাবলী ও বৈষ্ণব পদাবলী,

  3. আখ্যানমূলক কাব্য (যেমন: রূপকথা, বীরগাথা)

প্রশ্ন ৪: বৈষ্ণব সাহিত্যের বৈশিষ্ট্য কী?

উত্তর: বৈষ্ণব সাহিত্য মূলত ভক্তিমূলক। এতে কৃষ্ণভক্তির ভাব, মানবপ্রেম, আত্মার সঙ্গে ঈশ্বরের মিলনপ্রয়াস ইত্যাদি ফুটে ওঠে। বিদ্যাপতি, চণ্ডীদাস, গোবিন্দদাস প্রভৃতি এই ধারার কবি ছিলেন।

Additional Question Answer (অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর)

প্রশ্ন ১: মঙ্গলকাব্যের অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য কী ছিল?

উত্তর: মঙ্গলকাব্য মূলত হিন্দু দেবদেবীর মাহাত্ম্য প্রচার করে সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মবিশ্বাস সঞ্চার করাই ছিল এর উদ্দেশ্য। এটি ধর্মীয় শিক্ষাদান ও বিনোদনের যুগল ভূমিকা পালন করেছে।

প্রশ্ন ২: মধ্যযুগে মুসলমান কবিদের অবদান কী ছিল?

উত্তর: মধ্যযুগে মুসলমান কবিরাও বাংলা সাহিত্যে বিশাল অবদান রাখেন। ‘নবীনবিবি-সৈয়দ সুলতান’, ‘আলাৌল’, ‘সৈয়দ মুরাদ’ প্রমুখ মুসলমান কবিরা আখ্যানমূলক কাব্য ও ধর্মীয় উপদেশমূলক রচনায় বিশেষ পরিচিত হন।

প্রশ্ন ৩: বাংলা সাহিত্যের এই দুটি যুগের মধ্যে পার্থক্য লেখ।

উত্তর:

  • প্রাচীন যুগে সাহিত্য ছিল মূলত ধর্মীয় ও তাত্ত্বিক ধ্যাননির্ভর (যেমন চর্যাপদ)।

  • মধ্যযুগে ধর্মীয়তার সঙ্গে সঙ্গে কাহিনিনির্ভর ও গীতিমূলক রচনার বিস্তার ঘটে (যেমন: মঙ্গলকাব্য, পদাবলী)। ভাষাও সহজ ও উপভোগ্য হয়ে ওঠে।