Chapter 10 -

লজ্জাবতী 

Multiple Choice Questions (MCQ)

১) ‘লজ্জাবতী’ গল্পের লেখক কে?
(ক) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(খ) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
(গ) বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
উত্তরঃ (খ) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

২) ‘লজ্জাবতী’ গল্পে মুখ্য চরিত্র কার?
(ক) কিরণময়ী
(খ) ললিতা
(গ) সতী
উত্তরঃ (ক) কিরণময়ী

৩) কিরণময়ী কেমন স্বভাবের ছিল?
(ক) অহংকারী
(খ) রূঢ় স্বভাবের
(গ) কোমল ও সংবেদনশীল
উত্তরঃ (গ) কোমল ও সংবেদনশীল

৪) ‘লজ্জাবতী’ গল্পে কিরণময়ীর আত্মত্যাগ কিসের প্রতীক?
(ক) বীরত্বের
(খ) নিঃস্বার্থ ভালোবাসার
(গ) শাস্তির
উত্তরঃ (খ) নিঃস্বার্থ ভালোবাসার

৫) গল্পটির মাধ্যমে লেখক কী বোঝাতে চেয়েছেন?
(ক) নারীর অহংকার
(খ) সমাজে নারীর স্থান
(গ) নারীর নিঃস্বার্থ প্রেম ও ত্যাগ
উত্তরঃ (গ) নারীর নিঃস্বার্থ প্রেম ও ত্যাগ

পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তর (Textbook Question Answers)

প্রশ্ন ১: ‘লজ্জাবতী’ গল্পের মূল ভাব কী?
উত্তরঃ এই গল্পটি এক নিঃস্বার্থ প্রেমিকা নারীর আত্মত্যাগ এবং গভীর ভালোবাসার কাহিনী। কিরণময়ী নিজের ভালোবাসা প্রকাশ না করেও চুপচাপ নিজের জীবনের সব কিছু উৎসর্গ করে। তার ভালোবাসা ছিল ত্যাগময় এবং নিঃশব্দ।

প্রশ্ন ২: কিরণময়ীর চরিত্র বিশ্লেষণ কর।
উত্তরঃ কিরণময়ী ছিল অত্যন্ত কোমল, সহনশীল ও আত্মবিস্মৃত চরিত্র। সে নিজেকে সব সময়ে পিছনে সরিয়ে রেখে প্রিয়জনের মঙ্গল কামনা করে। সমাজের প্রচলিত গণ্ডির মধ্যে থেকেও সে নিজের ভালোবাসাকে পূর্ণতা দিতে জানত আত্মত্যাগের মাধ্যমে।

প্রশ্ন ৩: ‘লজ্জাবতী’ গল্পে সামাজিক মূল্যবোধের প্রতিফলন কীভাবে ঘটেছে?
উত্তরঃ এই গল্পে সমাজে নারীর স্থান, নারী-পুরুষের সম্পর্ক, এবং নারীর ত্যাগ ও সহনশীলতাকে সূক্ষ্মভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। গল্পটি সমাজের পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গিকেও প্রশ্নের মুখে দাঁড় করায়।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর (Additional Question Answers)

প্রশ্ন ১: ‘লজ্জাবতী’ শিরোনামটি কতটা যথার্থ?
উত্তরঃ গল্পের মুখ্য চরিত্র কিরণময়ী একটি লজ্জাবতী গাছের মতো – সংবেদনশীল, কোমল ও আত্মগোপনকারী। সে নিজের আবেগকে চেপে রেখে অন্যের মঙ্গল কামনা করে। তাই ‘লজ্জাবতী’ নামটি এই গল্পের মূল ভাবনার সঙ্গে একেবারে মিলে যায়।

প্রশ্ন ২: গল্পে প্রেম ও ত্যাগের সম্পর্ক কীভাবে ফুটে উঠেছে?
উত্তরঃ গল্পে কিরণময়ীর নিঃশব্দ ভালোবাসা এবং নিজের সুখ বিসর্জন দিয়ে প্রিয়জনের ভালোবাসাকে সম্মান জানানোর মধ্য দিয়ে প্রেম ও ত্যাগের গভীর সম্পর্ক ফুটে উঠেছে। সত্যিকারের ভালোবাসায় ত্যাগের স্থান গুরুত্বপূর্ণ – এই বার্তাই লেখক দিয়েছেন।

প্রশ্ন ৩: লেখক কিরণময়ীর চরিত্রের মাধ্যমে কী বার্তা দিতে চেয়েছেন?
উত্তরঃ লেখক কিরণময়ীর মাধ্যমে সমাজে নারীর অন্তর্নিহিত শক্তি, সহনশীলতা, ও আত্মত্যাগের গুণাবলি তুলে ধরেছেন। নারীরা শুধু আবেগের আধার নয়, বরং তাদের অন্তরে রয়েছে অসীম ধৈর্য ও ভালোবাসার শক্তি।