Chapter 12 -

আহার ও পানীয় (প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য) 

Multiple Choice Questions (MCQ)

১) "আহার ও পানীয় (প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য)" প্রবন্ধের লেখক কে?
(ক) প্রফুল্লচন্দ্র রায়
(খ) সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
(গ) হুমায়ুন আহমেদ
উত্তরঃ (খ) সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়

২) পাশ্চাত্যের আহারের প্রধান বৈশিষ্ট্য কী?
(ক) তেল-ঝাল আহার
(খ) প্রোটিন সমৃদ্ধ আহার
(গ) নিরামিষ আহার
উত্তরঃ (খ) প্রোটিন সমৃদ্ধ আহার

৩) প্রাচ্যের পানীয় হিসেবে লেখক কী উল্লেখ করেছেন?
(ক) কফি
(খ) ফলের রস
(গ) চা
উত্তরঃ (গ) চা

৪) লেখক কোন জাতির খাদ্যাভ্যাসে বৈজ্ঞানিকতা লক্ষ করেন?
(ক) ভারতীয়
(খ) জাপানি
(গ) পাশ্চাত্য
উত্তরঃ (গ) পাশ্চাত্য

৫) প্রবন্ধে কোন দুটি সংস্কৃতির আহার পদ্ধতির তুলনা করা হয়েছে?
(ক) আরব ও ইউরোপ
(খ) প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য
(গ) চীন ও ভারত
উত্তরঃ (খ) প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য

পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তর (Textbook Question Answers)

প্রশ্ন ১: লেখক প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের আহার-পানীয়ের মধ্যে কী ধরনের পার্থক্য দেখিয়েছেন?
উত্তরঃ 
লেখক দেখিয়েছেন, পাশ্চাত্য সমাজ প্রোটিন ও ভিটামিন সমৃদ্ধ আহার গ্রহণ করে যা তাদের স্বাস্থ্য ও শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক। অন্যদিকে, প্রাচ্য সমাজে আহারে রুচির প্রাধান্য থাকে, স্বাস্থ্যের তুলনায় স্বাদের দিকে বেশি ঝোঁক দেখা যায়। পাশ্চাত্যে খাদ্যকে বিজ্ঞানসম্মতভাবে দেখা হয়, প্রাচ্যে রীতিনীতি ও সংস্কৃতির ভিত্তিতে।

প্রশ্ন ২: প্রাচ্য সমাজে পানীয় হিসেবে কী প্রচলিত এবং তা কিভাবে উপস্থাপিত হয়েছে?
উত্তরঃ প্রাচ্য সমাজে চা একটি জনপ্রিয় পানীয়, যা অতিথি আপ্যায়ন ও আড্ডার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। লেখক এটিকে প্রাচ্যের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে দেখিয়েছেন। পাশ্চাত্যের তুলনায় এখানে পানীয় গ্রহণ একটি সামাজিক আচরণ।

প্রশ্ন ৩: লেখক খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের কোন দিকটি তুলে ধরেছেন?
উত্তরঃ লেখক আধুনিক সময়ে পাশ্চাত্য খাদ্যাভ্যাসের প্রভাব প্রাচ্যের ওপর পড়ার দিকটি তুলে ধরেছেন। তিনি দেখিয়েছেন, নগরায়ন ও আধুনিকতার সঙ্গে সঙ্গে প্রাচ্য সমাজেও পাশ্চাত্য ধাঁচের খাবার গ্রহণ শুরু হয়েছে, যা একদিকে সুবিধা দিলেও অন্যদিকে ঐতিহ্য হারানোর আশঙ্কা তৈরি করছে।

 অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর (Additional Question Answers)

প্রশ্ন ১: লেখক কেন পাশ্চাত্যের খাদ্যতত্ত্বকে উন্নত মনে করেন?
উত্তরঃ লেখকের মতে, পাশ্চাত্যে আহার-পানীয় গ্রহণে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি ও পুষ্টিমূল্য বিবেচনা করা হয়। তাঁরা খাদ্যকে শরীরের প্রয়োজনীয় উপাদান হিসেবে দেখেন, যা স্বাস্থ্যরক্ষায় সহায়ক। তাই লেখক একে উন্নত ও সচেতন মানসিকতার প্রতিফলন মনে করেন।

প্রশ্ন ২: প্রবন্ধটি থেকে কী সামাজিক বার্তা পাওয়া যায়?
উত্তরঃ প্রবন্ধটি থেকে পাওয়া যায় যে, খাদ্য শুধু ক্ষুধা মেটানোর বিষয় নয়, এটি সংস্কৃতি, স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞানসম্মত চেতনার সঙ্গে যুক্ত। লেখক আহারের মাধ্যমে সভ্যতা ও সংস্কৃতির পার্থক্য তুলে ধরেছেন এবং সচেতন আহার গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন।

প্রশ্ন ৩: প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের পানীয় অভ্যাসের মধ্যে কী মৌলিক পার্থক্য রয়েছে?
উত্তরঃ প্রাচ্যে পানীয় যেমন চা একটি সামাজিক অনুষঙ্গ, অতিথি আপ্যায়নের মাধ্যম। পাশ্চাত্যে পানীয় (যেমন কফি বা ওয়াইন) ব্যক্তিগত বা আনুষ্ঠানিক প্রসঙ্গে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও, পাশ্চাত্যে পানীয় নির্বাচনে পুষ্টিগুণ বেশি গুরুত্ব পায়।