Chapter 14 - 

সৃষ্টির আদিকথা ও জুমচাষ প্রচলনের কাহিনি 

Multiple Choice Questions (MCQ)

১) 'সৃষ্টির আদিকথা' কোন জনগোষ্ঠীর লোককথা?
(ক) বোরো
(খ) মিশিং
(গ) দিমাসা
উত্তরঃ (গ) দিমাসা

২) 'হাজোং' শব্দটি কোন জনগোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত?
(ক) নাগা
(খ) হাজোং
(গ) বোরো
উত্তরঃ (খ) হাজোং

৩) জুমচাষ পদ্ধতিতে জমি প্রস্তুতির প্রধান উপায় কী?
(ক) সেচ
(খ) আগুনে জঙ্গল পোড়ানো
(গ) গরু দিয়ে চাষ
উত্তরঃ (খ) আগুনে জঙ্গল পোড়ানো

৪) দিমাসা লোককথায় মানব সৃষ্টির মূল উপাদান কী ছিল?
(ক) মাটি ও পানি
(খ) আলো ও বায়ু
(গ) পাথর ও কাঠ
উত্তরঃ (ক) মাটি ও পানি

৫) হাজোং কাহিনিতে ‘তাংশা’ বলতে বোঝায়—
(ক) দেবতা
(খ) মানুষ
(গ) জনপদ
উত্তরঃ (ক) দেবতা

পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তর (Textbook Question Answers)

প্রশ্ন ১: দিমাসা লোককথায় সৃষ্টির আদিকথা কিভাবে বর্ণনা করা হয়েছে?
উত্তরঃ দিমাসা লোককথায় বলা হয়েছে, আদি সময়ে পৃথিবীতে শুধু জল ছিল। পরে ঈশ্বর পৃথিবী সৃষ্টি করেন এবং মাটি, আকাশ, গাছ-পালা, পশু-পাখি ও মানব জাতির সৃষ্টি হয়। এই কাহিনি প্রাকৃতিক উপাদানের গুরুত্ব ও মানবরূপ সৃষ্টির দর্শন তুলে ধরে।

প্রশ্ন ২: জুমচাষ কাকে বলে?
উত্তরঃ জুমচাষ একটি প্রাচীন কৃষিপদ্ধতি যা পাহাড়ি অঞ্চলের জনগোষ্ঠী ব্যবহার করে। এতে প্রথমে জঙ্গল পরিষ্কার করে আগুনে পোড়ানো হয়, তারপর সেখানে বীজ ছড়িয়ে চাষ করা হয়। এটি স্থানান্তর কৃষির একটি রূপ।

প্রশ্ন ৩: হাজোং কাহিনিতে 'তাংশা'-র ভূমিকা কী ছিল?
উত্তরঃ 
হাজোং কাহিনিতে অংশা বা 'তাংশা' ছিলেন দেবতা, যিনি মানুষ সৃষ্টি করেন। তিনি প্রথমে মাটির পুতুল তৈরি করেন এবং পরে তা প্রাণ পায়। এই কাহিনিতে সৃষ্টির প্রক্রিয়ার সঙ্গে ধর্মীয় ও নৈতিক দিক উঠে আসে।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর (Additional Question Answers)

প্রশ্ন ১: লোককথার মাধ্যমে বিভিন্ন জনগোষ্ঠী কীভাবে নিজেদের ইতিহাস ও সংস্কৃতি সংরক্ষণ করে?
উত্তরঃ লোককথা এক ধরনের মৌখিক ঐতিহ্য যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বর্ণনা করা হয়। এতে ঐতিহাসিক ঘটনা, সমাজব্যবস্থা, ধর্মীয় বিশ্বাস এবং প্রাকৃতিক জীবনযাত্রার চিত্র পাওয়া যায়। এগুলি সংস্কৃতি ও পরিচয় সংরক্ষণের মাধ্যম।

প্রশ্ন ২: জুমচাষ পদ্ধতির পরিবেশগত প্রভাব কী কী?
উত্তরঃ 
জুমচাষের ফলে বনাঞ্চল ধ্বংস হয় এবং মাটির উর্বরতা কমে যায়। তবে এটি পাহাড়ি মানুষের জীবিকার গুরুত্বপূর্ণ অংশ, তাই সঠিক ব্যবস্থাপনায় এর পরিবেশগত ক্ষতি কমানো যেতে পারে।

প্রশ্ন ৩: সৃষ্টির আদিকথা মানুষকে কী শিক্ষা দেয়?
উত্তরঃ 
এই ধরনের কাহিনি মানুষকে প্রকৃতির প্রতি শ্রদ্ধা, ঈশ্বরবিশ্বাস এবং একতা ও নৈতিকতা শেখায়। এতে সৃষ্টির গভীর দর্শন ও মানবিক চেতনার পরিচয় পাওয়া যায়।