Chapter 3 -
বর্ষায় লোকের অবস্থা
Multiple Choice Questions (MCQ)
১) ‘বর্ষায় লোকের অবস্থা’ পাঠ্যাংশটি কোন সাহিত্যিকের রচনা?
(ক) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
(খ) ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়
(গ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
উত্তরঃ (খ) ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায়
২) বর্ষার সময় গ্রামের মানুষের প্রধান সমস্যা কী?
(ক) খাদ্যের অভাব
(খ) বাসস্থানের সমস্যা
(গ) জল জমে যাওয়া
উত্তরঃ (গ) জল জমে যাওয়া
৩) লেখক বর্ষার সময়কার পথকে কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?
(ক) নদী
(খ) চাষের মাঠ
(গ) সমুদ্র
উত্তরঃ (ক) নদী
৪) লেখকের মতে বর্ষাকালে ঘর থেকেও কীভাবে জল বের হয়?
(ক) ছাদ ফুটো হয়ে
(খ) দেউড়ির পথে
(গ) জানালা দিয়ে
উত্তরঃ (খ) দেউড়ির পথে
৫) লেখকের দৃষ্টিতে বর্ষাকাল কেমন লাগে?
(ক) উৎসবমুখর
(খ) আনন্দজনক
(গ) দুঃখজনক ও দুর্বিষহ
উত্তরঃ (গ) দুঃখজনক ও দুর্বিষহ
পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তর (Textbook Question Answers)
প্রশ্ন ১: ‘বর্ষায় লোকের অবস্থা’ পাঠ্যাংশে লেখক কী ধরনের পরিস্থিতির কথা বলেছেন?
উত্তরঃ লেখক ভূবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায় বর্ষাকালে গ্রামবাংলার মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার দুর্দশার কথা বলেছেন। বর্ষার সময় জল জমে গলি-নালি, রাস্তাঘাট সবই ডুবে যায়। সাধারণ মানুষ ঘরছাড়া হতে পারে না, ক্ষেত-খামারেও কাজ বন্ধ হয়ে যায়। লেখক সেই কষ্টকর অবস্থাকেই কৌতুকের ছলে বর্ণনা করেছেন।
প্রশ্ন ২: বর্ষাকালে গ্রামের পথে চলাচল করতে কী ধরনের সমস্যা হয়?
উত্তরঃ বর্ষাকালে গ্রামের পথ নদীতে পরিণত হয়। কাদা-পানিতে পথ ঢেকে যায়, মানুষ চলাফেরা করতে পারে না। পা পিছলি যায়, জুতা হারায়, লোকজন কষ্টে গন্তব্যে পৌঁছায়। লেখক বলেন, যেন নদী পার হচ্ছে—এটি বাস্তবতাই বোঝায়।
প্রশ্ন ৩: লেখকের ভাষা ও রচনাশৈলীর বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তরঃ লেখকের ভাষা সহজ, সরস ও কৌতুকপূর্ণ। কঠিন বাস্তবতা সত্ত্বেও লেখক হাস্যরস মিশিয়ে বর্ণনা করেছেন, যাতে পাঠক আনন্দ পায় এবং কষ্টের চিত্রও উপলব্ধি করে। তীব্র সামাজিক বাস্তবতাকে তিনি ব্যঙ্গরসের মাধ্যমে সহজভাবে উপস্থাপন করেছেন।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর (Additional Question Answers)
প্রশ্ন ১: লেখকের দৃষ্টিতে বর্ষা মৌসুমটি মানুষের জীবনে কী প্রভাব ফেলে?
উত্তরঃ লেখকের মতে বর্ষা মৌসুমটি সাধারণ মানুষের জন্য কষ্টকর। জল জমে মানুষের যাতায়াত, কাজকর্ম, এমনকি বাসস্থানও সমস্যার মধ্যে পড়ে। এটি উৎসব বা আনন্দের ঋতু নয়, বরং গ্রামীণ মানুষের দুর্দশার সময়।
প্রশ্ন ২: লেখকের বর্ণনায় কোন কোন হাস্যরসাত্মক উপাদান ফুটে উঠেছে?
উত্তরঃ লেখক বলেন, পায়ে জুতা থাকে না, জুতা কাদার মধ্যে ডুবে যায়, হাঁটতে গেলে কাদা ছিটে গায়ে পরে—এই বর্ণনাগুলি কৌতুকমূলক ভঙ্গিতে করা হলেও বাস্তবতা ব্যঙ্গ করে দেখানো হয়েছে। পাঠক একদিকে হাসে, অন্যদিকে বাস্তবতাও উপলব্ধি করে।
প্রশ্ন ৩: ‘বর্ষায় লোকের অবস্থা’ পাঠ্যাংশে লেখকের মূল বক্তব্য কী?
উত্তরঃ লেখকের মূল বক্তব্য হ'ল—বর্ষাকালে গ্রামের সাধারণ মানুষ কত কষ্টে দিন কাটায়, সেই বাস্তবতাকে ব্যঙ্গ ও রসাত্মক ভাষায় তুলে ধরা। তিনি সমাজের চোখে বর্ষার রূপটিকে বাস্তব ও মানৱিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখাতে চেয়েছেন।