Chapter 6 - 

মায়াতরু

Multiple Choice Questions (MCQ)

১) 'মায়াতরু' গল্পের লেখক কে?
(ক) তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
(খ) বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
(গ) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
উত্তরঃ (খ) বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়

২) ‘মায়াতরু’ শব্দটি কী বোঝায়?
(ক) একটি পাখির নাম
(খ) একটি গাছের নাম
(গ) একটি মায়াবি গাছের প্রতীক
উত্তরঃ (গ) একটি মায়াবি গাছের প্রতীক

৩) 'মায়াতরু' গল্পের প্রধান চরিত্র কে?
(ক) সত্যচরণ
(খ) হরিপদ
(গ) শশিকান্ত
উত্তরঃ (ক) সত্যচরণ

৪) সত্যচরণ কোন স্থানে বেড়াতে গিয়েছিলেন?
(ক) হিমালয়
(খ) গোপালনগর
(গ) বনের প্রান্তে
উত্তরঃ (গ) বনের প্রান্তে

৫) গল্পটিতে কোন বিশেষ অনুভূতির প্রাধান্য আছে?
(ক) সামাজিক অবক্ষয়
(খ) রোমান্স
(গ) প্রকৃতি ও মায়ার সম্মিলন
উত্তরঃ (গ) প্রকৃতি ও মায়ার সম্মিলন

পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তর (Textbook Question Answers)

প্রশ্ন ১: 'মায়াতরু' গল্পের মূল ভাব কী?
উত্তরঃ গল্পটি প্রকৃতি ও মানুষের মধ্যে এক মায়াময় সম্পর্কের চিত্র তুলে ধরে। লেখক প্রকৃতিকে এক জীবন্ত সত্তা হিসেবে দেখিয়েছেন, যে মানুষের সঙ্গে আত্মিকভাবে জড়িত। মায়াতরু গাছটি যেন এক রহস্যময় চরিত্র, যা সত্যচরণের মনে গভীর প্রভাব ফেলে।

প্রশ্ন ২: সত্যচরণ কেমন ব্যক্তি ছিলেন?
উত্তরঃ সত্যচরণ ছিলেন একজন সংবেদনশীল ও প্রকৃতিপ্রেমী ব্যক্তি। তিনি প্রকৃতির সৌন্দর্য অনুভব করতে পারতেন এবং তার মায়ায় আবিষ্ট হয়ে পড়তেন। তাঁর মনে মায়াতরু গাছটির প্রতি এক গভীর টান তৈরি হয়।

প্রশ্ন ৩: মায়াতরু গাছটি কিভাবে একটি চরিত্রে পরিণত হয়েছে?
উত্তরঃ গাছটির অবয়ব, পরিবেশ, এবং এর সঙ্গে সত্যচরণের মানসিক সম্পর্ক একে একটি জীবন্ত ও মায়াবি চরিত্রে রূপান্তরিত করেছে। গাছটি যেন শুধু একটি গাছ নয়, বরং এক সত্তা, এক অনুভব।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর (Additional Question Answers)

প্রশ্ন ১: লেখক মায়াতরু গাছটির বর্ণনা কিভাবে দিয়েছেন?
উত্তরঃ লেখক গাছটির উচ্চতা, ছায়া, হালকা বাতাসে দুলে ওঠা পাতা এবং নিঃসঙ্গ অবস্থানকে এত সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন যে তা পাঠকের মনে এক রোমাঞ্চ ও মায়াবি আবহ তৈরি করে।

প্রশ্ন ২: সত্যচরণের জীবনে মায়াতরুর প্রভাব কী ছিল?
উত্তরঃ 
মায়াতরু সত্যচরণের মনে এক আশ্চর্য অনুভূতি জাগায়। সে যেন এক নতুন জগতের সন্ধান পায়, যেখানে প্রকৃতি তার একমাত্র সঙ্গী। এই গাছটি তার একাকীত্ব দূর করে এবং গভীরভাবে মানসিক শান্তি এনে দেয়।

প্রশ্ন ৩: এই গল্পটি প্রকৃতির প্রতি আমাদের মনোভাব কিভাবে গঠন করে?
উত্তরঃ 
গল্পটি প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের আত্মিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এটি শেখায়, প্রকৃতি কেবল উপাদানগত নয়, বরং একটি অনুভব, এক নৈসর্গিক সত্তা, যাকে ভালোবাসা ও সংরক্ষণ করা উচিত।