Chapter 8 -

 কেউ কথা রাখেনি 

Multiple Choice Questions (MCQ)

১) ‘কেউ কথা রাখেনি’ কবিতার কবি কে?
(ক) জীবনানন্দ দাশ
(খ) সুভাষ মুখোপাধ্যায়
(গ) শক্তি চট্টোপাধ্যায়
উত্তরঃ (গ) শক্তি চট্টোপাধ্যায়

২) “কেউ কথা রাখেনি” কবিতার মূল বিষয় কী?
(ক) সমাজে প্রেমের প্রচার
(খ) প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ এবং ব্যক্তিগত বেদনা
(গ) প্রকৃতির রূপবর্ণনা
উত্তরঃ (খ) প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ এবং ব্যক্তিগত বেদনা

৩) কবি কত বছর বয়সে প্রেমে পড়েছিলেন বলে কবিতায় উল্লেখ করেছেন?
(ক) দশ বছর
(খ) ষোল বছর
(গ) আঠারো বছর
উত্তরঃ (খ) ষোল বছর

৪) কবির মতে, কারো প্রতিশ্রুতি কি পূরণ হয়েছে?
(ক) মা
(খ) বন্ধু
(গ) কেউ না
উত্তরঃ (গ) কেউ না

৫) কবিতায় ‘একবার এসে যাও’ – কার উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে?
(ক) ঈশ্বরের
(খ) প্রেয়সীর
(গ) বন্ধুর
উত্তরঃ (খ) প্রেয়সীর

 পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তর (Textbook Question Answers)

প্রশ্ন ১: ‘কেউ কথা রাখেনি’ কবিতার মূল বার্তা কী?
উত্তরঃ এই কবিতার মূল বার্তা হল মানুষের দেওয়া প্রতিশ্রুতি বারবার ভঙ্গ হয়। কবি তাঁর জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বোঝাতে চান যে, সমাজে, পরিবারে বা প্রেমে কেউই তাঁর সঙ্গে দেওয়া কথা রাখেনি। এই বিশ্বাসভঙ্গের অভিজ্ঞতা তাঁকে গভীরভাবে ব্যথিত করে।

প্রশ্ন ২: কবি কেন ব্যথিত?
উত্তরঃ কবি ব্যথিত কারণ তিনি জীবনের বিভিন্ন সময়ে যাঁদের ওপর ভরসা করেছিলেন, তারা কেউই তাঁদের প্রতিশ্রুতি পালন করেনি। মা বলেছিলেন তিনি আকাশ দেখাবেন, প্রেমিকা বলেছিলেন তিনি আসবেন, কিন্তু কেউ কথা রাখেনি।

প্রশ্ন ৩: “আমি তোকে ভালোবাসি বলেছিল” — এই পঙ্‌ক্তিটি কী বোঝায়?
উত্তরঃ এই পঙ্‌ক্তিটি কবির প্রেম জীবনের এক স্মৃতিচারণ। প্রেমিকা ভালোবাসার প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে তা রক্ষা করেননি। ফলে এই প্রেম কবির জীবনে হতাশা ও শূন্যতা তৈরি করে।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর (Additional Question Answers)

প্রশ্ন ১: কবিতাটির ভাষার বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তরঃ এই কবিতার ভাষা সহজ, সরল, সংলাপমুখর এবং ব্যক্তিগত অনুভূতিতে ভরপুর। এতে অলংকারের চেয়ে অনুভবের প্রকাশকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

প্রশ্ন ২: কবি তাঁর শৈশবের কোন স্মৃতির উল্লেখ করেছেন?
উত্তরঃ কবি স্মরণ করেন, শৈশবে তাঁর মা বলেছিলেন আকাশ দেখাবেন। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি পূর্ণ হয়নি। এ থেকেই কবির মনে বিশ্বাসভঙ্গের অনুভব জন্মে।

প্রশ্ন ৩: কবিতাটি কোন মনোভাব প্রকাশ করে?
উত্তরঃ এই কবিতা মূলত হতাশা, অবিশ্বাস, ব্যথা এবং অনুভবের সত্যতার প্রতি গভীর প্রশ্ন তোলে। এটি আমাদের চারপাশের বাস্তবতাকে কঠিনভাবে তুলে ধরে।