Chapter 7 -
জাতীয় আয় নির্ধারণ
পাঠ্যপুস্তকভিত্তিক প্রশ্নোত্তর (Textbook Question Answer)
প্রশ্ন ১: জাতীয় আয় নির্ধারণ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: জাতীয় আয় নির্ধারণ হল এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে চূড়ান্ত ভোগ্য ও সেবার মোট উৎপাদন থেকে একটি নির্দিষ্ট সময়ে অর্থনীতির জাতীয় আয় হিসাব করা হয়। এই নির্ধারণ চাহিদা ও যোগানের পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তিতে হয়।
প্রশ্ন ২: ভারসাম্য জাতীয় আয় বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: যখন সামষ্টিক চাহিদা ও সামষ্টিক যোগান সমান হয়, তখন যে জাতীয় আয় নির্ধারিত হয় তাকে ভারসাম্য জাতীয় আয় বলা হয়।
প্রশ্ন ৩: জাতীয় আয় নির্ধারণের উপায় কী কী?
উত্তর: জাতীয় আয় নির্ধারণের তিনটি প্রধান উপায় হল –
-
উৎপাদন পদ্ধতি
-
ব্যয় পদ্ধতি
-
আয় পদ্ধতি
প্রশ্ন ৪: MPC ও MPS বলতে কী বোঝায়?
উত্তর:
-
MPC (Marginal Propensity to Consume): আয় বৃদ্ধি হলে অতিরিক্ত আয়ের যে অংশ খরচ করা হয় তাকে MPC বলে।
-
MPS (Marginal Propensity to Save): আয় বৃদ্ধি হলে অতিরিক্ত আয়ের যে অংশ সঞ্চয় করা হয় তাকে MPS বলে।
এদের মধ্যে সম্পর্ক:
👉 MPC + MPS = 1
প্রশ্ন ৫: গুণক (Multiplier) কী?
উত্তর: গুণক হল এমন একটি পরিমাণ যা দিয়ে প্রাথমিক বিনিয়োগ বৃদ্ধির ফলে জাতীয় আয় কত গুণ বাড়বে তা নির্ধারণ করা যায়।
গুণক (K) = 1 / (1 – MPC)
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর (Additional Question Answer)
প্রশ্ন ১: জাতীয় আয়ের উপাদানসমূহ কী কী?
উত্তর: জাতীয় আয়ের উপাদানসমূহ হল –
-
ব্যক্তিগত ভোগ ব্যয় (C)
-
বিনিয়োগ ব্যয় (I)
-
সরকারি ব্যয় (G)
-
রপ্তানি ব্যয় (X)
-
আমদানি ব্যয় (M)
সুতরাং,
AD (Aggregate Demand) = C + I + G + (X - M)
প্রশ্ন ২: চাহিদা ঘাটতি (Deflationary Gap) কী?
উত্তর: যখন সামষ্টিক চাহিদা ভারসাম্য জাতীয় আয়ের তুলনায় কম থাকে, তখন যে ঘাটতি দেখা যায় তাকে চাহিদা ঘাটতি বলা হয়। এটি বেকারত্ব ও উৎপাদন হ্রাস ঘটায়।
প্রশ্ন ৩: অতিরিক্ত চাহিদা (Inflationary Gap) কী?
উত্তর: যখন সামষ্টিক চাহিদা ভারসাম্য জাতীয় আয়ের চেয়ে বেশি হয়, তখন অতিরিক্ত চাহিদা দেখা দেয়। এর ফলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়।
প্রশ্ন ৪: স্থির কর (Lump Sum Tax) ও পরিবর্তনশীল করের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর:
-
স্থির কর: আয় নির্বিশেষে নির্দিষ্ট পরিমাণ কর ধার্য হয়।
-
পরিবর্তনশীল কর: আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে করের পরিমাণও বাড়ে।
প্রশ্ন ৫: বিনিয়োগ গুণক বাড়লে জাতীয় আয়ে কী প্রভাব পড়ে?
উত্তর: বিনিয়োগ গুণক বাড়লে সামান্য বিনিয়োগ বৃদ্ধিতেই জাতীয় আয় অনেক বেশি বাড়ে। এর ফলে কর্মসংস্থান ও উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।