Chapter 2 - 

লিখন পদ্ধতি ও নগর জীবন

পাঠ্যপুস্তকভিত্তিক প্রশ্নোত্তর (Textbook Question Answer)

প্রশ্ন ১: প্রাচীন মেসোপটেমিয়ার লিখন পদ্ধতির নাম কী?
উত্তর: প্রাচীন মেসোপটেমিয়ার লিখন পদ্ধতির নাম ছিল কিউনিফর্ম (Cuneiform)। এটি প্যাঁচাল চিহ্নের মত আকারে পোড়া মাটির ফলকে খোদাই করে লেখা হতো।

প্রশ্ন ২: লিখন পদ্ধতি আবিষ্কারের প্রয়োজন কেন দেখা দিল?
উত্তর: বাণিজ্য, কর আদায়, জমির হিসাব রাখা এবং প্রশাসনিক কাজ পরিচালনার জন্য লিখন পদ্ধতির প্রয়োজন দেখা দেয়।

প্রশ্ন ৩: নগর সভ্যতার সূচনা কোথায় হয়েছিল?
উত্তর: নগর সভ্যতার সূচনা হয় মেসোপটেমিয়ার উপত্যকায়, বিশেষ করে টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীর মাঝে।

প্রশ্ন ৪: প্রাচীন মেসোপটেমিয়ার নগর জীবনের প্রধান বৈশিষ্ট্য কী ছিল?
উত্তর:

  1. উন্নত প্রশাসনিক কাঠামো

  2. ধর্মীয় ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র

  3. পরিকল্পিত নগরায়ন

  4. দালান-কোঠা, মন্দির, জলাধার

  5. লিখন ও গণনার প্রচলন

প্রশ্ন ৫: মেসোপটেমিয়ার লোকেরা লিখত কী উপকরণে?
উত্তর:
তারা মূলত পোড়া মাটির ফলকে প্যাঁচাল (stylus) ব্যবহার করে লিখত।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর (Additional Question Answer)

প্রশ্ন ১: নগর জীবনের বিকাশে লিখন পদ্ধতির কী ভূমিকা ছিল?
উত্তর:

  • প্রশাসনিক রেকর্ড রাখার জন্য,

  • বাণিজ্যিক চুক্তি ও হিসাব রাখার জন্য,

  • আইন প্রণয়ন ও সামাজিক নিয়ম প্রতিষ্ঠায় লিখন পদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
    এতে করে নগরজীবনের সংগঠিত ও উন্নত রূপ গঠিত হয়।

প্রশ্ন ২: কিউনিফর্ম লিপি কীভাবে লেখা হতো?
উত্তর:
কিউনিফর্ম লিপি লিখতে নরম মাটির ফলকের ওপর প্যাঁচাল দিয়ে কোণাকুণি ও সোজা রেখা আঁকা হতো। পরে ফলকগুলো রোদে শুকিয়ে বা আগুনে পুড়িয়ে শক্ত করা হতো।

প্রশ্ন ৩: প্রাচীন মেসোপটেমিয়ার অর্থনীতি কীভাবে গঠিত ছিল?
উত্তর:

  • কৃষি ছিল প্রধান পেশা।

  • নদীর জল ব্যবহার করে সেচব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়।

  • পশুপালন, হস্তশিল্প ও বাণিজ্য ছিল অর্থনীতির প্রধান স্তম্ভ।

  • কর আদায় ও বাণিজ্যিক লেনদেন লিখন পদ্ধতিতে রেকর্ড করা হতো।

প্রশ্ন ৪: ‘ঝিগুরাত’ কী?
উত্তর: ঝিগুরাত ছিল প্রাচীন মেসোপটেমিয়ার সিঁড়িওয়ালা মন্দির, যা নগরের কেন্দ্রে নির্মিত হতো এবং ধর্মীয় কার্যকলাপের কেন্দ্র ছিল।

প্রশ্ন ৫: নগর সভ্যতা কীভাবে সমাজ ও সংস্কৃতিকে প্রভাবিত করেছিল?
উত্তর:

  • নগর সভ্যতা সমাজকে শ্রেণিভুক্ত করেছিল – যেমন রাজা, পুরোহিত, কৃষক, দাস।

  • ধর্মীয় ও প্রশাসনিক কেন্দ্র তৈরি হয়।

  • লিখন, গণনা, শিল্পকলা ও স্থাপত্যকলার বিকাশ ঘটে।

  • শিক্ষা ও জ্ঞানচর্চার সূচনা হয়।